শত্রুর আকাশ সক্ষমতা ধ্বংসে মালিতে আল-কায়েদার বহুমুখী অভিযান
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সামরিক জান্তা সরকারি বাহিনীকে জলপথ ও স্থলপথে কোনঠাসা করার পর, প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (জেএনআইএম) লক্ষ্য এবার আকাশ পথে শত্রুকে অকার্যকর করে ফেলা। এই লক্ষ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত কয়েকদিনে জান্তা বাহিনীর আকাশ পথের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ চালিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, জান্তা ও ওয়াগনার বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা ধ্বংসে জেএনআইএম অতিসম্প্রতি যে কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাও রাজ্যের সামরিক বিমানবন্দরে ইস্তেশহাদী ও ইনগিমাসী মুজাহিদদের সম্মিলিত অভিযান। গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ‘জেএনআইএম’-এর ১০ জন মুজাহিদদের সম্মিলিত এই অভিযানটি ৪টি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এর প্রথমটি বিমানবন্দরের গেটে, দ্বিতীয়টি রানওয়েতে, তৃতীয়টি সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার ও সাঁজোয়া যান পার্ক করার ভবনে এবং চতুর্থটি মালিয়ান সেনাবাহিনী ও ওয়াগনার ভাড়াটেদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে বিমান, সাঁজোয়া যান ও সামরিক সরঞ্জামের গুদাম ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী ইনগিমাসী মুজাহিদিন
একযোগে ৪টি ইস্তেশহাদী অপারেশনে পুরো বিমানবন্দর যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তখন ‘জেএনআইএম’ বাকি ৬ জন ইনগিমাসী যোদ্ধা বিমানবন্দরে বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তাঁরা বিমানবন্দরের অবশিষ্টাংশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন, সেই সাথে বেঁচে থাকা ওয়াগনার ও জান্তা সদস্যদের খোঁজে খোঁজে হত্যা করতে থাকেন। এদিন ভোরে শুরু হওয়া এই লড়াই পুরোদস্তুর সারাদিন চলতে থাকে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্র জানায়, জেএনআইএম-এর ইনগিমাসী যোদ্ধারা প্রায় এক দিন ধরে বিমানবন্দরের ভিতরে মালিয়ান সেনাবাহিনী এবং ওয়াগনারের ভাড়াটেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানের ফলে কয়েক ডজন মালিয়ান সৈনিক এবং ভাড়াটে ওয়াগনার সেনা নিহত হয়। সেই সাথে বিমানবন্দরের একটি বড় অংশ ও বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস করার পাশাপাশি কয়েকটি ডজন যানবাহন পুড়িয়ে শত্রুর ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলা হয়েছে। আরও ধ্বংস হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের মজুদ সমেত একটি অস্ত্রগুদাম।
বিমানবন্দরে অভিযানের সময়কার দৃশ্য
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে মালিয়ান সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা যায়, মুজাহিদদের এই অভিযানে মালিয়ান জান্তা বাহিনীর ৫০ সৈন্য এবং ওয়াগনারের ২০ সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলার ধরণ ও দীর্ঘ সময়ের এই লড়াই বলে দিচ্ছে যে, শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ হয়ত আরও কয়েকগুণ বেশি, যা সামরিক জান্তা সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে।
মালিয়ান সামরিক বাহিনীর আকাশ সক্ষমতা ধ্বংস করতে জেএনআইএমের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেন সিকো রাজ্যের গানভাতো এবং তুনতারবালা গ্রামের মধ্যে।
এই অঞ্চলে গত ৮ সেপ্টেম্বর ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর অন্তর্গত পদাতিক সৈন্যদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এর ফলে ওয়াগনার বাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। এসময় হতাহতদের সহায়তার জন্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওয়াগনারের গানশিপ হেলিকপ্টার। তবে গানশিপটি মুজাহিদদের কোন ক্ষতি করার আগেই তাঁরা সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হন।
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের কিছু দৃশ্য
জেএনআইএম যোদ্ধারা যে স্থানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করেছিলেন, একদিন পর সেখানেই ওয়াগনার ভাড়াটেদের সাথে পূণরায় তীব্র সংঘর্ষ হয় তাঁদের। এদিনও ওয়াগনারকে সহায়তা করতে ঘটনাস্থলে আসা আরও একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করে দেন মুজাহিদগণ। সেই সাথে, মুজাহিদদের হাতে এদিনও এক ডজনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়।
এদিকে ওয়াগনার বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তাদের ক্ষয়ক্ষতির সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে ফলে। কিন্তু ততক্ষণে ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা ধ্বংস হওয়া হেলিকপ্টারের কিছু দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে নেন।
ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের তৃতীয় সফল অভিযানটি শুরু করেন টিম্বাকটো রাজ্যের কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর লক্ষ্য করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমানবন্দরটি লক্ষ্য করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অসংখ্য মর্টার শেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি দ্বারা হামলা চালিয়েছেন।
বিমানবন্দর লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন মুজাহিদগণ
এই হামলার প্রথম দিনেই টিম্বাক্টু বিমানবন্দর পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে; অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান বন্দরটি, বাতিল করা হয় সমস্ত ফ্লাইট। তবে ‘জেএনআইএম’-এর গত ৫ দিনের এসব অভিযানে বিমানবন্দরে শত্রু বাহিনীর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সামরিক জান্তা সরকারি বাহিনীকে জলপথ ও স্থলপথে কোনঠাসা করার পর, প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (জেএনআইএম) লক্ষ্য এবার আকাশ পথে শত্রুকে অকার্যকর করে ফেলা। এই লক্ষ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত কয়েকদিনে জান্তা বাহিনীর আকাশ পথের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ চালিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, জান্তা ও ওয়াগনার বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা ধ্বংসে জেএনআইএম অতিসম্প্রতি যে কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাও রাজ্যের সামরিক বিমানবন্দরে ইস্তেশহাদী ও ইনগিমাসী মুজাহিদদের সম্মিলিত অভিযান। গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ‘জেএনআইএম’-এর ১০ জন মুজাহিদদের সম্মিলিত এই অভিযানটি ৪টি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এর প্রথমটি বিমানবন্দরের গেটে, দ্বিতীয়টি রানওয়েতে, তৃতীয়টি সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার ও সাঁজোয়া যান পার্ক করার ভবনে এবং চতুর্থটি মালিয়ান সেনাবাহিনী ও ওয়াগনার ভাড়াটেদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে বিমান, সাঁজোয়া যান ও সামরিক সরঞ্জামের গুদাম ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী ইনগিমাসী মুজাহিদিন
একযোগে ৪টি ইস্তেশহাদী অপারেশনে পুরো বিমানবন্দর যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তখন ‘জেএনআইএম’ বাকি ৬ জন ইনগিমাসী যোদ্ধা বিমানবন্দরে বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তাঁরা বিমানবন্দরের অবশিষ্টাংশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন, সেই সাথে বেঁচে থাকা ওয়াগনার ও জান্তা সদস্যদের খোঁজে খোঁজে হত্যা করতে থাকেন। এদিন ভোরে শুরু হওয়া এই লড়াই পুরোদস্তুর সারাদিন চলতে থাকে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্র জানায়, জেএনআইএম-এর ইনগিমাসী যোদ্ধারা প্রায় এক দিন ধরে বিমানবন্দরের ভিতরে মালিয়ান সেনাবাহিনী এবং ওয়াগনারের ভাড়াটেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানের ফলে কয়েক ডজন মালিয়ান সৈনিক এবং ভাড়াটে ওয়াগনার সেনা নিহত হয়। সেই সাথে বিমানবন্দরের একটি বড় অংশ ও বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস করার পাশাপাশি কয়েকটি ডজন যানবাহন পুড়িয়ে শত্রুর ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলা হয়েছে। আরও ধ্বংস হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের মজুদ সমেত একটি অস্ত্রগুদাম।
বিমানবন্দরে অভিযানের সময়কার দৃশ্য
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে মালিয়ান সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা যায়, মুজাহিদদের এই অভিযানে মালিয়ান জান্তা বাহিনীর ৫০ সৈন্য এবং ওয়াগনারের ২০ সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলার ধরণ ও দীর্ঘ সময়ের এই লড়াই বলে দিচ্ছে যে, শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ হয়ত আরও কয়েকগুণ বেশি, যা সামরিক জান্তা সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে।
মালিয়ান সামরিক বাহিনীর আকাশ সক্ষমতা ধ্বংস করতে জেএনআইএমের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেন সিকো রাজ্যের গানভাতো এবং তুনতারবালা গ্রামের মধ্যে।
এই অঞ্চলে গত ৮ সেপ্টেম্বর ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর অন্তর্গত পদাতিক সৈন্যদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এর ফলে ওয়াগনার বাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। এসময় হতাহতদের সহায়তার জন্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওয়াগনারের গানশিপ হেলিকপ্টার। তবে গানশিপটি মুজাহিদদের কোন ক্ষতি করার আগেই তাঁরা সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হন।
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের কিছু দৃশ্য
জেএনআইএম যোদ্ধারা যে স্থানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করেছিলেন, একদিন পর সেখানেই ওয়াগনার ভাড়াটেদের সাথে পূণরায় তীব্র সংঘর্ষ হয় তাঁদের। এদিনও ওয়াগনারকে সহায়তা করতে ঘটনাস্থলে আসা আরও একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করে দেন মুজাহিদগণ। সেই সাথে, মুজাহিদদের হাতে এদিনও এক ডজনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়।
এদিকে ওয়াগনার বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তাদের ক্ষয়ক্ষতির সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে ফলে। কিন্তু ততক্ষণে ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা ধ্বংস হওয়া হেলিকপ্টারের কিছু দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে নেন।
ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের তৃতীয় সফল অভিযানটি শুরু করেন টিম্বাকটো রাজ্যের কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর লক্ষ্য করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমানবন্দরটি লক্ষ্য করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অসংখ্য মর্টার শেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি দ্বারা হামলা চালিয়েছেন।
বিমানবন্দর লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন মুজাহিদগণ
এই হামলার প্রথম দিনেই টিম্বাক্টু বিমানবন্দর পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে; অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান বন্দরটি, বাতিল করা হয় সমস্ত ফ্লাইট। তবে ‘জেএনআইএম’-এর গত ৫ দিনের এসব অভিযানে বিমানবন্দরে শত্রু বাহিনীর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি।
Comment