Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৫ই সফর, ১৪৪৩ হিজরি | ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৫ই সফর, ১৪৪৩ হিজরি | ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ঈসায়ী |

    বিশ্বে ১৩ দেশের সরকারেই নেই কোনো নারী সদস্য

    আফগানিস্তানের নতুন গঠিত তালেবানের মন্ত্রী সভায় নারী সদস্য না রাখায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। শুধু কি আফগানিস্তান এমন আরও ১২টি দেশ আছে যে দেশগুলোর সরকারে কোনো নারী সদস্য নেই।

    তালেবানের নতুন গঠিত আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে বিশ্বের ১৩তম সরকার, যার মন্ত্রিসভায় কোনো নারী নেই।

    বিশ্বের দেশগুলোর জাতীয় পার্লামেন্টসমূহের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) তথ্য অনুসারে, অন্য ১২টি দেশ হচ্ছে আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, ব্রুনাই, উত্তর কোরিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনজ, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু, ভিয়েতনাম ও ইয়েমেন।

    আইপিইউর তথ্য অনুসারে, তালেবানের নিয়ন্ত্রনের আগে পূর্ববর্তী আশরাফ গনির আফগান সরকারের মন্ত্রিসভায় নারীর অবস্থান ছিলো ছয় দশমিক পাঁচ ভাগ। গনি মন্ত্রিসভার প্রায় ৩০ জন মন্ত্রীর মধ্যে তিনজন ছিলেন নারী।

    ১৯৯৬ সালে তালেবানের প্রথম শাসনামলে গঠিত মন্ত্রিসভায়ও কোনো নারী সদস্য ছিলো না।
    ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের বরকতময় হামলার জেরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ হামলার জন্য আফগানিস্তানে আশ্রয়ে থাকা আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে। ওই সময় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কাছে ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায় বুশ।

    তালেবান সরকার ওসামা বিন লাদেনকে তুলে দেয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মার্কিনিদের কাছে প্রমাণ চায়। প্রমাণ ছাড়া তারা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

    বুশ প্রশাসন প্রমাণ দিতে না পেরে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় তালেবান সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়।

    তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলতে থাকে দেশটিতে।

    এরইমধ্যে আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোও যুক্ত হয়। মার্কিনিদের সমর্থনে নতুন প্রশাসন ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে উঠে দেশটিতে।

    ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সৈন্যদের অভিযানে শহিদ হন ওসামা বিন লাদেন। ২০১৩ সালে অজ্ঞাতবাসে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের মৃত্যু হয়।

    তা স্বত্ত্বেও তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখেন।

    অবশেষে মার্কিনীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তালেবানরা আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    তালিবান কর্তৃক শরিয়াহ শাসনের সমর্থনে কাবুলে মিছিল করলো আফগান নারী শিক্ষার্থীরা

    গত শনিবার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারের সামনে তিনশোরও বেশি নারী শিক্ষার্থী তালিবান সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বোরকায় সারা শরীর ঢেকে এ র*্যালিতে অংশ নেয়। ইউরো নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া

    তালিবানের জারি করা শরিয়া আইন,পোশাক পরিধানের ব্যাপারে ইসলামি নীতিমালার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে সেই নারীরা। তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিলো তালিবানের সাদাকালো পতাকা। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছিলো তারা। তালিবানের সশস্ত্র প্রহরায় র*্যালিতে অংশ নেওয়ার পর তারা একটি সমাবেশে যোগ দেয়। বিজনেস ইনসাইডার

    সম্প্রতি কিছু নারী স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বিভিন্ন অযুক্তিক দাবিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে তালিবান বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলো। শনিবারের সমাবেশে তালিবান সমর্থনকারী নারী শিক্ষার্থীরা সেইসব প্রতিবাদকারী নারীদেরও সমালোচনা করেছেন।

    গত মাসে কাবুল বিজয়ের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর শরিয়াহ অনুযায়ী নারীদের অধিকার বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে তালিবান। তালিবান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,আফগান নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে। তবে তাদের অবশ্যই আবায়া ও নিকাব পরিধান করতে হবে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3

      আমি এখন খুব খুশি; এখানে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না- আফগান কর্মজীবী নারী


      তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই কাজে ফিরতে শুরু করেছেন আফগান নারীরা। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তালেবানের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং শুরু থেকেই নারীদেরও কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়েছে যে, নারীরা ইসলামি শরীয়া মেনে হিজাব পরে বাইরে বের হতে পারবেন এবং নিজেদের কর্মক্ষেত্রেও ফিরতে পারবেন।

      তালেবানের এমন আশ্বাস পাওয়ার পর নারীরা এখন কাজে ফিরছেন। তালেবান আফগানিস্তান দখলের আগে বিমানবন্দরে কাজ করতেন রাবিয়া জামাল নামের এক নারী। তালেবান নতুন সরকার গঠনের পর তিনি এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনিও আবারও কাজে ফিরেছেন। তিন সন্তানের এই মা এই নারী বলছেন, তার আসলে আর কিছুই করার নেই।

      রাবিয়া বলেন, আমার পরিবারের জন্য আমাকে অর্থ উপার্জন করতে হবে। গাঢ় নীল রংয়ের বোরকা পরে মুখ ঢেকে রেখেছেন তিনি। তিনি বলেন, বাড়িতে বসে থেকে আমার খুব চিন্তা হচ্ছিল। আমার খুব খারাপ লাগছিল।

      গত ১৫ আগস্ট তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরে করতাম।

      শনিবার বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে ছয় নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা গল্প করছিলেন এবং একে অন্যের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছিলেন। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের আগে নারী যাত্রীদের তল্লাশি করছিলেন তারা।

      রাবেয়ার বোন কুদসিয়া জামাল (৪৯) এএফপিকে জানান, তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার খবরে তিনি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।

      পাঁচ সন্তানের জননী এই নারী জানান, তার পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার। তিনি প্রথমে ভয় পেলেও এখন কাজে যেতে আর বাঁধা নেই। তিনি বলেন, আমি এখন খুব খুশি। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ মিডিয়ার ভাইদের সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X