Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    ৭০০ দিনের আগ্রাসনে গাজাকে ৯০% ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল



    গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার সামরিক হামলা ৭০০ দিনে গড়ালেও থামেনি ধ্বংসযজ্ঞ। দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের এই দীর্ঘ আগ্রাসনে প্রায় পুরো অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ ৬৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস।

    এক বিবৃতিতে অফিসটি জানায়, এই হত্যাযজ্ঞে গাজার অবকাঠামোর প্রায় ৯০% ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর সঙ্গে চলছে ‘গণহত্যা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সুসংগঠিত নীতি।

    তাদের হিসেবে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৩ হাজার ৭০০’রও বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০,০০০ শিশু এবং ১২,৫০০ নারী রয়েছে। ২,৭০০ পরিবার সম্পূর্ণভাবে নাগরিক নিবন্ধন থেকে মুছে গেছে।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১,৬৭০ জন চিকিৎসাকর্মী, ২৪৮ জন সাংবাদিক, ১৩৯ জন সিভিল ডিফেন্স সদস্য এবং ১৭৩ জন পৌর কর্মচারী। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ লাখ ৬২,০০০ এরও বেশি মানুষ, যাদের অনেকেই হাত-পা হারানো, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া বা দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো জীবন-পরিবর্তনকারী আঘাতের শিকার।

    অফিসটি জানিয়েছে, ৩৮টি হাসপাতাল, ৮৩৩টি মসজিদ এবং ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার অন্যান্য সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    এছাড়াও, গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলের মানুষদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি না দিয়ে এবং অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েল গণ-বাস্তুচ্যুতি চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

    গণমাধ্যম অফিস বলেছে, কয়েক লক্ষ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ২৪ লাখ বাসিন্দা – যাদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি শিশু – চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে পড়েছে।

    তারা ইসরায়েল ও এর মিত্রদের, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে, এই ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী করে আরব ও ইসলামি দেশগুলো, বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়, অবরোধ প্রত্যাহার করে।

    গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিসের তথ্য স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে এই যুদ্ধ কেবল বোমা ও গোলার আঘাত নয়, বরং একটি সুসংগঠিত গণহত্যা, অবরোধ ও বাস্তুচ্যুতির নীতি। দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের ৭০০ দিনের এই দীর্ঘ আগ্রাসনে গাজা কার্যত একটি মানবিক শূন্যভূমিতে পরিণত হয়েছে—যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে হাজারো প্রাণ, আর জীবিতরা বেঁচে আছে দুর্ভিক্ষ ও অনিশ্চয়তার ভয়ে। বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের উপর এভাবে আগ্রাসন চালিয়ে সন্ত্রাসী ইসরায়েল বর্বরতার সব ধরনের সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।


    তথ্যসূত্র:
    1. 700 days of Israeli war leave 90% of Gaza destroyed, $68B in losses: Media office
    https://tinyurl.com/4yzc8s53
    2. 700 days of Israeli bombing destroys 90% of Gaza, kills 64,400
    https://tinyurl.com/bdcvk5h9
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    লন্ডনে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ গ্রুপের বিক্ষোভ, ৪ শতাধিক গ্রেফতার



    যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। এ সময় ৪২৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপ হলো ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি সংগঠন। তারা আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের গণহত্যা ও বর্ণবাদ শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।

    স্থানীয় সময় ৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার এ বিক্ষোভের আয়োজন করে ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস নামের একটি ক্যাম্পেইন গ্রুপ। এটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সামাজিক ও আইনি সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন গ্রুপ, যা আইনগত অধিকার রক্ষায় কাজ করে। তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট স্কয়ারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে প্রায় দেড় হাজার মানুষ অংশ নেন।

    ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস এক্সে (সাবেক টুইটার) ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘পুলিশ নৃশংসভাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এ ছাড়া ‘‘আমি গণহত্যার প্রতিবাদ জানাই। আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের পক্ষে’’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরায় অন্যদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়।’

    লন্ডন মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, ৪২৫ জনেরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে। একজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারের পর তার মুখ বেয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

    সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তীব্র বাগবিতণ্ডা হয় এবং তাদের দিকে পানি ও প্লাস্টিকের বোতল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে ভিড়ের চাপে কয়েকজন বিক্ষোভকারী মাটিতে পড়ে যান।

    তথ্যসূত্র:
    1. Police make mass arrests at Palestine Action rally outside UK Parliament
    https://tinyurl.com/54n2hkh7
    2. More than 425 arrested at rally against Palestine Action ban in London
    https://tinyurl.com/4p3p7j98
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ আরও ৬৭


      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাহায্যপ্রার্থী সাধারণ মানুষও ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ হয়েছে।

      এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। যদিও পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই ফেলা হচ্ছে বোমা। বিমান হামলার পাশাপাশি চলছে পদাতিক বাহিনীর স্থল অভিযান। দেইর আল বালাহ, খান ইউনিসসহ গাজার অন্যান্য এলাকায়ও সমান তালে চলছে আগ্রাসন।

      গত ১৮ মার্চ থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করেছে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন শহীদ এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. Updates: Israel kills 67 as Gaza aid seekers, ‘safe zones’ attacked
      https://tinyurl.com/ymcte9uw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজার অনাহার ঢাকতে গুগলকে ৪৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে দুর্বৃত্ত ইসরায়েল



        গাজা অবরোধ ও ধ্বংস নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ড্রপ সাইট নিউজ-এর সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

        প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২ মার্চ ইসরায়েলি সরকার গাজায় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রবেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই নেসেটে জনসংযোগ (পিআর) প্রচারণা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অবরোধের ফলে বিশ্বের কাছে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সংসদ সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করে।

        এর পর থেকে অন্তত ১৩১ শিশুসহ ৩৬৭ জন গাজাবাসী অনাহারে মারা গেছেন। এর মধ্যেই জুনের শেষ দিকে ইসরায়েলি সরকার গুগলের সঙ্গে ছয় মাসের বিজ্ঞাপন প্রচারণার জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। সেই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপকভাবে নিন্দিত কুখ্যাত গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত সাহায্য কেন্দ্রগুলোতে এবং গাজার বেসামরিক এলাকায় রোজ বিমান হামলা চালিয়ে অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।

        ড্রপ সাইট নিউজ-এর তথ্য অনুযায়ী, এই প্রোপাগান্ডা প্রচারণার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আরবি ভাষী কুখ্যাত মুখপাত্র আভিচাই আদরাই। সে নেসেট সদস্যদের প্রস্তাব দেয়, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিশ্বকে বুঝানো হবে যে, গাজায় কোনো ক্ষুধা নেই।

        এই প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে আলোচিত বিজ্ঞাপনগুলির মধ্যে একটি গুগল-মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে প্রকাশিত হয়, যেখানে ফিলিস্তিনিদের খাবার তৈরি এবং খাওয়া অবস্থায় দেখানো হয় এবং এর শেষে লেখা ছিল: “গাজায় খাবার আছে। অন্য যেকোনো দাবি মিথ্যা।” ভিডিওটি প্রচারিত হয় জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণার ঠিক আগে।

        ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৬০ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে, যার বেশিরভাগই এসেছে পেইড প্রমোশনের মাধ্যমে।প্রচারণাগুলো মূলত পরিচালিত হচ্ছে ইউটিউব ও গুগলের Display & Video 360 প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, যা সরকারি নথিতে প্রচারণা হিসেবে চিহ্নিত।

        এদিকে, শুধু গুগল নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর জন্যও ইসরায়েল ৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। পাশাপাশি মার্কিন প্রভাবশালীদের গাজায় নিয়ে গিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর উদ্যোগ নেয়। বিপরীতে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এবং ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের নিয়মিতভাবে হত্যা করা হয়।

        অন্যদিকে, প্রকাশ্যে ইসরায়েলের কয়েকজন মন্ত্রী গাজাবাসীকে অনাহারে রেখে তাদের অঞ্চল ছাড়তে বাধ্য করার পক্ষে মত দিয়েছে। কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছে, “কোনো পানি নেই, কোনো বিদ্যুৎ নেই, তারা হয় অনাহারে মারা যাবে অথবা আত্মসমর্পণ করবে।” ঐতিহ্য মন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহু পর্যন্ত বলেছে, “ফিলিস্তিনিদের অনাহারে থাকা উচিত, যদি না তারা গাজা ছেড়ে যায়।”

        এর আগে, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন জাতিসংঘকে ‘প্রকাশ্যে ইহুদি-বিদ্বেষী’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। একই সময়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ গুগলকে ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে লাভবান হওয়ার অভিযোগ আনে।

        গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বাস্তবতা যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, তখন ইসরায়েলের কোটি ডলারের প্রপাগান্ডা প্রচারণা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
        গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় আড়াল করতে ইসরায়েলের এই কোটি ডলারের প্রপাগান্ডা প্রচারণা মূলত তথ্য সন্ত্রাসের এক ভয়াবহ রূপ। প্রযুক্তি জায়ান্টদের সহযোগিতায় তৈরি এই বিকল্প আখ্যান শুধু সত্যকে বিকৃত করছে না, বরং বৈশ্বিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়বদ্ধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Google’s $45 Million Contract With Netanyahu’s Office to Spread Israeli Propaganda
        https://tinyurl.com/y8x399a6
        2. Google involved in $45M deal with Netanyahu’s office to amplify propaganda: Report
        https://tinyurl.com/2s4nxcp5
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মীর মৃত্যু


          কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বাবুল আক্তার (৫২) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

          শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত বাবুল আক্তার ঢাকা বাড্ডা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং হামলাকারী আলম হোসেন পিয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলে স্থানীয়রা গণমাধ্যমতে জানিয়েছে।

          গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া বাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে বাবুল আক্তার ও সোহাগ হোসেন নামে দু’জন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে ৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার দুপুরে বাবুল আক্তার মারা যায়।


          তথ্যসূত্র:
          ১. দৌলতপুরে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু : আটক-১
          https://tinyurl.com/me3crw32
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            অস্ত্র ও গ্রেনেডসহ গ্রেফতার যুবদলের সাবেক সভাপতি


            খুলনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান টুকু (৫৮) গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে লবণচরা থানাধীন হাজী মালেক কবরস্থান সংলগ্ন বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

            এ সময় তার বসতঘরের বিছানার নিচে থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ৯ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ এবং একটি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে লবণচরা থানায় মামলা হয়েছে।

            সাবেক যুবদল নেতা টুকুর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী রাতে টুকুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা তার ঘর থেকে একটি এক নলা বন্দুক, ৯ রাউন্ড গুলি ও একটি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে লবণচরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।


            তথ্যসূত্র:
            ১. অস্ত্র ও গ্রেনেডসহ সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
            https://tinyurl.com/354hx9jj
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘নুরাল পাগল কাণ্ড থেকে রাখাল রাহা’ সরকার ও মিডিয়ার দ্বিমুখী নীতি, উপেক্ষিত মুসলিমদের ধর্ম অবমাননা



              জীবিত অবস্থায় নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের মাজার ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

              গত শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

              সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নুরুল হক মোল্লা বা নুরাল পাগল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের হাতেম মোল্লার ছোট ছেলে। কৈশোর বয়স থেকে মাটির বদনা বাজিয়ে গান বাজনা শুরু করলেও পরবর্তীতে আশির দশকে নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করে দরবার প্রতিষ্ঠা করে।

              ইমাম মাহদি দাবি ও পবিত্র কুরআন অবমাননা

              নিজেকে মাহদি দাবি ও নানা অদ্ভুত ও শরীয়াহবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকাবাসী তোপের মুখে ১৯৯৩ সালে এলাকা ছেড়ে চলে যায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। এরপর কিছুদিন পর আবার ফিরে এসে নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করে একটি দরবার খুলে বসে। দরবার থেকে পরিচালনা করা হতো ইসলামকে অবমাননা করে এমন নানা কর্মকাণ্ড। এসব কাজ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে।

              স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানায়, পবিত্র আল কুরআনকে “ভুজপাতা” বলে উপহাস করতো নুরাল পাগল। সে পবিত্র কুরআনকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। যা মুসলিম অধ্যুষিত এই জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসের অপমান ও অবমাননা। এমনকি কুরআনকে পায়ের নিচে ফেলেও অবমাননা করে সে।

              স্বতন্ত্র শরীয়ত

              স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, নুরাল পাগল ইসলামী মূল্যবোধকে অপমান ও অবজ্ঞা করে নিজে একটি স্বতন্ত্র শরীয়ত তৈরি করে। সেই শরীয়ত গ্রহণের জন্য সে নিজের নামে কালিমা চালু করে। কালিমা পাঠ করে নুরাল পাগলের ধর্মে প্রবেশ করতে হয়। নুরাল ইসলামের পবিত্র কালিমা বিকৃত করে “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এর পরিবর্তে ‘ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ ইমাম মাহদি রসুলুল্লাহ’ তৈরি করেছিল, নাউজুবিল্লাহ। নিজের অনুসারীদের জন্য ইসলামের আযানকে বিকৃত করে নিজের নামে আজান চালু করেছিল ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ ‘ এর পরিবর্তে বিকৃত ‘আশহাদু আন্না ইমাম মাহদি রসুলুল্লাহ’ চালু করে।

              নুরাল পাগল নিজে নামাজ পড়তো না। তার অনুসারীদের সে দক্ষিণ দিকে মুখ করে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিত। এছাড়াও সে পবিত্র দরূদ শরীফের বিকৃতি করে নিজের নামে দরূদ চালু করে।

              মৃত্যু ও কবর স্থাপন

              গত ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় গোয়ালন্দ মাজারের কথিত পীর নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। পরে তাকে দরবার প্রাঙ্গণে ১২ ফুট উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। বেদিটিকে কাবার আদলে তৈরি করা হয় এবং পাশে সাইনবোর্ডে লিখা হয় ‘ইমাম মেহেদি দরবার শরিফ’। যা সম্পূর্ণ ইসলামের বিকৃতি ও মুসলিমদের ধর্মীয় আবেগের স্পষ্ট অবমাননা।

              আলেম-উলামা ও স্থানীয় তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ

              দীর্ঘদিন ধরেই নুরাল পাগলার শরীয়ত অবমাননা ও ইসলাম বিকৃতির প্রতিবাদ করে আসছিলেন স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। নুরুল পাগলের ইসলাম অবমাননা ও শরীয়ত বিকৃতির প্রতিবাদ এবং স্থানীয় মুসলিমদের ইমান ও আকিদা হেফাজতের জন্য ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’ গঠন করেন স্থানীয় উলামারা।

              পরপর কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন করে নুরাল পাগলের ইসলাম বিকৃতি ও অবমাননার কথা জানানো হয়। স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে কবর সমতল, সাইনবোর্ড সরানোসহ ইসলাম বিকৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়।

              তবে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে স্থানীয় মুসলিম ও আলেম-উলামাদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

              ফলে ৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এই বিক্ষোভ সামাবেশে স্থানীয় আলেম-উলামা ও বিএনপি, জামায়তসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার উপস্থিত থাকেন এবং বক্তৃতা প্রদান করেন। বক্তব্যে বক্তারা বলেন কাবার অনুকরণে কবর নির্মাণ ইসলাম অবমাননা ও নীতিবিরোধি কাজ। তাই প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

              পরে এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ নুরাল পাগলর কথিত মাজার ভাঙচুর করে এবং এক পর্যায়ে কবর থেকে উত্তোলন করে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলে।

              মিডিয়ার এক-পাক্ষিক প্রচারণা

              নুরাল পাগলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর দেশের মিডিয়াগুলো এক-পাক্ষিক প্রচারণায় মেতে ওঠে। তারা এই ইস্যুকে পুঁজি করে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে। মিডিয়ায় নুরাল পাগলের কবরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ হেফাজতে ইসলাম এই লাশ পুড়ানোর ব্যাপারে নিন্দা জনায় এবং এক‌ই সাথে প্রশাসনের উদাসীনতার নিন্দা করে। কিন্তু স্যাকুলার মিডিয়া নুরাল পাগলের ইতঃপূর্বে ইসলাম অবমাননার ঘটনাগুলো ইচ্ছাকৃত আড়াল করে প্রতিবাদকারী তৌহিদী জনতাকে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করে।

              প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সাথে দ্বি-চারিতা

              নুরাল পাগল ইস্যুর পর তৎক্ষণাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করে। একই সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার হুশিয়ারিও দেয়।

              অনেকেই বলছেন, এই বিশৃঙ্খলা ও খারাপ অবস্থার দায় অন্তর্বর্তী সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। কেননা স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা বারবার প্রশাসনের কাছে ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং দ্রুত সময়ের মাঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোন ধরণের পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। নির্লিপ্ত থেকেছে এবং এই ধরণের ঘটনার জন্যই অপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ করেছে।

              নুরাল পাগলের ঘটনার তাৎক্ষণিক পরেই একটি বিবৃতি প্রদান করে নিন্দা জানায় এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার ওই বিবৃতিতে মুসলিমদের ধর্মীয় আবেগ ও ইসলামের অবমাননাকারী নুরাল পাগলের কোনো নিন্দা জানানো হয়নি। তার এই বিবৃতি স্পষ্ট মুসলিমদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ ও একটি দ্বিচারিতা।

              নেটিজেনরা বলছেন, ০৫ আগস্টের পর দেশে একের পর এক ইসলাম ও মুসলিমদের আবেগ নিয়ে অবমাননা করছে একটি মহল। আল্লাহ তায়ালার শানে চরম অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটির সদস্য রাখাল রাহা। অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ তো দূরের কথা একটি কথাও বলেনি। কোন মিডিয়া এই বিষয়ে দুটি লাইনও লেখেনি। যা ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মীয় আবেগের জায়গায় আঘাত করেছে। উপরন্তু রাখাল রাহার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কোনো শুনানি ছাড়াই খারিজ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে মামলাটি দায়েরের সময় মামলাকারীকে হেনস্তা করা হয় এবং মামলা নিতেও অস্বীকার ও গড়িমসি করা হয়।

              বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি এক মুসলিম যুবতীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে রেখে টানা সাতদিন ধর্ষণ করে এক হিন্দু যুবক। অন্তর্বর্তী সরকার এর বিরুদ্ধেও কোনো পদক্ষেপ তো দূরে থাক একটি বিবৃতিও দেওয়ার সাহস করেনি।

              বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপদেষ্টার নামে কটূক্তি করায় গ্রেফতারের ঘটনাও আমরা দেখতে পেয়েছি। একের পর এক আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর প্রিয় হাবিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে কটূক্তি করা হলে সরকার চুপ থাকছে, কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এমনকি মিডিয়াগুলো ইসলাম বিরোধী সংবাদ ঢালাওভাবে প্রচার করলেও এই সংবাদ প্রচারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

              এছাড়াও লালমনিরহাটে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রকাশ্যে অবমাননা করে হিন্দু নাপিত। স্থানীয় মুসলিমরা তার প্রতিবাদ করলে মিডিয়া সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে ঘটনাকে উপস্থাপন করে। সরকার এর দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

              অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে নিজ দেশে নিজের ইমান ও ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বসবাস করা এই দেশের মুসলিমদের অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের ঈমান ও বিশ্বাসের হেফাজত করতে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে রাষ্ট্র।


              তথ্যসূত্র:
              ১. https://tinyurl.com/5h5axjp5
              ২. https://tinyurl.com/mpk8zu9n
              ৩. https://tinyurl.com/yx3dvzwd
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি


                আওয়ামী লীগের নেতা বা সাবেক এমপি এমনকি সমর্থক হলেও, তারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দিবে বলে জানিয়েছে দলটির কো-চেয়ারম্যান সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

                শনিবার (০৬সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সে এ কথা বলে।

                কো-চেয়ারম্যান মোস্তফা জানায়, আওয়ামী লীগের নেতা বা সাবেক এমপি অথবা সমর্থক কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন মামলা-মোকাদ্দমা নাই কিংবা যে কোন সহিংসতায় জড়িত ছিলে না। সেই ব্যক্তিকে যদি আমরা যোগ্য প্রার্থী মনে করি তাহলে তাকেই আমরা মনোনয়ন দিব। কেন তাকে দেব না, এমন কোন প্রশ্ন শুনতে চাই না। অবশ্যই আমরা আওয়ামী লীগের সেই লোককেই মনোনয়ন দেব। কারণ আমাদের ক্যানডিডেট ক্রাইসিসকে ওভারকাম করার জন্য আমরা এটা করব।

                সে আরো বলে, ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেব। এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চাইতে যদি ভালো শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়া যায়, তার যদি ক্লিন ইমেজ থাকে এবং তার বিরুদ্ধে সহিংসতার কোনো আলামত না থাকে তাহলে দেব না (মনোনয়ন) কেন অবশ্যই দেব। ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে। সেখানে যদি ক্লিন ইমেজের লোক যদি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে তাহলে তার তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দেব।


                তথ্যসূত্র:
                ১. আ.লীগ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি
                https://tinyurl.com/2x42dt6k
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  হাটহাজারি মাদ্রাসা নিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন; প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ১৪৪ ধারা জারি



                  চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলামের ‎সামনে এক যুবক অবমাননাকর অঙ্গভঙ্গি করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নিজেদের সুন্নি দাবি করা মাজারপন্থীরা মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

                  ‎শনিবার (৬ সেপ্টম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন ১৪৪ ধারা জারি করে।

                  ‎আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এবং উপজেলা গেইট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, হাটহাজারী পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।‎

                  এর আগে ‎শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেয় আরিয়ান ইব্রাহীম নামে এক যুবক। এ ঘটনায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ‎পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ পৌর সদর থেকে আরিয়ান ইব্রাহীম নামে ওই যুবককে আটক করে। আটক আরিয়ান ইব্রাহীম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড়ের মুহাম্মদ মুসার ছেলে। আটকের পর সে ভিডিও বার্তায় উক্ত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চায়।‎

                  ‎এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেল থেকে হাটহাজারী পৌর এলাকায় বিক্ষোভ করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র ও স্থানীয়রা। পৌরসভার গোল চত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। সন্ধ্যার পর তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় কথিত সুন্নি দাবিদারেরা।


                  তথ্যসূত্র:
                  ১. হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ওপর সুন্নিদের হামলা, ১৪৪ ধারা জারি
                  -https://tinyurl.com/mupr56dt
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হাটহাজারি মাদ্রাসা নিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন; ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার


                    চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সামনে আরিয়ান ইব্রাহীম নামের এক যুবকের অশোভন অঙ্গভঙ্গির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয় এবং অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড শাখা ছাত্রদলের সভাপতি বলে ফেসবুকে দাবি করছে।

                    স্থানীয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, আরিয়ান ইব্রাহীম শনিবার সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে ওই ছবিটি পোস্ট করে। বিষয়টি জানাজানি হলে কওমি মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফটিকছড়ি থানা-পুলিশ তাকে পৌর সদর থেকে গ্রেফতার করে। আরিয়ান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আটক হওয়ার পর সে ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে।

                    ঘটনার পর হাটহাজারী পৌর এলাকার গোলচত্বরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন।


                    তথ্যসূত্র:
                    ১. হাটহাজারীর ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আরিয়ান ইব্রাহিম গ্রেফতার
                    https://tinyurl.com/mrxk8sfr
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment

                    Working...
                    X