সড়ক ও রেলপথে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভিত্তি হলো পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন ও মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের পথকে সহজ করে। তাছাড়া মানুষের কর্মসংস্থান, বাজার ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদের সুষম বন্টন ইত্যাদি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনজীবনে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা আনয়ন করে।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুপরিকল্পিত উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়ে আসছে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে পরিবহন খাতে সংস্কার ও পুননির্মাণ প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বালাখ প্রদেশের মাজার-ই-শরীফ থেকে উজবেকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত রেলপথের একটি অংশে রেললাইন পুননির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে পাকতিকা প্রদেশে ২টি সড়ক মেরামত ও পুননির্মাণ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান রেললাইন পুননির্মাণ
আফগানিস্তানের বালাখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরীফ থেকে উজবেকিস্তান রেলপথের হাইরাতান-মাজার অংশে রেললাইন পুননির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান বালাখ প্রদেশের রেলওয়ে প্রধান শফিক মাহমুদ। প্রদেশের রাজধানীতে অবস্থিত বালাখ বিমানবন্দর থেকে রেললাইন পুননির্মাণ কাজ আরম্ভ হবে। ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনটি উজবেকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এটি হাইরাতান স্থনবন্দরকে মাজার-ই-শরীফের সাথে সংযুক্ত করে মালামাল পরিবহনে ব্যবহার হবে।
উক্ত পুননির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য উজবেকিস্তানের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয় এবং ৩ মাসের মধ্যেই এটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ২২শে ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাদেশিক কর্মকর্তাগণ তথ্যগুলো প্রদান করেন।
প্রকল্পের কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উজবেকিস্তানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বালাখ প্রদেশের উপ-গভর্নর নূরুল হাদি আবু ইদরিস। মাজার-ই-শরীফ-উজবেকিস্তান রেলপথে উক্ত পুননির্মাণ প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে উজবেকিস্তানের তেরমেজ শহর থেকে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক শহর হাইরাতানে এবং তারপর মাওলানা জালালুদ্দিন মুহাম্মদ বলখি বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উভয় দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে উক্ত রেলপথ পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
পাকতিকা প্রদেশে ২টি সড়ক পুননির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন
প্রায় ২২ মিলিয়ন আফগানি অর্থ ব্যয়ে পাকতিকা প্রদেশে ২টি সড়ক মেরামত ও পুননির্মাণ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সড়ক দুটি এখন যানচলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে। পাকতিকা-গারদিজ নামে পরিচিত প্রথম সড়কটির সংস্কার ও পুননির্মাণ প্রকল্পে ১৪.৪৬ আফগানি মূল্য ব্যয় হয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি প্রকল্প পাকতিকা ২১ কিলোমিটার বিস্তৃত সড়কের সারদা ব্যান্ড থেকে গজনি পর্যন্ত অংশের সংস্কার ও পুননির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৭.৪৬ মিলিয়ন আফগানি। এর আগে প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে পৃথক পৃথক সড়ক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয়েছিল। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি আফগান গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তথ্যগুলো জানানো হয়।
পাকতিকা গণপূর্ত বিভাগের প্রধান শ্রদ্ধেয় মৌলভী মোহাম্মদ আকবর আদেল ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপস্থতিতে সড়ক দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল উম্মুক্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন আফগানিস্তানের পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নের ফলে উপকারভোগী জনগণের পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সড়ক ও রেলপথে গৃহীত প্রকল্পগুলো সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকদের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যসূত্র:
1. Work gets underway on Hairatan-Mazar section of Balkh to Uzbekistan railway line
– http://tinyurl.com/2s3kkcvs
2. Projects worth 22 million AFN inaugurated in Paktika
– http://tinyurl.com/2ucbx757
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভিত্তি হলো পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন ও মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের পথকে সহজ করে। তাছাড়া মানুষের কর্মসংস্থান, বাজার ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদের সুষম বন্টন ইত্যাদি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনজীবনে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা আনয়ন করে।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুপরিকল্পিত উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়ে আসছে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে পরিবহন খাতে সংস্কার ও পুননির্মাণ প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বালাখ প্রদেশের মাজার-ই-শরীফ থেকে উজবেকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত রেলপথের একটি অংশে রেললাইন পুননির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে পাকতিকা প্রদেশে ২টি সড়ক মেরামত ও পুননির্মাণ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান রেললাইন পুননির্মাণ
আফগানিস্তানের বালাখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরীফ থেকে উজবেকিস্তান রেলপথের হাইরাতান-মাজার অংশে রেললাইন পুননির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান বালাখ প্রদেশের রেলওয়ে প্রধান শফিক মাহমুদ। প্রদেশের রাজধানীতে অবস্থিত বালাখ বিমানবন্দর থেকে রেললাইন পুননির্মাণ কাজ আরম্ভ হবে। ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনটি উজবেকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এটি হাইরাতান স্থনবন্দরকে মাজার-ই-শরীফের সাথে সংযুক্ত করে মালামাল পরিবহনে ব্যবহার হবে।
উক্ত পুননির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য উজবেকিস্তানের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয় এবং ৩ মাসের মধ্যেই এটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ২২শে ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাদেশিক কর্মকর্তাগণ তথ্যগুলো প্রদান করেন।
প্রকল্পের কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উজবেকিস্তানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বালাখ প্রদেশের উপ-গভর্নর নূরুল হাদি আবু ইদরিস। মাজার-ই-শরীফ-উজবেকিস্তান রেলপথে উক্ত পুননির্মাণ প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে উজবেকিস্তানের তেরমেজ শহর থেকে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক শহর হাইরাতানে এবং তারপর মাওলানা জালালুদ্দিন মুহাম্মদ বলখি বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উভয় দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে উক্ত রেলপথ পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
পাকতিকা প্রদেশে ২টি সড়ক পুননির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন
প্রায় ২২ মিলিয়ন আফগানি অর্থ ব্যয়ে পাকতিকা প্রদেশে ২টি সড়ক মেরামত ও পুননির্মাণ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সড়ক দুটি এখন যানচলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে। পাকতিকা-গারদিজ নামে পরিচিত প্রথম সড়কটির সংস্কার ও পুননির্মাণ প্রকল্পে ১৪.৪৬ আফগানি মূল্য ব্যয় হয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি প্রকল্প পাকতিকা ২১ কিলোমিটার বিস্তৃত সড়কের সারদা ব্যান্ড থেকে গজনি পর্যন্ত অংশের সংস্কার ও পুননির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৭.৪৬ মিলিয়ন আফগানি। এর আগে প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে পৃথক পৃথক সড়ক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয়েছিল। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি আফগান গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তথ্যগুলো জানানো হয়।
পাকতিকা গণপূর্ত বিভাগের প্রধান শ্রদ্ধেয় মৌলভী মোহাম্মদ আকবর আদেল ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপস্থতিতে সড়ক দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল উম্মুক্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন আফগানিস্তানের পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়নের ফলে উপকারভোগী জনগণের পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সড়ক ও রেলপথে গৃহীত প্রকল্পগুলো সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকদের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যসূত্র:
1. Work gets underway on Hairatan-Mazar section of Balkh to Uzbekistan railway line
– http://tinyurl.com/2s3kkcvs
2. Projects worth 22 million AFN inaugurated in Paktika
– http://tinyurl.com/2ucbx757
Comment