Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১লা রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১লা রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    ভারতে মুসলিম পরিবারকে টার্গেট করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নৃশংস হামলা

    ​ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাপুরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে এক মুসলিম পরিবার। ওই হামলায় তিনজন গুরুতরভাবে আহত হন এবং পরিবারের বোরখা পরিহিত নারীরা প্রকাশ্যে হেনস্তার শিকার হন।

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর মুসলিম মিরর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাখোয়া থানার অন্তর্গত মাসুতা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। গাজিয়াবাদের মছিনা গ্রামের বাসিন্দা সজিদ তার পরিবার নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ডজনখানেক হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতকারী লোহার রড ও ইট নিয়ে তাদের গাড়ি আটকায়। মুহূর্তেই গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং চালকসহ পরিবারের সবাইকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। বোরকা পরিহিত নারীরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি।

    হামলার সময় শাহজাদ নামের স্থানীয় এক যুবক প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও অমানবিকভাবে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    এ ঘটনায় পুলিশ নিশান্ত, ছোটু, শিবা ও মোহিত নামে চারজন হিন্দুত্ববাদীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ভারতে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দোষীদের গ্রেপ্তার দেখানো হলেও পরবর্তীতে তাদেরকে কোনো বিচার ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ধারাবাহিকভাবে ইসলামবিদ্বেষী হামলার প্রবণতা বাড়ছে।

    হাপুর ও আশপাশের জেলার মুসলিম নেতারা এই আক্রমণকে উত্তর প্রদেশে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে চলা গণপিটুনির এক উদ্বেগজনক ধারা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, অপরাধীদের কার্যকর শাস্তি না দেওয়ায় এ ধরনের সহিংসতাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।



    তথ্যসূত্র:
    1. Mob attack on Muslim family in UP’s Hapur sparks outrage and calls for justice
    https://tinyurl.com/y8dkxrd4

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    রাজস্থানে গরু বহনের অভিযোগে মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা



    ভারতের রাজস্থানে আবারও গো-রক্ষার নামে হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার শেরু লাম্বিয়া নামে এক মুসলিম যুবক গত ২২ সেপ্টেম্বর মেলা থেকে গবাদিপশু নিয়ে ফিরছিলেন। পথে কথিত উগ্র গো-রক্ষকরা তার গাড়ি আটকে নির্মমভাবে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    চিকিৎসকদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শেরুর মাথায় ভয়াবহ আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং শরীরজুড়ে অসংখ্য ক্ষত ও কাটা ঘা পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড বলেই স্পষ্ট।

    মানবাধিকারকর্মী ইমরান রংরেজ ঘটনাটিকে ‘মানবতার হত্যা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে মানুষ মারা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নীরব, ব্যর্থ।’ সাংবাদিক বাবলু সাগর মন্তব্য করেছেন, ‘এটি শুধু একজনের মৃত্যু নয়, বরং গোটা সমাজের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

    ঘটনার পর পুলিশ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে বিস্ময়কর বিষয় হলো, নিহত শেরুর বিরুদ্ধেও গরু পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ভুক্তভোগীকে সুরক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে প্রশাসন উল্টো তাকেই দোষারোপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম সমাজ পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ‘ধর্মের নামে সহিংসতা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের হামলা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা সমাজকেই আতঙ্কিত করছে।’

    উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একই কায়দায় একের পর এক মুসলিমকে লক্ষ্য করে লিঞ্চিং চালানো হয়েছে। গো-রক্ষার নামে এই সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে, আর প্রশাসন অনেক সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Rajasthan: Muslim Man Lynched While Transporting Cattle in Bhilwara
    https://tinyurl.com/bdf4m768
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শহীদ আরও ৩৮


      ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হত্যাযজ্ঞ চলছেই। সর্বশেষ ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বর্বর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর ফলে এই ভূখণ্ডে শহীদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

      এতে বলা হয়, গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৩৮২ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি।

      মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ৩৮ জনের মরদেহ হাসপাতালগুলোতে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৯০ জন।

      বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

      এছাড়া, মঙ্গলবার মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এতে গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টায় শহীদ মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৫২৬ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১৮,৫১১ জনে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Gaza death toll nears 65,400 as Israel continues genocidal war on Palestinians
      https://tinyurl.com/4j5p78sd
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবার ট্রাম্পের রোষানলে ইরানের চাবাহার বন্দর হারাচ্ছে ভারত


        ইরানের চাবাহার বন্দরে কার্যরত সংস্থাগুলোর ওপর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেল ভারত, কারণ কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে দেশটি। আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধির মূল পরিকল্পনার কেন্দ্রে ছিল চাবাহার। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি দিল্লির বহুমুখী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়ালো।

        বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী মুখপাত্র থমাস পিগাট এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছে। সে বলেছে, চাবাহারে কাজ চালানোর জন্য ২০১৮ সালে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল, যা এখন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। ইরানকে একঘরে করার যে কৌশল ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়েছে, এই ঘোষণা তারই অংশ।
        বন্দরের একটি টার্মিনাল সম্পূর্ণভাবে ভারত পরিচালনা করে থাকে। আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য এই বন্দর ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের দক্ষিণ উপকূলে সিস্তান-বালুচিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত চাবাহার বন্দর ভারত আর ইরান যৌথভাবে গড়ে তুলছে।

        কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ওই বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থাগুলির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতকে সাজা দেওয়া হলো।

        এই সিদ্ধান্ত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে। এরপরে যারাই চাবাহার বন্দরে পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকবে বা আইএসিএ অনুযায়ী অন্যান্য কাজকর্মে শামিল হবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে।

        যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা ভারতের জন্য বড় ধাক্কা, কারণ চাবাহার বন্দর প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ভারত। কানেক্টিভিটি ডিপ্লোম্যসির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেও চাবাহার বন্দরকে দেখে থাকে দিল্লি।

        দিল্লি চেয়েছিল, পাকিস্তানকে এড়িয়ে ভারতীয় পণ্য যাতে সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর অর্থাৎ আইএনসিটিসির মাধ্যমে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে পৌঁছানো যায়।

        আইএনসিটিসি প্রায় ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বহুমুখী পরিবহন প্রকল্প। এই পরিবহন পথ দিয়ে ভারত, ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য চলাচল অনেক সুবিধাজনক হয়েছে।

        ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর অর্থাৎ আইএনসিটিসির জন্য চাবাহার বন্দর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই পথ দিয়ে ইউরোপ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে ভারতীয় পণ্য। আবার ইরান আর রাশিয়ার জন্যও আইএনসিটিসি যথেষ্ট লাভজনক।

        কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপরে চাপ আরও বাড়াচ্ছে। ভারতীয় পণ্যের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পরে এখন ভারতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা ভারতের জন্য একটা কৌশলগত ধাক্কা।

        চাবাহার বন্দর শুধু ভারত-ইরান সহযোগিতার প্রকল্প নয়, বরং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাকিস্তানের গওয়াদর বন্দরের জবাব হিসেবে দিল্লি বহু বছর ধরে যে উদ্যোগটি গড়ে তুলেছিল, সেটিই এখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপন্ন অবস্থায়। এতে ভারত শুধু তার বহুল কাঙ্ক্ষিত আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি হারাচ্ছে না, বরং কৌশলগতভাবে চীন ও পাকিস্তানের কাছে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই বলা যায়, ওমান উপসাগরের এই বন্দর নিয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক সমীকরণ এখন দিল্লির জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

        তথ্যসূত্র:
        1.Big blow for India? How Trump’s killing of Chabahar port waiver will hit Delhi
        https://tinyurl.com/mj7zej49
        2. ইরানের চাবাহার বন্দরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারতের জন্য কতবড় ধাক্কা?
        https://tinyurl.com/5yat33hr
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চাঁদা না দেওয়ায় টেম্পুস্ট্যান্ডে যুবদল নেতা-কর্মীদের হামলা



          ফরিদপুরে চাঁদা না পেয়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে ভাঙচুর চালিয়েছে যুবদলের ন্থানীয় নেতাকর্মীরা। সংগঠনের জেলা শাখার সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে এ হামলা হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

          প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, ৫০-৬০ দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে সেখানে যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ কমপক্ষে ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

          প্রবীণ চালক মো. লাভলু বলেন, হাজরাতলা মোড় থেকে সালথাগামী একজন মাহেন্দ্র চালক নিয়ম ভঙ্গ করে যাত্রী তুলতে গেলে তাকে লাইনম্যান বাধা দেয়। এনিয়ে তাদের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। এর কিছুক্ষণ পরে যুবদলের নেতা লিমনের নির্দেশে হামলা চালানো হয়। লিমনের সহযোগী সোহেল, শাহিন, মিন্টুর নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা অপেক্ষমাণ সবগুলো গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় কয়েকজন আহত হয়।

          তথ্যসূত্র:
          ১. চাঁদা না পেয়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে ভাঙচুর যুবদল নেতাকর্মীর
          https://tinyurl.com/38px2uvt
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগ প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে এবং ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: আহলে হাদীস বাংলাদেশ



            ​“শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের পথ নয় বরং নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠনেরও মাধ্যম”এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরি হলের জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা শীর্ষক এক বর্ণাঢ্য জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

            অনুষ্ঠানটি শুব্বানের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফেজ আব্দুল্লাহ বিন হারিছ এর কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিঞা মো. নুরুল হক । প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া)’র আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.আ.ব.ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী। এছাড়া আরও আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সহ-সভাপহি অধ্যাপক ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী, সেক্রেটারী জেনারেল ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খাঁন মাদানী, সরকারী তিতুমীর কলেজের অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ ফতিহুল কাদির, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর)’র অধ্যাপক ড. আমান উদ্দীন মোঃ মুজাহিদ, সউদী আরবের কিং খালিদ ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হেদায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের নির্বাহী সদস্য ড. মুজাফফর বিন মুহসিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

            প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “অনতিবিলম্বে সরকার ঘোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে এবং ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, এটা এদেশের ৯০% মুসলিমের পক্ষে এবং বিশেষ করে এদেশের চার কোটি আহলে হাদীসের পক্ষ থেকে আমাদের দাবী।” আমরা আশা করি সরকার আমাদের দাবী মেনে নিবে। প্রধান আলোচক তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের কোমলমতি শিশুদের ছোটবেলায় যে শিক্ষায় আমরা গড়ে তুলি, সেই শিক্ষা নিয়ে ওরা বেড়ে উঠে। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন।”

            আলোচকবৃন্দ একমত হয়ে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষার মানোন্নয়নে টেকসই নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গানের শিক্ষক প্রজ্ঞাপন বাতিল পূর্বক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

            তথ্যসূত্র:
            ১. বিদ্যালয়ে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন
            https://tinyurl.com/29dtk56j
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              মোদির সফর নিশ্চিত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একদিনে ১৬ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা আ.লীগ প্রশাসন


              ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের সাড়ে ১৫ বছর ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের কাছে দুঃসহ স্মৃতি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর আগ পর্যন্ত জেলায় অন্তত ৩৬ জন বিরোধী দল-মতের মানুষ আওয়ামী লীগের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ। বিশেষ করে রিমান্ডে নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে জামায়াত নেতার মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ক্ষতের সৃষ্টি করে।

              স্থানীয় সচেতন মানুষ ও রাজনৈতিক দলের ভুক্তভোগীরা গণমাধ্যমকে জানায়, দিনের পর দিন রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার হুলিয়া নিয়ে বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাকর্মীকে। অহেতুক কারাবরণ করিয়ে রিমান্ডের নামে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে অনেককে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় আলেম সমাজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের স্টিম রোলার।

              স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজনৈতিক সৌহার্দের অনন্য দৃষ্টান্ত ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তবে ২০০৯ সালের নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর জেলার রাজনীতির চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। নিজস্ব ফায়দা হাসিলের জন্য বিরোধীদলীয় মত দমনে লাগামহীন হয়ে পড়ে আওয়ামী ক্যাডাররা। এর সঙ্গে প্রশাসনকে দলীয়করণের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় জনগণের বিরুদ্ধে। সরকারের নেতিবাচক দিক নিয়ে কেউ কথা বললেই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে হামলা, মামলা, দমন, নিপীড়ন, খুন সবই যেন ছিল মামুলি ব্যাপার।

              শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হিন্দুদের টার্গেট করে হামলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হতো নিপীড়ন। যার উদাহরণ ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের সংসদ সদস্য (এমপি) এবং তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হককে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে এলাকার হিন্দু বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে। আর এই ষড়যন্ত্রের জন্য সায়েদুল হক সরাসরি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগও এনেছে। সে সময় এ ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয় মোকতাদির চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর জেলা যুবলীগ নেতা ও হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি।

              হেফাজতে ইসলামের ওপর হত্যাযজ্ঞ : নিহত ১৬, আহত শতাধিক

              ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালায় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী প্রশাসন। নির্বিচারে ১৬ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করে শতাধিক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভারতে মসুলিম নিধনের সঙ্গে মোদির সম্পৃক্ততার কারণে তার আগমনে আপত্তি জানান শীর্ষ আলেম-ওলামারা। পরে ২৬ মার্চ বিক্ষোভের ডাক দেন হেফাজতে ইসলামে নেতাকর্মীসহ মাদরাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতা। এর জেরে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ তাদের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরের কান্দিপাড়ায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা করে।

              এ সময় মাদরাসা রক্ষায় স্থানীয় জনগণও মাঠে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ২৭ ও ২৮ মার্চ পুরো জেলাজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এতে ১৬ জন নিহত হন। পরে তাদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে শোক নেমে আসে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবার মামলা করতে চাইলেও নেয়নি পুলিশ। উল্টো জেলার বিভিন্ন থানায় আলেম-ওলামাসহ বিএনপি, জামায়াত ও ভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে ৫৫টি মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়।

              পুলিশ-ছাত্রলীগ মিলে মাদরাসায় হামলা, ছাত্রকে গুলি করে খুন

              ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ছাত্রলীগের কয়েক নেতার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাদরাসাছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তাল হলে পুলিশও মাদরাসাছাত্রদের ওপর আগ্রাসী হয়। এক পর্যায়ে মাদরাসাছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

              নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা

              জেলায় সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি মোকতাদির চৌধুরী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে এই দাঙ্গার সৃষ্টি করে। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রসরাজ দাস নামে এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবা শরিফের ওপর শিবমন্দিরের ছবি পোস্ট করা হয়।

              এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপরও তীব্র প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। কয়েকটি ইসলামি সংগঠন ও স্থানীয় মুসলমানরা পরদিন (৩০ অক্টোবর) প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয়। পৃথক দুটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন একদল লোক বহু হিন্দু বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়।

              ঘটনা ঘটার পরপরই সেই আসনের সংসদ সদস্য প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও তৎকালীন মৎস্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরীকে এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে মোকতাদিরের সহচর ও যুবলীগ নেতা আঁখিকে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। কিন্তু এসব মামলায় আসামি করা হয় বিএনপি-জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীদের। এখনো এসব মামলায় ভুগছেন তারা।

              জুলাই বিপ্লবে নিহত ২৭ জন

              আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন-অপশাসনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গর্জে উঠেছিল ছাত্র-জনতা। তারা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেশকে মুক্ত করেছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। এর মধ্যে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের নাম সবার কাছেই পরিচিত। তিনি শহরের কাজীপাড়া এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের ছেলে। এ ছাড়া অন্যান্য শহীদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার বড়িশ্বল গ্রামের হোসেন (১২), নাসিরনগরের গোয়ালনগর গ্রামের মো. ইমরান (১৯), সরাইলের বারপাইকা গ্রামের জসীম মিয়া (৩৫), মলাইশ গ্রামের মোবারক হোসেন (১৩), ফহেতপুর গ্রামের হাফেজ মুফতি মাহমুদুল হাসান মাহদী (২৬), তেলিকান্দা গ্রামের মো. রায়হান উদ্দিন (১৯), বিজয়নগরের পত্তন গ্রামের ওমর (২০), নবীরগরের ভিটি বিশার গ্রামের ছাত্র জাহিদুজ্জামান তানভীর (২৬), থোল্লাকান্দি গ্রামের রফিক (১৮), গৌরনগর গ্রামের কামরুল ইসলাম (১৭), বিটঘর গ্রামের তানজিল মাহমুদ সুজন (১৯), নবীনগর পৌরসভার গোলাম নাফিজ (১৬), বাঞ্ছারামপুরের নতুনহাটি গ্রামের ইসমাইল (৫০), সোনারামপুর গ্রামের তুহিন (২৫), ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের জিসান, ফরদাবাদ গ্রামের ইমরান (২১), দড়িকান্দি গ্রামের আশিকুর রহমান প্রমুখ।


              তথ্যসূত্র:
              ১. মোদির সফর নির্বিঘ্ন করতে ১৬ জনকে হত্যা
              https://tinyurl.com/495c62b4
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নারী ও শিশুসহ আরও ১৯ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ


                চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে আরো ১৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর আগে একই সীমান্ত দিয়ে দু’দফায় আরো ২১ জনকে পুশইন করেছিল তারা।

                বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৫টার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাঞ্চান্টার ক্যাম্পের সদস্যরা ভোলাহাট উপজেলার চামুচা ও চাঁনশিকারী বিওপি’র মধ্যবর্তী সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেয়। এ সময় সীমান্তে টহলে থাকা বিজিবি সদস্যরা ১৯ জনকে আটক করে।

                আটকদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ছয় জন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে।

                জিজ্ঞাসাবাদে তারা গণমাধ্যমকে জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কাজের খোঁজে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরে ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ করে। সাজা শেষে ভারতীয় পুলিশ তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশ সীমান্তে এনে পুশইন করে।

                তথ্যসূত্র:
                ১. আবারও ১৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ
                https://tinyurl.com/38wrd7tj
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

                  Comment

                  Working...
                  X