Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১১ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৪ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১১ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৪ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

    ‘আমরা মুসলিমদের চিকিৎসা করি না’: গর্ভবতী মুসলিম নারীকে ভারতীয় ডাক্তার


    ভারতের উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে শামা পারভীন নামে এক গর্ভবতী মুসলিম নারীকে কেবলমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে এক উগ্র হিন্দুত্ববাদী চিকিৎসক। গত ৩ অক্টোবর ভারতীয় গণমাধ্যম মুসলিম মিরর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

    ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী নারী জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসক প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় যে, মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টায় আমাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এখনো আমার ডেলিভারি হয়নি। চিকিৎসক নির্দেশ দিয়েছেন আমাকে অপারেশন থিয়েটারে না নিতে। আমি বিছানায় কষ্টে শুয়ে আছি, অথচ ডাক্তার স্পষ্টভাবে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেছেন।’

    শামা পারভীনের স্বামী আরমান জানান, চিকিৎসক সব রোগীকে দেখেছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর স্ত্রী এবং আরেক মুসলিম নারীকে বাদ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সে তাঁর ঘৃণিত সাম্প্রদায়িক মানসিকতা প্রকাশ করেছে।

    শামা পারভীন বলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী চিকিৎসকের মুখোমুখি হয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদ করলেও ওই চিকিৎসক নির্লজ্জভাবে মুসলিম বিরোধী মনোভাবেই অটল থাকে।

    ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ঘৃণা ও বৈষম্যের এটি আরেকটি জঘন্য উদাহরণ।

    অন্যদিকে কলকাতায়ও এক মুসলিম নারীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছিল আরেক চিকিৎসক। প্রকাশ্যে বলেছিল, সে মুসলিম রোগী দেখে না। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই নারী ও তাঁর পরিবার।


    তথ্যসূত্র:
    1. “We don’t treat Muslims,” Pregnant Muslim woman denied treatment in Jaunpur
    https://tinyurl.com/t42xj3c5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে আরও এক মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে দখলদার ভারতীয় প্রশাসন


    দখলীকৃত কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার পালপোরা গ্রামে আরও একজন মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে দখলদার ভারতীয় প্রশাসন।

    গত ২ অক্টোবর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাজির আহমদ গণি নামে এক কাশ্মীরি নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় প্রশাসন। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থান করছেন। ভারতীয় প্রশাসন দাবি করেছে, তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত। তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে স্বাধীনতাকামীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। এজন্য তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    তবে স্থানীয়রা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাশ্মীরি মুসলিমদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করার একটি হীন কৌশল হিসেবে দেখছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Authorities seize property of another Kashmiri in IIOJK
    https://tinyurl.com/bdhb2wdn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উত্তরপ্রদেশে নবীপ্রেমী জনতার মিছিলে পুলিশি হামলার ঘটনায় উত্তেজনা, চার জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ



      ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বেরেলিতে নবীপ্রেমী জনতার মিছিলে পুলিশের সংঘর্ষের পর চার জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন ৪৮ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড এবং এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে এবং বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করেছে।

      গত ২ অক্টোবর মুসলিম মিরর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তেজনা যাতে আর না ছড়ায় সে জন্যই জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই নিশ্চিত করেছে যে গত ২ অক্টোবর বিকেল ৩টা থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড এবং এসএমএস পরিষেবা স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করেছে ভারত সরকার।

      প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মহল ধারাবাহিকভাবে রাসূল (ﷺ)-কে নিয়ে চরম কটূক্তি চালিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদে বেরেলির মুসলিম সমাজ ‘আই লাভ মুহাম্মাদ’ (ﷺ) প্রচারণা শুরু করে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৬ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলে বের হয়।

      কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলাকালে বিজেপি-নিয়ন্ত্রিত পুলিশ মিছিলে নির্বিচারে হামলা চালায়। এতে অসংখ্য মুসল্লি আহত হন এবং বহুজনকে আটক করা হয়। হামলার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে বেরেলিসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায়।

      হিন্দুত্ববাদী পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করেছিল। তবে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে পুলিশই প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এরপর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশকে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

      নবীপ্রেমী জনতার মিছিলে পুলিশের হামলার ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:
      https://archive.org/details/bareilly...nce-26-09-2025



      তথ্যসূত্র:
      1. I Love Muhammad: Four districts in Bareilly on high alert, drones stationed, internet suspended for two days
      https://tinyurl.com/yc25ma7c
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষী হলুদ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ: হেফাজতে ইসলাম


        প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ইসলামবিদ্বেষী ফ্রেমিংয়ের সাংবাদিকতা পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ ও পক্ষপাতমুক্ত সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

        শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ আহ্বান জানান।

        সম্প্রতি প্রথম আলোর কয়েকটি ধর্ষণের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে প্রথম আলোর প্রকাশিত কয়েকটি ধর্ষণের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমতের সুযোগ নেই যে, গোষ্ঠী বা ধর্মপরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে প্রমাণসাপেক্ষে ধর্ষক বা যেকোনো অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। কিন্তু ধর্ষণের সংবাদ করার ক্ষেত্রে প্রথম আলোর সাংবাদিকতার এথিক্স ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। লক্ষণীয়, ধর্ষণবিষয়ক সংবাদে ধর্ষক যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ হয়, অথবা পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর কেউ হয়, তখন তার সামাজিক, পেশাগত ও গোষ্ঠীগত পরিচয় ব্ল্যাকআউট করে দেয় প্রথম আলো। অন্য দিকে, কোনো ধর্ষক মুসলিম সম্প্রদায়ের হলে তার পেশাগত ও গোষ্ঠীগত পরিচয়কে হাইলাইট করে কথিত প্রগতিশীল পত্রিকাটি। বিষয়টি এতই চাক্ষুষ যে, বোঝার জন্য গভীর কোনো বিবেচনারও দরকার পড়ছে না। প্রথম আলোর সাংবাদিকতা স্পষ্টত ইসলামবিদ্বেষ ও ওলামাবিদ্বেষে আক্রান্ত। এর নেপথ্যে প্রথম আলোর দীর্ঘ রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক প্রকল্পও বিদ্যমান বলে আমরা মনে করি।”

        তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষী হলুদ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রথম আলো। ইন্ডিয়ান আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের রাজপথের আন্দোলন-প্রতিরোধকে প্রায়সময় ‘তাণ্ডব’ আখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতার পরিচয় দিয়েছে পত্রিকাটি। এটি সেই পত্রিকা, যেখানে ২০০৭ সালে মুসলিম বিশ্বের প্রাণের স্পন্দন প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপা হয়েছিল। বাংলাদেশবিরোধী ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব হয়ে দেশের জনগণের ওপর দিল্লির দৈত্য চাপিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিল প্রথম আলো-ডেইলি স্টার গং।”

        মাওলানা ইসলামাবাদী বলেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের পাপ ও জুলুম অনেক দীর্ঘ। পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার অনুগত র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহকৃত জঙ্গিবিষয়ক খবর ভেরিফিকেশন ছাড়াই প্রচার করত ভারত-আমেরিকার যৌথ ওয়ার অন টেরর প্রজেক্টের অন্যতম ঠিকাদার পত্রিকা দুটি। তাদের জঙ্গি-ন্যারেটিভ হাসিনার বিরোধী মত দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখত। ফলে সাজানো জঙ্গি মামলায় অসংখ্য নিরপরাধ প্র্যাাকটিসিং মুসলিম তরুণের ঠাঁই হয় আয়নাঘরে। এই দীর্ঘ জুলুমের দায়ে পত্রিকা দুটির সম্পাদকের বিচার হতে হবে। তাছাড়া ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পক্ষে বয়ান উৎপাদনে বিভিন্ন সময় কলামও লিখেছিলেন।”

        তিনি আরো বলেন, “এখন নিউ মিডিয়ার যুগ। মেইনস্ট্রিমে আগের মতো একতরফা জনমত গঠন ও জুলুমের বয়ান নির্মাণ আর সম্ভব নয়। সময় ও পটপরিবর্তন হয়েছে। তাই প্রথম আলোকে ইসলামবিদ্বেষী ফ্রেমিং পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ ও পক্ষপাতমুক্ত সাংবাদিকতা করতে হবে। এখন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বদলে যাওয়ার সময়।”


        তথ্যসূত্র:
        ১.প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ইসলামবিদ্বেষী সাংবাদিকতা পরিহারের আহ্বান হেফাজতের
        -https://tinyurl.com/4xpj93yu
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মূর্তি বিসর্জনের আগে বহু মসজিদ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন


          ভারতের হায়দ্রাবাদে হিন্দুদের দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের আগে বেশ কয়েকটি মসজিদ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তার অজুহাতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দাবি করলেও, অনেকেই একে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখছেন।

          গত ৩ অক্টোবর মুসলিম মিরর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্গাপূজা মিছিলের আগে হায়দ্রাবাদের আফজালগঞ্জ, পাথরগাট্টি, সিদ্দিকআম্বর বাজার, মোয়াজ্জম জাহি মার্কেটসহ ওল্ড সিটির বিভিন্ন এলাকার মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন দাবি করেছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এটি করা হয়েছে।

          এর আগে গত সেপ্টেম্বরে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও একইভাবে মসজিদগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এটি কি কেবল নিরাপত্তার জন্য, নাকি মুসলিম সম্প্রদায়কে চিহ্নিত ও প্রান্তিক করার আরেকটি ইঙ্গিত?

          অনেকেই বলছেন, হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের এই ধরণের সিদ্ধান্ত ভারতে ধর্মীয় সহাবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে এবং সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

          তথ্যসূত্র:
          1. Mosques covered in Hyderabad ahead of Durga idol immersion in Hyderabad
          https://tinyurl.com/y5pse6kz
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X