Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ১৩ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ১২ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ১৩ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ১২ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ফিলিস্তিনের জন্য সব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর জিহাদ ফরজ: মুফতি ত্বকী উসমানি




    ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানসহ সব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের শরিয়াহ বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি মুফতি মুহাম্মদ ত্বকী উসমানি হাফিযাহুল্লাহ।

    তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক, আর্থিক ও বাস্তবিক সাহায্য করা মুসলিম উম্মাহর ওপর ফরজ। পাকিস্তানসহ সকল মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে। শুধু মুখরোচক কথা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া আর সম্ভব নয়।

    গত ১০ এপ্রিল পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিয়ো নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে মুফতি তাকি উসমানি এসব কথা বলেছেন।

    মুফতি ত্বকী উসমানি বলেন, ‘এক বছর আগে এই একই সম্মেলন কেন্দ্রে আমরা একটি বিশাল সমাবেশ করেছিলাম। তখন আমরা বলেছিলাম, আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি এবং সবদিক থেকে তাদের সহায়তা করব। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা কেবল বক্তৃতা দিয়েই সীমাবদ্ধ থেকেছি, কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নিইনি। আমাদের উচিত ছিল এখানে নয়, বরং গাজায় গিয়ে জড়ো হওয়া।’

    তিনি আরও বলেন, ‘যারা নফল ওমরাহ করার নিয়তে টাকা জমাচ্ছেন, তাদের উচিত সেই অর্থ ফিলিস্তিনের জিহাদে ব্যয় করা।’

    মুফতি ত্বকী উসমানী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বেদনার বিষয় হচ্ছে, আমরা ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের জন্য বাস্তবে কিছুই করতে পারছি না। উম্মাহ আজ যেন শুধু এক দর্শক, সবাই কেবল নিন্দা জ্ঞাপন করে যাচ্ছে। শুধু সম্মেলন আর প্রস্তাবনায় আটকে থেকে দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। যখন হাজার হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হচ্ছে, তখনও যদি জিহাদ ফরজ না হয়, তাহলে কখন হবে?’

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম ক্বিবলা হেফাজতে যারা লড়াই করছে, তাদের পাশে দাঁড়াতে উম্মাহ ব্যর্থ হয়েছে। উচিৎ ছিল, সমগ্র মুসলিম দুনিয়া জিহাদের ঘোষণা দিবে। আজ গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সত্ত্বেও বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়নি। ইসরায়েল কোনো নৈতিকতা বা আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করে না। তাদের কোনো ধর্ম, বিশ্বাস বা প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা নেই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল আমেরিকার অস্ত্র ও সমর্থনে মুসলিম দেশগুলোকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে। গাজার এক চিকিৎসক বার্তা পাঠিয়েছেন, ‘গাজা শেষ নিশ্বাস নিচ্ছে। আমরা বহু অপেক্ষা করেছি, তোমরা আসোনি, এখন বিদায়।’ আজ স্পষ্টভাবে গাজাকে দখল ও মুসলিমদের কবরস্থানে রূপান্তর করার পরিকল্পনা প্রকাশ পাচ্ছে। ট্রাম্প বলেছে, গাজা ফিলিস্তিনিদের থেকে খালি করে দেওয়া হবে, যেখানে শতাব্দীর পর শতাব্দী তারা বসবাস করে আসছে। সেখানে সে বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য স্থাপনা বানাতে চায়। মনে হচ্ছে ট্রাম্প গোটা পৃথিবীকেই নিজের সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছে।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব গাজাকে বাঁচিয়ে রাখা। এজন্য ইসরায়েল এবং তার সমর্থকদের পণ্য সম্পূর্ণভাবে বয়কট করা জরুরি। যারা ইসরায়েলকে সাহায্য করে, তাদের কোম্পানির পণ্যও বয়কট করতে হবে।’

    শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। কায়েদে আজম এটিকে ‘নাজায়েজ সন্তান’ বলেছিলেন। আমাদের অবস্থান কখনোই পরিবর্তন হবে না, ইসরায়েলের যত শক্তিই থাকুক না কেন। যেহেতু আমাদের কোনো চুক্তি নেই তাদের সঙ্গে, তাই কোনো অজুহাতও নেই। আর তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে বহুবার—তবে কোন চুক্তির কাছে আমরা বাঁধা?’


    তথ্যসূত্র:
    1. اہل فلسطین کی مدد فرض ہے، ہماری حکومت سمیت تمام اسلامی حکومتوں پر جہاد فرض ہوچکا: مفتی تقی عثمانی
    https://tinyurl.com/5x3syrt2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    দখলদার ইসরায়েলি বর্বরতার ১ বছর পরেও হামাসের ৭৫ শতাংশ টানেল এখনও অক্ষত রয়েছে





    ফিলিস্তিনে হামাসের মুজাহিদিনদের ৭৫ শতাংশ সুড়ঙ্গ (টানেল) এখনো অক্ষত রয়েছে। মাত্র ২৫ শতাংশ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। নিরাপত্তা বিভাগের সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

    বুধবার (০৯ এপ্রিল) নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র আরও জানিয়েছে, মিশর থেকে গাজা উপত্যকার পথে বেশিরভাগ সুড়ঙ্গ এখনো অক্ষত রয়েছে।

    গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজ টুয়েলভকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছে, আমি নিজের চোখে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ মিশরে প্রবেশ করতে দেখেছি; কোনোটি বন্ধ, কোনোটি খোলা ছিল।

    প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের বোমা, বিমান ও ড্রোন হামলা থেকে বাঁচতে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়ে থাকেন হামাস যোদ্ধারা। তারা গাজার বিভিন্ন স্থানে সুড়ঙ্গ বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নেন। সেই সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে নানা সময়ে হামলা করে তা গুড়িয়ে দিতে তৎপর দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর এবার জানা গেল, হামাসের মাত্র চার ভাগের এক ভাগ সুড়ঙ্গ চুরমার করতে সক্ষম হয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা অর্ধলাখ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


    তথ্যসূত্র:
    1. Around 75% of Hamas’s tunnels in Gaza not destroyed by IDF
    https://tinyurl.com/4ebx3amn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সোমালিয়ায় শাবাবের অভিযানে বিপর্যস্ত তুর্কি-প্রশিক্ষিত গরগর ফোর্স: নিহত ৪২ সেনা



      হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সাম্প্রতিক যুদ্ধে তুর্কি ও মার্কিন প্রশিক্ষিত মোগাদিশু সরকারের স্পেশাল সশস্ত্র ইউনিটগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। আশ-শাবাব এই অঞ্চলে মোগাদিশু সরকারের সশস্ত্র ইউনিটগুলোকে ধ্বংসের বিষয়ে গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার নতুন একটি লাইভ ফুটেজ প্রকাশ করেছে।

      হারাকাতুশ শাবাবের অন্যতম মিডিয়া শাখা আল-কাতায়েব থেকে প্রকাশিত দীর্ঘ ৬ মিনিটের লাইভ ফুটেজটি গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার মধ্য শাবেলী রাজ্যের আলী গুদুদ শহরের উপকণ্ঠে সংঘটিত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ধারণ করা হয়েছে। ফুটেজটিতে শহরের উপকণ্ঠে ওয়ার্তা ডিজি নামক এলাকায় তুর্কি-প্রশিক্ষিত মোগাদিশু সরকারের স্পেশাল ফোর্সের ঘাঁটিতে মুজাহিদদের পরিচালিত তীব্র আক্রমণের দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে। এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হাতে তুর্কি-প্রশিক্ষিত গরগর ফোর্সের অন্তত ৪২ সৈন্য নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়। সেই সাথে বেশ কিছু সৈন্য মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়। এই অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটি থেকে মোগাদিশু বাহিনীর জন্য তুরস্কের পাঠানো AK-47 রাইফেল, PKM মেশিনগান সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।

      উল্লেখ্য যে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা গত মার্চ মাসের ২৬ তারিখ বুধবার, আলী গুদুদ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এরপর টানা ১৫ দিন ধরে শহরটি পুনর্দখলের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের বিমান সহায়তায় এই অঞ্চলে আগ্রাসন চালায় মোগাদিশু বাহিনী। কিন্তু মুজাহিদদের পাল্টা আক্রমণে শহরের উপকণ্ঠে প্রতিদিন মোগাদিশু বাহিনীতে কফিনের সংখ্যাই বাড়তে থাকে এবং পরাজিত সৈন্যরা পালাতে থাকে। আর মুজাহিদিনরা আরও দৃঢ়তার সাথে তাদের বিজিত এলাকাগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ মজবুত করেন।


      তথ্যসূত্র:
      https://tinyurl.com/2u7afnz5
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইয়েমেনে শত্রু ঘাঁটিতে মুজাহিদদের ভারী আক্রমণ: বহু শত্রু সৈন্য হতাহত




        ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাড়াটে বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুজাহিদিনরা। এতে ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনীর বহু সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

        আল-মালাহিম মিডিয়ার তথ্যমতে, গত ৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার, আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুজাহিদিনরা, ইয়েমেনে বড় ধরণের একটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানটি আবিয়ান প্রদেশের মুদিয়াহ শহরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

        আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুজাহিদিনরা এদিন সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে আল-কুজ এলাকার মোড়ে অবস্থিত শত্রু অবস্থানটি লক্ষ্য করে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করেন। এসময় মুজাহিদিনরা অতর্কিত আক্রমণের পাশাপাশি অবস্থানটিতে আরপিজি এবং ড্রোন ব্যবহার করেও হামলা চালান, যা ইয়েমেনে মুজাহিদদের অভিযানে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। আর অভিযানে মুজাহিদদের এই নতুনত্ব ও কৌশল শত্রু বাহিনীকে হতভম্ব ও বিভ্রান্ত করে তুলছে। এতে শত্রু বাহিনীর মধ্যে অবিশ্বাস ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে।

        মঙ্গলবার মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানেও এমনটাই হয়েছিল। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই মুজাহিদিনরা বহু সংখ্যক শত্রু সৈন্যকে হত্যা ও আহত করতে সক্ষম হন। অতর্কিত এই আক্রমণে হতাহতের পাশাপাশি শত্রু বাহিনী ব্যাপক বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।


        তথ্যসূত্র:
        ١. سقوط جرحى من مرتزقة الإمارات إثر إغارة على موقع مفرق القوز.
        https://tinyurl.com/4f7bywbj
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের ধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকারের নির্দেশ দিলেন আমীরুল মুমিনীন




          বিগত ১০ এপ্রিল আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশে সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে একটি সভায় অংশগ্রহণ করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আমির শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহ। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশের গভর্নর মোল্লা মেহেরুল্লাহ হাম্মাদ হাফিযাহুল্লাহ, উলামা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, পুলিশ প্রধান, গোয়েন্দা পরিচালক এবং ইমারতে ইসলামিয়ার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রাদেশিক প্রতিনিধিগণ।

          অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পূরণে কর্মকর্তাদের ধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকার করতে জোরালোভাবে নির্দেশ দেন আমীরুল মু’মিনীন। আফগানিস্তানে ইসলাম ও মুসলিমদের ভ্রাতৃত্ব উন্নয়নে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় তিনি মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, এই পরিবেশ সমুন্নত রাখতে সকলকে নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষত কর্মকর্তাদের তাদের কর্তব্য পালনে অবহেলা করা যাবে না।

          সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের আমলকে আরও ব্যাপক করতে তিনি নির্দেশ দেন। তিনি জানান, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে শরিয়া নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

          তিনি কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া ঊর্ধ্বতনদের প্রতি আনুগত্য, মন্ত্রীদের সাথে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় এবং মন্ত্রীদের নির্দেশাবলী মেনে চলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

          জনগণের নিকট সেবা পৌঁছানো কর্মকর্তাদের নিকট বাধ্যতামূলক বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইতোপূর্বে আফগান জিহাদেও মুজাহিদিনদের সমর্থন যুগিয়েছিলেন এ জনগণ।

          বিভিন্ন সম্প্রদায়গত সমস্যা সমাধান, প্রদেশগুলোর মধ্যকার শত্রুতা ও বিভেদ দূরীকরণে প্রচেষ্টা বাড়াতে তিনি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান, একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা ও বাসিন্দাদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা আরও দ্বিগুণ করতে বলেন।

          পরিশেষে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ও জনগণের কল্যাণ কামনার মাধ্যমে সমাবেশটি সমাপ্ত হয়।


          তথ্যসূত্র:
          1. Esteemed Amir-ul-Momineen Meets Officials of Paktia Province
          https://tinyurl.com/2wby6s94
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশে ২ জন হত্যাকারীর উপর কিসাসের বিধান কার্যকর




            আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশে ২ জন হত্যাকারীর উপর কিসাসের রায় কার্যকর করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আদালত। ১১ই এপ্রিল একটি সরকারি বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

            উক্ত হত্যার সাথে জড়িত অপরাধী দুই জনের নাম হল সুলেমান ও হায়দার। তারা গোলাম নবী ও মুহাম্মদ শাহ নামের ২ জন ব্যক্তিকে কালাশনিকভ অস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে খুন করেছে।

            মামলাটির বিচার প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ধাপে সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। অতঃপর ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্ব পরিষদ খুনিদের উপর কিসাসের নির্দেশ জারি করেছেন।

            ইসলামি শরিয়াহ’র আলোকে কিসাস হল নির্বিচার হত্যা বন্ধ করতে একটি প্রতিরোধ ও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা। ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের শাসনামলে আফগান জনগণ ইতোমধ্যেই এ বিধানের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছেন। একই সাথে দেশের সকল ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়াহ’র নীতিসমূহ সমুন্নত করতে তালিবান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।


            তথ্যসূত্র:
            1. Divine Retribution Implemented on Two Individuals in Badghis
            https://tinyurl.com/4md6zsf6
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সোমালিয়ায় শাবাবের অভিযানে বিপর্যস্ত তুর্কি-প্রশিক্ষিত গরগর ফোর্স: নিহত ৪২ সেনা


              মুজাহিদ ভাইদের হাতে কুফফারদের এই নিহত সংখ্যাগুলো সত্যিই অকল্পনীয়। আল্লাহ ভাইদেরকে খুব শীঘ্রই বিজয় দান করুক, আমিন।

              ইন শা আল্লাহ আমরাও অপেক্ষায় আছি, খুব শীঘ্রই সংবাদে দেখবো সমালিয়া মুজাহিদদের দ্বারা বিজয় হয়েছে।
              [ গুরাবা হয়ে লড়তে চাই, গুরাবা হয়েই শাহাদাহ চাই ]

              Comment

              Working...
              X