Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২১ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ১৭ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২১ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ১৭ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    এখনো দখলদার ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে জার্মানি



    যখন গোটা পৃথিবী ইসরায়েলের নির্মম ও বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তখন কিছু তথাকথিত মানবাধিকারপন্থী পশ্চিমা শক্তি সেই একই দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধযন্ত্রে প্রাণসঞ্চার করছে। একদিকে মুসলিম শিশুদের কান্না, নারীদের আহাজারি এবং বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি—অন্যদিকে পাশ্চাত্য ধোঁকাবাজির নিঃশব্দ প্রশ্রয়। এরই এক জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে উঠেছে জার্মানির সামরিক রপ্তানির সাম্প্রতিক তথ্য, যা দখলদার ইসরায়েলের নির্মমতা আরও দীর্ঘায়িত করছে।

    গণমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত সময়ে জার্মানি দখলদার ইসরায়েলে প্রায় ২৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদন করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জার্মান সরকার নিজেই, যা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে।

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালেই অনুমোদিত রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৮৬.৫ মিলিয়ন ডলার, আর ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে তা দাঁড়ায় ৩২.৫ মিলিয়ন ডলারে। এই অনুমোদন এমন এক সময় এসেছে, যখন জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

    এর আগে ২০২৪ সালে নিকারাগুয়া, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জার্মানির বিরুদ্ধে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি করে গণহত্যায় সহায়তা করার অভিযোগ দায়ের করে। তখন সাময়িকভাবে রপ্তানি স্থগিত করা হলেও, জার্মান সরকার পরবর্তীতে পুনরায় অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে।

    জার্মানি বহু দশক ধরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। নাৎসি অতীত এবং হলোকাস্টের দায় এড়িয়ে যাওয়ার কৌশলে তারা এখন যেন আরেকটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর সেই ‘ঐতিহাসিক দায়’ মেটাতে চাইছে—তাও সরাসরি রক্ত আর ধ্বংসের বিনিময়ে।

    ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বর্বর অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৮ হাজারেরও বেশি নিরপরাধ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং এক লাখেরও বেশি মানুষ আহত, যাদের বড় অংশই নারী ও শিশু। গত একদিনেই ৯৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

    এই অমানবিক এবং নির্লজ্জ রপ্তানী নীতির মাধ্যমে জার্মানি শুধু সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে নয়, বরং ইতিহাসকেও উপহাস করছে। একটি গণহত্যার দায় আরেক গণহত্যা দিয়ে মোচন করার প্রবণতা শুধু নৈতিক দেউলিয়াপনার প্রকাশই নয়, বরং এটি পশ্চিমা বর্ণবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।


    তথ্যসূত্র:
    1. Germany continues military exports to Israel amid mounting criticism
    https://tinyurl.com/4rj7vnj8
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের পাঠ্যপুস্তকে মুঘল সম্রাটদের নেতিবাচক চিত্রায়ন, মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব তৈরি করার চেষ্টা



    ​সম্প্রতি ভারতের ৮ম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিতর্কিত পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে মুঘল সম্রাটদের বর্বর ও নৃশংস হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বইটিতে হিন্দু রাজা শিবাজীকে দক্ষ কৌশলবিদ এবং একজন সত্যিকারের দূরদর্শী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

    গত ১৬ জুলাই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ক্লারিওন ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় শিক্ষাক্রম কর্তৃক প্রকাশিত সংশোধিত ৮ম শ্রেণির বইয়ে মুঘল সম্রাট বাবরকে ‘নৃশংস বিজয়ী’ এবং আওরঙ্গজেবকে ‘মন্দির ধ্বংসকারী’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যা মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে। এছাড়াও বইটির একটি অধ্যায়ে বাবরকে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে হত্যা করে মাথার খুলি দিয়ে মিনার তৈরি করার মিথ্যা ইতিহাস পেশ করা হয়েছে।

    এই নতুন পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় সহিংসতা এবং ধ্বংসের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা তরুণদের মধ্যে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিজেপি সরকার এই পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব তৈরি করতে চাইছে।

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর থেকে, আওরঙ্গজেবের শাসনকালে হিন্দু সমাজের উপর কথিত দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়কে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Revised NCERT Textbook Says Babur Was ‘Ruthless,’ Aurangzeb a ‘Temple-Destroyer’
    https://tinyurl.com/bdfndhs5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জাহাজ ভাঙা শিল্প ধ্বংসের পথে: আওয়ামী-ভারতীয় সমন্বিত ষড়যন্ত্র



      প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ১৯৭৯ সালে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় যাত্রা শুরু করা শিপইয়ার্ডগুলো বিগত ১৬ বছরে ভারত ও আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্রে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বর্তমানে জাহাজ ভাঙা শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

      জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে ছলিমপুর, ভাটিয়ারী, সোনাইছড়ি ও কুমিরা ইউনিয়নে উপকূলীয় বেলাভূমিতে প্রায় দুই শতাধিক শিপইয়ার্ড গড়ে উঠেছে। ২০২৩ সালে হংকং কনভেনশন (নরওয়ে ভিত্তিক সামুদ্রিক বিষয়ক একটি পরিবেশ সংস্থা), আইএমও (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন) গ্রীন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ওপর জোর দেয়। সর্বশেষ এর মেয়াদ চলতি বছর ২০২৫ সালের ২৫ জুন শেষ হয়। এদিকে দেশের একমাত্র এ লৌহজাত কাঁচামালের জোগান দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হংকং কনভেনশন ও আইএলও শর্ত মোতাবেক মাত্র ১৩টি শিপইয়ার্ড গ্রীন শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হয়েছে। এসব গ্রীন শিপইয়ার্ড ব্যতীত অন্য শিপইয়ার্ডগুলোতে জাহাজ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। এতে করে অন্যান্য শিপইয়ার্ড মালিকরা পুরাতন জাহাজ আমদানি করতে এলসি খুলতে পারছে না। অধিকাংশ ইয়ার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ইয়ার্ড মালিকদের মধ্যে অনেকেই দেউলিয়া হয়ে গেছে।

      সমুদ্রের বেলাভূমিতে গড়ে উঠা ১৯০টি শিপইয়ার্ড মালিকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এলাকায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে। জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ শত কোটি টাকা সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

      বিগত ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে ফৌজদারহাট এলাকায় দেশের সম্ভাবনাময় শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে পরিবেশের দোহাই দিয়ে ভারতের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ডের শিপইয়ার্ডগুলো আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে।

      ‘আমার দেশ ‘ সংবাদ মাধ্যমের বরাতে মোহরম ইস্পাত কারখানার মালিক কামাল পাশা বলেন, শিপইয়ার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ইয়ার্ড মালিকেরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে আবার অনেকে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এ শিল্প থেকে বিভিন্ন রোলিং মিলের রড ও স্টিল স্ট্রাকচার বিল্ডিংয়ের সরঞ্জামাদির কাঁচামালের জোগান দিয়ে আসছে। দেশীয় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে হাজার হাজার টন তামা পিতল বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। শিপইয়ার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব মালামাল বিদেশ থেকে দ্বিগুণ দামে আমদানি করতে হবে। এবং দেশীয় বাজারে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সরকার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে এবং এই শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে।

      তিনি আরও বলেন, হংকং কনভেনশন অনুযায়ী সময়সীমা কমপক্ষে দুই বছর বৃদ্ধি করা জন্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী চেষ্টা করছেন। যদি সময় বৃদ্ধি করা হয় তাহলে উক্ত সময়ের মধ্যে অধিকাংশ শিপইয়ার্ড গ্রীন শিপইয়ার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।

      শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানায়, চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে গ্রীন শিপইয়ার্ডের সার্টিফিকেট ব্যতীত অন্য শিপইয়ার্ডে জাহাজ কর্তন করা যাবে না। তবে ২৫ জুনের পূর্বে যেসব ইয়ার্ডে জাহাজ বিচিং করা হয়েছে সেই সব জাহাজগুলো কর্তন করা যাবে। হংকং কনভেনশনের বর্ধিত সময় চলতি বছরের ২৫ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে।

      তথ্যসূত্র:

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আবারও ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল


        ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গত ১৬ জুলাই, বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবন ও প্রেসিডেনশিয়াল ভবনের নিকটবর্তী স্থানগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুওয়াইদা প্রদেশে চতুর্থ দিনের মতো চলা সহিংসতা ও ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।

        দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গত কয়েকদিন ধরে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুওয়াইদা প্রদেশে দ্রুজ সম্প্রদায়ের পক্ষে হস্তক্ষেপের নামে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্রদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দামেস্কের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবন এবং প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার কার্যালয়ের নিকটে কয়েকটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৩ জন শহীদ এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন।

        এর আগে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার দক্ষিণে অস্ত্র বহনকারী সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদের গুদাম ও দামেস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছাকাছি সামরিক স্থাপনায় একাধিক হামলা চালায়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় একটি টিভি উপস্থাপক সরাসরি সম্প্রচারের সময় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।

        সিরিয়ার সরকার বলেছে, ইসরায়েল আসলে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে এবং দেশটিকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে।

        ইসরায়েল এই সংঘাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দ্রুজদের রক্ষার নামে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল আসলে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চায়, যেখানে তারা দ্রুজদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।
        ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের এই হামলা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে আরও ঘনীভূত করছে। দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার নামে ইসরায়েল আসলে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে চাইছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকটের জন্ম দিতে পারে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Huge explosions were seen in Damascus as Israel bombed Syria’s defence ministry during a live Al Jazeera broadcast nearby.
        https://tinyurl.com/2ch2uzzp
        2. Israel Strikes At The Heart Of Syria’s Military Command In Dramatic Escalation (Updated)
        https://tinyurl.com/3x78brvn
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কাশ্মীরে আরও তিন মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো দখলদার ভারত


          ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় আরও তিনজন বেসামরিক মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে দখলদার ভারতীয় প্রশাসন। কাশ্মীরি স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সম্পত্তিগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

          গত ১৬ জুলাই কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মঞ্জুর আহমদ চোপান নামের এক ব্যক্তির একটি দ্বিতল আবাসিক ভবন, মুহাম্মদ ইউসুফ মালিক নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি দ্বিতল বাড়ি ও ৫ কানাল ১৩ মারলা জমি এবং বিলাল আহমদ ওয়ানির ১৯.৫ মারলা কৃষিজমি। এসব সম্পত্তি বুদগাম জেলার হারওয়ানি, চেওয়া এবং খাগ এলাকায় অবস্থিত।

          উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে দখলদার ভারতীয় সরকার কাশ্মীরিদের উপর দমন-পীড়ন আরও বাড়িয়েছে। ভারত সরকার কৌশলগতভাবে কাশ্মীরিদের জমি ও বাড়িঘর কেড়ে নিয়ে তাদের অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করার এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিঃশেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

          তথ্যসূত্র:
          1. Occupation regime attaches three more civilian properties in IOJK
          https://tinyurl.com/2w5uasdx
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সাত বছরে এলএনজি কিনতে ব্যয় ২ লাখ কোটি টাকা! দুই যুগে গ্যাস অনুসন্ধানে সরকারি বিনিয়োগ মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা




            দেশে গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ২০১৮ সাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত সাত অর্থবছরে বিদেশ থেকে পণ্যটি আমদানি করতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

            দেশে গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ২০১৮ সাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত সাত অর্থবছরে বিদেশ থেকে পণ্যটি আমদানি করতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও এই এলএনজি মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের মাত্র ২০-২৫ শতাংশ। অন্যদিকে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে দুই যুগে মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সরকার। যার মধ্যে ২০০০ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি গ্যাস উৎপাদন কোম্পানির আওতায় কূপ খননে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে আরো অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা গ্যাসকূপ খননসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে ব্যয় হয়েছে বলে পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে।

            গ্যাস অনুসন্ধানে সীমিত এ বিনিয়োগে একদিকে যেমন গ্যাসের বড় কোনো মজুদ আবিষ্কার হয়নি, তেমনি কমানো যায়নি গ্যাসের সরবরাহ সংকট। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি আমদানিতে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি দেশে জ্বালানি নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

            ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। বাড়ছে এলএনজির দামও। এরই মধ্যে সরকার বিকল্প উৎস অনুসন্ধান শুরু করেছে। বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানির বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্য। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানি করে বাংলাদেশ। এসব পণ্য আমদানি হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে এরই মধ্যে জাহাজ ও ট্যাংকারের ভাড়া ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়া ও প্রিমিয়াম চার্জ দফায় দফায় বাড়াচ্ছে পণ্য পরিবহনকারী আন্তর্জাতিক জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। জাহাজের প্রিমিয়াম চার্জ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে পর্যবেক্ষণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

            বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে উপসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ জড়িয়ে পড়লে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানির রুট পরিবর্তন করতে হলে দেশে জ্বালানির দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে তা দেশের জ্বালানি খাতের নিরাপত্তাকে তীব্র ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলে মনে করেন তারা।

            গ্যাসের চাহিদা বিবেচনায় আমদানির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা এতটা বাড়ানো উচিত নয়, যা সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যুদ্ধের কারণে সরবরাহ সংকটের ঝুঁকির পাশাপাশি দামেও উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলএনজি সরবরাহ কার্যক্রম প্রতি বছর ব্যাহত হচ্ছে। এত ঝুঁকি নিয়ে দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা নিরাপদ রাখা চ্যালেঞ্জিং। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় গ্যাস খাতের সরবরাহ বড় আকারে বাড়ানোর পরিকল্পনা ও বিদেশী কোম্পানিগুলোকে দেশের গ্যাস খাতে টেনে আনার জোর চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

            যদিও জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জ্বালানির স্থানীয় বিনিয়োগ ও গ্যাস পেতে জোরালো উদ্যোগ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমদানির বহুমুখী উৎস তৈরি করতে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।

            ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানির শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ছিল। বিশেষ করে আমদানিতে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পেট্রোবাংলাকে বিদেশী ঋণ, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) ব্যবহার করতে হয়েছে।

            ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অর্থাৎ এলএনজি আমদানি শুরুর বছরে পণ্যটি কিনতে ব্যয় করা হয়েছে ১১ হাজার ৮১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫০২ কোটি ৯৮ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৬ হাজার ৫০৫ কোটি ৯৭ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৫৬২ কোটি ৭৭ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ২৭৪ কোটি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৮৪৪ কোটি ৬৯ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ৪০ হাজার ৭৫২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

            গত সাত অর্থবছরে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করা হলেও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো অর্থ বিনিয়োগ করা যায়নি। বিশেষ করে এলএনজি আমদানির ১০ শতাংশ অর্থ যদি গ্যাস খাতে বিনিয়োগ করা যেত তাহলে স্থানীয় গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদের বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যেত বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও খাতসংশ্লিষ্টরা।

            দেশে বিদেশী তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানির হিসাব বাদ দিলে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন গ্যাস কোম্পানি বাপেক্স, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) মাধ্যমে গত দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে মাত্র ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।

            গ্যাস খাতের উৎপাদন, সরবরাহ পরিস্থিতি, গ্যাসকূপ খনন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গত বছরের ১৫ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে পেট্রোবাংলা। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে দেশে গ্যাসকূপ খননে বিনিয়োগ হয়েছে ৬ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি কোম্পানির আওতায় মোট ৫৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে। সীমিত এ অর্থে খননকৃত ১৮টি অনুসন্ধানমূলক কূপের ৫০ শতাংশেই গ্যাস পাওয়া গেছে। আর কূপ খনন করে যে গ্যাস পাওয়া গেছে তা বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে মোট ৩৩ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এ খাতে ৩৮৭ শতাংশ মুনাফা করেছে উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলো।

            অন্যদিকে একই সময়ে বিদেশী তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি দেশে মোট আটটি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। এর মধ্যে গ্যাস পেয়েছে কেবল দুটিতে। সে হিসেবে বিদেশী কোম্পানির সফলতার হার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির অর্ধেক, ২৫ শতাংশ।

            জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় করছে। অথচ এ আমদানিনির্ভরতার নানা ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ তীব্র ঝুঁকি নিয়ে আমদানিতে ভরসা রাখছে। আমাদের উচিত স্থানীয় গ্যাসে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং এর মাধ্যমে বৃহৎ আকারে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে গ্যাসের মজুদপ্রাপ্যতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বিভিন্ন সময় হচ্ছে। আগামীতেও এসব বাড়তে থাকবে। ফলে এসব অঞ্চলে আমাদের যে গ্যাস আমদানির উৎস রয়েছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা হওয়া দরকার। নতুবা সামনে বড় ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।’

            দেশে ক্রমেই গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ার বিষয়টি অনুধাবন করা যায় ২০২৩ সালে। সেই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দামে উল্লম্ফন, ডলার সংকটসহ টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার তিন বছর মেয়াদি কূপ খননের প্রকল্প হাতে নেয়। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৮টি গ্যাসকূপ খনন করে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে যুক্ত করা।

            আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেয়া ৪৮ কূপ খননের প্রকল্পটি অন্তর্বর্তী সরকারও বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন করে ১০০ গ্যাসকূপ খনন শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০০ কূপ খননের এ প্রকল্পে সরকার অন্তত ১৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে।

            দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পেট্রোবাংলা। বিশেষ করে বাপেক্সের রিগ দিয়ে কূপ খননের পাশাপাশি বিদেশ থেকে রিগ ভাড়া করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

            বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) প্রকৌশলী মো. শোয়েব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আরো বড় আকারে স্থলভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পিএসসি হালনাগাদ করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এতে পার্বত্য এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরালো হবে। নতুন পিএসসির মাধ্যমে স্থলভাগের সম্ভাব্য এলাকাগুলোও অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

            দেশে গত দুই দশকে বিভিন্ন সরকার অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে কিন্তু সেই কার্যক্রম গ্যাস চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য। স্থল ভাগে আরো বড় আকারে অনুসন্ধানের সুযোগ ও সময় ছিল বলে মনে করেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভূতত্ত্ববিদ মর্তুজা আহমদ ফারুক চিশতী। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে বাপেক্সের নিজস্ব কিছু কার্যক্রম সবসময় ছিল। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। সুযোগ ছিল স্থলভাগে বাপেক্সের পাশাপাশি বিদেশী কোম্পানি এনে বৃহৎ আকারে অনুসন্ধান জরিপকাজ চালানো। কিন্তু সেটি আইনি কিছু জটিলতার কারণে করা যায়নি। অথচ আমরা বাপেক্সের সক্ষমতার কাজ বিদেশী ঠিকাদার দিয়ে করিয়েছি। দেশে গ্যাস চাহিদার বিবেচনায় এলএনজি আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানটাও জোরালো হওয়া উচিত ছিল। বলতে গেলে প্রায় দুই দশক দেশে পাহাড়ে, স্থলভাগ, দক্ষিণাংশে এক্সপ্লোরেশনের কোনো কাজ হয়নি।’

            গ্যাসের সরবরাহ সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখে বহুমুখী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রথমত, গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ, কূপ খনন, রিগ ক্রয় ও দক্ষ জনবলের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম রয়েছে। এসব কারণে জ্বালানি খাতে বিগত অর্থবছরের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এসব কার্যক্রম নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ গ্যাস আমদানি ব্যয় কমাতে কীভাবে স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়িয়ে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’

            যুদ্ধ-সংঘাতে বিশ্বে তেলের বাজারে বড় অস্থিরতার পাশাপাশি গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি নিরাপত্তায় বড় ঝুঁকিও রয়েছে আগামীতে। এ পরিস্থিতিতে বিকল্প বাজার অনুসন্ধানে জ্বালানি বিভাগ কী করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তেল-গ্যাসের এক বাজার-নির্ভরতা কমিয়ে আনতে মালয়েশিয়া-ব্রুনাইয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ অঞ্চল থেকে উৎস তৈরি করা গেলে জ্বালানি আমদানির বহুমুখী উৎস তৈরি হবে।’


            তথ্যসূত্র:


            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদেরকে গুলি, গাজাজুড়ে ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত



              গাজা উপত্যকায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৬ জুলাই, বুধবার অন্তত ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

              চিকিৎসা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আজ ১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

              প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অন্তত ৩০ জন মানুষও রয়েছেন। অব্যাহত হামলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

              জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাসের শেষের দিকে যখন জিএইচএফ কাজ শুরু করে তখন থেকে গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায় ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক উঠেছে। সেখানে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের পশুর মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।

              এদিকে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশও জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবালিয়া। বিধ্বস্ত ওই শহরের বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

              গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ জন আহত হয়েছেন।


              তথ্যসূত্র:
              1. LIVE: Israel bombs Syria as more than 90 killed in Gaza in 24 hours
              https://tinyurl.com/2s3mr8yt
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X