Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১১ মুহাররম , ১৪৪৫ হিজরী।। ৩০ জুলাই, ২০২৩ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১১ মুহাররম , ১৪৪৫ হিজরী।। ৩০ জুলাই, ২০২৩ ঈসায়ী।

    মার্কিন আগ্রাসন এবং ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে তালিবান উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য



    আইইএ উপ-প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুল কবির (হাফি.) গত ২০ জুলাই স্থানীয় প্রবীণদের এক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে তিনি বক্তৃতাকালে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, “বিশ্বের অত্যাচারী ও অহংকারী শক্তি, যারা আফগানিস্তানে ইসলামী ব্যবস্থার টিকে থাকা পছন্দ করেনি, তারা ওসামাকে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করেছিল। তিনি চলে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এখানে আগ্রাসন ছিলো অনিবার্য।”

    তিনি বলেন, “আপনাদের এমনটা বলা উচিত নয় যে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন একজন ব্যাক্তির কারণে আফগানিস্তানকে সমস্যায় ফেলেছে। প্রথমত, ওসামা বিন লাদেন আমাদের একজন সম্মানিত মেহমান। এই মুসলামানের বিষয়ে আমাদের আমিরুল মুমিনিনের সিদ্ধান্ত ছিলো বুদ্ধিবৃত্তিক ও সম্মানের। এটি আমাদের পুরো জাতির জন্যেও সম্মান ও গৌরবের। তিনি ইসলামের ইতিহাসে একজন মুসলমানকে কাফেরদের হাতে তুলে দিয়ে মুসলমানদের অসম্মান করেন নি। তিনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি যা আমাদের জন্য ইসলামি ইতিহাসে লজ্জার ও তিরস্কারের বিষয় হয়ে থাকতো।”

    “আমাদের জানা ও বোঝা উচিত যে, পশ্চিমাদের সমস্যা হচ্ছে ইসলামি শাসনব্যবস্থা। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন যদি পশ্চিমাদের শর্ত মেনে নিতো এবং তাদের হুমকির সামনে বশ্যতা স্বীকার করতো, এমনকি এই মুসলিম বীর স্বেচ্ছায় আফগানিস্তান ছেড়ে চলেও যেতেন, তথাপি এই শাসনব্যবস্থা উৎখাত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও তার অন্য মিত্রদের আক্রমণ অনিবার্য ছিল। আর এটি নিশ্চিতভাবে ঘটেছেও।”

    মৌলভি কবির আরও বলেন, “মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদের নেতৃত্বে যে ইসলামি আন্দোলনের জাগরণ উঠেছিল, তা দেশকে হানাদারমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত করেছে। আপনারা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিন্ত থাকুন যে, আমাদের বর্তমান আমিরুল মুমিনিন শায়খুল হাদীস মৌলভি হিবাতুল্লাহও (হাফি.) মোল্লা মুহাম্মদ ওমর মুজাহিদের মতো ধর্মপরায়ণ, দৃঢ় ঈমানের অধিকারী। তিনিও অন্যদের হুমকির কাছে নতি স্বীকার করেন না!

    সর্বশেষ তিনি বলেন, “আমরা চাই না যে আফগানিস্তান বিশ্বের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াক। আমাদের নীতি হল আফগানিস্তান শান্তিপূর্ণ থাকবে, আমরা আমাদের দেশকে পুনর্গঠন করব এবং আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করব। তবে আমরা কখনোই আমাদের ইসলামী ও জাতীয় মূল্যবোধকে ত্যাগ করব না।”

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আল-কায়েদার নিয়ন্ত্রণে মালিয়ান সামরিক ব্যারাক: হতাহত অন্তত ৪০ সেনা



    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মোপ্তি রাজ্যে ইস্তেশহাদী হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেনা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এসময় মালিয়ান সেনাবাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
    স্থানীয় সূত্রমতে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) যোদ্ধারা গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় মালির মোপ্তি রাজ্যের ডিজেনি জেলায় একটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ভারী এই অভিযানটি পরিচালনা করছেন।



    অভিযানটি রাজ্যের কওয়াকুর শহরে মালিয়ান সেনাবাহিনীর গুরত্বপূর্ণ একটি সামরিক ব্যারাক লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এতে মালিয়ান সেনাবাহিনীর অন্তত ১৫ সৈন্য নিহত এবং আরও ২৫ সৈন্য আহত হয়েছে। বাকি সৈন্যরা পালিয়ে গেলে সামরিক ব্যারাক ও এর আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

    সেই সাথে বিদেশি সমর্থিত জান্তা সেনাদের কয়েকটি সাঁজোয়া যান জব্দ করেন এবং ১৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এছাড়াও ঘাঁটি থেকে ১৪টি ভারী অস্ত্র, ২টি মর্টার, ৪টি দুশকা, ৩টি বেকা, ৫টি কালাশনিকভ, ৫টি পিস্তল এবং প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ বোঝাই একটি সামরিক যান উদ্ধার করেন মুজাহিদগণ।



    এদিকে প্রতিরোধ বাহিনীর সংশ্লিষ্ট মিডিয়া সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অভিযানটি প্রথমে একটি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে শুরু করা হয়েছিল। এরপর ইনগিমাসী যোদ্ধারা ঘাঁটিতে ঢুকে আগ্নিয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালান। ফলশ্রুতিতে অন্তত ১২ সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে গেলে মুজাহিদগণ সামরিক ব্যারাকের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন। অভিযানে জেএনআইএমের একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন এবং অন্য ৩ জন যোদ্ধা আহত হন।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালিতে ওয়াগনার ঘাঁটিতে ধ্বস নামাচ্ছে আল-কায়েদার অ্যাম্বুশ ও শহীদি অভিযান



      পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মুসলিমরা পুরোদস্তুর প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, যার আগ্রভাগে রয়েছে আল-কায়েদা। দেশটিতে প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা জেএনআইএম ধারাবাহিক অভিযানে সামরিক জান্তা সরকারের পাশাপাশি রাশিয়ান ওয়াগনার বাহিনীর ঘাঁটিগুলোও গুড়িয়ে দিচ্ছে।

      স্থানীয় সূত্রমতে, মালিতে ৪ দিনের ব্যবধানে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটিতে অ্যাম্বুশ ও ২টি শহীদি অপারেশন পরিচালনা করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জেএনআইএম যোদ্ধারা। এতে সামরিক ঘাঁটি দুটির অনেক অংশই ধ্বসে যায় এবং কয়েক ডজন ওয়াগনার সৈন্য নিহত হয়।

      জেএনআইএম যোদ্ধারা তাদের প্রথম শহীদি অপারেশনটি গত ২১ জুলাই শুক্রবার সকালে পরিচালনা করেন। অভিযানটি সেগোউ রাজ্যের বোকা-উইরী এলাকায় ওয়াগনার ও মালিয়ান সামরিক বাহিনীর যৌথ একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রথমে গাড়ি ভর্তি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস দ্বারা ঘাঁটিতে ইস্তেশহাদী হামলা চালান। এর পরপরই ইনগিমাসী যোদ্ধারা আক্রমণ শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে বহু সংখ্যক ওয়াগনার ও জান্তা সৈন্য হতাহত হয়। সেই সাথে সামরিক ঘাঁটি ও এর ভিতরে থাকা অনেক সাঁজোয়া যান এবং মজুদ করা প্রচুর পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে যায়।


      মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন গত ২৪ জুলাই সোমবার। মালির মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের সেগোউ রাজ্যের মোলোডো এলাকায় ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা ওয়াগনার বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে বোমা-বোঝাই ২টি গাড়িতে ইস্তেশহাদী যোদ্ধাদের প্রেরণ করেন। বিস্ফোরক ভর্তি প্রথম গাড়িটি ঘাঁটির লক্ষ্যবস্তু করা স্থানে পৌঁছে সফলভাবে বিস্ফোরিত হয়। ফলে ঘাঁটিতে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও শত্রুদের মধ্যে অনেক সৈন্য নিহত ও আহত হয়।

      অপরদিকে দ্বিতীয় গাড়িটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর পরে তা আল্লার ইচ্ছায় বিস্ফোরিত হয়নি। ফলে গাড়িটিতে থাকা ২জন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ মেশিনগান ও গুলাবারুদ নিয়ে ঘাঁটিতে নেমে পড়েন এবং অবশিষ্ট ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। যারা দীর্ঘ সময় ধরে অনেক ওয়াগনার সৈন্যকে হত্যা এবং আহত করেন।

      ‘জেএনআইএম’ এর মিডিয়া সূত্র উল্লেখ করেছে যে, এই অভিযানের জন্য ঘাঁটিতে ৪ জন মুজাহিদ প্রবেশ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জন প্রথম বিস্ফোরণের সময় শাহাদাত বরণ করেন। বাকি দুজন মুজাহিদ গাড়ি থেকে নেমে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে অনেক সৈন্যকে হত্যা করেন। একপর্যায়ে তাঁদের একজন শাহাদাত বরণ করেন এবং অন্যজন ঘাঁটি থেকে জীবিত ফিরে আসেন।

      অন্যদিকে, মালিয়ান সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, আল-কায়েদার এই অভিযানে ঘাঁটিতে থাকা মাত্র ১ সৈন্য নিহত হয়েছে এব ৪ সৈন্য আহত হয়েছে। বিপরীতে আল-কায়েদার ১০ জন নিহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। অথচ আল-কায়েদা জানিয়েছে যে, ২টি গাড়ি নিয়ে তাদের ৪ জন যোদ্ধা এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল এবং একজন নিরাপদে ফিরে এসেছেন।

      উল্লেখ্য যে, রাশিয়ান ভাড়াটে সৈন্যরা মালিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর সাথে সাথে এই অঞ্চলে অনেক গণহত্যা চালিয়েছে। এসব গণহত্যায় প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো নিরপরাধ বেসরকারি নাগরিক। বেসামরিক মানুষ হত্যা নিয়ে সময়ে সময়ে জাতিসংঘও বাধ্য হয়েছে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।

      আর বর্তমানে দেশটিতে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ এর আক্রমণের প্রধান টার্গেট হয়ে উঠেছে ওয়াগনার।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        “আমাদের জানা ও বোঝা উচিত যে, পশ্চিমাদের সমস্যা হচ্ছে ইসলামি শাসনব্যবস্থা। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন যদি পশ্চিমাদের শর্ত মেনে নিতো এবং তাদের হুমকির সামনে বশ্যতা স্বীকার করতো, এমনকি এই মুসলিম বীর (শাইখ উসামা রহঃ) স্বেচ্ছায় আফগানিস্তান ছেড়ে চলেও যেতেন, তথাপি এই শাসনব্যবস্থা উৎখাত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও তার অন্য মিত্রদের আক্রমণ অনিবার্য ছিল। আর এটি নিশ্চিতভাবে ঘটেছেও।”
        - আইইএ উপ-প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুল কবির (হাফি.)

        Comment


        • #5
          আল্লাহ পাক জামাত কায়েদাতুল জিহাদের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করুন।এর সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেককে কবুল করুন।

          Comment


          • #6
            বিশ্ব কাফের শক্তি আল্লাহর জমিন থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চায়।
            কাফের শক্তি এখন পর্যন্ত যে দেশে গেছে দ্বীন ইসলাম মুছে ফেলতে, সেই দেশেই দ্বীন ইসলাম জিন্দা হচ্ছে।
            ইনশাআল্লাহ ইসলামের বিজয় খুব নিকটে।
            Last edited by Rakibul Hassan; 08-02-2023, 10:40 AM.

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ।
              বর্তমানে দেশটিতে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ এর আক্রমণের প্রধান টার্গেট হয়ে উঠেছে ওয়াগনার।

              Comment


              • #8
                জিহাদের মাধ্যমে সারা পৃথিবী একদিন মুসলমানে শাসন করবে ইনশাআল্লাহ।
                Last edited by Munshi Abdur Rahman; 08-03-2023, 10:15 AM.

                Comment


                • #9
                  মালিতে বিজয় এখন সামান্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। মালির মূল জান্তা বাহিনীর শক্তি শেষ, তাই তারা ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী এনেছে মুসলমানদের চরম ক্ষতির জন্য। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় চূড়ান্ত বিজয় মুসলমানদেরই হবে ইনশাআল্লাহ।
                  Last edited by Rakibul Hassan; 08-03-2023, 04:58 PM.

                  Comment


                  • #10
                    " যেখানেই মুসলিম উম্মাহ জিহাদের পথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আল্লাহর ইচ্ছায় সেখানেই মুসলিমরা বিজয়ী হয়েছে।"
                    "ইনশাআল্লাহ অচিরেই মালির ভূখন্ডে কালেমার পতাকা উড়বে।"
                    Last edited by tahsin muhammad; 08-03-2023, 10:19 PM.

                    Comment


                    • #11
                      ইনশাআল্লাহ খুব শিগ্ররই মালির মুজাহিদ বাহানি আরও একটি নতুন ভৃখন্ড জয় করবে ।
                      যেখানে শরীয়ািভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

                      Comment

                      Working...
                      X