Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ২৭ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ২৭ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​

    বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বৃদ্ধকে মারধর করে গুরুতর আহত করলো বিএসএফ



    চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আলী আকবর (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে মারধর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

    শনিবার (২৬ জুলাই) ভোরে স্থানীয় এক যুবক বৃদ্ধকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং হাত-পায়ে ক্ষতস্থানগুলোতে একাধিক সেলাই দেওয়া হয়। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে আলী আকবরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা। বৃদ্ধ আলী আকবর দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাজপাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে।

    আহত বৃদ্ধ আলী আকবর গণমাধ্যমকে বলেছে, ভোরে প্রাকৃতি ডাকে সাড়া দিয়ে হুদাপাড়া সীমান্তের কাছাকাছি গেলে বিএসএফের তিনজন সদস্য আমাকে পেটাতে থাকে। এসময় আমি তাদেরকে বলি যে, আমি তো সীমান্ত অতিক্রম করিনি আমাকে ছেড়ে দেন। তবুও তারা আমাকে রাইফেলের সামনের অংশ দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে খোচাতে থাকে এবং পেটাতে থাকে। এরপর আমাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।

    তথ্যসূত্র:
    ১. বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করলো বিএসএফ
    https://tinyurl.com/yntj5fm7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে আরও তিন ব্যক্তির জমি বাজেয়াপ্ত করলো ভারতীয় বাহিনী





    কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় ভারতীয় পুলিশ আরও তিন মুসলিমের জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িত থাকার সন্দেহে এই তিন ব্যক্তির বাড়ি ও জমি দখল করা হয়েছে। এ ঘটনায়, কাশ্মীরি মুসলিমরা তাদের নিজস্ব জমি এবং বাড়ি আর ব্যবহার করতে পারবেন না।

    কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের খবর অনুযায়ী, ২৬ জুলাই পুলিশ কর্ণা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ শেখ, কাজী খুশাল পাঠান এবং মনজুর আহমেদ শেখের জমি ও বাড়ি জব্দ করেছে। এর আগে, পুলিশ বারামুল্লা এবং কুপওয়ারা জেলায় আরও দুটি আবাসিক বাড়ি এবং জমি জব্দ করেছিল।

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্বাধীনতা মর্যাদা বাতিল করার পর, ভারত কাশ্মীরিদের জমি এবং বাড়ি দখল করা শুরু করে। বর্তমানে এই পদক্ষেপ আরও তীব্র করেছে দখলদার বাহিনী, এভাবে কাশ্মীরি জনগণকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে ভারতীয় বাহিনী।

    অবাক করার মতো বিষয় হলো, ভারতের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে পশ্চিমাদের জাতিসংঘ এখনও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Indian police attach properties of three more Kashmiris in IIOJK
    https://tinyurl.com/5errvd9b
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফেনী সীমান্তে একের পর এক গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করছে বিএসএফ; আতঙ্কিত এলাকাবাসী



      ফেনীর পরশুরামে বাসপদুয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ইয়াছিন লিটন ও জাকির হোসেন মিল্লাত নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় সমাহিত হয়েছেন। একের পর এক ভারতীয় বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের শিকার এ গ্রামের মানুষ। বাসপদুয়া গ্রামের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।

      শনিবার(২৬ জুলাই) বিকাল ৪টায় পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ গ্রামে নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে জানাজার নামাজ আদায় করেন গ্রামবাসী। লিটনের জানাজার নামাজ পড়ান গুথুমা চৌমুড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মীর আহমদ। মিল্লাতের জানাজার নামাজ পড়েন তার বড় ভাই হাফেজ নুরুননবী পারভেজ। জানাজার নামাজে তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

      ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, নিহত লিটন ও মিল্লাতের শরীরে দু’টি করে গুলি লেগেছে। লিটনের বাবা মনির আহমেদ জানান, লিটন টমটম চালাতেন ও টিউবওয়েলের কাজ করতেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। তাদের দেখবে এখন কে?

      লিটন ও মিল্লাতের মৃত্যুতে সীমান্তবর্তী বাসপদুয়া গ্রামে নীরবতা বিরাজ করছে। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাসপদুয়া সীমান্ত থেকে কৃষক মেজবাহারকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। তাকে গুলি করে হত্যার ১৭ দিন পর লাশ ফেরত দেয়। অজানা আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের মানুষ। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের ভার সইতে পারছে না মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেনে, তারা এভাবে মানুষ খুন করবে! এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার কি হবে না?

      নিহত মিল্লাত প্রবাসে যেতে পাসপোর্ট করেছেন। প্রবাসে যেতে পারেননি মিল্লাত। তার ভাই নুরননবী পারভেজ বলেন, ভাইকে হারিয়েছি। আমার ভাইয়ের নিথর দেহ দেখেছি। এভাবে আমার ভাইকে দেখতে হবে, কল্পনাতেও ভাবিনি। ভাই হারানোর এই কষ্ট–বেদনা কতটা ভারী, তা কীভাবে বুঝাবো বলুন?


      তথ্যসূত্র:
      ১. একের পর এক গ্রামবাসীকে হত্যা করছে বিএসএফ, ক্ষুব্ধ বাসপদুয়াবাসী
      https://tinyurl.com/4s9fdkcv
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল



        গভীর সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে আসা জোয়ারের পানিতে নিঝুমদ্বীপের প্রধান সড়কটি সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়। একই অবস্থা উপজেলার নলচিরা, সোনাদিয়া ও সূখচর ইউনিয়নে।

        জানা যায়, জোয়ারে নিঝুমদ্বীপের নামার বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাজারের উপরে রাস্তাটি দুই ফুট উচ্চতা পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় ঐ বাজারের মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে যায়। এলাকার অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গিয়েছে। প্রধান সড়কের উপর পানি উঠে যাওয়ায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে নামার বাজার থেকে বন্দরটিলা বাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে সহজে পানিতে প্লাবিত হয় চারপাশ।

        একই অবস্থা বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ঢালচর ও চরগাসিয়ায়। এই দুটি চরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে সহজে তলিয়ে যায় লোকালয়।


        তথ্যসূত্র:
        ১. অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত নিঝুমদ্বীপসহ হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল
        https://tinyurl.com/3fskxr79
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ক্ষুধার্ত গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ; ৯০ হাজার নারী ও শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে


          গাজায় দখলদার ইসরায়েলি অবরোধের ফলে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছেন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, প্রায় ৯০ হাজার নারী ও শিশু এখন মারাত্মক অপুষ্টির শিকার এবং তাদের অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।

          গত সপ্তাহে অপুষ্টিজনিত কারণে আরো নয় জন শহীদ হয়েছে। ফলে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ শুরুর পর অপুষ্টিতে শহীদের সংখ্যা ১২২ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে অঞ্চলটির হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

          চলতি বছরের মার্চ থেকে ইসরায়েল হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে পিছু হটেছে এবং গাজার সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে, যার ফলে শত শত সহায়তা ট্রাক সীমান্তে আটকে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল ২০২৩ সালের শেষ থেকে গাজায় নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ৫৯,৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সম্প্রতি অবরোধ ও বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দুর্বল সহায়তা বিতরণের কারণে ক্ষুধায় মৃত্যু বেড়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Almost a third of people in Gaza not eating for days, UN food programme warns
          https://tinyurl.com/2z8ukbvm
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভোলায় টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়িবাঁধে ভাঙন; আতঙ্কিত উপকূলবাসী



            ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে মাছের ঘের, পুকুর ও মাঠের ফসল। এছাড়াও হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া গ্রামে বেড়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি। এতে হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া বেড়িবাঁধে ভাঙন ধরেছে।

            এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলের নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে খেজুরগাছিয়া বাঁধটির প্রায় ৩০০ ফুট রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্র ও শনিবার দুইদিনের বৃষ্টি ও মেঘনায় জোয়ারের চাপে পাউবোর বেড়িবাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে দুইটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামবাসী।

            জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তির আঘাতে ভাঙ্গণ দেখা দিলেও জরুরি মেরামতের বরাদ্দ হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হলে বাঁধটি এতো দ্রুত ভেঙে যেতো না। এখন পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি না ঢুকলেও আগামী দু একদিনে এ বাঁধটি ভেঙে যাওয়র আশংকা করা হচ্ছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকায়।


            তথ্যসূত্র:
            ১. ভোলার খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধে ভাঙন, উপকূলে আতঙ্ক
            https://tinyurl.com/kt365ufx
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              জুলাই অভ্যুত্থানে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকারী এসআই এখনো বহাল তবিয়তে; শহীদ পরিবারের আক্ষেপ



              ‘৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে আন্দোলন চলছিল। এসময় আমার ছেলেকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে এসআই সাহেব আলী। প্রকাশ্যে সাহেব আলী নিজে হাতে আমার ছেলেকে টেনে নিয়ে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। বুকের এক পাশে গুলি করায়, বুক ভেদ করে অন্য পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে এসআই সাহেব আলী আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।’

              কথাগুলো বলছিলেন নিহত আব্দুল্লাহর বাবা লোকমান হোসেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ১৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ। ৫ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়া শহরের থানার মোড়ে আব্দুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আব্দুল্লাহ শহরের চর থানাপাড়া এলাকার লোকমান হোসনের ছেলে। কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস গেট সংলগ্ন চায়ের দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করতো আব্দুল্লাহ।

              আব্দুল্লাহর বাবা লোকমান হোসন আক্ষেপ করে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে হত্যার ঘটনা এক বছর হতে চলেছে, কিন্তু আমার ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা একেবারেই নীরব। পুলিশের কোনো আগ্রহ নেই, জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় না। আমার ছেলে জুলাই আন্দোলনে জীবন আত্মত্যাগ করল, আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পাইলাম না। এসআই সাহেব আলী প্রকাশ্যে আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যার পরও চাকরি করে কিভাবে? আমি এস আই সাহেব আলীর ফাঁসি চাই। প্রকাশ্যে মার্ডার করে এখনো কিভাবে সাহেব আলী ও মুস্তাফিজ চাকরি করে?

              তিনি আরও বলেন, আমি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার ছেলে আব্দুল্লাহও হাসপাতালে আমার কাছে ছিল। সে ভাত খাওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়। এরপর কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে আন্দোলনে যুক্ত হয়। আন্দোলনরত অবস্থায় আমার ছেলেকে ধরে দুই হাত ভেঙে দিয়েছিল এসআই সাহেব আলী। এরপর বুকে গুলি করে হত্যা করে। আওয়ামী লীগের হানিফ এমপি ও তার ভাই আতার নির্দেশে এসআই সাহেব আলী আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, দ্রুত যেন এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। সাহেব আলী আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তার গুলিতে অনেকে আহত এবং নিহত হয়েছেন।

              তিনি আরও বলেন, এসআই সাহেব আলী কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই ছিল। সে আওয়ামী লীগের দোসর। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাহেব আলী মাদক ব্যবসা, হত্যা, গুম, ঘুষ বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য, নিরপরাধ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে চাঁদাবাজি করাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ড ছিল বেপরোয়া। জুলাই আন্দোলন শুরু থেকেই সাহেব আলী আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের হুমকি ধামকি দিত। শুধু তাই নয় আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, মারপিট করা, গুলি করা সহ বিভিন্নভাবে স্বৈরাচারী উগ্র ও খুনির আচরণ করেছে। সাহেব আলীর গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী আহত ও নিহত হয়েছে।

              এসআই সাহেব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, সাহেব আলী আন্দোলনকারীদের ওপর নিজে গুলি চালিয়েছে। আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গুলি চালিয়েছে। নারী ও পুরুষদের মারপিট করেছে। আমার ছেলের মতো কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এটা সবাই জানে, সবাই দেখেছে। সেই খুনী সাহেব আলী কিভাবে এখনো পুলিশে চাকরি করে? সে বর্তমানে খাগড়াছড়িতে কর্মরত আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মুস্তাফিজও সাহেব আলীর সঙ্গে থেকে সব অপরাধ করেছে। সাহেব আলী ও মোস্তাফিজ দুজনে মিলেই এ সমস্ত সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড করেছে। তাদের শাস্তি চাই। তারা কিভাবে এখনো চাকরি করে?


              তথ্যসূত্র:
              ১. ‘আমার ছেলেকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে এসআই সাহেব আলী’
              https://tinyurl.com/htya8z5p
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় স্ত্রীসহ নিজ দলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে



                গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে এক নারী ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম। ওই নারীর অভিযোগ, বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এক লাখ দেওয়া বাকি টাকার জন্য তাকে ও তার স্বামীকে মারধর করে স্থানীয় এই নেতা।

                জানা যায়. ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল কাদের স্থানীয় যুবদলের একজন কর্মী। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে তারা এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ করে।

                অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী শিরিন তার পিতার মৃত্যুর পর সাড়ে চৌদ্দ কাঠা জমির মালিক হয়। চার মাস আগে পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করতে গেলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও ১০ জন ব্যক্তি তার কাছে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাধ্য হয়ে সে এক লাখ টাকা দিয়ে জমি বিক্রি করে। কিন্তু তারপরও জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আরও চাঁদা দাবি করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্রিত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ শিরিনের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা শিরিন ও তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেয়।

                লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা এখন জোরপূর্বক বিক্রিত জমিতে নিজেদের মতো করে বাউন্ডারির কাজ চালাচ্ছে এবং শিরিনকে তার নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

                তথ্যসূত্র:
                ১. চাঁদা দাবি ২০ লাখ, পেয়েছিলেন এক লাখ, বাকি টাকার জন্য নারীকে মারধর বিএনপি নেতার
                https://tinyurl.com/frhmadb5
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  গুম থেকে ফিরে নতুন চাপে ভুক্তভোগীরা; অভিযোগ না করার জন্য অজ্ঞাত নম্বর থেকে কলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি



                  ​গুমের শিকার হয়ে ফিরে আসা ব্যক্তিরা এখন নতুন চাপের মুখে রয়েছেন। তাদের অচেনা ফোন নম্বর থেকে ভয় দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তারা যেন গুমের ঘটনার বিষয়ে মুখ না খোলেন এবং কোনো অভিযোগ যেন না করেন- সে বিষয়েও তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

                  শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। র‌্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) পাশাপাশি পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখাও বহু নিরীহ আলেম এবং সাধারণ মানুষকে গুম করেছিল। এমনই কজন ভুক্তভোগীর মধ্যে রয়েছেন মুফতি মো. যায়েদুর রহমান ও ইকবাল হোসেন সরকার। যাদের গুমের পর দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়েছিল। তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুমের পর অনেককে বগুড়া পুলিশ লাইনসের গোপন কারাগারে আটকে রেখে সুবিধাজনক সময়ে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হতো।

                  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে তারা বলেন, গুমের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম এবং পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বগুড়া ডিবি পুলিশের এএসপি আরিফুর রহমান মণ্ডল (পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জের এসপি), এসআই জুলহাজ উদ্দীন, এসআই ওয়াদুদ আলী, এসআই ফিরোজ সরকার, এএসআই রানা হামিদ, এএসআই মিন্টু মিয়া, আসলাম আলী ও এসআই আক্তারসহ বেশ কজন।

                  সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে গণমাধ্যমেকে জানিয়েছেন, তাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা গুমের বিষয়ে চুপ থাকেন এবং কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না করেন। অজ্ঞাত নম্বর থেকে তাদের এবং পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।

                  তারা আরো অভিযোগ করেন, গুম-সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ দাখিলের পরপরই অতীতের সাজানো মামলাগুলোর রায় দ্রুত দেওয়ার জন্য পুলিশ তড়িঘড়ি শুরু করেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, যারা গুমে জড়িত ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই এখনো নিজ নিজ পদে বহাল রয়েছেন, ফলে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন।

                  মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।

                  দীর্ঘ গুম, মিথ্যা মামলা

                  মাদরাসাশিক্ষক মুফতি যায়েদুর ও তার ব্যবসায়ী অংশীদার ইকবালকে ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ ১৯ মাস তাদের গুম রেখে নানারকম নির্যাতন চালানো হয়। পরে সাজানো নাটকের মাধ্যমে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর বগুড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর তারা জামিনে মুক্ত হন।

                  যায়েদুর গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় অকথ্য নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘ ১৯ মাস পরিবার আমার কোনো খোঁজ পায়নি। এক পর্যায়ে হঠাৎ করে আমাকে বগুড়ায় উদ্ধার দেখিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

                  ভুক্তভোগী ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, গুমের পর ১৯ মাস পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এখনো আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। গুমের পর আমার পরিবারের সদস্যরা থানায় জিডি, র‍্যাব-১১তে আবেদন, সংবাদ সম্মেলন, এমনকি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনেও আবেদন করেন। দীর্ঘ ১৯ মাস পর ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর বগুড়া জেলার গোকুল এলাকায় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।

                  গুমে জড়িতরা এখন ইকবালের স্ত্রী হাবিবা আক্তারসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

                  হাবিবা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্বামীর জামিনের আগেও বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, যেন গুম-সংক্রান্ত কমিশনে আবেদন না করি; কিংবা সরকারের কোথাও কোনো সংবাদ সম্মেলন না করি। অভিযোগ করলে পুলিশ জামিনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, এমনকি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সও দেবে না। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর এখন আমার স্বামীকে অপহরণের সময়কার সাক্ষীকে টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

                  জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং হিউম্যান রাইট ওয়াচ ২০২১ সালে গুমের যে তালিকা দিয়েছিল, তাতে এই দুই আলেমের নামও ছিল। জাতিসংঘের হিসাবে গুম হওয়া ৭৬ জনের মধ্যে ৫৯ ও ৫৮ নম্বরে ছিল যথাক্রমে যায়েদুর ও ইকবালের নাম।

                  যায়েদ ও ইকবালের মতোই গুম থেকে ফেরা অনেকেই টেলিফোনে হুমকিসহ নানা সামাজিক বিড়ম্বনায় পড়ছেন। এমনই একজন ভুক্তভোগী সাবেক রাষ্ট্রদূত এম মারুফ জামান। গুম থেকে ফিরে অর্থনৈতিক, মানসিক ও শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি। মারুফ জামান আমার দেশকে বলেন, গুম থেকে ফিরে এখনো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছি।

                  নিরাপত্তাহীনতার কথা জানালেন ‘গুমনামা’ বইয়ের লেখক হুমায়ুন কবির, যিনি জুলভার্ন নামে ব্লগে লিখতেন। ‘লেখালেখির অপরাধে’ দীর্ঘ ১১ দিন গুম করে রাখা হয় তাকে। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চার মামলায় প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন তিনি।

                  দুর্ভোগ ও আইনি লড়াই

                  গুমের শিকার অনেকের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে চরম দুরবস্থায় পড়েছেন। যায়েদুর বলেন, আমার স্ত্রী স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুমের সময় কারাগার থেকে ফোন করে টাকা দাবি করা হতো। ফলে আমার পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই দীর্ঘ সময় কারাগারে থেকে হার্ট ও কিডনি সমস্যায় ভুগছেন।


                  তথ্যসূত্র:
                  ১. আমার দেশ অনুসন্ধান: গুম থেকে ফিরে নতুন চাপে তারা
                  https://tinyurl.com/48vrjzum
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    অস্বাভাবিক জোয়ার ও ভারী বর্ষণে প্লাবিত হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল; পানিবন্দি হাজারো মানুষ


                    ভারী বর্ষণ, বৈরী আবহাওয়া, অমাবস্যা ও গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল। এর ফলে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

                    পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে দুই দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন প্রায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

                    স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, জলোচ্ছ্বাসে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের হাজার হাজার মানুষ। জোয়ারে নিঝুম দ্বীপ, সুখচর ইউনিয়নের ২, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড় ও সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা ৪নং ওয়ার্ড, চরইশ্বর ইউনিয়ন ও হরণী ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের বাহিরে অধিকাংশ এলাকা সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। এসব এলাকায় জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বসতঘর, রান্নাঘর, আঙিনা, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের। কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও কোমরপানি জমে আছে।

                    সুখচর ছাড়াও নলচিরা, চরঈশ্বর ও নিঝুম দ্বীপের বিস্তীর্ণ জনপদেও পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নিঝুম দ্বীপ, দমারচর, ঢালচর, চরগাসিয়া, নলেরচর, বয়ারচর, চর আতাউর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব চরে বসবাসকারী হাজারো মানুষ এখন বিপদাপন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।


                    তথ্যসূত্র:
                    ১. জোয়ারে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, পানিবন্দি হাজারো মানুষ
                    https://tinyurl.com/3bh54p2j

                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment

                    Working...
                    X