Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২০ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২০ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    কেনিয়ায় আশ-শাবাবের হামলা জোরদার: নিহত ৮ এরও বেশি


    অভিযানে যাওয়ার পথে আশ-শাবাবের বীর মুজাহিদগণ

    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার পরই কেনিয়াতে শক্তিশালী অবস্থানে আছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পূর্ব-আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সোমালিয়ায় লড়াই তীব্র হলে কেনিয়ায় হামলার পরিধি কমিয়ে আনে আশ-শাবাব। সাময়িক এই কৌশলগত স্থবির অবস্থা কাটিয়ে দেশটিতে গতকাল থেকে আবারও হামলা চালাতে শুরু করেছে আশ-শাবাব যোদ্ধারা।

    স্থানীয় সূত্রমতে, গত ১৪ নভেম্বর আশ-শাবাব কর্তৃক কেনিয়ায় নতুন করে হামলা শুরু পর, প্রথম হামলাটি চালানো হয় দেশটির উত্তরাঞ্চলিয় ‘রাস্কাম্বুনি’ এলাকায়। যেখানে কেনিয়ান সেনাদের লক্ষ্য করে মাইন বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, হামলাটি এমন সময় চালানো হয়েছে, যখন কেনিয়ান সেনাদের একটি দল কূপের কাছে পানি তুলতে একত্রিত হয়েছিল। আর তখনই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

    আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট মিডিয়া সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের উক্ত মাইন বিস্ফোরণে ক্রুসেডার কেনিয়ান বাহিনীর অন্তত ৮ সৈন্য নিহত হয়েছে।

    একইদিন আফমাদো জেলার তাপটো উপকন্ঠে কেনিয়ান সেনাদের একটি ঘাঁটিতেও হামলা চালান হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, হামলাটি কেনিয়ান সেনাদের ঘাঁটি ঘিরে গভীর রাতে শুরু হয়, যেখানে প্রচণ্ড গুলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। হামলাটি গভীর রাতে সংঘটিত হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায় নি। তবে ঘাঁটি থেকে সকাল পর্যন্ত ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

    উল্লেখ্য যে, হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ায় তাদের হামলার পৌনঃপুনিকতা বাড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিরোদ বাহিনীটি কেনিয়ান সরকার ও সেনা বাহিনীর কেন্দ্র, যোগাযোগ লাইন এবং লজিস্টিক রুটকে লক্ষ্য করছে। একই সময়ে, কেনিয়াতে পশ্চিমা কেন্দ্র এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলিও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন মুজাহিদগণ।

    ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কেনিয়ার মান্দেরার গভর্নর আলি রোবা বলেছিল যে, উত্তর কেনিয়ার ৬০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আশ-শাবাব যোদ্ধারা।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পাক-তালিবানের পৃথক অপারেশনে ২৯ এর বেশি নাপাক সৈন্য হতাহত


    বাম থেকে টিটিপির শীর্ষস্থানীয় ২ জন উমারা


    সম্প্রতি পাকিস্তান প্রতিরক্ষামূলক হামলা বাড়িয়েছে দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। সেই সুবাধে প্রতিরোধ বাহিনীটি গত ১১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর থেকে দেশে ১৬টি হামলা পরিচালনা করছে। যাতে কয়েক ডজন পাকিস্তানি গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।

    এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৪টি অপারেশনের ১টি চালানো হয়েছে বাজোউর এজেন্সিতে এবং ৩টি চালানো হয়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে। এরমধ্যে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পেনওয়াম সীমান্তের শিওয়া এলাকায়। যেখানে পাকিস্তানের গাদ্দার “এফসি” সদস্যরা গুলি চালিয়ে মুজাহিদদের পথরোধ করার চেষ্টা করে, আর তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।

    এই সংঘর্ষের সময় মুজাহিদদের হামলায় গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনীর ১০ এরও বেশি “এফসি” সদস্য নিহত ও আহত হয়। অপরদিকে মুজাহিদিনরা সীমান্ত বেড়া ভেঙ্গে নিরাপদে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে যেতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ।

    এর একদিন পর (১৩/১১/২২) উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলি সীমান্তের হাদি মার্কেট এলাকায় গাদ্দার সেনাবাহিনী এবং টিটিপির মুজাহিদদের মধ্যে লড়াই হয়। এখানেও সংঘর্ষের কারণ ছিল মুজাহিদদের পথরোধ করা। ফলে মুজাহিদগণ তীব্র প্রতিরক্ষামূলক হামলা চালান, যার ফলশ্রুতিতে ৩ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ গাদ্দার সৈন্য আহত হয়। আর মুজাহিদগণ এখান থেকেও নিরাপদে বের হয়ে পড়তে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ।

    একইদিন উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দোসলি এবং গুরিউম সীমান্ত আরও দুটি পৃথক প্রতিরক্ষামূলক হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে আরও ২ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত হয় এবং কতক সৈন্য আহত হয়।

    এরপর গত ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে মুজাহিদগণ একযোগে তাদের সবচাইতে বড় প্রতিরক্ষামূলক অভিযানটি পরিচালনা করেন, বাজোউর এজেন্সির চার্মিংয় সীমান্ত। যেখানে মুজাহিদদের তীব্র হামলার মুখে পড়ে গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনীর “হাশিম গাখি পোস্ট”, “বাজওয়ানো দেরাই পোস্ট” এবং “হিলাল খেল আর্মি ক্যাম্প”।

    প্রাথমিক তথ্য মতে, টিটিপির এই অভিযানে গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ১০ এরও বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, এতে হতাহত সেনাদের সংখ্যা ২ ডজনেরও বেশি।

    এই আক্রমণের কারণ সম্পর্কে টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্ জানান, গাদ্দার পাকি সামরিক বাহিনী মুজাহিদদের একটি দলকে উক্ত এলাকার আশপাশে অবরুদ্ধ করেছিল। আর উক্ত অবরোধ ভাঙতে মুজাহিদগণ কয়েকটি স্থানে একযোগে সফল হামলা চালান। যাতে সফলও হয়েছেন মুজাহিদগণ, তাঁরা অবরোধ ভেঙে নিরাপদে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      শাবাবের ৩ জন উমারাকে ধরতে ‘বেপরোয়া’ আমেরিকার ৩০ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা!



      পূর্ব আফ্রিকার জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী এবং আল-কায়েদার অন্যতম শক্তিশালী শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন এর নেতৃত্বস্থানীয় ৩ জন আমীর সম্পর্কে তথ্য দিতে ৩০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে সন্ত্রাসী আমেরিকা।

      গত ১৪ নভেম্বর ক্রুসেডার আমেরিকার রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস এর টুইটার একাউন্ট থেকে প্রাথমিকভাবে ১৬ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, এবং আশ-শাবাবের ৩ জন নেতার ব্যাপারে তথ্য প্রদানের আহবান জানানো হয়। এই ৩ নেতা হলেন: আশ-শাবাবের আমীর শায়েখ আবু উবাইদাহ (যিনি আহমাদ দিরিয়ে নামেও পরিচিত), গোয়েন্দা ডিভিশন ‘আমনিয়াত’ এর প্রধান মাহাদ কারাতে এবং আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জিহাদ মোস্তফা।

      প্রাথমিকভাবে শায়েখ আবু উবাইদাহ-এর তথ্য প্রদানের জন্য ৬ মিলিয়ন এবং বাকি দুই নেতার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার করে পুরস্কার ঘোষণা করে আমেরিকা।

      কিন্তু পরবর্তীতে কেনিয়ায় অবস্থিত সন্ত্রাসী আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, “আমরা আশ-শাবাব নেতাদের তথ্য প্রদানের জন্য দ্বিগুণ পুরষ্কার ঘোষণা করছি। যে কেউ আল-শাবাবের জ্যেষ্ঠ নেতা কিংবা তাদের অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য উপস্থাপন করতে পারবে – সে তথ্য যতই তুচ্ছ বা সাধারণ হোক না কেন, আমরা তাকে পুরস্কৃত করবো!”






      এরপর তারা টুইটারে পুনরায় বার্তা প্রদান করে এবং ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ-শাবাবের উক্ত তিন নেতার প্রত্যেকের ব্যাপারে তথ্য প্রদানের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার করে মোট ৩০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করে।

      উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আশ-শাবাবের সাথে লড়াই করে সন্ত্রাসী আমেরিকার বুঝতে পেরেছে যে, অস্ত্র দিয়ে তাঁদেরকে ঘায়েল করা সম্ভব না। তাই নিরুপায় হয়ে আমেরিকা এবার শাবাবের অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ককে টার্গেট করার চেষ্টা করছে। যাতে শাবাবের যুদ্ধ চালনার সামর্থ্য কমে আসে।

      তাছাড়া আমেরিকা খুঁজছে মুসলিমদের ভিতরের কোনো গাদ্দার, যারা ডলারের লোভে ঈমান বিক্রি করে আমেরিকাকে সাহায্য করবে। তবে তাদের এই কৌশল প্রতিবারেরমতো এবারো ব্যর্থ হবে, ইনশাআল্লাহ। কেননা আশ-শাবাব এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কৌশলী, আলহামদুলিল্লাহ।

      ফলশ্রুতিতে পশ্চিমাদের গোলাম সরকারের কর্মকর্তারা আফসোস করে বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, “আমরা (আশ-শাবাব থেকে) দখল করা প্রতিটি জমিই কয়েকদিনের ব্যবধানে হারিয়ে ফেলছি এবং এটি মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।”

      অর্থাৎ সোমালি গাদ্দার সৈন্যরা যখন কোনো এলাকায় ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করতে আসে, তখন আশ-শাবাব মুজাহিদিন কৌশলগত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সেখান থেকে পিছু হটেন। আর গাদ্দার বাহিনী যখনই ভাবতে শুরু করে যে তারা বিজয়ী হয়ে এবং এই আনন্দ উক্ত এলাকায় আরও সরঞ্জাম জমা করে, তখনই শাবাব মুজাহিদিন আরও শক্তি নিয়ে হামলা করে বসেন। এর মধ্য দিয়ে মুজাহিদগণ উক্ত এলাকায় শত্রুর আনা অস্ত্র ও সরঞ্জাম পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেন- আলহামদুলিল্লাহ

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নিউজ গুলো সত্যিই হৃদয়কে আনন্দিত করেছে.. আলহামদুলিল্লাহ!
        আল্লাহ তা'আলা মুজাহিদদের জন্য সকল কল্যাণকর দু'আ ক্বুল করুক আমিন!
        আমাদেরকেও মুজাহিদদের সাথে শামিল হওয়ার তাওফিক দান করুক আমিন!

        জাযাকুমুল্লহু খইরন আহসানাল জাযা প্রিয় আল-ফিরদাউস মিডিয়াবৃন্দকে
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment

        Working...
        X