Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৬ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০১লা আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৬ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০১লা আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে লাল কার্ড দেখিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ



    ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ‘লাল কার্ড সমাবেশ’ করেছে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চির উন্নত মম শির’ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

    সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন দেশের মূল্যবোধ, স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এসময় তারা ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড হাতে লাল কার্ড প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানান।

    প্ল্যাকার্ড গুলোতে ‘গাজায় যখন মানুষ মরে, জাতিসংঘ কি করে’; ‘কমিশন না সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌমত্ব সার্বভৌমত্ব’; ‘জাতিসংঘের চুক্তি, মূল্যবোধের হুমকি‘; ‘গোলামি না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’ ইত্যাদি লেখা ছিল।

    হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ রায়হান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশে কোনোভাবেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নামে কোনো ভুয়া কমিশন প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া যাবে না। অথচ ইউনুস সরকার অতি দ্রুত এটির অনুমোদন দিয়েছে, যা আমরা বাতিলের দাবি জানাই। দেশে এখন মার্কিন আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। যখন মানবাধিকার কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন থেকেই সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল। অথচ ড. ইউনুস মিথ্যা জঙ্গি মামলা দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও ব্যস্ত রেখে চুপিসারে এই কমিশনের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।

    সমাবেশে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এটি কোনো মানবাধিকার সংস্থা নয়, যেখানে মানুষ মারা গেলে কোনো সমবেদনা প্রকাশ করা হয় না।


    তথ্যসূত্র:
    ১. ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাতিলের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লাল কার্ড’ সমাবেশ
    https://tinyurl.com/ykc5kdyv
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে একজনকে ফেরতসহ ০৯ জনকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ



    ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আটক এক বাংলাদেশি তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই সময়ে নারী ও শিশুসহ ৪ জনকে এবং গভীর রাতে আরও ৫ নারীসহ মোট ৯ জনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত এবং গভীর রাতে সদর উপজেলার ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে এই পুশ-ইনের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সকলকে বিজিবি আটক করে পুলিশের জিম্মায় দিয়েছে।

    বিজিবি সূত্রে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পপি রায় নামের এক তরুণীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পপি দীর্ঘ এক বছর শিলিগুড়িতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিল এবং স্থানীয় একটি মন্দিরে কাজ করত। সম্প্রতি তাকে আটক করে শিলিগুড়ি পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিএসএফ তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।

    তবে একই রাতে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে, মেইন পিলার ৭৩২ এর ৪ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে নারী ও শিশুসহ চারজনকে পুশ-ইন করা হয়। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ২ কিমি. ভিতরে টহলরত বিজিবি দল আছমা নামের এক নারী ও তার তিন শিশু সন্তানকে আটক করে।

    তথ্যসূত্র:
    ১. বাংলাবান্ধা দিয়ে একজন ফেরত, ৯ জনকে পুশ-ইন বিএসএফের
    https://tinyurl.com/3tyra7nx
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার বাগছাসের কেন্দ্রীয় নেতা



      ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে পলাতক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে ওয়ারী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

      ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার মামলায় পলাতক অপুকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

      জানা যায়, গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশান ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের বাসায় যায় কয়েকজন। তারা নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় সাবেক এমপির স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে সে গুলশান থানাকে জানায়। পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে।

      ঘটনাস্থল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা হল— ইব্রাহীম হোসেন মুন্না (২৪), মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১) এবং মো. আমিনুল ইসলাম (১৩)।

      তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর চারজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রিয়াদের বাসা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে সোয়া দুই কোটি টাকার চেক ও নগদ তিন লাখ টাকা।

      তথ্যসূত্র:
      ১. চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক অপু গ্রেফতার
      https://tinyurl.com/3ydxzkcc
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        জাল সনদে স্কুল কমিটির সভাপতি মাদক মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা




        চট্টগ্রামে জাল সনদে একটি স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ আলী নামে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রদল নেতা আবার একটি মাদক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিও।

        জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ মার্চ বোয়ালখালী উপজেলার উত্তর গোমদন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের চার সদস্যের একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

        গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। মোহাম্মদ আলী শিক্ষা বোর্ডে দাখিল, আলিম ও স্নাতক পাসের সনদ জমা দেয়। স্নাতক পাসের সনদ হিসেবে সে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির একটি কাগজ দেয়। ওই সনদ অনুযায়ী, ২০০৩ সালে ওই ইউনির্ভাসিটি থেকে ‘ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার’ বিভাগ থেকে পাস করেছে

        কিন্তু, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখিত নামে কোন বিষয় নেই। আছে ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি বিভাগ, যাও আবার চালু হয়েছে ২০১০ সালে।

        এদিকে, মোহাম্মদ আলী একটি মাদক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বলেও জানা গেছে। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর এক হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধারের ঘটনায় হওয়া মামলায় মোহাম্মদ আলীকে আসামি করে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুমন কান্তি দে। বোয়ালখালী থানায় করা এ মামলার তদন্ত শেষে এসআই রহমত উল্লাহ আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

        তথ্যসূত্র:
        ১. জাল সনদে স্কুল কমিটির সভাপতি ছাত্রদল নেতা
        https://tinyurl.com/y4hxbu3m
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিম ছাত্রকে পিটিয়ে শহীদ করে আনন্দ উদযাপন করলো হিন্দুত্ববাদীরা


          ভারতের উত্তর প্রদেশের ফাতেহপুর জেলায় ১৭ বছর বয়সী এক মুসলিম ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে শহীদ করেছে তিন হিন্দুত্ববাদী যুবক। নিহত যুবকের নাম আরিশ খান, তিনি স্থানীয় মহার্শি বিদ্যা মন্দির সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। জানা গেছে, অভিযুক্তদের একজন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

          ভারতীয় গণমাধ্যম মাকতুব মিডিয়া জানায়, গত ২৩ জুলাই স্কুল থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন প্রাক্তন ছাত্র তাকে রড ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুলাই মৃত্যু হয়।

          সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তদের সমর্থকেরা রাস্তায় মোটরসাইকেল র‍্যালি করে এ হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে উদযাপন করেছে। এ সময় তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক স্লোগান এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় হত্যাকাণ্ডকে মহিমান্বিত করে আপত্তিকর পোস্ট ছড়িয়েছে। এতে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও তীব্র উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।

          অভয় দ্বিবেদী নামে খুনির এক সমর্থক ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, ‘জলদি ওয়াপসি হোগি মেরে শের কি’ অর্থাৎ ‘আমার সিংহ খুব শিগগিরই ফিরে আসবে’। পোস্টটিতে সে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিজের ছবি আপলোড করেছে। আরেকটি পোস্টে সে লেখে, ‘ফুল সাপোর্ট, মেরি জান’ অর্থাৎ ‘তোমারকে পূর্ণ সমর্থন করছি, প্রিয়’।

          খুনিদের অন্য এক সমর্থক ইনস্টাগ্রামে আরিশ খান ও মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে স্পষ্ট ভাষায় কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক গালাগালি পোস্ট করেছে।



          তার পোস্টের গালিগুলো ছিল খুবই ঘৃণাজনক এবং মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত। পরবর্তীতে এই দুটি অ্যাকাউন্টই বন্ধ হয়ে যায়। তবে আরিশের দাদা এই পোস্টগুলোর স্ক্রিনশট পুলিশকে প্রমাণ হিসেবে জমা দিয়েছেন।

          স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় এবং এলাকাবাসী এই হত্যাকাণ্ডটিকে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের জেরে সংঘটিত একটি লিঞ্চিং হিসেবে উল্লেখ করছেন। অভিযুক্ত তিনজন হলো হর্ষবর্ধন পাণ্ডে, দীপক সাভিতা এবং ভারত সরকার, যাদের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Outrage in UP’s Fatehpur after Muslim student beaten to death; supporters of accused celebrate killing online
          https://tinyurl.com/3xyzwmjf
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট মুসলিম পরিবারকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের হামলা



            পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে শহরে এক মুসলিম পরিবারকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে হামলা চালিয়েছে, এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় দশজন পুরুষকে আটক করেছে। এই পরিবারের কয়েকজন সদস্য ভারতীয় সামরিক ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত থাকা সত্ত্বেও আজ তাদের বহিরাগত ও বাংলাদেশি আখ্যায়িত করে হামলা করা হয়।

            গত ৩১ জুলাই বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, পুনের চন্দন নগর এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাসরত এই পরিবারের নঈমুল্লাহ শেখ নামে একজন সদস্য ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের একজন ভুক্তভোগী সৈনিক। তার ভাই সুবেদার সেলিমও একই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের ল্যান্স নায়েক হাকিমুদ্দিন ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

            খবরে বলা হয়, পুলিশ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা গত ২৬ জুলাই রাতে ওই পরিবারের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাদের আটকের ঘটনাটি ঘটায়। পরিবারের সদস্য নবাব আলী শেখ জানান, প্রায় ৭০ জনের একটি দল তাদের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ার পর জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা’ বলে অভিযোগ আনে। পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য নথিপত্র দেখানোর পরেও তাদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

            এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় উগ্রপন্থীরা দশজন পুরুষকে গ্রেফতার করে এবং ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে চন্দন নগর থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের থেকে আরও নথিপত্র সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয় এবং ভোর পর্যন্ত আটক রাখা হয়। পরবর্তী দিনে পরিবারের সদস্যরা নথিপত্র নিয়ে থানায় গিয়ে মৌখিক ছাড়পত্র পান, তবে তাদের নথিপত্র আর ফেরত দেওয়া হয়নি।

            পুলিশ পরিদর্শক সীমা ঢাকনে জানায়, অভিযানে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিল এবং পুলিশ কেবল অবৈধ অভিবাসীদের তদন্ত করছিল। মুসলিম পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তারা ভারতীয় নাগরিক, তবে মুসলিম হওয়ায় তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

            উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় মুসলিমদের বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা বলে অভিহিত করে তাদের উপর হামলা, উচ্ছেদ, হত্যা ইত্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।


            তথ্যসূত্র:
            1. Muslim Kargil war veteran and family harassed in Pune, accused of being ‘Bangladeshis’
            https://tinyurl.com/3eapnjh8
            2. Muslim war veterans’ family branded ‘Bangladeshi’ by Hindu mob in India
            https://tinyurl.com/5cnc89xp
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              রংপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের হাজারো ঘর আ.লীগের দখলে; নিরাপদে চলছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র


              রংপুরের আট উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের হাজারো ঘর এখনো নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের দখলে। রাতে ঘরগুলোকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া মাদক সেবন ও বেচাকেনার পাশাপাশি এখানে চলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এতে একদিকে যেমন প্রকৃত ভূমিহীনরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন, অন্যদিকে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।

              জেলা প্রশাসকের অফিস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার আট উপজেলার মধ্যে তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও সদরসহ সাতটি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে। এছাড়া পূর্ব থেকে যেখানে গুচ্ছগ্রাম ছিল, সেগুলো সংস্কারের পাশাপাশি ব্যারাক নির্মাণের জন্য তালিকা করা হয়।

              জানা গেছে, ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নাম দিয়ে ওই সময় গৃহ নির্মাণ শুরু হয়। ছয় হাজার ৫৪৮ জন ভূমি ও গৃহহীনের তালিকা করা হয়। ওই তালিকা অনুযায়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ধাপে ধাপে নির্মাণ করা হয়। প্রথম থেকে পঞ্চম ধাপে গিয়ে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এবং তার আগে জেলায় ছয় হাজার ১৩০ জন গৃহহীনের নামে বরাদ্দ দেখানো হয়।

              এরমধ্যে প্রথম থেকে পঞ্চম ধাপে বদরগঞ্জ উপজেলায় ৮১৫টি, তারাগঞ্জে ৭১৪টি, সদরে ব্যারাকসহ ৬৬৭টি, গঙ্গাচড়ায় ব্যারাকসহ ৯৯০টি, কাউনিয়ায় ব্যারাকসহ ৯১৩টি, পীরগাছায় ব্যারাকসহ ৯৫৫টি, মিঠাপুকুরে ব্যারাকসহ এক হাজার ৭৫৮টি এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ব্যারাকসহ এক হাজার ৯৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

              গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, প্রথম ধাপে একটি ঘর নির্মাণে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও পর্যায়ক্রমে তিন লাখ চার হাজার টাকা বরাদ্দে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়।

              সরেজমিনে গণমাধ্যমের রিপোর্টে উঠে আসে, সারি সারি আধাপাকা ও টিনশেড ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ। প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয় প্রায় দুই লাখ টাকা। নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে দুই শতক জমিসহ ঘরগুলো বাসিন্দাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ঘরগুলোয় একটি রান্নাঘর ও একটি শৌচাগারের পাশাপাশি রয়েছে বিদ্যুৎ আর সুপেয় পানির ব্যবস্থাও। কিন্তু সেখানকার অধিকাংশ ঘরই ফাঁকা। কিছু কিছু ঘরে তালা দেখা গেলেও মাদকের গন্ধ বেরোচ্ছে।

              গণমাধ্যমের রিপোর্টে উঠে আসে, ঘর পেয়েছিল আকবর আলী। তার বাড়ি বারো বিগায়। কিন্তু বর্তমানে ওই ঘরে থাকে মহিদুল নামে এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে জোর করে দখল নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেস আলী। সবজা বেগমের ঘরের দখল নিয়েছে যুবলীগের বাবলু। তিনি ভাড়ায় বিক্রি করেছেন ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছে। রংপুরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় সব ঘর ও ব্যারাকে অনিয়ম ও দখলদারিত্বের প্রভাব দেখা গেছে।

              মিঠাপুকুর উপজেলার ওয়াজেদ আলী ও সাহেব মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, প্রকৃত ভূমি-গৃহহীনরা ঘর বরাদ্দ পাননি। সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করেই যাদের নিজস্ব বাড়ি ও জমিজমা রয়েছে এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত, তাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাদের কেউ এখন ঘরে থাকছেন না। রাত হলে অনেক ঘরে মাদকের আখড়া বসে। আবার অনেক ঘরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিটিং করেন। এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে তারা জানান।


              তথ্যসূত্র:
              ১. রংপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের হাজারো ঘর আ.লীগের দখলে
              https://tinyurl.com/2afnbz3t
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে খাগড়াছড়িতে গ্রেফতার ভারতীয় নাগরিক


                খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জেমসিং ত্রিপুরা (৪৫) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

                বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার লোগাং বাজার সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার থেকে দু’টি ছাগল জব্দ করা হয়। পরে তাকে আইনি ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

                আটক জেমসিং ত্রিপুরা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার রইনগরবাড়ি থানার দেশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

                বিজিবি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জেমসিং ত্রিপুরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সে লোগাং বাজার থেকে দু’টি ছাগল কিনে ভারতে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি বিজিবির বৌদ্ধনগরপাড়া বিওপির একটি টহল দল তাকে গ্রেফতার করে।


                তথ্যসূত্র:
                ১. খাগড়াছড়িতে ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
                https://tinyurl.com/ymbscv2e
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ঢাকার নিউমার্কেটে বিএনপি নেতা স্বামী ও আওয়ামী নেত্রী স্ত্রীর যৌথ চাঁদাবাজিতে দিশাহারা ব্যবসায়ীরা



                  স্ত্রী আওয়ামী লীগের নেত্রী আর স্বামী নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক নেতা। এখন এই স্বামী-স্ত্রীর কাছে জিম্মি নিউ মার্কেটের হাজার হাজার ব্যবসায়ী। দোকান দখল, কাউকে চাঁদা দিতে বাধ্য করা, কথা না শুনলে করা হয় মারধর—এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই জুটির বিরুদ্ধে। তাদের যৌথ চাঁদাবাজিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

                  ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত বছরের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত নিউ মার্কেট ও তার আশপাশের এলাকায় একচ্ছত্র চাঁদবাজি করেছে জান্নাত জাহান চামেলি ওরফে লুনা হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন এসব এলাকা থেকে চাঁদা আদায় করছেন তার স্বামী নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল হোসেন। তাদের ভয়ে এখন মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না সাধারণ ব্যবসায়ীরা। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ী নেতারাও তাদের ভয়ে তটস্থ। মকবুল চাঁদাবাজি করার ক্ষেত্রে নাম ব্যবহার করছে বিদেশে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের।

                  বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাজনৈতিক আধিপত্য ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে নিউ মার্কেট এলাকার ত্রাস ছিল যুব মহিলা লীগ নেত্রী লুনা। সে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা (বর্তমানে কারাবন্দি) আমির হোসেন আমুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে। সে নিউ মার্কেটের সমবায় শিল্প সমিতির মালিকানাধীন কমপক্ষে ৯টি দোকান দখলে রেখেছিল। এছাড়াও লুনা জাল চুক্তিনামা করে ২০১৪ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ২৬১ ও ২৬২ (কিছু অংশ) নম্বর দোকান দখলে নেয়। দোকানগুলো ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সমবায় অধিদপ্তর ও আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তা মানেনি লুনা। এছাড়া তার কথার অবাধ্য হলেই মারধর করা হতো ব্যবসায়ীদের।

                  লুনার মারধরের শিকার ব্যবসায়ী বিপ্লব কুমার দাস। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আমাকে মারধর করে দোকান দখল নিয়ে নেয় লুনা। সিআইডি ঘটনার প্রমাণ পেয়ে আমাদের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছিল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয় আমাদের দোকান বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সিটি করপোরশেনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ওই দোকান আর বুঝিয়ে দেয়নি। এখন তো আর দোকান ফিরে পাওয়ার আশাই নেই। কারণ দোকানের বাকি অংশগুলো এখন দখলে নিয়েছেন লুনার স্বামী বিএনপি নেতা মকবুল।

                  গণঅভ্যুত্থানের পর লুনার স্বামী বিএনপি নেতা মকবুল ফ্যাসিবাদের সময়ের চাঁদাবাজ, একাধিক হত্যা মামলার আসামি, পলাতক নেতাদের বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব সরকারের মালিকানাধীন ৫ আগস্টের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ইসলামিয়া মার্কেটের ১২টি দোকান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে মকবুল।

                  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এসব দোকান খোলার জন্য লুনা কয়েক কোটি টাকা নিয়েছে।

                  নিউ মার্কেটের প্রায় ৭০ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম রিপোর্ট করেছে, হত্যা মামলার আসামি বিপ্লব নীলক্ষেত ইসলামিয়া মার্কেটের দোকানগুলো থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি মালামাল ও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলে। আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছু ব্যবসায়ী সমিতির কাছে তাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে তা উদ্ধারের জন্য আবেদন করে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও সমিতির সমন্বয়ে বিপ্লবের ১২ দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু লুনা তার স্বামীর সহায়তায় বিপ্লবের সব দোকান খুলে দেয় ব্যবসায়ীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার শর্তে। কিন্তু দোকান খুলে দেওয়ার পরপরই কেউ অর্থ ফেরত চাইলে মকবুল হোসেন ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। কয়েকজনকে সামান্য কিছু টাকা দেওয়া হলেও বাকিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। কখনো কখনো বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের কথা বলে ব্যবসায়ীদের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে মকবুল। ফলে ব্যবসায়ীরা ভয়ে চুপ হয়ে আছেন।

                  ডলফিন বুকস হাউসের স্বত্বাধিকারী রাফি গণমাধ্যমকে বলেন বলেন, বিপ্লব সরকার আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ হিসাবে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। এরপর বিভিন্ন সময় তার স্টাফদের দিয়ে বই, নগদ টাকা নিয়ে গেছে। এখন আমরা তা চাইতে গেলে মকবুল হোসেন ৫০ হাজার টাকা অফার করে বলে, এটাই পাবা, নিলে নাও না নিলে যাও। এরপর আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছেও যাই। তাতে হুমকি-ধমকি ছাড়া কিছু পাইনি।

                  ব্যবসায়ীরা জানান, তারা সায়েন্সল্যাব এলাকার সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারের কাছে বিপ্লব, মকবুল ও লুনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল মেলেনি।

                  মকবুল বাহিনীর বেপরোয়া চাঁদাবাজি

                  আওয়ামী লীগের পতনের পর নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ওই এলাকাসহ বিভিন্ন মার্কেটের দোকান দখল, চাঁদাবাজি, অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মার্কেটে পুনর্বাসন এবং বিদ্যুৎ বিলের নামে চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অজুহাতে হাজার হাজার ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে রেখেছে তার বাহিনী।

                  ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুধু নিউ মার্কেটের ফুটপাত থেকেই দিনে কমপক্ষে ছয় লাখ টাকা চাঁদা তোলে মকবুল। এজন্য সে চাঁদা তোলা বাহিনীও গড়ে তুলেছেন। মার্কেটের অভ্যন্তরেই ফুটপাতে প্রায় ৫০০ দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ বিল হিসেবে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও নিউ মার্কেটের ফুটপাতে পার্কিংয়ের জন্য প্রতিটি গাড়ি বাবদ ২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এসব চাঁদার রসিদে সিটি করপোরেশনের লোগো থাকলেও সেখানে তা জমা হয় না।

                  অভিযোগ রয়েছে, নিউ মার্কেটের অভ্যন্তরে ফুটপাতের ১৫০টি দোকান দখলে নিয়ে ভাড়া দিয়েছে মকবুল বাহিনী। প্রতিটি দোকানের মাসিক ভাড়া ২০ হাজার এবং অগ্রিম হিসাবে নেওয়া হয়েছে তিন লাখ টাকা।

                  নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হকার জানিয়েছেন, পুরো নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন হকার রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে থেকে মাসে ভাড়া বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে নিচ্ছে মকবুলের লোকজন। এ অর্থ কোথায় যায় এবং কী হয়, তা তারা জানেন না।

                  ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিউ মার্কেটে মূল দোকান রয়েছে ৪২৬টি। এসব দোকানের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তাদের কাছে থেকে বিদ্যুৎ বিলের জন্য প্রতি মাসে আট হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা করে তোলা হয়। অর্থাৎ ফুটপাত ও মূল দোকান থেকে ৬০ লাখ টাকার মতো টাকা তোলে মকবুলের লোকজন। কিন্তু প্রকৃত বিদ্যুৎ বিল এত বেশি নয়, ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো হতে পারে। এভাবে বাকি অর্থ মকবুল বাহিনী লুটে নিচ্ছে।

                  এই চাঁদার ভাগ মকবুল পৌঁছে দেয় দক্ষিণ বিএনপির কিছু নেতা, একজন আইনজীবীর কাছে এবং স্থানীয় থানায়।

                  ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের পতনের পর নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অফিস দখল করে নেয় মকবুল। এরপর নিজেকে ঘোষণা করে সমিতির আহ্বায়ক। সম্প্রতি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের দুটি দোকান ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তাদের সহায়তায় নকল দলিল তৈরি করে বিক্রি করে দিয়েছে।

                  ডিএসসিসি ও বিএনপি মহাসচিবের কাছে নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অভিযোগ

                  নিউ মার্কেটে দখল ও চাঁদাবাজির সার্বিক বিষয় তুলে ধরে সমিতির সভাপতি লিপিকা দাসগুপ্তা চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল মকবুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে চিঠি দেয়। চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশেনেও। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

                  তথ্যসূত্র:
                  ১. বিএনপি-আ.লীগের যৌথ চাঁদাবাজিতে দিশাহারা নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
                  https://tinyurl.com/2xsehxez
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ট্রাম্পের হুমকিতে রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় বন্ধ করল ভারত



                    ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগার কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয় কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে চলতি মাসে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় সুবিধা কমে যাওয়ায় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কো থেকে তেল কেনার বিরুদ্ধে সতর্ক করার পর এমন পদক্ষেপ নেয় তারা।

                    গত ৩১ জুলাই মস্কো টাইমস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বৃহত্তম পরিশোধক কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি) তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের ২০টি তেল শোধনাগারের মধ্যে ১০টিই আইওসি পরিচালনা করে, যার সম্মিলিত বার্ষিক ক্ষমতা ৬ কোটি মেট্রিক টন।

                    এছাড়া ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরও তিনটি প্রধান তেল পরিশোধন কোম্পানি; হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (এইচপিসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস (এমআরপিএল) গত এক সপ্তাহে রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে কোনো ক্রয়াদেশ দেয়নি।

                    ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর নির্বাহীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতীয় শোধনাগারগুলো এখন সরবরাহের ঘাটতি পূরণের জন্য স্পট মার্কেটের দিকে ঝুঁকছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপেক সদস্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার উৎপাদকদের কাছ থেকে তেল কেনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

                    তবে ভারতের বেসরকারি মালিকানাধীন পরিশোধক সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নায়ারা এনার্জি রাশিয়ান তেলের শীর্ষ আমদানিকারক হিসেবে রয়ে গেছে।

                    এই পরিবর্তন ভারতের জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য। ২০২২ সালে ক্রেমলিনের ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের একটি প্রধান ক্রেতা হয়ে উঠেছিল ভারত।

                    তবে পশ্চিমা সরকারগুলোর চাপ সত্ত্বেও গত দুই বছরে রাশিয়ার তেল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মস্কোকে ইউরোপীয় বাজারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।

                    ভারতের বিভিন্ন তেল কোম্পানির তেল পরিশোধনের সক্ষমতা দৈনিক প্রায় ৫২ লাখ ব্যারেল। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পরিশোধন কোম্পানিগুলোর ৬০ শতাংশেরও বেশি তেল পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে। যদিও দেশটির বেসরকারি তেল পরিশোধন কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

                    ৮ আগস্টের মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য রাশিয়াকে দেওয়া ট্রাম্পের আল্টিমেটামের পর, রাষ্ট্রীয় খাতের আমদানিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ট্রাম্প হুমকি দিয়েছে, সময়সীমা অতিক্রমের পরও কোন দেশ যদি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ক্রয় অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

                    এরপর গত ৩০ জুলাই রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি রুশ তেল কেনায় অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


                    তথ্যসূত্র:
                    1. Indian State Refineries Halt Russian Oil Imports – Reuters
                    https://tinyurl.com/5n3x8zeu
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      দেশকে অস্থিতিশীল করতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’; এক মেজরসহ আটক ২২





                      রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ আয়োজনের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক মেজর পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করছে সেনাবাহিনী।

                      বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সেনা সদরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

                      এ ঘটনায় ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও তৃণমূল কর্মীরা অংশ নেয়। সেখানেই ‘সরকার উৎখাত ও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা হয়।

                      ডিবি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন (শম্পা)। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা যায়, সে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়। বৈঠক চলাকালে কনভেনশন সেন্টারের সব সিসিটিভি ক্যামেরাও বন্ধ রাখা হয়।


                      তথ্যসূত্র:
                      ১. নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’, গ্রেপ্তার ২২
                      https://tinyurl.com/4c4y3dkr
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        উপকারভোগীদের ভাতার চাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে


                        যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে সরকারি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিডব্লিউভি) আওতায় হতদরিদ্র নারীদের মধ্যে বিতরণ করা চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান নেদার লোকজনের বিরুদ্ধে।

                        স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভিডব্লিউভি তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নারী সদস্যকে উলাশী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তিন বস্তা চাল দেওয়া হয়। নারী সদস্যরা চাল ভ্যানে করে নিজ নিজ বাড়িতে নেওয়ার পথে ধলদা মোড়ে ভ্যান থামিয়ে জোরপূর্বক চাল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে ধলদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়ানুর, রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস, সুরত আলীর ছেলে মশিয়ার ও আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রফিকুলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, তারা সবাই শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আমিনুর রহমান নেদারের ঘনিষ্ঠ। ৫ আগস্টের পর এই নেতার বিরুদ্ধে সালিস বিচারের নামে টাকা আদায় করারও অভিযোগ হয়েছে।

                        ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী গণমাধ্যমকে বলেছে, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের তিন বস্তা করে চাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ধলদা মোড়ে পৌঁছালে তারা পথ আটকে দাঁড়ায়। বাধ্য হয়ে এক বস্তা করে চাল দিয়ে আসতে হয়। কেউ কিছু বললে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। আরেক নারী জানায়, সরকার যে সহায়তা দিচ্ছে, সেটাও যদি ভয় দেখিয়ে কেড়ে নেয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়? গরিবের মুখের খাবারটুকুও লুটে নিচ্ছে ওরা।’


                        তথ্যসূত্র:
                        ১. উপকারভোগীদের ভাতার চাল ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির কর্মীরা
                        https://tinyurl.com/mfkwtf9n
                        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                        Comment

                        Working...
                        X