Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৩১শে আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৩১শে আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    গুলি করে হত্যার পর তিন দফা বৈঠকেও বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল না বিএসএফ



    সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আব্দুর রহমানের (৩৭) লাশ তিন দফা পতাকা বৈঠকের পর ৪২ ঘণ্টা পার হলেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

    শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সর্বশেষ পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানায়, নিহত আব্দুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তারা নিজেদের হেফাজতে নেবে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

    জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মরহুম খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চোরাচালানের মহিষ কিনে কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিল। এ সময় আন্তর্জাতিক পিলার নং ১৩৩৮-৩৯ এর মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে হঠাৎ করে বিএসএফ সদস্যরা তার ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুর রহমান। এ সময় বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে নিহতের ভাতিজা জামিল আহমদ (২৫) ও ডোনা ৯ নম্বর গ্রামের ছলু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭) দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।


    তথ্যসূত্র:
    ১. সিলেট সীমান্তে তিন দফা পতাকা বৈঠকের পরও লাশ ফেরত দিলো না বিএসএফ
    https://tinyurl.com/muxdn4jw
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে নিজের গুলিতে ভারতীয় সেনা নিহত



    দখলীকৃত কাশ্মীরের গানডারবলে এক ভারতীয় সেনার সদস্য দুর্ঘটনাজনিত কারণে নিজের গুলিতে নিজেই নিহত হয়েছে। ৩১ আগস্ট একটি সেনা ক্যাম্পে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত সেনার নাম ছোটু কুমার। সে ২৪তম রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের কনস্টেবল এবং বিশেষ কুইক অ্যাকশন টিমের সদস্য ছিল।

    কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সামরিক ট্রাকে করে কনস্টেবল কুমার শ্রীনগর থেকে বান্দিপোড়া যাচ্ছিল। ট্রাকটি গানডারবলের মান্সবল ক্যাম্পে পৌঁছার পর গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ার সময় তার সার্ভিস রাইফেল (একে-৪৭) থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। গুলিটি তার থুতনির নীচে বিদ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

    কাশ্মীরে মোতায়েনকৃত ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত গুলির ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই শোনা যায়, মাদকাসক্তি ও মানসিক চাপের কারণে সেনাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কারণে অনেক সময় আত্মহত্যা, সহকর্মীর ওপর হামলা এবং অসতর্কভাবে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Indian soldier killed in Ganderbal incident
    https://tinyurl.com/2xeryaz2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অর্থাভাবে অপারেশন করতে পারছেন না ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত জসিম; শরীরে বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক গুলি



      মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিঁধে থাকা শতাধিক গুলির যন্ত্রণা আর অর্থসংকটে সুচিকিৎসার অভাবে চিন্তায় দিশেহারা ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক জসিম মিয়া (৩৫)। রোজগার ছেড়ে গত বছর ১৮ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন জসিম। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে চাঁদানী ঘাটে সেতুর ওপর জসিমসহ কয়েকজন অবস্থান নেন।

      সেখানে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট,কাঁদানে গ্যাস,সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে । একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে মিছিলের কাছাকাছি চলে আসে। জসিমের মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দুইশতাধিক গুলি লাগে। তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে রবিন, রাসেল ও দুইজন নারীসহ কয়েকজন সহযোগী তাকে তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকটা গুলি বের করা হলেও এখনো মাথা, হাত,পা, উরুতে অনেক গুলি বিঁধে রয়েছে।

      চোখে ঝাপসা দেখেন, শ্বাসকষ্টও বেড়েছে, সারা শরীরে ব্যথার যন্ত্রণায় খেয়ে না খেয়ে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন জসিম।

      টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসাও করাতে পারছে না। তার ওপর পাঁচ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। জুলাইযোদ্ধা জসিম মিয়া রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আদিনাবাদ গ্রামের বসির মিয়া ও মোক্তারুন্নেছার ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে জসিম মিয়া বড়। মৌলভীবাজারের একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে দিনমজুরী করে সংসার ভালোভাবে চালাতেন। মা-বাবা কান্না করেন নাতি ও পুত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।


      তথ্যসূত্র:
      ১. অর্থাভাবে অপারেশন করাতে পারছেন না জসিম
      https://tinyurl.com/yunz4nhp
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের চিহ্নিত এজেন্ট’ জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবী হেফাজতে ইসলামের



        জাতীয় পার্টিকে ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের চিহ্নিত এজেন্ট’ উল্লেখ করে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

        শনিবার (৩০ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব এই দাবি তোলেন। বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

        বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরের ওপর আওয়ামী দোসর জাপার সন্ত্রাসী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও ফ্যাসিস্টপন্থী সদস্যের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক তদন্তপূর্বক কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদের চিহ্নিত এজেন্ট জাতীয় পার্টিকেও বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই। জাতীয় পার্টিকে ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের অপচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।

        তারা আরো বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তার কিছুই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সবচেয়ে জরুরি পুলিশবাহিনীর কোনো দৃশ্যমান সংস্কারও হয়নি। এখনো আগের মতো ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যা ইউনূস সরকারের জন্য চরম লজ্জার বলে আমরা মনে করি।

        তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতা আজ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ায় সেটির সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দোসররা। গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের অস্তিত্ব বিনাশ করতে চতুর্মুখী চক্রান্ত চলমান। সব চক্রান্ত ব্যর্থ করতে ছাত্র-জনতাকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে যারা ছাত্র-জনতার গণপ্রতিরোধকে ‘মব’ বলে বিতর্কিত করতে চায়, তারাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের সফল হতে দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভ্যানগার্ড আলেম-সমাজ, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতা এখনো ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লবের চেতনায় জাগ্রত আছেন। তাদের প্রতিহত করা হবে।

        তথ্যসূত্র:
        ১. জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
        https://tinyurl.com/5y5z8fay
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          প্রভাব খাটিয়ে স্বজাতি হিন্দুদের কাছ থেকেও কোটি টাকা লুট করে শ্যামল দত্ত



          ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত স্বজাতির মধ্যেও লুটপাট চালিয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন উপাসনালয় ও দানের সম্পদ দেখভাল-কারী ঐতিহ্যবাহী সীতাকুণ্ড শ্রাইন কমিটি কবজায় নিয়ে আত্মসাৎ করে কোটি কোটি টাকা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছিল আরও দুই সাংবাদিক। তাদের অপকর্মে চরম ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় মানুষেরা।

          বিভিন্ন নথি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান, সম্পত্তি, ধাম ও মন্দির আছে। এসব স্থাপনা ও সম্পদ দেখভাল করার জন্য ১৯১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অর্ডিন্যান্স অনুসারে গঠন করা হয় সীতাকুণ্ড শ্রাইন কমিটি। ওই সময় একটি গঠনতন্ত্র বা স্কিমও গঠন করে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় হিন্দু নেতাদের দিয়ে একটি কমিটি করে তা জেলা প্রশাসক ও জজের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। এ কমিটি মূলত সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে থাকা শত শত একর জমি ও মঠ-মন্দির, আশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ করে।

          ২০২৩ সালের শুরুর দিকে সীতাকুণ্ড শ্রাইনের শত শত কোটি টাকার সম্পত্তির ওপর কুনজর পড়েছিল হিন্দুদের বিতর্কিত উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় দুই সাংবাদিক সৌমিত্র চক্রবর্তী ও কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ এবং অ্যাডভোকেট চন্দন দাশের। তারা হিন্দুদের সম্পত্তি অবাধে ভোগ করতে ছক আঁকে শ্রাইন কমিটি দখলের। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ কাজে সিদ্ধহস্ত শ্যামল দত্তের শরণাপন্ন হয় সৌমিত্র চক্রবর্তী ও কৃষ্ণ দাশ। তাদের কৌশলের কথা শুনে আগ্রহ দেখায় শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ কায়েমের অন্যতম সহযোগী ভোরের কাগজ সম্পাদক।

          শ্রাইন কমিটি কবজা করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যায় শ্যামল দত্ত। সরকারপ্রধানকে দিয়ে ফোন করায় সীতাকুণ্ডের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ, শুরু হয় কমিটি দখলের মূল তৎপরতা। শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই সময় শ্যামল দত্তকে সহায়তা করে ডামি নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আল মামুন, জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া এবং ডিসি আবুল বাশার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তারা বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি ঢেলে সাজায়।

          শ্রাইনের বিতর্কিত কমিটি গঠন

          গত বছরের ১৪ জানুয়ারি শ্যামল দত্ত সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চন্দন দাশকে সাধারণ সম্পাদক করে সীতাকুণ্ড শ্রাইন কমিটি গঠন করা হয়। এতে সিনিয়র অপূর্ব ভট্টাচার্য ও তাপস রক্ষিতকে সহসভাপতি, প্রণব কুমার দে ও সৌমিত্র চক্রবর্তীকে সহসম্পাদক এবং কৃষ্ণ দাশকে করা হয় সদস্য। এ কমিটি গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিল চট্টগ্রাম প্রথম আদালতের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ খায়রুল আমিন। এছাড়া দুই সিনিয়র সহকারী জজ (সিনিয়র সহকারী জজ চট্টগ্রাম ও সিনিয়র সহকারী জজ কক্সবাজার) (শ্রাইনের সদস্য) এতে নির্বাচন কমিশনার ছিল।

          গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার ঘটনায় আদালত এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৭৮ নম্বর আসামি। যুগ্ম-সম্পাদক প্রণব কুমার দে মহেশখালীর সাবেক প্যানেল মেয়র এবং বহু মামলার পলাতক আসামি, আওয়ামী লীগ নেতা ও রাউজানের সাবেক প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট সমির দাশও পলাতক আছে। শুধু তাই নয়, আলিফ হত্যার আসামি ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের প্রধান আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য, মিরসরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা উত্তম শর্মাও পলাতক। সে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ সেবাশ্রম নামে একটি সংগঠনের ভুয়া প্যাড দিয়ে শ্রাইন কমিটিতে ঢোকে। আদতে ওই নামে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ সেবাশ্রম, তথা ভারত সেবাশ্রমে নেই।

          অ্যাডভোকেট সুখময় গণমাধ্যমকে বলেছে, শেখ হাসিনার প্রভাব দেখিয়ে শ্রাইন কমিটি দখল করে শ্যামল দত্ত। শ্রাইনের নামে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে জমানো তিন কোটি টাকার বেশি তুলে আত্মসাৎ করেছে এই কমিটি। সীতাকুণ্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জায়গার জন্য আরো এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা দিয়েছিল সরকার। সে অর্থও হজম করেছে কমিটি। সীতাকুণ্ডের আস্তানবাড়ী এলাকায় শ্রাইনের ১৮ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করলেও সে অর্থের কোনো হিসাব নেই। সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামে প্রতিবছর শিব চতুর্দশী মেলায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ভক্ত-পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। সেখানে অবস্থিত লোকনাথ মন্দির, সম্ভুনাথ মন্দির, ভোলাগিরি মন্দিরসহ শতাধিক মন্দির আছে। এসব ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচুর অর্থদান করে ভক্তরা। গত বছরের মেলা থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হয়েছিল এবং দান বাবদ আরও ৫০ লক্ষাধিক টাকা উঠেছিল, যার কোনো হিসাব নেই।


          তথ্যসূত্র:
          ১. শ্যামল দত্তের দখল-লুটের শিকার হিন্দুরাও
          https://tinyurl.com/y668jwvr
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আদানির লুটপাট বহাল রাখতে পরীক্ষামূলক-ভাবে চালুর ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বন্ধ পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র



            কয়লা আমদানি জটিলতায় থমকে আছে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরীক্ষামূলক-ভাবে চালুর ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু না করায় রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি।

            কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে চার দফা দরপত্র ডেকেও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। ভারতের আদানি গ্রুপের চড়া দামের বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে ‘লুণ্ঠন’ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দেশের বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোকে নানান অজুহাতে বসিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।

            চার দফায় দরপত্রে অংশ নিয়ে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের সুযোগ না দেওয়ায় ‘সিন্ডিকেটের অনিয়ম’ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছে সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াংথাই এনার্জি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে করা অভিযোগে বিগত সরকার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই খাতের নানা অনিয়ম ও হয়রানির বিবরণ তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি।

            বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, পটুয়াখালী জেলার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অদূরে কলাপাড়া উপজেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করে। ৯৫০ একর আয়তন জায়গাজুড়ে আরএনপিএল নামের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের আগস্টে।

            মোট নির্মাণ ব্যয়ের দুই দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে এক দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার চীনের ঋণ। ১৫ বছরমেয়াদি এই ঋণচুক্তির মধ্যে চার বছর গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। চুক্তিতে প্রকল্প শেষ হওয়ার ছয় মাস পর থেকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আগামী মাস থেকে সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ নামের বোঝা বহন করতে হবে। তবে সব প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পর ৮ মাস পার হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান নয়।

            কয়লা নেই, বাণিজ্যিক উৎপাদনও নেই

            জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনের জন্য গত জানুয়ারিতে প্রস্তুত হয়। প্রথমদিকে প্রতিদিন ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় এই কেন্দ্র থেকে। পর্যায়ক্রমে তা এখন ২৫ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চলছে। কেন্দ্রটি থেকে প্রতি মাসে সাড়ে ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা। ২৫ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চলার পর অন্তত সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলারের (জ্বালানি খরচ বাদে) বিদ্যুৎও উৎপাদন হচ্ছে না। এতে কেন্দ্রের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

            বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ২০ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের বিদ্যুতের বার্ষিক চাহিদার ১০ শতাংশ মেটানোর জন্য এই কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে প্রয়োজনীয় কয়লার জোগান না থাকায় বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারছে না। একই কারণে এখনো এটির সিওডি সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

            বিদ্যুৎকেন্দ্রটির শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফ্লাই অ্যাশ সাইলো, ফুয়েল-ওয়েল পাম্প, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা, ফায়ার স্টেশন পরিষেবা এবং অগ্নিনির্বাপক পানির ট্যাঙ্ক, বয়লার, পাওয়ার হাউস, টারবাইন, জেনারেটর, চিমনি, বর্জ্য পানি সংরক্ষণাগার বেসিন, প্রশাসনিক ভবন, প্রকৌশল ভবন, মাল্টিপারপাস হল, ওয়ার্কশপসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ডরমিটরি, ক্যান্টিন ও মসজিদের পাশাপাশি আমদানি করা কয়লা খালাসের জন্য কনভেয়ার বেল্টসহ আধুনিক জেটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

            কয়লা সরবরাহ নিয়ে জটিলতা

            সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর নির্ধারিত সময় পার হলেও কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। এতে চিহ্নিত পুরোনো সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ- সংশ্লিষ্টরা যেভাবে বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করে আসছিল, এখনো তারাই এ খাতটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আসছে। এর প্রভাব পড়ছে পটুয়াখালী আরএনপিএল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও।

            কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘নসরুল হামিদ সিন্ডিকেট’-এর বাধায় কয়লা আমদানির জন্য চারবার দরপত্র ডেকেও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। চতুর্থ দফায় দরপত্র বাতিল করায় এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দরপত্রে কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়নের বিভিন্ন ধাপে ত্রুটি থাকায় চতুর্থ দফায় দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। শিগগিরই নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।

            কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত থাকার পরও চালু না করায় আর্থিক ক্ষতি বাড়ছে। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকারকে জরিমানা গুনতে হবে।

            আদানির উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ আমদানি বহাল রাখতে কারসাজি

            ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি করে লুণ্ঠন ব্যবস্থা বহাল রাখতে পটুয়াখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটিসহ দেশের প্রায় সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগানো হয়নি বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, শুধু পটুয়াখালীর ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু করলে আদানির কাছ থেকে আর বিদ্যুৎ এনে দেশের কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হতো না। এখানে সুবিধাভোগী শ্রেণির আর্থিক সুবিধা জড়িত থাকায় তারা কোনোভাবেই দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে চায় না। আগের লুণ্ঠনকারী সরকার যে পদ্ধতি অবলম্বন করত, এই সরকারও সেখান থেকে বের হতে পারেনি বলে মনে করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম।

            অধ্যাপক শামসুল আলম আরও বলেন, এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমরা আশা করেছিলাম আগের সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে যে অলিগার্ক তৈরি করে গেছে, সেটা ভাঙা হবে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এক বছর পার হলেও অন্তর্বর্তী সরকার সেই অলিগার্কের থাবা থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি। বরং তাদের দ্বারা সরকার ঘেরাও হয়ে গেছে। আগের সেই সুবিধাভোগী শ্রেণিই এ খাতের নিয়ন্ত্রণ করছে।

            বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক এবং জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করতে পারলে ফার্নেস ওয়েলের মতো উচ্চ ব্যয়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রয়োজন হতো না। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হতো। এ ছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কম হতো। সেই গ্যাস আমরা শিল্পে সরবরাহ করতে পারলে শিল্প-কারখানার মালিকরাও কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারতেন। এখন সরকার অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়ের দেশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রাখছে। আবার ভারতের আদানির কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আসলে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছে। সরকারকে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন জ্বালানি খাতের এই বিশেষজ্ঞ।

            তথ্যসূত্র:
            ১. আদানির লুটপাট বহাল রাখতে বন্ধ পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র
            https://tinyurl.com/3426sabx
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘শেখ হাসিনার সাথে রাজনীতি করেছি’ বলে বেড়ানো কর্মকর্তা এখন মৃত্তিকার ডিজি; শেল্টার দিচ্ছে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা



              বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পুরোটা সময় জুড়েই ছিল সুবিধাভোগী। শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচয় দিত। গর্ব করে বলত ‘আমি শেখ হাসিনার সাথে রাজনীতি করেছি’। প্রমাণও দিত শেখ হাসিনার সাথে ঘনিষ্ঠতার। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ (বাকৃবি) ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পর ছাত্রলীগের নেতারা ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্যে সাক্ষাত করে। শেখ হাসিনার সাথে গ্রুপ ছবি তোলে তারা। ওই ছবিতে ১০-১২ জনকে দেখা যায়; শেখ হাসিনার ঠিক ডান পাশে (গোল চিহিৃত) যিনি তার নাম সামিয়া সুলতানা। বাকৃবির সুলতানা রাজিয়া হল সংসদে ছাত্রলীগের প্যানেলে নির্বাচিত নেত্রী সে। এখন সে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকাসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) মহাপরিচালক।

              ছাত্রজীবনে সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতি করা সামিয়া সুলতানা ১৫তম (কৃষি) বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিজীবনে প্রবেশ করে। বিগত শেখ হাসিনার আমলে যে কয়জন এই সংস্থায় সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী তাদেরই একজন সে। পলাতক শেখ হাসিনার সাথে সরাসরি সম্পর্ক। তাই গর্ব করে বলত, দুঃসময়ে শেখ হাসিনা এবং ওয়াহিদা আক্তারের (সাবেক কৃষিসচিব) সাথে রাজনীতি করেছি।

              জানা গেছে, হাসিনার আমলে এসআরডিআইতে অনেক সিনিয়র কর্মকর্তার উপর ছড়ি ঘুরিয়েছ। বিগত সময়ের কৃষিমন্ত্রী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মতিয়া চৌধুরীর সাথে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এসআরডিআই-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) পদে পদোন্নতি নিয়ে লুফে নেয় গুরুত্বপূর্ণ এসআরডিআই -এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের পদ। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ১৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তা এখনো শেষ হয়নি। একই সাথে তিনি সংস্থাটির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পায়। সিসিবিএস প্রকল্পের আওতায় ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে বহুতল ভবন কোনোমতে সম্পন্ন হলেও রাজশাহী, খুলনায় ও কুমিল্লায় সংস্থার আঞ্চলিক গবেষণাগার ভবনগুলোও নির্মাণ এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানা যায়।

              এসব প্রকল্পে নানা অনিয়মের খবর আসছে বিভিন্নভাবে। প্রকল্পের আওতায় মৃত্তিকা সম্পদের জরিপ, মাটি ও সার পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ব্যবস্থায় পরিবর্তন ও আরো উন্নত করতে সক্ষমতা বাড়াতে এসআরডিআই -এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস) প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

              চলতি বছরের আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বর্ধিত এ সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের বাকী কাজ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

              মৃত্তিকাসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শেখ হাসিনার সাথে তোলা গ্রুপ ছবি সামিয়া সুলতানার ফেসবুকে কাভার ফটো ছিল। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে মিটিংয়ের পর গর্ব করে নিজেকে আওয়ামী লীগার হিসেবে জাহির করত। অফিসারের চাইতে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় ছিল সে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সামিয়া সুলতানা হতাশ হয়। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলে। কিন্তু, ভাগ্য তার সুপ্রসন্ন। ফ্যাসিস্ট আমলের শেষের দিকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসা মো: জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এসআরডিআইতে আন্দোলন শুরু হয়। চাপের মুখে সে ডিজির দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। তারই চেয়ারে বসানো হয় ফ্যাসিস্টের দোসর ড. বেগম সামিয়া সুলতানাকে।

              গত ১৩ নভেম্বর এসআরডিআই-এর মহাপরিচালকের চেয়ারে বসেই বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন দেয়। ফলে তারাই এখন ডিজিকে শেল্টার দিচ্ছে। সরকারের একাধিক সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব তথ্য পাওয়া যায়।

              আতঙ্কের নাম ড. ফারুক
              এসআরডিআইতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ফারুক হোসেন। বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করে আসা প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন হয়ে উঠেছে দলবাজ নতুন ডিজির ডান হাত। পাবনা জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তার পদের পাশাপাশি মহাপরিচালকের সংযুক্ত কর্মকর্তা এবং ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ২৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পের ফোকাল পারসনও মনোনীত করা হয়েছে তাকে

              ডিসি-সচিব পরিচয়ে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

              এসআরডিআই-মপা পাবনা জেলার দায়িত্বে থাকা ও মহাপরিচালকের কার্যালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি খাসজমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সে নিজেকে ম্যাজিস্টেট, ডিসি (জেলাপ্রশাসক) বা কোথাও সচিব পরিচয় দিয়ে সরকারি খাস জমি দখলে নিয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি তদন্ত করছে।

              জানা গেছে, এসআরডিআইতে মোট ৩৭ জনকে অনিয়মিত শ্রমিক হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া হয়। ডিজির ঘনিষ্ট ফারুক হোসেন তার নিজ জেলা নওগাঁর ধামইরহাঁট উপজেলার ইছবপুরেরই ৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানা যায়।

              তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নিজ এলাকায় ডিসি, সচিব ও ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে এলাকাবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। সে এলাকার খাসজমি বিভিন্নভাবে জবরদখল করে রেখেছে। এ বিষয়ে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২৭ মে উপসচিব দেবী চন্দ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে জেলাপ্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে।


              তথ্যসূত্র:
              ১. ‘শেখ হাসিনার সাথে রাজনীতি করেছি’ বলে বেড়ানো কর্মকর্তা এখন মৃত্তিকার ডিজি
              https://tinyurl.com/3a4d6wmk
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক দুই বিএনপি নেতা



                মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শামীম আহমেদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান।

                শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে শাহীবাগ এলাকায় খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বালু জব্দ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহিবুল্লাহ আকন।

                এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই নেতার নেতৃত্বে প্রকাশ্যে বালু লুট চলছে। শ্রমিক দিয়ে নিয়মিত বালু উত্তোলন ও বিক্রি হলেও প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে তারা পার পেয়ে যাচ্ছিল।


                তথ্যসূত্র:
                ১. অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে ধরা বিএনপির দুই নেতা
                https://tinyurl.com/z6emtfd8
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  চুয়াডাঙ্গায় চার বোতল মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক


                  চুয়াডাঙ্গায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে চার বোতল ভারতীয় মদসহ মহাবুল মণ্ডল (৩৮) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।

                  শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে এদিন বিকেলে শহরে হাটকালুগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

                  আটক মহাবুল মণ্ডল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার চকরামপ্রসাদ গ্রামের মৃত মোজাহার মণ্ডলের ছেলে।


                  তথ্যসূত্র:
                  ১. চুয়াডাঙ্গায় মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
                  https://tinyurl.com/4y9cpyn3
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে শহীদ আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি


                    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন স্থানে দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় একদিনে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গাজা নগরীতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। তাদের মধ্যে ১১ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। ৩১ আগস্ট, রবিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

                    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের মুখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজা নগরী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। হাতে গোনা সামান্য মালপত্র ট্রাক, ভ্যান ও গাধার গাড়িতে তুলে তারা এলাকা ছাড়ছেন।

                    নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম দিকে দেইর আল-বালাহর কাছে বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী তাঁবু ফেলতে শুরু করেছে। এদের অধিকাংশই একাধিকবার ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।

                    ৫০ বছর বয়সী মোহাম্মদ মারুফ বলেন, “আমরা রাস্তায় পড়ে আছি। কুকুরের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছি আমরা”। তিনি জানান, ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে তারা আগেই উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন।

                    আগস্টের শুরু থেকে ইসরায়েলি সেনারা টানা হামলা চালাচ্ছে গাজা নগরীতে। শহর দখল ও প্রায় ১০ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার লক্ষ্যেই এই অভিযান— এমন আশঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। গত ২৯ আগস্ট, শুক্রবার ইসরায়েল নগরী দখলের ‘প্রাথমিক ধাপ’ শুরু করেছে এবং এটিকে “যুদ্ধক্ষেত্র” ঘোষণা করেছে।

                    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, একদিনে গাজায় ৭৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। শুধু গাজা নগরীতেই নিহত ৪৭ জন। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শহীদ হয়েছেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়।

                    অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ভবনে হামলায় সাতজন শহীদ হন। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাতে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবকদের।

                    আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, “গাজা নগরীজুড়ে হামলা আরও বাড়ছে। ঘরবাড়ি, কমিউনিটি সেন্টার সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনধারার ভিত্তি ভেঙে পড়ছে। এ সব ঘটছে যখন মানুষ দুর্ভিক্ষ, অনাহার আর পানিশূন্যতার মধ্যে রয়েছে। পুরো পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ে গড়াচ্ছে।”


                    তথ্যসূত্র:
                    1. ‘Mayhem, chaos’ in Gaza City as Israel intensifies attacks, killing 47
                    https://tinyurl.com/2s3wrwyv
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, অনাহারে মারা গেল আরো ১০ ফিলিস্তিনি


                      গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবরোধের কারণে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। একদিকে অবরোধের কারণে খাদ্য সংকট ও পুষ্টিহীনতা, অন্যদিকে যুদ্ধের চরম কষ্ট—সব মিলিয়ে গাজার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩২ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন খাদ্যাভাবের কারণে, যার মধ্যে ১২৪ জন শিশু রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গাজার এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও, ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতা থামছে না। বর্বর ইসরায়েলি অবরোধের কারনে নতুন করে আরও ১০ জন মারা গেছেন।

                      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৩০ আগস্ট, শনিবার নতুন ১০ জন মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে, যারা সবই খাদ্যাভাব ও অপুষ্টির কারণে মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে বর্তমানে গাজা সিটি সহ অন্যান্য অংশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অবরোধের কারণে সেখানে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

                      গাজা বর্তমানে একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আগ্রাসন, অবরোধ এবং খাদ্যাভাবের কারণে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ সত্ত্বেও ইসরায়েল তার দমন-পীড়ন বন্ধ করার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না

                      ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের গণহত্যা আজও অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন সমর্থনে পরিচালিত এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে শহীদ করা হয়েছে। লক্ষাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে ত্রাণের অভাবে দুর্ভিক্ষে ভুগছে, বহু শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।

                      তথ্যসূত্র:
                      1. Famine claims 10 more lives in Israel-blockaded Gaza
                      https://tinyurl.com/49xst4jj
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসন, ছয় ফিলিস্তিনি নাগরিক আটক




                        পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অত্যাচার থামছেই না। ৩০ আগস্ট, শনিবার বেথলেহেম, জেনিন, নাবলুস এবং আল-খালিলসহ বিভিন্ন শহরের আগ্রাসন চালিয়ে আরও ছয় ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী।

                        স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে নতুন করে ছয় ফিলিস্তিনি নাগরিককে অপহরণ করেছে। বাহিনী পূর্ব বেথলেহেমের আল-উবেইদিয়া শহর থেকে পাঁচ জন নাগরিককে অপহরণ করেছে। বেথলেহেমের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত তেকোয়া শহরে আরও একজন নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে ।

                        এছাড়া, জেনিনের কাবাতিয়া শহরে ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এবং আদ-ধাহিরিয়া শহরে এক যুবককে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

                        এই অভিযানগুলি ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সময়ের ক্রমাগত আগ্রাসনের অংশ। গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান তীব্রতর হয়েছে, যার ফলে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। এর আগে ২৬ আগস্ট রামাল্লাহ শহরে একটি অভিযানে ৫৮ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়, যাদের মধ্যে একটি শিশুও ছিল। একইভাবে, ২৭ আগস্ট নাবলুসে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৮০ জন আহত হয়

                        ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর এই অভিযান কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সুপরিকল্পিত দমন-পীড়ন নীতিরই ধারাবাহিক অংশ।


                        তথ্যসূত্র:
                        1. IOF storms W. Bank areas, kidnaps citizens
                        https://tinyurl.com/mvzsn84y
                        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                        Comment

                        Working...
                        X