Announcement

Collapse
No announcement yet.

হযরত ইবরাহীম আ. কে অবমাননা করে নাস্তিক ও শাতিম হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করলো জ.ই মামুন!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হযরত ইবরাহীম আ. কে অবমাননা করে নাস্তিক ও শাতিম হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করলো জ.ই মামুন!



    হযরত ইবরাহীম আ. কে অবমাননা করে নাস্তিক ও শাতিম হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করলো জ.ই মামুন!

    সাংবাদিক জ.ই. মামুন প্রশ্ন তুলেছেন, "হযরত ইব্রাহিম কি করে মোছলমানের জাতির পিতা হন, তিনি তো অমুসলিম!"

    লক্ষ করুন, জ.ই. মামুন "মুসলমান" লেখার সভ্যতা দেখাননি, লিখেছেন বিকৃত উচ্চারণে "মোছলমান"!

    যাই হোক, মামুনের দাবি হযরত ইব্রাহিম (আ.) নাকি অমুসলিম!

    তিনি পবিত্র কুরআনের ন্যারেটিভের সম্পূর্ণ বিপরীত দাবি তুলেছেন। কুরআন অনুযায়ী, মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) দুনিয়াতে হযরত ইব্রাহিমের দ্বীন নিয়েই এসেছিলেন।

    - "বল: 'আমার প্রতিপালক তো আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন, ইব্রাহিমের ধর্মাদর্শ। সে ছিল একনিষ্ঠ এবং সে অংশীবাদীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।'" [আল কুরআন ৬:১৬১]

    - "তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে।" [আল কুরআন ২২:৭৮]

    - "যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।" [আল কুরআন ৪:১২৫]

    - ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ ফেরায়? কিন্তু সে ব্যক্তি, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে। নিশ্চয়ই আমি তাকে পৃথিবীতে মনোনীত করেছি এবং সে পরকালে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। [আল কুরআন ২:১৩০]

    .... ... ...

    জ.ই. মামুন ব্যক্তিজীবনে কী বিশ্বাস করেন, সেটা আমার ইস্যু নয়। কিন্তু তিনি কি কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসের নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে পারেন?

    মূলতঃ এর মাধ্যমে নাস্তিক ও শাতিম হিসেবে সে তার পরিচয় প্রকাশ করলো মাত্র!
    অস্বীকার করলো কুরআনের ঘোষণা, "মিল্লাতা আবিকুম ইবরাহীম।"

    আমরা অনতিবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তি চাই!



  • #2
    এটিএন বাংলার চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর জ. ই. মামুন কোন ধর্মে বিশ্বাসী, সেটা নিয়ে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আদতে জ.ই. মামুন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী কিনা!!!

    ফেসবুকে জ.ই. মামুন যে কোন অজুহাতে ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে হেয় ও কটাক্ষপূর্ণ পোস্ট ও কমেন্ট করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় জ.ই. মামুন নবী হযরত ইবরাহীম (আ.)কে নিয়ে পবিত্র কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে গিয়ে চরম আপত্তিকর এক কমেন্ট করেছেন- তারই ভাবগুরু অমি রহমান পিয়ালের এক পোস্টে।

    নবী হযরত ইবরাহীম (আ.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-
    “তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই (আল্লাহ) তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক”। [সূরা আল-হাজ্জঃ ৭৮]

    “ইবরাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং খ্রিষ্টানও ছিলেন না, কিন্তু তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলমান এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না”। [আল-ইমরানঃ ৬৭]

    এটা সকলেই জানেন যে, যারা সম্পূর্ণ কুরআন বা কুরআনের কোন আয়াতকে অস্বীকার করে, তারা নিঃসন্দেহে কাফির এবং কাফিরদের চিরস্থায়ী বাসস্থান হবে জাহান্নাম।

    জ.ই. মামুন ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে থাকলে, সেটা তার নিজের দিক থেকেই ক্লিয়ার করাটা জরুরী। অন্যথায় পবিত্র কুরআনের আয়াত বিরোধী তার বিভিন্ন কমেন্টের জন্য তাওবা করে আল্লাহর কাছে এবং মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

    এ পর্যায়ে তিনি জানেন না বলেও দায় এড়াতে পারেন না। কারণ, তার মতো দায়িত্বশীল একজন মানুষ স্পর্শকাতর ধর্মীয় বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তো কমেন্ট করবেন!!!

    Comment


    • #3
      চাপাতি থেরাপির বিরতি দেখে
      এই কুত্তাগুলি আবার ঘেউঘেউ
      শুরু করেছে
      শহিদী সুধার খোঁজে মোরা
      ছুটে চলি বিশ্বময়!

      Comment


      • #4
        আসলে এটাই চরম বাস্তবতা চাপাতি হারিয়ে যাবে তো এরা জেগে উঠবে , চাপাতির উপস্থিতি থাকবে তো এরা হারিয়ে যাবে চাপাতির ধারালো স্রোতে ......
        অর্থাৎ কিতাল থাকবে তো দ্বীন ঠিক থাকবে , আর কিতাল থাকবে না তো দ্বীন ঠিক থাকবে না ... এই চিরসত্য বাস্তবটাকেই আজ এদেশের ৯৫% আলেম অস্বীকার করছে !!!


        সরকারি টাকায় আর সরকারি খাবারে প্রায় ২০/২৫ বছর মাদ্রাসায় পড়ে এবং পড়িয়ে এটাই খুব ভালো করে আয়ত্ত করতে পেরেছে যে "" আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না ,আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না ,আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না্* , সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে , সভা - সমাবেশ করতে হবে "" ।।
        খুব আফসোস লাগে .........
        আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান ১৪৬)

        Comment


        • #5
          ফোরামের মেম্বার ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণঃ
          নবী-রাসূল (আ) ও ইসলাম অবমাননামূলক এরকম তথ্য সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ অন্য কোথাও পেলে সাথে সাথে ফেরামে পোস্ট করবেন। এতে করে এলাকাভিত্তিক মুজাহিদ ভাইদের কাজ সহজ হবে এবং এসব তাগুত-মুরতাদরাও ভয়ে থাকবে মানহানি করা থেকে
          আল্লাহ আমাকে মাফ করুন ও ক্ষমা করে দিন।
          হয়তো শরীয়াহ নয়ত শাহাদাহ।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তা‘আলা আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে শাতিমে রাসূলদের উপযুক্ত পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X