Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    শত্রুর আকাশ সক্ষমতা ধ্বংসে মালিতে আল-কায়েদার বহুমুখী অভিযান



    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সামরিক জান্তা সরকারি বাহিনীকে জলপথ ও স্থলপথে কোনঠাসা করার পর, প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (জেএনআইএম) লক্ষ্য এবার আকাশ পথে শত্রুকে অকার্যকর করে ফেলা। এই লক্ষ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত কয়েকদিনে জান্তা বাহিনীর আকাশ পথের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ চালিয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রমতে, জান্তা ও ওয়াগনার বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা ধ্বংসে জেএনআইএম অতিসম্প্রতি যে কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাও রাজ্যের সামরিক বিমানবন্দরে ইস্তেশহাদী ও ইনগিমাসী মুজাহিদদের সম্মিলিত অভিযান। গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ‘জেএনআইএম’-এর ১০ জন মুজাহিদদের সম্মিলিত এই অভিযানটি ৪টি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এর প্রথমটি বিমানবন্দরের গেটে, দ্বিতীয়টি রানওয়েতে, তৃতীয়টি সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার ও সাঁজোয়া যান পার্ক করার ভবনে এবং চতুর্থটি মালিয়ান সেনাবাহিনী ও ওয়াগনার ভাড়াটেদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে বিমান, সাঁজোয়া যান ও সামরিক সরঞ্জামের গুদাম ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়।


    অভিযানে অংশগ্রহণকারী ইনগিমাসী মুজাহিদিন

    একযোগে ৪টি ইস্তেশহাদী অপারেশনে পুরো বিমানবন্দর যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তখন ‘জেএনআইএম’ বাকি ৬ জন ইনগিমাসী যোদ্ধা বিমানবন্দরে বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তাঁরা বিমানবন্দরের অবশিষ্টাংশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন, সেই সাথে বেঁচে থাকা ওয়াগনার ও জান্তা সদস্যদের খোঁজে খোঁজে হত্যা করতে থাকেন। এদিন ভোরে শুরু হওয়া এই লড়াই পুরোদস্তুর সারাদিন চলতে থাকে।

    আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্র জানায়, জেএনআইএম-এর ইনগিমাসী যোদ্ধারা প্রায় এক দিন ধরে বিমানবন্দরের ভিতরে মালিয়ান সেনাবাহিনী এবং ওয়াগনারের ভাড়াটেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানের ফলে কয়েক ডজন মালিয়ান সৈনিক এবং ভাড়াটে ওয়াগনার সেনা নিহত হয়। সেই সাথে বিমানবন্দরের একটি বড় অংশ ও বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস করার পাশাপাশি কয়েকটি ডজন যানবাহন পুড়িয়ে শত্রুর ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলা হয়েছে। আরও ধ্বংস হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের মজুদ সমেত একটি অস্ত্রগুদাম।

    বিমানবন্দরে অভিযানের সময়কার দৃশ্য

    এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে মালিয়ান সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা যায়, মুজাহিদদের এই অভিযানে মালিয়ান জান্তা বাহিনীর ৫০ সৈন্য এবং ওয়াগনারের ২০ সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলার ধরণ ও দীর্ঘ সময়ের এই লড়াই বলে দিচ্ছে যে, শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ হয়ত আরও কয়েকগুণ বেশি, যা সামরিক জান্তা সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে।

    মালিয়ান সামরিক বাহিনীর আকাশ সক্ষমতা ধ্বংস করতে জেএনআইএমের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেন সিকো রাজ্যের গানভাতো এবং তুনতারবালা গ্রামের মধ্যে।
    এই অঞ্চলে গত ৮ সেপ্টেম্বর ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর অন্তর্গত পদাতিক সৈন্যদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এর ফলে ওয়াগনার বাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। এসময় হতাহতদের সহায়তার জন্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওয়াগনারের গানশিপ হেলিকপ্টার। তবে গানশিপটি মুজাহিদদের কোন ক্ষতি করার আগেই তাঁরা সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হন।

    বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের কিছু দৃশ্য

    জেএনআইএম যোদ্ধারা যে স্থানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করেছিলেন, একদিন পর সেখানেই ওয়াগনার ভাড়াটেদের সাথে পূণরায় তীব্র সংঘর্ষ হয় তাঁদের। এদিনও ওয়াগনারকে সহায়তা করতে ঘটনাস্থলে আসা আরও একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করে দেন মুজাহিদগণ। সেই সাথে, মুজাহিদদের হাতে এদিনও এক ডজনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়।

    এদিকে ওয়াগনার বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তাদের ক্ষয়ক্ষতির সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে ফলে। কিন্তু ততক্ষণে ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা ধ্বংস হওয়া হেলিকপ্টারের কিছু দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে নেন।

    ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের তৃতীয় সফল অভিযানটি শুরু করেন টিম্বাকটো রাজ্যের কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর লক্ষ্য করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমানবন্দরটি লক্ষ্য করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অসংখ্য মর্টার শেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি দ্বারা হামলা চালিয়েছেন।

    বিমানবন্দর লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন মুজাহিদগণ

    এই হামলার প্রথম দিনেই টিম্বাক্টু বিমানবন্দর পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে; অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান বন্দরটি, বাতিল করা হয় সমস্ত ফ্লাইট। তবে ‘জেএনআইএম’-এর গত ৫ দিনের এসব অভিযানে বিমানবন্দরে শত্রু বাহিনীর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কেনিয়ায় শাবাবের ৫ অভিযানে অন্তত ২২ সৈন্য নিহত



    সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫টি অভিযান চালিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। এর ২টিতেই কেনিয়ান সামরিক বাহিনীর ২২ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রমতে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ কেনিয়ার উপকূলীয় রাজ্য লামুতে একাধারে ২টি অভিযান পরিচালনা করছেন। শাবাব যোদ্ধারা তাদের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করছেন রাজ্যের মিলিমানি এলাকার কাছে সেনাবাহিনীর একটি যান লক্ষ্য করে। শাবাবের লাগানো বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণে সাঁজোয়া যানটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাতে আরোহী ১২ কেনিয়ান সৈন্য নিহত হয়।

    অনুরূপ, রাজ্যটির হিন্দি শহরের কাছেও সেনাবাহিনীর একটি সামরিক যান লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুজাহিদগণ। এই আক্রমণেও সেনাবাহিনীর আরও ১০ সদস্য নিহত হয়। সেই সাথে সাঁজোয়া যানটি ধ্বংস হয়ে যায়।

    এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে কেনিয়ার গারিসা রাজ্যের বুরি জেলায় আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। আক্রমণটি এই জেলায় অবস্থিত কেনিয়ান সেনবাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে ঘাঁটির ভেতর অবস্থানরত বেশ কিছু কেনিয়ান সৈন্য হতাহত হয় এবং অনেক সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে যায়।

    সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার, দেশটির মান্দিরা রাজ্যের লাফেই জেলায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। অভিযানটি এই জেলার অন্তর্গত ধামাস এলাকায় কেনিয়ান সেনাদের একটি অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়।

    একই এলাকায় গত সপ্তাহের সোমবারও একটি অভিযান চালান মুজাহিদগণ। এক সপ্তাহের মধ্যেই এলাকাটিতে মুজাহিদদের পরিচালিত পরপর ২টি অভিযানে কেনিয়ান সেনাবাহিনীর বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয় এবং অনেক সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সদর দফতরে শাবাবের ইস্তেশহাদী আক্রমণে অন্তত ৪৫ কর্মকর্তা হতাহত


      অভিযানরত আশ-শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ


      সোমালিয়ার জালমুদুগ প্রশাসনের সদর দফতরে ইস্তেশহাদী আক্রমণ চালিয়েছে আশ-শাবাব। এতে পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সহ অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

      স্থানীয় সূত্রমতে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রাক-ভোরে রাজ্যটির ওয়াসেল শহরের উপকণ্ঠে একটি বিধ্বংসী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এমন এক সময় রাজ্যটির প্রশাসনিক সদর দফতরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যখন সেখানে প্রাদেশিক রাষ্ট্রপতি, সামরিক কর্মকর্তা, সোমালি সংসদ সদস্য ও সামরিক বাহিনীর অফিসাররা একত্রিত হয়েছিল। সরকারী সূত্র দাবি করেছে যে, বিস্ফোরণে তাদের সাতজন মৃত্যুবরণ করেছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।

      একইভাবে জালমুদুগ প্রশাসনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ নুর আলি গণমাধ্যমে দাবি করেছে যে, উক্ত বিস্ফোরণে জালমুদুগ প্রেসিডেন্ট গার্ডের ৭ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছে। হামলায় রাষ্ট্রপতি সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অক্ষত ছিল।

      তবে শাহাদাহ নিউজ সহ দেশটির স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে যে, প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের একজন যোদ্ধা বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর লক্ষ্য করে উক্ত ইস্তেশহাদী আক্রমণটি চালিয়েছেন। অভিযানের প্রাথমিক ফলাফল হচ্ছে, এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অফিসার সহ অন্তত ১১ জন সদস্য নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মাঝে ২ জন সিনেটর এবং কয়েকজন এমপিসহ বিশিষ্ট সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, হতাহতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

      স্থানীয়রা জানান, অভিযানের পর ঘটনাস্থলে কয়েকটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেখা গেছে, যাতে বহন করে হতাহতদেরকে চিকিৎসার জন্য মাদাক শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই সাথে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের চিকিৎসার জন্য মোগাদিশুতে বিমানযোগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার !

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভাইদের আরো জোরদার অভিযানের তৌফিক দান করেন। আমীন

          Comment

          Working...
          X