সেনা ঘাঁটিতে জেএনআইএমের অভিযানে ৮২ বুরকিনান সেনা হতাহত
সামরিক ঘাঁটিতে অভিযানে বের হওয়া প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বুরকিনা ফাসোর জিবু শহরের একটি সেনা ঘাঁটিতে অতর্কিত অভিযান পরিচালনা করেছেন জেএনাইএমের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৮ সেনা বন্দী হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকালে উক্ত ঘাঁটিটিতে শতাধিক প্রতিরোধ যোদ্ধার একটি দল সমন্বিত অভিযানে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী মুজাহিদদের অধিকাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী, তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুজাহিদ কয়েকটি ভারী মেশিনগান যুক্ত পিক-আপ ট্রাক এবং এমআরএপি সাঁজোয়া যান নিয়ে অভিযানে অংশ নেন। অভিযানের শুরুতেই এমআরএপি সাঁজোয়া যানগুলো ঘাঁটির প্রাচীর ধ্বংস করতে এবং ঘাঁটির অভ্যন্তরে আক্রমণ চালাতে শুরু করে।
সামরিক ঘাঁটির অবস্থান
সাঁজোয়া যানগুলো ঘাঁটির প্রবেশপথ পরিষ্কার করলে মোটরসাইকেল আরোহী প্রতিরোধ যোদ্ধারা দ্রুত সময়ে ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। এসময় বুরকিনান সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও, ‘জেএনআইএম’ এর তীব্র আঘাতে তাদের প্রতিরোধ দীর্ঘায়িত হয় নি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই বুরকিনান বাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা নিহত এবং আরও ৪২ সেনা আহত হয়। একই সময়ে ১৮ শত্রুসেনা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়।
এদিকে অভিযান চলাকালে ওয়াগাডুগউ বিমানবন্দর থেকে একটি ISR যুদ্ধবিমান এবং বেশ কয়েকটি তুর্কি Bayraktar TB2 ড্রোন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।
জেএনআইএম কর্তৃক অভিযানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার দাবি করে যে, তারা অভিযানটি প্রতিহত করেছে। আর এই অভিযানে জেএনাইএমের ৩ হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে ৪০০ মুজাহিদকে হত্যার দাবিও করেছে সরকার।
সেনা ঘাঁটিতে যুদ্ধরত ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা
কিন্তু আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম ১১ মিনিটের একটি ভিডিও সহ বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করলে দেখা যায়, এক শত-এর কিছু বেশি সংখ্যক যোদ্ধাই কেবল এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে প্রকৃত তথ্য উঠে এলে সরকারি বাহিনী তাদের অতিরঞ্জিত প্রচারণার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে। ভিডিওতে এটিও দেখা যায় যে, সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ শেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা পুরো সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, আর তাতে থাকা সমস্ত সাঁজোয়া যান ও যুদ্ধ সামগ্রী জব্দ করেছেন।
জেএনআইএম-এর মিডিয়া সূত্র আয-যাল্লাকা থেকে জানানো হয়, অভিযানে প্রায় ডজনখানেক প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছেন ( ইনশাআল্লাহ)। অপরদিকে মুজাহিদগণ শত্রুর সম্পূর্ণ ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি ৬টি সাঁজোয়া যান, ১১টি মোটরসাইকেল, ১১টি পিকেএম, ২টি দুশকা, ৩২টি ক্লাশিনকোভ, ১৫টি গ্র্যাড লঞ্চার, ১টি SPG-9 আর্টিলারি, ৫টি পিস্তল, ১টি “ড্রাগুনভ” স্নাইপার, ২০৭টি ‘ক্লাশিনকোভ ও মেশিনগান’ এর বুলেট বাক্স ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন গোলাবারুদ জব্দ করেছেন।
জব্দ করা সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রের কিছু দৃশ্য
উল্লেখ্য যে, প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দার এই শহরটি গত মে মাস থেকে অবরোধ করে রেখেছেন ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা। ফলে শহরটিতে আকাশ পথ ছাড়া স্থলপথে সামরিক বাহিনীর সমস্ত রসদ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘাঁটি বিজয়ের পর শহর বিজয়কে এখন তাই সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছে।
সামরিক ঘাঁটিতে অভিযানে বের হওয়া প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বুরকিনা ফাসোর জিবু শহরের একটি সেনা ঘাঁটিতে অতর্কিত অভিযান পরিচালনা করেছেন জেএনাইএমের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৮ সেনা বন্দী হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকালে উক্ত ঘাঁটিটিতে শতাধিক প্রতিরোধ যোদ্ধার একটি দল সমন্বিত অভিযানে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী মুজাহিদদের অধিকাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী, তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুজাহিদ কয়েকটি ভারী মেশিনগান যুক্ত পিক-আপ ট্রাক এবং এমআরএপি সাঁজোয়া যান নিয়ে অভিযানে অংশ নেন। অভিযানের শুরুতেই এমআরএপি সাঁজোয়া যানগুলো ঘাঁটির প্রাচীর ধ্বংস করতে এবং ঘাঁটির অভ্যন্তরে আক্রমণ চালাতে শুরু করে।
সামরিক ঘাঁটির অবস্থান
সাঁজোয়া যানগুলো ঘাঁটির প্রবেশপথ পরিষ্কার করলে মোটরসাইকেল আরোহী প্রতিরোধ যোদ্ধারা দ্রুত সময়ে ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। এসময় বুরকিনান সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও, ‘জেএনআইএম’ এর তীব্র আঘাতে তাদের প্রতিরোধ দীর্ঘায়িত হয় নি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই বুরকিনান বাহিনীর অন্তত ৪০ সেনা নিহত এবং আরও ৪২ সেনা আহত হয়। একই সময়ে ১৮ শত্রুসেনা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়।
এদিকে অভিযান চলাকালে ওয়াগাডুগউ বিমানবন্দর থেকে একটি ISR যুদ্ধবিমান এবং বেশ কয়েকটি তুর্কি Bayraktar TB2 ড্রোন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।
জেএনআইএম কর্তৃক অভিযানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার দাবি করে যে, তারা অভিযানটি প্রতিহত করেছে। আর এই অভিযানে জেএনাইএমের ৩ হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে ৪০০ মুজাহিদকে হত্যার দাবিও করেছে সরকার।
সেনা ঘাঁটিতে যুদ্ধরত ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা
কিন্তু আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম ১১ মিনিটের একটি ভিডিও সহ বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করলে দেখা যায়, এক শত-এর কিছু বেশি সংখ্যক যোদ্ধাই কেবল এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে প্রকৃত তথ্য উঠে এলে সরকারি বাহিনী তাদের অতিরঞ্জিত প্রচারণার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে। ভিডিওতে এটিও দেখা যায় যে, সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ শেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা পুরো সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, আর তাতে থাকা সমস্ত সাঁজোয়া যান ও যুদ্ধ সামগ্রী জব্দ করেছেন।
জেএনআইএম-এর মিডিয়া সূত্র আয-যাল্লাকা থেকে জানানো হয়, অভিযানে প্রায় ডজনখানেক প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছেন ( ইনশাআল্লাহ)। অপরদিকে মুজাহিদগণ শত্রুর সম্পূর্ণ ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি ৬টি সাঁজোয়া যান, ১১টি মোটরসাইকেল, ১১টি পিকেএম, ২টি দুশকা, ৩২টি ক্লাশিনকোভ, ১৫টি গ্র্যাড লঞ্চার, ১টি SPG-9 আর্টিলারি, ৫টি পিস্তল, ১টি “ড্রাগুনভ” স্নাইপার, ২০৭টি ‘ক্লাশিনকোভ ও মেশিনগান’ এর বুলেট বাক্স ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন গোলাবারুদ জব্দ করেছেন।
জব্দ করা সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রের কিছু দৃশ্য
উল্লেখ্য যে, প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দার এই শহরটি গত মে মাস থেকে অবরোধ করে রেখেছেন ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা। ফলে শহরটিতে আকাশ পথ ছাড়া স্থলপথে সামরিক বাহিনীর সমস্ত রসদ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘাঁটি বিজয়ের পর শহর বিজয়কে এখন তাই সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছে।
Comment