মার্কিন আগ্রাসন এবং ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে তালিবান উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
আইইএ উপ-প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুল কবির (হাফি.) গত ২০ জুলাই স্থানীয় প্রবীণদের এক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে তিনি বক্তৃতাকালে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, “বিশ্বের অত্যাচারী ও অহংকারী শক্তি, যারা আফগানিস্তানে ইসলামী ব্যবস্থার টিকে থাকা পছন্দ করেনি, তারা ওসামাকে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করেছিল। তিনি চলে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এখানে আগ্রাসন ছিলো অনিবার্য।”
তিনি বলেন, “আপনাদের এমনটা বলা উচিত নয় যে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন একজন ব্যাক্তির কারণে আফগানিস্তানকে সমস্যায় ফেলেছে। প্রথমত, ওসামা বিন লাদেন আমাদের একজন সম্মানিত মেহমান। এই মুসলামানের বিষয়ে আমাদের আমিরুল মুমিনিনের সিদ্ধান্ত ছিলো বুদ্ধিবৃত্তিক ও সম্মানের। এটি আমাদের পুরো জাতির জন্যেও সম্মান ও গৌরবের। তিনি ইসলামের ইতিহাসে একজন মুসলমানকে কাফেরদের হাতে তুলে দিয়ে মুসলমানদের অসম্মান করেন নি। তিনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি যা আমাদের জন্য ইসলামি ইতিহাসে লজ্জার ও তিরস্কারের বিষয় হয়ে থাকতো।”
“আমাদের জানা ও বোঝা উচিত যে, পশ্চিমাদের সমস্যা হচ্ছে ইসলামি শাসনব্যবস্থা। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন যদি পশ্চিমাদের শর্ত মেনে নিতো এবং তাদের হুমকির সামনে বশ্যতা স্বীকার করতো, এমনকি এই মুসলিম বীর স্বেচ্ছায় আফগানিস্তান ছেড়ে চলেও যেতেন, তথাপি এই শাসনব্যবস্থা উৎখাত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও তার অন্য মিত্রদের আক্রমণ অনিবার্য ছিল। আর এটি নিশ্চিতভাবে ঘটেছেও।”
মৌলভি কবির আরও বলেন, “মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদের নেতৃত্বে যে ইসলামি আন্দোলনের জাগরণ উঠেছিল, তা দেশকে হানাদারমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত করেছে। আপনারা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিন্ত থাকুন যে, আমাদের বর্তমান আমিরুল মুমিনিন শায়খুল হাদীস মৌলভি হিবাতুল্লাহও (হাফি.) মোল্লা মুহাম্মদ ওমর মুজাহিদের মতো ধর্মপরায়ণ, দৃঢ় ঈমানের অধিকারী। তিনিও অন্যদের হুমকির কাছে নতি স্বীকার করেন না!
সর্বশেষ তিনি বলেন, “আমরা চাই না যে আফগানিস্তান বিশ্বের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াক। আমাদের নীতি হল আফগানিস্তান শান্তিপূর্ণ থাকবে, আমরা আমাদের দেশকে পুনর্গঠন করব এবং আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করব। তবে আমরা কখনোই আমাদের ইসলামী ও জাতীয় মূল্যবোধকে ত্যাগ করব না।”
আইইএ উপ-প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুল কবির (হাফি.) গত ২০ জুলাই স্থানীয় প্রবীণদের এক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে তিনি বক্তৃতাকালে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, “বিশ্বের অত্যাচারী ও অহংকারী শক্তি, যারা আফগানিস্তানে ইসলামী ব্যবস্থার টিকে থাকা পছন্দ করেনি, তারা ওসামাকে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করেছিল। তিনি চলে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এখানে আগ্রাসন ছিলো অনিবার্য।”
তিনি বলেন, “আপনাদের এমনটা বলা উচিত নয় যে, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন একজন ব্যাক্তির কারণে আফগানিস্তানকে সমস্যায় ফেলেছে। প্রথমত, ওসামা বিন লাদেন আমাদের একজন সম্মানিত মেহমান। এই মুসলামানের বিষয়ে আমাদের আমিরুল মুমিনিনের সিদ্ধান্ত ছিলো বুদ্ধিবৃত্তিক ও সম্মানের। এটি আমাদের পুরো জাতির জন্যেও সম্মান ও গৌরবের। তিনি ইসলামের ইতিহাসে একজন মুসলমানকে কাফেরদের হাতে তুলে দিয়ে মুসলমানদের অসম্মান করেন নি। তিনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি যা আমাদের জন্য ইসলামি ইতিহাসে লজ্জার ও তিরস্কারের বিষয় হয়ে থাকতো।”
“আমাদের জানা ও বোঝা উচিত যে, পশ্চিমাদের সমস্যা হচ্ছে ইসলামি শাসনব্যবস্থা। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন যদি পশ্চিমাদের শর্ত মেনে নিতো এবং তাদের হুমকির সামনে বশ্যতা স্বীকার করতো, এমনকি এই মুসলিম বীর স্বেচ্ছায় আফগানিস্তান ছেড়ে চলেও যেতেন, তথাপি এই শাসনব্যবস্থা উৎখাত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও তার অন্য মিত্রদের আক্রমণ অনিবার্য ছিল। আর এটি নিশ্চিতভাবে ঘটেছেও।”
মৌলভি কবির আরও বলেন, “মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদের নেতৃত্বে যে ইসলামি আন্দোলনের জাগরণ উঠেছিল, তা দেশকে হানাদারমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত করেছে। আপনারা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিন্ত থাকুন যে, আমাদের বর্তমান আমিরুল মুমিনিন শায়খুল হাদীস মৌলভি হিবাতুল্লাহও (হাফি.) মোল্লা মুহাম্মদ ওমর মুজাহিদের মতো ধর্মপরায়ণ, দৃঢ় ঈমানের অধিকারী। তিনিও অন্যদের হুমকির কাছে নতি স্বীকার করেন না!
সর্বশেষ তিনি বলেন, “আমরা চাই না যে আফগানিস্তান বিশ্বের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াক। আমাদের নীতি হল আফগানিস্তান শান্তিপূর্ণ থাকবে, আমরা আমাদের দেশকে পুনর্গঠন করব এবং আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করব। তবে আমরা কখনোই আমাদের ইসলামী ও জাতীয় মূল্যবোধকে ত্যাগ করব না।”
Comment