পশ্চিমবঙ্গে মসজিদের ইমামের উপর হামলা : নীরবতায় রাজ্যের সম্মতি দেখছেন বিশ্লেষকরা!
ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে মুসলিমদের উপর ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চলছে। বিজেপি’র শাসনাধীন রাজ্যগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে মুসলিমদের উপর দমন-নিপীড়ন।
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার কোতােয়ালি থানার উত্তর খাপাইডাঙা গ্রামে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম মৌলানা হাবিবুর রহমান। সন্ধ্যায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতি তার উপর তীর-ধনুক দিয়ে আক্রমণ করে। ফলে একটি তীর তাঁর ডানদিকের পেটের উপর অংশে বিঁধে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে একটি নার্সিংহােমে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। পুলিশ এখনো কাউকেই গ্রেফতার করেনি। উল্টো প্রসাশাসন ও শাসক দলের ব্যক্তিরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
পশ্চিমবাংলায় মুসলমানদের উপর আক্রমণ উত্তোরত্তোর বেড়ে চলেছে। মুসলমানদের লক্ষ্য করে হামলা, মামলা ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কয়েকমাস আগে, মুসলিম পুলিশকর্মী সুরাফ হােসেন হিন্দুত্ববাদী পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন। এমনিভাবে শিক্ষক মইদুল ইসলাম হিন্দুত্ববাদী আক্রোশের ধারাবাহিক শিকারে পরিণত হয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতেও এক মুসলমান ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে- এধরণের অসংখ্য ঘটনা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে।
সুতরাং একথা স্পষ্টতই বলা যায়, ভারতের সম্প্রতি একেরপর ঘটে যাওয়া মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনাগুলো কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং হিন্দুত্ববাদীরা সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা করেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা – আর সেই লক্ষটি হল প্রয়োজনে গণহত্যা চালিয়ে মুসলিম মুক্ত অখণ্ড ভারত নির্মাণ – যার ঘোষণা বিজেপি ও আরএসএস সহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এখন প্রকাশ্যেই দেয়।
দূ:জনক হলেও সত্য, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এই ঘটনাগুলাে অহরহ হয়েই চলেছে। যার কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসলে কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকারের মাঝে যতই বিবাদ থাকুন না কেন, মুসলিম নিধনের ক্ষেত্রে সকলেই এখন এক হয়ে গেছে; কেউ এসব করছে প্রকাশ্যে, আবার কেউ করছে নীরব সম্মতি প্রদানের মাধ্যমে।
তথ্যসূত্র:
——
১। পশ্চিমবঙ্গে তীর-ধনুক নিয়ে মসজিদের ইমামের উপর হামলা –
ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে মুসলিমদের উপর ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চলছে। বিজেপি’র শাসনাধীন রাজ্যগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে মুসলিমদের উপর দমন-নিপীড়ন।
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার কোতােয়ালি থানার উত্তর খাপাইডাঙা গ্রামে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম মৌলানা হাবিবুর রহমান। সন্ধ্যায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতি তার উপর তীর-ধনুক দিয়ে আক্রমণ করে। ফলে একটি তীর তাঁর ডানদিকের পেটের উপর অংশে বিঁধে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে একটি নার্সিংহােমে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। পুলিশ এখনো কাউকেই গ্রেফতার করেনি। উল্টো প্রসাশাসন ও শাসক দলের ব্যক্তিরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
পশ্চিমবাংলায় মুসলমানদের উপর আক্রমণ উত্তোরত্তোর বেড়ে চলেছে। মুসলমানদের লক্ষ্য করে হামলা, মামলা ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কয়েকমাস আগে, মুসলিম পুলিশকর্মী সুরাফ হােসেন হিন্দুত্ববাদী পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন। এমনিভাবে শিক্ষক মইদুল ইসলাম হিন্দুত্ববাদী আক্রোশের ধারাবাহিক শিকারে পরিণত হয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতেও এক মুসলমান ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে- এধরণের অসংখ্য ঘটনা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে।
সুতরাং একথা স্পষ্টতই বলা যায়, ভারতের সম্প্রতি একেরপর ঘটে যাওয়া মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনাগুলো কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং হিন্দুত্ববাদীরা সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা করেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা – আর সেই লক্ষটি হল প্রয়োজনে গণহত্যা চালিয়ে মুসলিম মুক্ত অখণ্ড ভারত নির্মাণ – যার ঘোষণা বিজেপি ও আরএসএস সহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এখন প্রকাশ্যেই দেয়।
দূ:জনক হলেও সত্য, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এই ঘটনাগুলাে অহরহ হয়েই চলেছে। যার কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসলে কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকারের মাঝে যতই বিবাদ থাকুন না কেন, মুসলিম নিধনের ক্ষেত্রে সকলেই এখন এক হয়ে গেছে; কেউ এসব করছে প্রকাশ্যে, আবার কেউ করছে নীরব সম্মতি প্রদানের মাধ্যমে।
তথ্যসূত্র:
——
১। পশ্চিমবঙ্গে তীর-ধনুক নিয়ে মসজিদের ইমামের উপর হামলা –
Comment