Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২৯ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৮ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২৯ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৮ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ইমারতে ইসলামিয়া হতে পারে অঞ্চলীয় বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু : মাওলানা মুত্তাকী




    আফগানিস্তান তার ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কারণে এই অঞ্চলের ট্রানজিট ও বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে, এমন মন্তব্য করেছেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমীর খান মুত্তাকী হাফিযাহুল্লাহ।

    গত ২৭ মে আফগান গণমাধ্যমগুলো জানায়, সম্প্রতি চীনের পশ্চিমাঞ্চলে অনুষ্ঠিত ‘ওয়েস্ট চায়না ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

    মাওলানা মুত্তাকী বলেন, পশ্চিম চীন বর্তমানে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে এক সেতুবন্ধনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। একইভাবে, আফগানিস্তানও আর আগের মতো কোনো ‘ভূ-আবদ্ধ’ দেশ নয়; বরং এটি এখন এক স্থলসেতু, যা জাতি, বাজার ও সভ্যতাকে সংযুক্ত করতে সক্ষম।

    তিনি জানান, আফগানিস্তান তার বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ, তরুণ জনগোষ্ঠী, কৃষি উৎপাদন এবং কৌশলগত অবস্থানের কারণে আঞ্চলিক ট্রানজিট ও বাণিজ্যের চারমুখী সংযোগস্থলে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রাখে। ইতোমধ্যে আফগান জনগণ প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের পথ সুদৃঢ় করবে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান একটি অর্থনীতি-কেন্দ্রিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। দেশটি ইতোমধ্যে সকল রাষ্ট্রের প্রতি ইতিবাচক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে।

    তিনি জানান, আফগানিস্তানে বর্তমানে বিনিয়োগ এবং ব্যবসার জন্য নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। তার ভাষ্যমতে, দেশটির শিল্পখাত খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২,০০০ নতুন কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    মাওলানা মুত্তাকী আরও বলেন, আফগান সরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল অর্থনৈতিক অংশীদারের সঙ্গে সমতা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রাখছে। এই নীতির কারণেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আফগানিস্তানের প্রতি একটি বিশেষ আস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

    চীনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন কেবল আফগানিস্তানের প্রতিবেশীই নয়, বরং একটি নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদারও। কৃষি, প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের অবদানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই খাতগুলোতে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

    বক্তব্যের শেষ অংশে, মাওলানা আমীর খান মুত্তাকী হাফিযাহুল্লাহ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা আন্তরিকভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই দেশের দরজা সর্বদা উন্মুক্ত রয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Muttaqi: Afghanistan Now Offers Safe Climate for Investment
    https://tinyurl.com/2cub3udt
    2. RTA English Breaking News
    https://tinyurl.com/y5yma7c2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় আল-কাসসামের হামলায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি



    ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড গত কয়েকদিনে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক সফল সামরিক অভিযান চালিয়েছে। উত্তরের বেইত লাহিয়ার আল-আতাত্রা অঞ্চলে এবং খান ইউনিসের আল-কারারা শহরে আল-কাসসাম যোদ্ধাদের নেতৃত্বে চালানো হামলায় ইসরায়েলি সৈন্যরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

    আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৫ মে, রবিবার উত্তরের গাজার বেইত লাহিয়ার আল-আতাত্রা এলাকায় ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর ১০ সদস্যের একটি পদাতিক দলকে লক্ষ্য করে অ্যান্টি-পার্সোনেল শেল দিয়ে আক্রমন করা হয়। এতে দখলদার সৈন্যদের মধ্যে নিশ্চিত নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটে।

    এছাড়া, খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় আল-কারারা শহরে একটি দ্বৈত অপারেশন চালানো হয়। আল-কাসসামের যোদ্ধারা একটি বাড়িতে ইহুদি সৈন্যদের অবস্থানের সন্ধান পেয়ে সেখানে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক স্থাপন করে। বিস্ফোরণে বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা হতাহত হয়। পরবর্তীতে আরেক দল ইসরায়েলি সৈন্য ঘটনাস্থলে এলে আল-কাসাম যোদ্ধারা একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় হেলিকপ্টার দিয়ে আহত ইহুদি সৈন্যদের উদ্ধার করতে দেখা যায়।

    ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাবে লক্ষাধিক মানুষ অনাহারে রয়েছে। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না। এমতাবস্থায়, আল-কাসাম ব্রিগেডসহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গ্রুপগুলি ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫৪ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫,৮৪৬ জন। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ইসরায়েল তাদের ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Hamas says several Israeli soldiers killed, injured in Gaza ambush
    https://tinyurl.com/ms6wew8v
    2. Explosives and Tunnel Ambushes: Qassam Fighters Kill and Wound Israeli Soldiers
    https://tinyurl.com/ucbrhd6k
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হকার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ফি ৪০ শতাংশ হ্রাস করেছে ইমারতে ইসলামিয়া


      হকার ব্যবসায়ীদের সুসংগঠিত করতে একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। নতুন এই পরিকল্পনায় হকার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ফি ৪০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। সম্প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার ২১তম মন্ত্রীপরিষদ অধিবেশনে উক্ত রেজুলেশন অনুমোদন করেছেন তালিবান প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ হাফিযাহুল্লাহ।

      এর ফলে দেশব্যাপী হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ উপকৃত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অধিবেশনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়াদি আলোচিত হয়েছে।

      এছাড়া সভায় মন্ত্রীসভার সদস্যগণ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে মূল্যবান প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও যাচাই করেছেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতার জন্য শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Cabinet Approves Plan to Regulate Street Vendors in Latest Session
      https://tinyurl.com/5ftccajy
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইসলামী শাসনব্যবস্থার মর্যাদা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে : ইমারতে ইসলামিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী




        ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানী হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদ-পদবির তুলনায় ইসলামী শাসনব্যবস্থার স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

        গত ২৭ মে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনিক সংস্কার অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধিবিষয়ক’ সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। উক্ত সেমিনারটি মূলত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।

        স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম অবশ্যই সরকারি আদেশ, আইন ও বিধিমালার আওতায় পরিচালিত হওয়া উচিত। একইসঙ্গে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি জনগণের সঙ্গে উত্তম আচরণ করার আহ্বান জানান এবং স্মরণ করিয়ে দেন, তারাই শাসন বাস্তবায়নের মূল বাহক।

        তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণের সমস্যাগুলোকে দ্রুত, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধান করতে হবে, যেন কর্মকর্তারা জনগণ ও ইসলামী শাসনের প্রকৃত প্রতিনিধিতে পরিণত হতে পারেন।

        তিনি আরও জানান, ইমারতে ইসলামিয়ার আমীর ইসলামী শাসনব্যবস্থার সংহতি, প্রশাসনিক সংস্কার, জনসেবার উন্নয়ন ও শরিয়াহভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।


        তথ্যসূত্র:
        1. کورنیو چارو وزیر: د اسلامي نظام حیثیت باید زموږ د شخصي ګټو پرتله ډېر ارزښت ولري
        https://tinyurl.com/wbn5skmx
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সোমালিয়ায় আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও সেনা মোতায়েন করেছে তুরস্ক




          পূর্ব আফ্রিকাভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। সাম্প্রতিক যুদ্ধে পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু বাহিনীকে হটিয়ে দলটির বীর মুজাহিদিনরা সোমালিয়ার মানচিত্র জুড়ে বিশাল ও কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এদিকে শাবাবের আঞ্চলিক এই বিজয় অভিযান রুখতে দেশটিতে কথিত “সন্ত্রাসবাদ” দমন এবং ড্রোন অভিযানে বিশেষজ্ঞ ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে তুরস্ক, যার মাধ্যমে তুরস্ক সোমালিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।

          সোমালিয়ায় তুর্কি বাহিনীর সাথে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে যে, “তুর্কি বাহিনী কেবল তুর্কি সম্পদ রক্ষা এবং সোমালি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য সেখানে রয়েছে। তারা কেবল প্রয়োজনে এবং আত্মরক্ষার জন্য আশ-শাবাবের সাথে লড়াই করবে।”

          সোমালিয়ায় নতুন আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন যখন কাজ শুরু করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন তুর্কিয়ে সোমালিয়ায় আরও ৫০০ সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। এই মোতায়েনের ফলে সোমালিয়ায় ২০১৭ সালে নিযুক্ত তুরস্কের ৩০০ সদস্যের সৈন্য সংখ্যা বর্তমানে তিনগুণ ছাড়িয়েছে। জানা যায়, নতুন মোতায়েন করা ৫০০ সৈন্যের এই ইউনিটটি ৩০০ কমান্ডো এবং ২০০ সেনা সদস্য নিয়ে গঠিত। দাবি করা হচ্ছে, এই দলটি তুর্কি তুরস্কের তৈরি আকিনজি ড্রোন ও বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ব্যবহারে পারদর্শী। বলা হচ্ছে, দলটি আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তুর্কি ড্রোন হামলাকে আরও জোরদার ও শক্তিশালী করবে।

          শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, সোমালিয়া নিয়ন্ত্রণে অক্ষম পশ্চিমা সমর্থিত ভঙ্গুর মোগাদিশু সরকার, বর্তমানে তুরস্ক ভঙ্গুর এই সরকারের পতন রোধে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই দখলদার বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে আশ-শাবাবকে রাজধানী মোগাদিশু বিজয় থেকে বিরত রাখা এবং দেশটিতে একটি ব্যাপক ও স্বাধীন ইসলামী শরিয়া ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করা। তুরস্ক এই লক্ষ্যে স্থল বাহিনী এবং ড্রোন মোতায়েনের পাশাপাশি, কোনও জবাবদিহিতা ছাড়াই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের সাথে সোমালিয়ার সম্পদ এবং বিনিয়োগকে কাজে লাগাচ্ছে।

          উল্লেখ্য যে, সোমালিয়ার আশ-শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ১৬ বছর ধরে চলা যুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রুসেডার জোটের অংশ হয়ে তুর্কি বাহিনী কাজ করছে। এই বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে দেশটিতে পশ্চিমা আধিপত্য টিকিয়ে রাখা এবং মুজাহিদদেরকে একটি স্বাধীন ও ব্যাপক ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা থেকে বিরত রাখা। মুজাহিদিনরা যখন মানচিত্র জুড়ে সোমালিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সফল হচ্ছেন, তখন সোমালিয়ায় তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্য হল এই বিজয়কে বিপরীতমুখী করা এবং ভঙ্গুর মোগাদিশু সরকারকে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত এলাকাগুলো দখল করতে সহায়তা করা।

          মিডল ইস্ট আই এর সূত্রমতে, এই লক্ষ্য অর্জনে তুরস্ক “প্রয়োজনে সোমালিয়ায় আরও ড্রোন মোতায়েন করবে এবং মোগাদিশু বাহিনীকে আর্টিলারি সহায়তা দেবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. تركيا تنشر المزيد من القوات في الصومال لقتال حركة الشباب المجاهدين
          https://tinyurl.com/4xu6d3tm
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গাজা আমাদেরকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে।
            গাজা আমাদেরকে এক নতুন যুদ্ধ কৌশলও শেখাচ্ছে, যে কৌশল সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই উদ্ভুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।

            বাংলাদেশের যুদ্ধ কৌশল --- না আফগানিস্তানের মত হবে, না সোমালিয়ার মত হবে, না ইরাকের মত হবে, না সিরিয়ার মত হবে আর না গাজার মত হবে, বরং বাংলাদেশের যুদ্ধ কৌশল বাংলাদেশের মত হবে। তারপরও আমি যদি বাংলাদেশের যুদ্ধ কৌশলকে একটা রূপ দিতে চাই, তবে এটাতে হবে --- গাজার যুদ্ধ কৌশল (৭০%) প্লাস ইরাকের যুদ্ধ কৌশল (৩০%) ---এর সমন্বয়ে তৈরি এক নতুন যুদ্ধ কৌশল। আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে মাটির নিচের ঘর তৈরি করতে হবে তথা বাংকার তৈরি করতে হবে। এর শুরুটা হবে ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের মাধ্যমে।

            ভারত যতক্ষণ পর্যন্ত না বাংলাদেশের যুদ্ধে যুক্ত হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের জমি ব্যতিতই এই যুদ্ধের পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। যখনই এই যুদ্ধে ভারত যুক্ত হবে, তখনই আর প্রথমেই আসামের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে এবং এ সময় আসামের যুদ্ধ কৌশলে সোমালিয়ার যুদ্ধ কৌশল যুক্ত হবে।

            আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে রেকি করতে হবে। রেকি ইংরেজী শব্দ যার অর্থ পরিদর্শন অর্থাৎ যে যায়গাটায় আপনি অপারেশন চালাবেন, সে যায়গাটার একটি স্কেচ ম্যাপ করা। রেকি শব্দটা সামরিক বাহিনীতে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।

            Comment


            • #7
              গাজার ভাইদের যথাসম্ভব সাহায্যর হাত বাড়ান।ইনশাআল্লাহ।।।
              তুরস্কের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে ইনশাআল্লাহ।।।


              "ধৈর্যশীল ও সতর্কবান ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত"- শাইখ ওসামা(রহ.)

              Comment


              • #8
                বাংলাদেশ বৃষ্টি প্রবণ এলাকা। খুব কম এলাকা আছে যেখানে বৃষ্টি হই না। এক্ষেত্রে প্রতিটি জনগণের উচিত সাতার শিখে রাখে। ইন্ডিয়া এখন বেশি বেশি পুশ ইন করছে হইত সামরিক আগ্রাসনও চালাতে পারে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতদিন টিকবে/ আদৌ আক্রমণ প্রতিহত করে কি না জানা নেই। যুদ্ধ জনগণকে সাথে মুজাহিদ ভাইদেরই করতে হবে। তাই হালকা যুদ্ধাস্ত্রএর প্রশিক্ষণ দ্রুত সেরে ফেলা উচিত।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Bara Ibn Malik4 View Post
                  বাংলাদেশ বৃষ্টি প্রবণ এলাকা। খুব কম এলাকা আছে যেখানে বৃষ্টি হই না। এক্ষেত্রে প্রতিটি জনগণের উচিত সাতার শিখে রাখে।
                  খুবই জরুরী কথা বলেছেন। বর্তমানে নদীর উপর সেতু, পুকুরে মাছ চাষ, খেলাধুলায় কম সময় দেওয়া, জন্মের পর থেকেই ইঁদুর দৌড়ের গোলকে ফেঁসে যাওয়া ইত্যাদিসবের কারণে আমরা সাঁতার শিখি না, আবার যারা শিখেছিল তারাও সাঁতার কাটা ভুলে যাচ্ছে। সেই সাথে আজে-বাজে খাবার ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন শরীরকে ভারী করে দিচ্ছে।

                  Comment

                  Working...
                  X