যুক্তরাজ্যের আফগান অভিবাসীরাও আমেরিকান শরণার্থীদের মতোই কষ্টে আছেন : দেশে ফিরতে চায় অনেকে।
গত ১৫ আগস্ট তালিবান প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর হাজার হাজার আফগান আমেরিকা ব্রিটেনে পারি জমায়, যাদের অধিকাংশি ছিল আগ্রাসী বিদেশি বাহিনীর হয়ে কাজ করা লোকজন।
তালিবানরা যদিও সবার জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছিল, তবুও এই আফগানরা ইউরোপ-আমেরিকার চকচক রঙিন প্রলেপ দেখে সেসব দেশে শরণার্থী হয়ে পারি জমায়। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ইউরোপ-আমেরিকার ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থার নীচে চাপা পরে, অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদেরকে সেসব পশ্চিমা দেশে।
যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা বহু আফগান শরণার্থী দেশে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন। এসব আফগান নাগরিককে বসতবাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়নি। সাত হাজার আফগান নাগরিককে হোটেলে অনেকটা বন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্রিটিশ সরকারের ব্যর্থতার পর হতাশ হয়ে তারা এখন দেশে ফিরতে চান। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তার যিনি ব্রিটেনে আফগান নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত, তিনি ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন আফগান নাগরিক আমাকে বলেছেন- তারা এখন দেশে ফিরে যেতে চান।… ৬৭ বছর বয়স্ক এক আফগান নাগরিক আমাকে বলেছেন- তিনি আর এই অবস্থা মোটেই সহ্য করতে পারছেন না। তিনি হোটেলের বাইরে যেতে চান।
হোটেলে থাকতে বাধ্য হওয়া আফগান নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। অথচ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরও কয়েক মাস তাদেরকে হোটেলেই থাকতে হতে পারে।
এর আগে আমেরিকাস্থ আফগান শরণার্থীদের অপ্রতুল খাদ্য সরবরাহ এবং তাদের কষ্টকর জীবনের নানান দিক প্রকাশিত হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অথছ যে আফগান জনগণকে কষ্টকর জীবন থেকে ‘রেহাই’ দিতে হলুদ মিডিয়া তালিবানের নামে সত্যমিথ্যা প্রচার করতে থাকে, আর বিশ্ব সম্প্রদায়কে আফগান জনগণের অধিকার রক্ষার দোহাই দিতে থাকে, সেই আফগানরাই যখন আমেরিকা আর যুক্তরাজ্যে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, মিডিয়া তখন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ঐ আফগানদের পশ্চিমা দেশে যাওয়ার হিরিক দেখিয়ে মিডিয়া বারবার প্রচার করতে চেয়েছে যে,- তালিবনারা ভালো হলে মানুষ কেন এভাবে পালাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় মিডিয়া প্লেইনের ডানায় চড়ে আফগানদের পালানর হাস্যকর মিথ্যা খবরও দেখাচ্ছিল। কিন্তু এখন যখন ওইসব কথিত উন্নত দেশে গিয়ে আফগান শরণার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার মতো মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তখন মিডিয়া তাদের পশ্চিমা প্রভুদের ব্যর্থতা আড়াল করতে নিরবতা অবলম্বন করছে।
প্রদীপের নীচের অন্ধকারের সত্য যখন প্রকাশ হয়ে যায়, হলুদ মিডিয়া আর সেকুলার প্রগতিশীলরা তখন মুখ বুজে এভাবেই চুপ হয়ে যায়। এই বুদ্ধিজীবী-মিডিয়া গং-এর উপর তাই কোন দিক থেকেই বিশ্বাস রাখা উচিৎ না সচেতন মুসলিমদের, কারণ এরা জঘন্য ও মিথ্যাবাদী।
তথ্যসূত্র :
——-
১। Some Afghan refugees plead to go home as UK’s resettlement scheme Operation Warm Welcome runs into trouble – https://tinyurl.com/3mcnutar
২। যুক্তরাজ্যে আফগান শরণার্থীদের আকুতি, ‘আমাদের দেশে ফিরতে দিন’ – https://tinyurl.com/a28pj7ps
গত ১৫ আগস্ট তালিবান প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর হাজার হাজার আফগান আমেরিকা ব্রিটেনে পারি জমায়, যাদের অধিকাংশি ছিল আগ্রাসী বিদেশি বাহিনীর হয়ে কাজ করা লোকজন।
তালিবানরা যদিও সবার জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছিল, তবুও এই আফগানরা ইউরোপ-আমেরিকার চকচক রঙিন প্রলেপ দেখে সেসব দেশে শরণার্থী হয়ে পারি জমায়। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ইউরোপ-আমেরিকার ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থার নীচে চাপা পরে, অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদেরকে সেসব পশ্চিমা দেশে।
যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা বহু আফগান শরণার্থী দেশে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন। এসব আফগান নাগরিককে বসতবাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়নি। সাত হাজার আফগান নাগরিককে হোটেলে অনেকটা বন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্রিটিশ সরকারের ব্যর্থতার পর হতাশ হয়ে তারা এখন দেশে ফিরতে চান। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তার যিনি ব্রিটেনে আফগান নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত, তিনি ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন আফগান নাগরিক আমাকে বলেছেন- তারা এখন দেশে ফিরে যেতে চান।… ৬৭ বছর বয়স্ক এক আফগান নাগরিক আমাকে বলেছেন- তিনি আর এই অবস্থা মোটেই সহ্য করতে পারছেন না। তিনি হোটেলের বাইরে যেতে চান।
হোটেলে থাকতে বাধ্য হওয়া আফগান নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। অথচ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরও কয়েক মাস তাদেরকে হোটেলেই থাকতে হতে পারে।
এর আগে আমেরিকাস্থ আফগান শরণার্থীদের অপ্রতুল খাদ্য সরবরাহ এবং তাদের কষ্টকর জীবনের নানান দিক প্রকাশিত হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অথছ যে আফগান জনগণকে কষ্টকর জীবন থেকে ‘রেহাই’ দিতে হলুদ মিডিয়া তালিবানের নামে সত্যমিথ্যা প্রচার করতে থাকে, আর বিশ্ব সম্প্রদায়কে আফগান জনগণের অধিকার রক্ষার দোহাই দিতে থাকে, সেই আফগানরাই যখন আমেরিকা আর যুক্তরাজ্যে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, মিডিয়া তখন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
ঐ আফগানদের পশ্চিমা দেশে যাওয়ার হিরিক দেখিয়ে মিডিয়া বারবার প্রচার করতে চেয়েছে যে,- তালিবনারা ভালো হলে মানুষ কেন এভাবে পালাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় মিডিয়া প্লেইনের ডানায় চড়ে আফগানদের পালানর হাস্যকর মিথ্যা খবরও দেখাচ্ছিল। কিন্তু এখন যখন ওইসব কথিত উন্নত দেশে গিয়ে আফগান শরণার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার মতো মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তখন মিডিয়া তাদের পশ্চিমা প্রভুদের ব্যর্থতা আড়াল করতে নিরবতা অবলম্বন করছে।
প্রদীপের নীচের অন্ধকারের সত্য যখন প্রকাশ হয়ে যায়, হলুদ মিডিয়া আর সেকুলার প্রগতিশীলরা তখন মুখ বুজে এভাবেই চুপ হয়ে যায়। এই বুদ্ধিজীবী-মিডিয়া গং-এর উপর তাই কোন দিক থেকেই বিশ্বাস রাখা উচিৎ না সচেতন মুসলিমদের, কারণ এরা জঘন্য ও মিথ্যাবাদী।
তথ্যসূত্র :
——-
১। Some Afghan refugees plead to go home as UK’s resettlement scheme Operation Warm Welcome runs into trouble – https://tinyurl.com/3mcnutar
২। যুক্তরাজ্যে আফগান শরণার্থীদের আকুতি, ‘আমাদের দেশে ফিরতে দিন’ – https://tinyurl.com/a28pj7ps
Comment