Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১১ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১১ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ০৭ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    ভেঙ্গে পড়েছে মোগাদিশুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ১ সপ্তাহে শাবাবের ৬ ইস্তেশহাদী হামলা



    সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আশ-শাবাবের ইস্তেশহাদী হামলার পরের চিত্র। ছবি: শাহাদাহ এজেন্সি।


    সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার সবচাইতে আলোচিত দেশ সোমালিয়া। ২০০৭ সালে কুফফার জোট বাহিনী সম্মিলিত আগ্রাসন চালিয়ে দেশটির তৎকালীন ইসলামি ইমারাতের বিলুপ্ত ঘটায়। এরপর দেশটির শাসনভারের দায়িত্বে বসানো হয় পশ্চিমা সমর্থিত সুনির্দিষ্ট কিছু দালালকে। এরা পশ্চিমাদের হাতের পুতুল হয়ে দেশ পরিচালনা করতে থাকে।



    এমন পরিস্থিতিতে দেশে পুনোরায় ইমারাতে ইসলামিয়া ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে হাতে অস্ত্র তুলে নেন সোমালি মুসলিম যুবকরা। তারা হারাকাতুশ শাবাবের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। তাদের এই যুদ্ধ আজ ২০২২ সালের শেষ সময়ে এসেও দুর্বার গতিতে চলমান। আল্লাহর ইচ্ছায় তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে এখন অনেকটাই সফলতার পথে। ইতিমধ্যে মুজাহিদগণ আজ দক্ষিণ সোমালিয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ৯৫ শতাংশের অধিক ভূমির উপর অঘোষিত ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠা করেছেন।

    পাশাপাশি, মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকা এলাকাগুলোতেও নিজেদের প্রভাব বিস্তার অব্যহত রয়েছে। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ভেঙে দিয়েছেন পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনের সামরিক ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড। ফলে বিশ্বের ২৪টি দেশের সহায়তা সত্ত্বেও যুদ্ধের ময়দানে একের পর এক পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসনকে।


    আজ, এই পুতুল প্রশাসনের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বা রাজধানী মোগাদিশুও তাদের জন্য নিরাপদ নয়। প্রতি পদে পদে হামলার শংকা নিয়ে তাদেরকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। রাজধানী মোগাদিশু যেনো হয়ে পড়েছে পুতুল প্রশাসনের জন্য উন্মুক্ত এক কারাগার। আশ-শাবাব মুজাহিদগণ যখন ইচ্ছা শহরে ঢুকছেন এবং তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনে নিরাপদে বের হয়ে যাচ্ছেন।



    গত ৫ নভেম্বরও রাজধানীর ভিতরে নিজেদের লক্ষ্যে বড় ধরনের আঘাত হেনেছেন মুজাহিদগণ। স্থানীয় সূত্র মতে, এদিন আশ-শাবাবের একজন জানবাজ মুজাহিদ লক্ষ্য বাস্তবায়নে একাই পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই বীর মুজাহিদ রাজধানীর ধেগাবাদান সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী সেনা সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হন। এরপর বাহির থেকে আশ-শাবাবের সহায়তায় ক্যাম্পের ভিতরেই বিস্ফোরক মজুদ করতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ে আশ-শাবাবের নির্দেশে সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ভিতরেই বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হন তিনি। বিস্ফোরণে পুরো ক্যাম্প সহ আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠে।



    বিস্ফোরণটি এমন সময় ঘটানো হয়, যখন ক্যাম্পে ৪ শতাধিক নতুন সেনা সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যদের মাঝে বিস্ফোরণের ফলে হতাহতও হয়েছে অনেক। প্রাথমিক তথ্য মতে, কমপক্ষে ১০৫ শত্রু সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য। তবে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, বিস্ফোরণে আহত সেনা সংখ্যা ৩৭ জন।



    গত ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে সোমালি প্রশাসনের গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে পরিচালিত আশ-শাবাবের ৬ষ্ঠ ইস্তেশহাদী হামলা এটি। শাহাদাহ এজেন্সি ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, মুজাহিদদের এই ইস্তেশহাদী হামলাগুলোতে গাদ্দার প্রশাসনের উচ্চপর্যায় কয়েক ডজন কর্মকর্তা সহ অন্তত ৬৭০ গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফের শাবাবের ইস্তেশহাদী হামলা: ৩৭ সোমালি সৈন্য নিহত, এলাকা বিজয়


    ফাইল ছবি: সামরিক সাজে সজ্জিত এক দল হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদ।


    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট এই ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর ক্রমাগত ইস্তেশহাদী হামলায় প্রায় প্রতিদিনই শত্রু শিবিরে শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।



    গতকাল ৭ নভেম্বর সকালেও এমনই একটি বরকতময় হামলার ঘটনা ঘটেছে জালাজদুদ রাজ্যের বাহদো জেলায়। এতে শহরটির উপকণ্ঠে কাইয়িব গ্রামে গাদ্দার সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প ধ্বংস করে গ্রামটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন মুজাহিদগণ।



    হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের সামরিক মুখপাত্র শাইখ আব্দুল আজিজ আবু মুস’আব (হাফি.) এক বিবৃতিতে বলেছেন, বরকতময় এই হামলার মাধ্যমে কাইয়িব গ্রামে তাওহীদের পতাকা স্থাপিত হয়েছে। পাশাপাশি, মুজাহিদগণ প্রচুর সংখ্যক অস্ত্র ও ৯টি যানবাহন গনিমত পেয়েছেন।



    বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সোমবার সকালে, আক্রমণটি একটি শহিদী হামলার মাধ্যমে শুরু হয়। তারপর ইনগিমাসী মুজাহিদগণ বিভিন্ন দিক থেকে শত্রু বাহিনীকে আক্রমণ করেন। একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর, আল্লাহর রহমতে, বিজয় অর্জিত হয়।



    “শত্রু পক্ষের সুনির্দিষ্ট হতাহতের সংখ্যা এখনো আমাদের হাতে পৌঁছেনি। তবে, আমাদের ইনগিমাসী মুজাহিদদের সামনে পড়ে থাকা মৃত শত্রু সংখ্যা ছিলো ৩৭। এদের মাঝে উচ্চপর্যায়ের ৩ কমান্ডারও রয়েছে,” বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।



    এদিকে, পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার ডিএফ বাহিনী এবং মাওয়াইসলি নামক মিলিশিয়ারা ঘোষণা দিয়ে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে একটি নতুন যুদ্ধ শুরু করেছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ধরে রাখাই তাদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মাঠ পর্যায়ের তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আশ-শাবাবের ক্রমাগত হামলার বিপরীতে নিজেদের আত্মরক্ষা করার সামর্থ্যও গাদ্দার বাহিনীগুলোর নেই।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X