Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২৫ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২৫ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    সেনা ঘাঁটিতে জেএনআইএমের অভিযানে ৮২ বুরকিনান সেনা হতাহত




    সামরিক ঘাঁটিতে অভিযানে বের হওয়া প্রতিরোধ যোদ্ধারা।


    গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বুরকিনা ফাসোর জিবু শহরের একটি সেনা ঘাঁটিতে অতর্কিত অভিযান পরিচালনা করেছেন জেএনাইএমের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৮ সেনা বন্দী হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেকে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকালে উক্ত ঘাঁটিটিতে শতাধিক প্রতিরোধ যোদ্ধার একটি দল সমন্বিত অভিযানে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী মুজাহিদদের অধিকাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী, তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুজাহিদ কয়েকটি ভারী মেশিনগান যুক্ত পিক-আপ ট্রাক এবং এমআরএপি সাঁজোয়া যান নিয়ে অভিযানে অংশ নেন। অভিযানের শুরুতেই এমআরএপি সাঁজোয়া যানগুলো ঘাঁটির প্রাচীর ধ্বংস করতে এবং ঘাঁটির অভ্যন্তরে আক্রমণ চালাতে শুরু করে।

    সামরিক ঘাঁটির অবস্থান

    সাঁজোয়া যানগুলো ঘাঁটির প্রবেশপথ পরিষ্কার করলে মোটরসাইকেল আরোহী প্রতিরোধ যোদ্ধারা দ্রুত সময়ে ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। এসময় বুরকিনান সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও, ‘জেএনআইএম’ এর তীব্র আঘাতে তাদের প্রতিরোধ দীর্ঘায়িত হয় নি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই বুরকিনান বাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা নিহত এবং আরও ৪২ সেনা আহত হয়। একই সময়ে ১৮ শত্রুসেনা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়।

    এদিকে অভিযান চলাকালে ওয়াগাডুগউ বিমানবন্দর থেকে একটি ISR যুদ্ধবিমান এবং বেশ কয়েকটি তুর্কি Bayraktar TB2 ড্রোন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।

    জেএনআইএম কর্তৃক অভিযানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার দাবি করে যে, তারা অভিযানটি প্রতিহত করেছে। আর এই অভিযানে জেএনাইএমের ৩ হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে ৪০০ মুজাহিদকে হত্যার দাবিও করেছে সরকার।
    সেনা ঘাঁটিতে যুদ্ধরত ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা

    কিন্তু আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম ১১ মিনিটের একটি ভিডিও সহ বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করলে দেখা যায়, এক শত-এর কিছু বেশি সংখ্যক যোদ্ধাই কেবল এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে প্রকৃত তথ্য উঠে এলে সরকারি বাহিনী তাদের অতিরঞ্জিত প্রচারণার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে। ভিডিওতে এটিও দেখা যায় যে, সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ শেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা পুরো সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, আর তাতে থাকা সমস্ত সাঁজোয়া যান ও যুদ্ধ সামগ্রী জব্দ করেছেন।

    জেএনআইএম-এর মিডিয়া সূত্র আয-যাল্লাকা থেকে জানানো হয়, অভিযানে প্রায় ডজনখানেক প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছেন ( ইনশাআল্লাহ)। অপরদিকে মুজাহিদগণ শত্রুর সম্পূর্ণ ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি ৬টি সাঁজোয়া যান, ১১টি মোটরসাইকেল, ১১টি পিকেএম, ২টি দুশকা, ৩২টি ক্লাশিনকোভ, ১৫টি গ্র্যাড লঞ্চার, ১টি SPG-9 আর্টিলারি, ৫টি পিস্তল, ১টি “ড্রাগুনভ” স্নাইপার, ২০৭টি ‘ক্লাশিনকোভ ও মেশিনগান’ এর বুলেট বাক্স ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন গোলাবারুদ জব্দ করেছেন।


    জব্দ করা সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রের কিছু দৃশ্য

    উল্লেখ্য যে, প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দার এই শহরটি গত মে মাস থেকে অবরোধ করে রেখেছেন ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা। ফলে শহরটিতে আকাশ পথ ছাড়া স্থলপথে সামরিক বাহিনীর সমস্ত রসদ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘাঁটি বিজয়ের পর শহর বিজয়কে এখন তাই সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি কেনিয়ায় শাবাবের অভিযান



    পূর্ব আফ্রিকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সোমালিয়ার শারিয়া শাসিত অঞ্চলগুলোতে দুর্গম অঞ্চল থেকে মানুষকে উদ্ধারের পাশাপাশি বন্যার্তদের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রান ও ঔষধ পৌঁছে দিচ্ছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। আর এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও পার্শ্ববর্তী দেশ কেনিয়ায় দ্বীন কায়েমের জিহাদের ফরজ আঞ্জাম দেওয়ার কাজে পিছপা হচ্ছেন না শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

    ডিসেম্বরের শুরুতে ৪ দিনের মধ্যেই দখলদার কেনিয়ান সামরিক বাহিনীর উপর পৃথক ৪টি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। এর মধ্যে গত জুমাদুল উলার ১৫ তারিখ বৃহস্পতিবার এক দিনেই চালানো হয়েছে দুটি অভিযান।
    শাবাব মুজাহিদিন পরিচালিত অভিযানগুলোতে কেনিয়ান সামরিক বাহিনী জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

    গত ১৫ জুমাদাল উলা বৃহস্পতিবার, আশ-শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধারা কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জারিসার বোয় এবং অ্যালেন গাগার অঞ্চলে কেনিয়ার বাহিনীর দুটি সামরিক ঘাঁটিতে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। সেখানে একটি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং অপর ঘাঁটির কিছু অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। উভয় অপারেশনে কেনিয়ার বেশ কয়েকজন সৈন্য হতাহত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেবল দু’জন সৈন্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

    এরপর গত ২ ডিসেম্বর শনিবার, জারিসা প্রদেশের “মুডি ক্রাই” গ্রামের নিকটবর্তী কেনিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে শাবাব মুজাহিদিনের অভিযানে অসংখ্য শত্রুসেনা হতাহত হয় বলে জানা গেছে। অভিযানে শত্রুবাহিনীর ব্যবহৃত একটি বুলডোজারও ধ্বংস হয়ে যায়।

    এর পরদিন ৩ ডিসেম্বর রবিবার, জারিসা প্রদেশের “হরমাল্ড” জেলার polo4 এলাকার কেনিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আশ-শাবাবের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধা রেইড করেন। সেখানে সংঘর্ষে ৩ কেনিয়ান সৈন্য নিহত এবং একজন সৈন্য আহত হয়। প্রতিরোধ যোদ্ধারা পুরো সামরিক ঘাঁটিটি এবং তাতে থাকা শত্রুর ব্যবহৃত সকল সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এক মাসে টিটিপির অভিযানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ২১৯ সদস্য হতাহত







      পাকিস্তান ভিত্তিক সর্বাধিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। গত নভেম্বর মাস জুড়ে দেশটিতে দলটির প্রতিরোধ যোদ্ধারা পাকিস্তানজুড়ে অন্তত ৭৮টি অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে পশ্চিমা মদদপুষ্ট পাক সামরিক বাহিনীর ৯৯ সদস্য নিহত এবং আরও ১২০ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) অফিসিয়াল সাইট উমর মিডিয়ায় গত ১ ডিসেম্বর অভিযানের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

      প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে, টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধারা দেশের ১২টি জেলায় সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত ১৪টি হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছেন। সেই সাথে তাঁরা দেশের ৭টি প্রদেশের মোট ১৪টি জেলায় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৮টি পৃথক অভিযানও পরিচালনা করেছেন।প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলুচিস্তান প্রদেশের পিশিন ও কোয়েটা জেলায় একটি করে মোট ২টি অভিযান ছাড়া বাকি ৭৬টি অভিযানই চালানো হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ১২টি জেলায়।

      এই জেলাগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি সংখ্যক অভিযান চালানো হয়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে; এখানে পরিচালিত অভিযানের সংখ্যা ২৩টি।অপরদিকে প্রদেশ ভিত্তিক সবচাইতে বেশি সংখ্যক অভিযান চালানো হয়েছে বান্নুতে, যার সংখ্যা ৩৪টি। এরপর ডি.আই.খান প্রদেশে অভিযান চালানো হয়েছে ২৩টি, পেশোয়ারে ১২টি, মালাকান্ডে ৩টি। আর কোহাটা, মরদান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ২টি করে মোট ৬টি অভিযান চালানো হয়েছে।

      প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসকল অভিযানের সময় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে সামরিক বাহিনীর ৫ সদস্য বন্দী হয়েছে। এছাড়াও ৯৯ সদস্য নিহত এবং আরও ১২০ সদস্য আহত হয়েছে। হতাহতদের এই তালিকায় সেনা সদস্য রয়েছে ৯৫ জন, পুলিশ ও সিটিডি সদস্য রয়েছে ৭১ জন, সীমান্তরক্ষী ৪৪ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য রয়েছে ১০ জন।

      প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা অভিযান শেষে শত্রু বাহিনী থেকে বিপুল সংখ্যক গুলি, বেশ কিছু মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং সোলার সিস্টেম এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও ৭টি ক্লাশিনকোভ জব্দ করেছেন। এছাড়াও তাঁরা সামরিক বাহিনীর ৯টি স্পাই ক্যামেরা, ৫টি সামরিক যান, ৪টি পুলিশ ভ্যান ও ৩টি পুলিশ পোস্ট ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হে মুজাহিদ ভাই সকল তোমাদের ত্যাগের কাছে আমাদের চেষ্টা খেলাধুলার মত। আল্লাহ তোমাদের চেষ্টাগুলো কবুল করুন। এবং আমাদেরকে তোমাদের সাহায্য করার তাওফীক দান করুন। এবং তোমাদের মত খিদমাহ করার তাওফীক দান করুন। এবং তোমাদের মত শাহাদাত বরণ করার তাওফীক দান করুন।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ্‌ তাআলা সারা বিশ্বের সকলস্থানের মুজাহিদদের সকল প্রকারের সাহায্য করুন, বিজয় দান করুন, আমীন

          Comment

          Working...
          X