Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৬ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১১ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৬ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১১ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের হোতা ও মামলার আসামি এখন পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব



    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতবছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী সরকার ক্ষমতা হারায়। হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে শুধু দলের লোক নয়; গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।

    হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিরোধী দলের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালানো হতো। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের দিকে সাতক্ষীরায় জামায়াত-বিএনপি নিধনে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালানো হয়। এতে মূল নেতৃত্ব দেয় সাতক্ষীরা জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজমুল আহসান ও পুলিশ সুপার (এসপি) চৌধুরি মঞ্জুরুল কবির।

    তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পরে চৌধুরি মঞ্জুরুল কবির দেশ ছেড়ে পালালেও এখনো অন্তর্বর্তী সরকারে সচিবের দায়িত্বে আছে নাজমুল।

    জানা গেছে, নাজমুল আহসান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে আছে। সে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক থাকাকালে বিএনপি, জামায়াত ও বিরোধী দলের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের নায়ক। সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অতি প্রিয়ভাজন ছিল। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় ফৌজদারি মামলা হওয়া সত্ত্বেও সে সচিব পদে বহাল আছে।

    গত ২৬ মে সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, এসপি চৌধুরি মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মামলাটি সাতক্ষীরার আদালত ১ বিচারক মো. মাঈনুদ্দিন ইসলাম আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    এ মামলার বাদি মো. ওবায়দুল্যাহ অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালে পহেলা জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালীন সরকারের পেটুয়া বাহিনী। যার নেতৃত্বে ছিলে তৎকালীন ডিসি নাজমুল আহসান।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও ডিসি নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে ২০১৩-১৪ সালে সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয় । ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার আস্থাভাজন এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে এখনো বহাল তবিয়তে আছে হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও গুম-খুনে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল।

    নাজমুল জেলা প্রশাসক থাকাকালে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। এ ছাড়া আরও ২৫ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক ব্যক্তি।

    শুধু তাই নয়, বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর আগুন ও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিত সাবেক ডিসি নাজমুল।


    তথ্যসূত্র:
    ১.হত্যাযজ্ঞের হোতা এখন পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব
    -https://tinyurl.com/3384w5xr
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    রাখাইনে গাজার মতোই গণহত্যা চালিয়েছে আরাকান আর্মি, একদিনে ৬০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা



    মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মাত্র একদিনেই তারা ৬০০-এর বেশি মুসলিম নারী, শিশু, বৃদ্ধ, এমনকি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকেও হত্যা করেছে।

    গত ১০ আগস্ট আল জাজিরা এক বিশেষ ভিডিও প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২ মে বুদিডং টাউনশিপের ছয়াচেরি ও পাশ্ববর্তী এলাকায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে সারি সারি লাশের সারি দেখা গেছে, অনেকের শরীরে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।

    প্রতিবেদনে ১৮ বছর বয়সী নুর সালমা নামের এক রোহিঙ্গা তরুণীর সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়। তিনি জানান, ‘আমার বাবা-মাকে আমি চোখের সামনে গুলি খেতে দেখেছি। তারা আমাদের রাত ৯টার মধ্যে গ্রাম ছাড়তে বলেছিল। কিন্তু তার আগেই তারা এসে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।’ নুর সালমা আরও জানান, তার ছয় ভাইবোন এখনো নিখোঁজ।

    প্রতিবেদনে এ ঘটনার জন্য আরাকান আর্মিকেই দায়ী করা হয়েছে, যারা নিজেদের একটি জাতিগত প্রতিরোধ বাহিনী হিসেবে দাবি করলেও রোহিঙ্গাদের ওপর তারা মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর মতোই নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বেআইনি আটক, নির্যাতন, নির্বিচার হত্যা এবং এমনকি শিরচ্ছেদের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আরাকান আর্মি এখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘অসমাপ্ত কাজ’ অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করার পথেই হাঁটছে।

    প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৭ মে আরাকান আর্মি বুদিডাং শহরে রোহিঙ্গাদের বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এই হামলার ফলে গত ১৮ মাসে প্রায় ১,৫০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, যার ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী সংকট।

    গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরছে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল কাউন্সিল (এআরএনসি)। এই সংগঠনের সহ-সভাপতি নেই-সেই লউইন বলেন, ‘১৫ মাস পর আমরা গণহত্যার ছবি হাতে পেয়েছি। এর আগে কেউ বিশ্বাস করত না। কিন্তু এখন প্রমাণ রয়েছে। আমরা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি আরও জানান, ‘গত বছরের ১৭ মে একদিনেই আরাকান আর্মি পুরো পরিবারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তারা শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী কাউকেই রেহাই দেয়নি।’

    তিনি আরও জানান, ‘আরাকান আর্মি নিজেদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক শাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে ক্ষমতার লড়াই থাকলেও, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা একমত যে, এই মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।’

    প্রতিবেদনে বলা হয়, বুদিডাং এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকায় ঘটনাগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে নেই-সেই লউইন জানান, তারা কিছু অ্যাপ ও কিছু বিশ্বস্ত উৎসের মাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ করেছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, আরাকান আর্মি একদিনেই ৬০০-র বেশি মানুষ হত্যা করে এবং লাশগুলো ফেলে রেখে শহরটি পুড়িয়ে দেয়।

    রোহিঙ্গা মুসলিমদের মোবাইলে ধারণকৃত গণহত্যার কিছু চিত্র:


    তথ্যসূত্র:
    1. Rohingya mass graves found in Myanmar’s Rakhine state, survivors demand justice
    https://tinyurl.com/ycx6mmxa
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব



      প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ সরকারি অনেক দপ্তর ও সংস্থায় এখনো রাজত্ব করছে পতিত শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন হয়েছে সামান্যই।

      গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে হাসিনার নিয়োগকৃত অধিকাংশ কর্মকর্তাই রয়ে গেছে। তারা জোটবদ্ধ এবং নিজেদের মধ্যে কিছুদিন পরপর গোপন বৈঠকও করে, যেন তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। এ অবস্থায় সচিবালয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে সহসাই ‘আমলা বিদ্রোহ’ এবং নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা করছে অনেকেই।

      তাছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে অনেক কর্মকর্তা। তারমধ্যে ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। অথচ সে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ছিল। সে কারাবন্দি সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসেরের সব অপকর্মের সহযোগী এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ছিল। তাকে প্রটেকশন দিচ্ছে একজন উপদেষ্টা।

      হাসিনা সরকারের সমর্থক ওএসডি হওয়া ১১ জন সচিব বর্তমানে চাকরিতে বহাল আছে।

      এরা হল-মো. মশিউর রহমান, সিনিয়র সচিব ৫৫৬৮। মো. মনজুর হোসেন, সিনিয়র সচিব ৫৪৯০। মো. সামসুল আরেফিন, সিনিয়র সচিব ৫৭৭৩। মো. আজিজুর রহমান, সচিব ৫৯২৯। মো. নুরুল আলম, সচিব ৫৯৯৪। মো. খায়রুল আলম শেখ, সচিব ৫৯৯৬ (তিনি এস আলমকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণে সহায়তা করে। এ-সংক্রান্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখায় আছে)। ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সচিব ৬০৬৫। শফিউল আজিম, সচিব ৬৩৬৫। মো. নিজাম উদ্দিন, সচিব ৫৭০৩। মো. মিজানুর রহমান, সচিব ৫৯২৪। ড. একেএম মতিউর রহমান, সচিব ৭৬৩১। এদের অবিলম্বে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো উচিত বলে সচিবালয়ের অভিজ্ঞদের মত।


      তথ্যসূত্র:
      ১.মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব
      -https://tinyurl.com/568p4bjc
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নৌপথে চাঁদাবাজি: সমন্বয়ক সহ আটক ০৭ জন


        শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

        রোববার (১০ আগস্ট) এর সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহীদুল ইসলাম সোহাগ।

        গ্রেফতার ‘সমন্বয়ক’ আজমল হোসেন উপজেলার নদী পথে নৌকা আটকে চাঁদাদাজি মামলার প্রধান আসামি ও উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।

        আটক অপর আসামিরা হল, উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের মৃত আ: সালামের ছেলে সুলতান আহমদ, ফজর রহমানের ছেলে বিল্লাল মেম্বার, মৃত মুসাব্বিরের ছেলে সুবহান, ফারুক আহমেদের ছেলে শাকিল, মৃত ফজু রহমানের ছেলে ফারুক মিয়া ও মৃত আ: মুসাব্বিরের ছেলে ফয়সল মৌলবী।


        তথ্যসূত্র:
        ১. সিলেটে নৌপথে চাঁদাবাজি, র‌্যাবের জালে ‘সমন্বয়ক’সহ ৭ জন
        https://tinyurl.com/yc6zz38h
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          অস্ত্রসহ গ্রেফতার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান যুবদল নেতা


          লক্ষ্মীপুরে একটি একনলা বন্দুকসহ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক একেএম ফরিদ উদ্দিনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় উদ্ধার করা হয় নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা।

          রোববার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের পালের হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

          আটক ফরিদ উদ্দিন পালের হাট এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। সে সন্ত্রাসী ফরিদ বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

          ‎লক্ষ্মীপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন রাহাত খান গণমাধ্যমকে জানান, রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের পালেরহাট এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এসময় যুবদল নেতা ফরিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকাসহ যুবদল নেতা ফরিদকে আটক করা হয়।


          তথ্যসূত্র:
          ১. লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক
          https://tinyurl.com/yr9ujpbs
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            এনসিপি নেতার ০৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ভিডিও ভাইরাল


            জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার এক নেতার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে। বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে ওই চাঁদা চাওয়া হয়। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম নিজাম উদ্দিন। সে সংগঠনের নগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী।

            রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাঁদা চাওয়ার কথোপকথনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাহাদুল ইসলামের আইডি থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়।

            এতে সে লিখেছেন, ‘সাইফপাওয়ার টেকবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে, এটা শুধু দুর্নীতিই নয়, এটি ছাত্র ও জনতার বিশ্বাসের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।

            ভাইরাল হওয়া দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামে একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা বলতে দেখা যায়। তার এই কথা বলার দৃশ্য অন্য আরেকটি ফোনে ভিডিও করা হয়। এই ভিডিওতেই নিজাম উদ্দিন আফতাব হোসেনকে আশ্বস্ত করে বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধ করানো হবে। আফতাব হোসেনকে জিজ্ঞেস করে, টাকা দিয়েছে কিনা। আফতাব ৫ লাখ টাকা দিয়েছে বলে জানায় নিজামকে। নিজাম উদ্দিন বলে, আরও ৫ লাখ টাকা নিতে পারো কিনা দেখো প্রেসার দিয়ে। নিতে পারলে রোহান, মীরদেরকে কিছু দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা হবে।


            তথ্যসূত্র:
            ১. এনসিপি নেতা নিজামের ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল
            https://tinyurl.com/4vuj4a4a
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হ্যান্ডমাইক হাতে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয় মেজর সাদিকের স্ত্রী




              সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করতে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ নেয় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রশিক্ষণে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতাকর্মীরা পরিচয় গোপন রেখে বিশেষ কোড ব্যবহার করে অংশ নেয়। প্রশিক্ষণে পরিকল্পনা হয় শেখ হাসিনা নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশ থেকে লোকজন ঢাকা শহরে সমবেত করবে এবং শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এরপর জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এজন্য সভায় শপথ নেওয়া হয়। ওই সভায় উপস্থিত সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন। ভাটারা থানার মামলায় গ্রেফতার চালক লীগের সভাপতি মিলন শিকদার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলে। রোববার (১০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করে।

              জবানবন্দিতে সে বলে, সোবহান গোলন্দাজ নামের একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক তাকে সেখানে নিয়ে যায়। ওই সভায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলের ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী সরাসরি এবং অনলাইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন। প্রশিক্ষণে হ্যান্ড মাইক হাতে সে (সুমাইয়া জাফরিন) সবাইকে পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলে।

              এর আগে এ মামলায় বুধবার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালতে হাজির করে ৭ দিন রিমান্ড চাইলে ৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।


              তথ্যসূত্র:
              ১. হ্যান্ডমাইক হাতে প্রশিক্ষণ দেন সুমাইয়া জাফরিন
              https://tinyurl.com/3pvpunxn
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                “গাজাকে ভুলে যেও না”— বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ আল জাজিরা সাংবাদিকের শেষ বার্তা



                ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। শহীদদের একজন হচ্ছেন আনাস আল-শরীফ। গাজায় চলমান পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার সাহসী এক কণ্ঠ ছিলেন তিনি। বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হওয়ার আগে গাজা নিয়ে সর্বশেষ বার্তা দিয়ে গেছেন আনাস আল-শরীফ। আবেগঘন ওই বার্তায় তিনি গাজাকে ভুলে না যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

                গাজা সিটিতে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলের হামলায় শহীদ আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ মৃত্যুর আগে আবেগঘন কিছু ইচ্ছা ও শেষ বার্তা রেখে গেছেন। সেখানে তিনি বিশ্বকে অনুরোধ করেছেন— অবরুদ্ধ গাজা ও ফিলিস্তিনি জনগণকে যেন কেউ ভুলে না যায়।

                ১০ আগস্ট, রবিবার দখলদার ইসরায়েলের হামলায় শহীদ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ওই ইচ্ছাপত্রে আল-শরীফ লিখেছেন, তিনি নিজের সর্বশক্তি ও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়েছেন “নিজের জনগণের কণ্ঠস্বর ও সহায়তায় নিযুক্ত মানুষ হতে।”

                তিনি বলেন, “আমার আশা ছিল আল্লাহ আমাকে দীর্ঘ জীবন দেবেন, যাতে আমি পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে আমাদের দখলকৃত আসকালান (আল-মাজদাল) শহরে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছাই চূড়ান্ত। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষণে বেদনা অনুভব করেছি, বহুবার কষ্টের স্বাদ পেয়েছি, তবুও সত্যকে বিকৃত না করে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কখনো দ্বিধা করিনি।”

                আল-শরীফের পরিবারে তার মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। নিজের মৃত্যুর পর সন্তানদের, বিশেষ করে কন্যা ও ছেলের যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, “তাদের পাশে থাকুন, আল্লাহর পর আপনি-ই হোন তাদের ভরসা। আমি যদি মৃত্যুবরণ করি, তবে নিজের নীতিতে অটল থেকেই করব।”

                বার্তায় তিনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান, ফিলিস্তিন ও এর জনগণের পাশে থাকার জন্য, বিশেষ করে নিরপরাধ শিশুদের জন্য। নীরব না থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই যেন ফিলিস্তিনের মুক্তির সেতুবন্ধন হয়ে ওঠেন।

                তিনি লিখেছেন, “আমি তোমাদের হাতে অর্পণ করছি ফিলিস্তিনকে— এটা মুসলিম বিশ্বের মুকুটমণি, বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন মানুষের হৃদস্পন্দন। আমি তোমাদের হাতে অর্পণ করছি এর জনগণকে, নিরপরাধ সেই শিশুদের, যারা কখনো স্বপ্ন দেখার বা নিরাপদে বেঁচে থাকার সুযোগ পায়নি।”

                তিনি আরও বলেন, “শিকল যেন তোমাদের নীরব না করে, সীমান্ত যেন আটকে না রাখে। ভূমি ও মানুষের মুক্তির পথে সেতু হয়ে ওঠো, যতক্ষণ না আমাদের চুরি যাওয়া মাতৃভূমিতে মর্যাদা ও স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়।”

                নিজের এই উইলে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করা হয় এবং গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়। শেষ লাইনে তিনি লিখেন, “গাজাকে ভুলে যেও না… আর তোমাদের আন্তরিক দোয়ার মধ্যে আমাকে ভুলে যেও না।”


                তথ্যসূত্র:
                1.أنس الشريف Anas Al-Sharif
                https://tinyurl.com/y7fudxn6
                2.Killed in Israeli strike, Al Jazeera journalist Anas Al Sharif’s last haunting message
                https://tinyurl.com/y7crd46k
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বর্বরতায় শহীদ আরও ৬১ ফিলিস্তিনি


                  ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। ১০ আগস্ট, রবিবার নতুন করে আরও ৬১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩৬৩ জন আহত হয়েছেন। এই নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযানে ৬১ হাজার ৪৩০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

                  ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, রবিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৬৩ জন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, আহতের সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকারী দল এখনও অনেক হতাহতকে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে উদ্ধার করতে পারেনি, ফলে প্রকৃত হতাহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

                  এছাড়া মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে হামলায় ৩৫ জন নিহত এবং ৩০৪ জনের বেশি আহত হয়েছে। মানবিক সাহায্যের জন্য এতো ঝুঁকি নেওয়ার কারণ হলো গাজার গভীর দুর্ভিক্ষ এবং অপুষ্টি। ১০ আগস্ট, রবিবার দুর্ভিক্ষের কারণে দুই শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২১৭, যার মধ্যে ১০০ শিশু রয়েছে।

                  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়লি গণহত্যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অপুষ্টির কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১০০ জন শিশু।

                  মে মাসের শেষের দিকে সম্পূর্ণ অবরোধ আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণ সরবরাহের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা অব্যাহত রাখে। এর ফলে এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. Gaza death toll passes 61,400 as Israel’s destructive war continues unabatated
                  https://tinyurl.com/47a3c2a6
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হলেন আল জাজিরার ৫ সংবাদকর্মী



                    ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আনাস আল-শরিফসহ আলজাজিরার ৫ সংবাদকর্মী শহীদ হয়েছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, ১০ আগস্ট, রবিবার সন্ধ্যায় আল শিফা হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থিত তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে আলজাজিরার পাঁচ সাংবাদিকসহ মোট সাতজন শহীদ হন।

                    আলজাজিরার শহীদ সংবাদকর্মীরা হলেন আনাস আলশরিফ (২৮), সংবাদদাতা মোহাম্মদ ক্রিকেহ, ক্যামেরা অপারেটর ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নওফাল ও মোমেন আলিওয়া।

                    আনাস আল-শরিফ উত্তর গাজা থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত প্রতিবেদন করে আসছিলেন। গতকাল আল শিফা হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাইরে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন তিনি।

                    শহীদ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক্সে (সাবেক টুইটার) আল-শরিফ লিখেছেন, গাজা নগরীর পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। তাঁর শেষ ভিডিওতে দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে অন্ধকার আকাশ মুহূর্তের জন্য কমলা আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।

                    এদিকে, দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নির্লজ্জভাবে দাবি করেছে, আল-শরীফ হামাসের একটি শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তবে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের বিশ্লেষক মুহাম্মদ শেহাদা আল জাজিরাকে বলেন, এর কোনো প্রমাণ নেই। তার ভাষায়, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন।’

                    এক বিবৃতিতে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একে ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর পরিকল্পিত আঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এটি গাজা দখল ও দমন করার পরিকল্পনা ফাঁস করে দেওয়া কণ্ঠগুলোকে চিরতরে স্তব্ধ করার মরিয়া চেষ্টা। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও চলমান গণহত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়।


                    তথ্যসূত্র:
                    1.LIVE: Israel confirms killing Al Jazeera’s Anas al-Sharif in Gaza City
                    https://tinyurl.com/2uyzs695
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ৪ বছরেই বেহাল দশা ৬০১ কোটি টাকার প্রকল্পের; খসে পড়ছে প্লাস্টার




                      ৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার। কোথাও আবার বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়েছে বাথরুম ও রান্নাঘরের দেয়াল। ফ্ল্যাটের বেসিন খুলে পড়ছে, ক্ষয়ে পড়ছে টয়লেটের পাইপও। এমন বেহাল চিত্র রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পের।

                      সরকারি পূর্ত কার্যক্রমে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অন্যতম উদাহরণ এই প্রকল্প। সংশ্লিষ্টরা বলেছে, মূলত মানহীন নির্মাণ উপকরণের ব্যবহার এবং ঠিকাদারের দায়সারা কাজের কারণেই পাঁচ বছর না পেরোতেই বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে প্রকল্পের ফ্ল্যাটগুলো।

                      প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ভবনগুলো। দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে কারাবন্দী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার সহযোগীরা ভবনগুলো তৈরি করেছে।

                      সম্প্রতি সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৭৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রধান গেটের নামফলক ভাঙা।

                      গেট দিয়ে ঢুকতেই হাতের ডানে নিরাপত্তাপ্রহরীর কক্ষ, তার সামনে মসজিদ, মসজিদের পরেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু ভবন। ভবনের আশপাশের স্থানগুলো অপরিষ্কার। ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো খোলা, রাস্তাগুলো স্যাঁতসেঁতে। ওই আবাসন প্রকল্পের ভেতরে দুটি খেলার মাঠ থাকলেও দুটির কোনোটিতে নেই স্টিলের বাউন্ডারির তারের জয়েন্ট। নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে লাইটগুলো।

                      প্রকল্পের ১ নম্বর ভবনে ঢুকতেই চোখে পড়ে ভবনের নিচতলার সামনের টাইলসগুলো ভাঙা, ওয়াল থেকে খসে পড়েছে প্লাস্টার, ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। পরিচয় দিয়ে সামনে এগোতেই নিরাপত্তাপ্রহরী বাধা দেন। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁদের কয়েকটি ফ্ল্যাট ঘুরিয়ে দেখান। সেই ফ্ল্যাটগুলোর ভেতরে কোথাও শয়নকক্ষের দেয়াল ড্যাম্প, কোথাও বাথরুমের টাইলস খুলে পড়েছে। এক নম্বর ভবনের মতোই অবস্থা ২ ও ৩ নম্বর ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের।

                      জানতে চাইলে ৩ নম্বর ভবনের তত্ত্বাবধায়ক কাজী ইমরান গণমাধ্যমকে বলে, এই ভবনের অধিকাংশ বাসিন্দা এনএসআই কর্মকর্তা। ভবনের নির্মাণকাজ এত বাজে হয়েছে যে দেয়ালে একটু আঘাত করলেই প্লাস্টার খসে পড়ছে। দরজার লকগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। ৮০ শতাংশ লাইটই নষ্ট। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ১১ তলার একটি ফ্ল্যাটের বেডরুমে প্লাস্টার খুলে পড়েছে। বাথরুম ও কিচেনের অবস্থা আরও খারাপ। এখানে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা খালি চোখেই বোঝা যায়।’

                      একই চিত্র দেখা গেছে ৯ নম্বর ভবনেও। ভবনটির কয়েকটি ফ্লোরের রান্নাঘরের টাইলস খুলে গেছে। বেডরুমের দেয়াল পুরো ভিজে ড্যাম্প হয়ে গেছে।

                      এই প্রকল্পের ভবনগুলোর বাহ্যিক নকশা ও অবকাঠামো দৃষ্টিনন্দন হলেও অভ্যন্তরীণ গুণগত মানে কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে উঠে এসেছে সরকারি সংস্থা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে। গত জুলাই মাসের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের ২৫ শতাংশ ফ্ল্যাটের বাথরুমের দেয়ালে ড্যাম্প, ১০ শতাংশের টাইলস খুলে পড়েছে এবং ২০ শতাংশের বেড ও ড্রয়িংরুমে প্লাস্টার খসে পড়ছে। এতে আরও বলা হয়, ভবনের লিফট ও ওয়াটার পাম্প অকার্যকর, ইন্টারকম ও সিসিটিভি ক্যামেরা অপ্রতুল এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।

                      প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইন্টারকম সুবিধা ৭০ শতাংশ ভবনেই নেই। যেসব ভবনে আছে সেখানেও তা কার্যকর নয়। সব ভবনেই সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তবে ৩ ও ১০ নম্বর ভবন ছাড়া সব ভবনের সিসি ক্যামেরা অকার্যকর। জেনারেটর সুবিধা বিদ্যমান থাকলেও ৭০ শতাংশ ভবনে তা অটোমেটিক চালু হয় না।

                      প্রকল্পের ডিপিপি অনুযায়ী, ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় দুটি জিপ গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল কেনা হয়েছিল প্রকল্পের জন্য। অথচ এই যানবাহনগুলোর কোনো হদিস নেই।


                      তথ্যসূত্র:
                      ১. ৬০১ কোটির প্রকল্প ৪ বছরে বেহাল
                      https://tinyurl.com/395br6xm
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment

                      Working...
                      X