বিশ্বে ১৩ দেশের সরকারেই নেই কোনো নারী সদস্য
আফগানিস্তানের নতুন গঠিত তালেবানের মন্ত্রী সভায় নারী সদস্য না রাখায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। শুধু কি আফগানিস্তান এমন আরও ১২টি দেশ আছে যে দেশগুলোর সরকারে কোনো নারী সদস্য নেই।
তালেবানের নতুন গঠিত আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে বিশ্বের ১৩তম সরকার, যার মন্ত্রিসভায় কোনো নারী নেই।
বিশ্বের দেশগুলোর জাতীয় পার্লামেন্টসমূহের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) তথ্য অনুসারে, অন্য ১২টি দেশ হচ্ছে আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, ব্রুনাই, উত্তর কোরিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনজ, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু, ভিয়েতনাম ও ইয়েমেন।
আইপিইউর তথ্য অনুসারে, তালেবানের নিয়ন্ত্রনের আগে পূর্ববর্তী আশরাফ গনির আফগান সরকারের মন্ত্রিসভায় নারীর অবস্থান ছিলো ছয় দশমিক পাঁচ ভাগ। গনি মন্ত্রিসভার প্রায় ৩০ জন মন্ত্রীর মধ্যে তিনজন ছিলেন নারী।
১৯৯৬ সালে তালেবানের প্রথম শাসনামলে গঠিত মন্ত্রিসভায়ও কোনো নারী সদস্য ছিলো না।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের বরকতময় হামলার জেরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ হামলার জন্য আফগানিস্তানে আশ্রয়ে থাকা আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে। ওই সময় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কাছে ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায় বুশ।
তালেবান সরকার ওসামা বিন লাদেনকে তুলে দেয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মার্কিনিদের কাছে প্রমাণ চায়। প্রমাণ ছাড়া তারা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বুশ প্রশাসন প্রমাণ দিতে না পেরে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় তালেবান সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়।
তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলতে থাকে দেশটিতে।
এরইমধ্যে আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোও যুক্ত হয়। মার্কিনিদের সমর্থনে নতুন প্রশাসন ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে উঠে দেশটিতে।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সৈন্যদের অভিযানে শহিদ হন ওসামা বিন লাদেন। ২০১৩ সালে অজ্ঞাতবাসে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের মৃত্যু হয়।
তা স্বত্ত্বেও তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখেন।
অবশেষে মার্কিনীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তালেবানরা আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেন।
আফগানিস্তানের নতুন গঠিত তালেবানের মন্ত্রী সভায় নারী সদস্য না রাখায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। শুধু কি আফগানিস্তান এমন আরও ১২টি দেশ আছে যে দেশগুলোর সরকারে কোনো নারী সদস্য নেই।
তালেবানের নতুন গঠিত আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে বিশ্বের ১৩তম সরকার, যার মন্ত্রিসভায় কোনো নারী নেই।
বিশ্বের দেশগুলোর জাতীয় পার্লামেন্টসমূহের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) তথ্য অনুসারে, অন্য ১২টি দেশ হচ্ছে আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, ব্রুনাই, উত্তর কোরিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনজ, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু, ভিয়েতনাম ও ইয়েমেন।
আইপিইউর তথ্য অনুসারে, তালেবানের নিয়ন্ত্রনের আগে পূর্ববর্তী আশরাফ গনির আফগান সরকারের মন্ত্রিসভায় নারীর অবস্থান ছিলো ছয় দশমিক পাঁচ ভাগ। গনি মন্ত্রিসভার প্রায় ৩০ জন মন্ত্রীর মধ্যে তিনজন ছিলেন নারী।
১৯৯৬ সালে তালেবানের প্রথম শাসনামলে গঠিত মন্ত্রিসভায়ও কোনো নারী সদস্য ছিলো না।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের বরকতময় হামলার জেরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ হামলার জন্য আফগানিস্তানে আশ্রয়ে থাকা আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে। ওই সময় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কাছে ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায় বুশ।
তালেবান সরকার ওসামা বিন লাদেনকে তুলে দেয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মার্কিনিদের কাছে প্রমাণ চায়। প্রমাণ ছাড়া তারা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বুশ প্রশাসন প্রমাণ দিতে না পেরে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় তালেবান সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়।
তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলতে থাকে দেশটিতে।
এরইমধ্যে আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোও যুক্ত হয়। মার্কিনিদের সমর্থনে নতুন প্রশাসন ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে উঠে দেশটিতে।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সৈন্যদের অভিযানে শহিদ হন ওসামা বিন লাদেন। ২০১৩ সালে অজ্ঞাতবাসে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের মৃত্যু হয়।
তা স্বত্ত্বেও তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখেন।
অবশেষে মার্কিনীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তালেবানরা আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেন।
Comment