ভেঙ্গে পড়েছে মোগাদিশুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ১ সপ্তাহে শাবাবের ৬ ইস্তেশহাদী হামলা
সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আশ-শাবাবের ইস্তেশহাদী হামলার পরের চিত্র। ছবি: শাহাদাহ এজেন্সি।
সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার সবচাইতে আলোচিত দেশ সোমালিয়া। ২০০৭ সালে কুফফার জোট বাহিনী সম্মিলিত আগ্রাসন চালিয়ে দেশটির তৎকালীন ইসলামি ইমারাতের বিলুপ্ত ঘটায়। এরপর দেশটির শাসনভারের দায়িত্বে বসানো হয় পশ্চিমা সমর্থিত সুনির্দিষ্ট কিছু দালালকে। এরা পশ্চিমাদের হাতের পুতুল হয়ে দেশ পরিচালনা করতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশে পুনোরায় ইমারাতে ইসলামিয়া ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে হাতে অস্ত্র তুলে নেন সোমালি মুসলিম যুবকরা। তারা হারাকাতুশ শাবাবের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। তাদের এই যুদ্ধ আজ ২০২২ সালের শেষ সময়ে এসেও দুর্বার গতিতে চলমান। আল্লাহর ইচ্ছায় তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে এখন অনেকটাই সফলতার পথে। ইতিমধ্যে মুজাহিদগণ আজ দক্ষিণ সোমালিয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ৯৫ শতাংশের অধিক ভূমির উপর অঘোষিত ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠা করেছেন।
পাশাপাশি, মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকা এলাকাগুলোতেও নিজেদের প্রভাব বিস্তার অব্যহত রয়েছে। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ভেঙে দিয়েছেন পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনের সামরিক ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড। ফলে বিশ্বের ২৪টি দেশের সহায়তা সত্ত্বেও যুদ্ধের ময়দানে একের পর এক পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসনকে।
আজ, এই পুতুল প্রশাসনের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বা রাজধানী মোগাদিশুও তাদের জন্য নিরাপদ নয়। প্রতি পদে পদে হামলার শংকা নিয়ে তাদেরকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। রাজধানী মোগাদিশু যেনো হয়ে পড়েছে পুতুল প্রশাসনের জন্য উন্মুক্ত এক কারাগার। আশ-শাবাব মুজাহিদগণ যখন ইচ্ছা শহরে ঢুকছেন এবং তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনে নিরাপদে বের হয়ে যাচ্ছেন।
গত ৫ নভেম্বরও রাজধানীর ভিতরে নিজেদের লক্ষ্যে বড় ধরনের আঘাত হেনেছেন মুজাহিদগণ। স্থানীয় সূত্র মতে, এদিন আশ-শাবাবের একজন জানবাজ মুজাহিদ লক্ষ্য বাস্তবায়নে একাই পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই বীর মুজাহিদ রাজধানীর ধেগাবাদান সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী সেনা সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হন। এরপর বাহির থেকে আশ-শাবাবের সহায়তায় ক্যাম্পের ভিতরেই বিস্ফোরক মজুদ করতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ে আশ-শাবাবের নির্দেশে সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ভিতরেই বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হন তিনি। বিস্ফোরণে পুরো ক্যাম্প সহ আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠে।
বিস্ফোরণটি এমন সময় ঘটানো হয়, যখন ক্যাম্পে ৪ শতাধিক নতুন সেনা সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যদের মাঝে বিস্ফোরণের ফলে হতাহতও হয়েছে অনেক। প্রাথমিক তথ্য মতে, কমপক্ষে ১০৫ শত্রু সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য। তবে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, বিস্ফোরণে আহত সেনা সংখ্যা ৩৭ জন।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে সোমালি প্রশাসনের গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে পরিচালিত আশ-শাবাবের ৬ষ্ঠ ইস্তেশহাদী হামলা এটি। শাহাদাহ এজেন্সি ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, মুজাহিদদের এই ইস্তেশহাদী হামলাগুলোতে গাদ্দার প্রশাসনের উচ্চপর্যায় কয়েক ডজন কর্মকর্তা সহ অন্তত ৬৭০ গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আশ-শাবাবের ইস্তেশহাদী হামলার পরের চিত্র। ছবি: শাহাদাহ এজেন্সি।
সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার সবচাইতে আলোচিত দেশ সোমালিয়া। ২০০৭ সালে কুফফার জোট বাহিনী সম্মিলিত আগ্রাসন চালিয়ে দেশটির তৎকালীন ইসলামি ইমারাতের বিলুপ্ত ঘটায়। এরপর দেশটির শাসনভারের দায়িত্বে বসানো হয় পশ্চিমা সমর্থিত সুনির্দিষ্ট কিছু দালালকে। এরা পশ্চিমাদের হাতের পুতুল হয়ে দেশ পরিচালনা করতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশে পুনোরায় ইমারাতে ইসলামিয়া ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে হাতে অস্ত্র তুলে নেন সোমালি মুসলিম যুবকরা। তারা হারাকাতুশ শাবাবের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। তাদের এই যুদ্ধ আজ ২০২২ সালের শেষ সময়ে এসেও দুর্বার গতিতে চলমান। আল্লাহর ইচ্ছায় তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে এখন অনেকটাই সফলতার পথে। ইতিমধ্যে মুজাহিদগণ আজ দক্ষিণ সোমালিয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ৯৫ শতাংশের অধিক ভূমির উপর অঘোষিত ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠা করেছেন।
পাশাপাশি, মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকা এলাকাগুলোতেও নিজেদের প্রভাব বিস্তার অব্যহত রয়েছে। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ভেঙে দিয়েছেন পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনের সামরিক ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড। ফলে বিশ্বের ২৪টি দেশের সহায়তা সত্ত্বেও যুদ্ধের ময়দানে একের পর এক পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসনকে।
আজ, এই পুতুল প্রশাসনের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বা রাজধানী মোগাদিশুও তাদের জন্য নিরাপদ নয়। প্রতি পদে পদে হামলার শংকা নিয়ে তাদেরকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। রাজধানী মোগাদিশু যেনো হয়ে পড়েছে পুতুল প্রশাসনের জন্য উন্মুক্ত এক কারাগার। আশ-শাবাব মুজাহিদগণ যখন ইচ্ছা শহরে ঢুকছেন এবং তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনে নিরাপদে বের হয়ে যাচ্ছেন।
গত ৫ নভেম্বরও রাজধানীর ভিতরে নিজেদের লক্ষ্যে বড় ধরনের আঘাত হেনেছেন মুজাহিদগণ। স্থানীয় সূত্র মতে, এদিন আশ-শাবাবের একজন জানবাজ মুজাহিদ লক্ষ্য বাস্তবায়নে একাই পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই বীর মুজাহিদ রাজধানীর ধেগাবাদান সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী সেনা সদস্যদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হন। এরপর বাহির থেকে আশ-শাবাবের সহায়তায় ক্যাম্পের ভিতরেই বিস্ফোরক মজুদ করতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ে আশ-শাবাবের নির্দেশে সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ভিতরেই বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হন তিনি। বিস্ফোরণে পুরো ক্যাম্প সহ আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠে।
বিস্ফোরণটি এমন সময় ঘটানো হয়, যখন ক্যাম্পে ৪ শতাধিক নতুন সেনা সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যদের মাঝে বিস্ফোরণের ফলে হতাহতও হয়েছে অনেক। প্রাথমিক তথ্য মতে, কমপক্ষে ১০৫ শত্রু সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য। তবে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, বিস্ফোরণে আহত সেনা সংখ্যা ৩৭ জন।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে সোমালি প্রশাসনের গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে পরিচালিত আশ-শাবাবের ৬ষ্ঠ ইস্তেশহাদী হামলা এটি। শাহাদাহ এজেন্সি ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, মুজাহিদদের এই ইস্তেশহাদী হামলাগুলোতে গাদ্দার প্রশাসনের উচ্চপর্যায় কয়েক ডজন কর্মকর্তা সহ অন্তত ৬৭০ গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
Comment