Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ৫ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি|| ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ৫ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি|| ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

    পাঞ্জশিরে পান্না উত্তোলন শুরু: ৬০০ খনি পেয়েছে সরকারি অনুমোদন


    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশের হিসা-এ-আওয়াল ও পারিয়ান জেলায় পান্না উত্তোলন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এই প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরে এসব খনি থাকলেও এবার সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে উত্তোলন শুরু হয়েছে।

    সম্প্রতি পাঞ্জশিরে ৩০ টি নতুন পান্না খনি আবিষ্কার করা হয়েছে। পাঞ্জশির প্রদেশে বর্তমানে নিবন্ধিত পান্না খনির সংখ্যা ১৭০০ এরও বেশি। এর মধ্যে ৬০০-রও বেশি খনি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে।

    চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পাঞ্জশির প্রদেশের খনিজ ও পেট্রোলিয়াম অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ দল ২৭০টি নতুন পান্না খনি আবিষ্কার করেছেন। হিসা-এ-আওয়াল জেলার খেনজ, দাশত-এ-রেওয়াত ও সাফিদচের এলাকায় এবং পারিয়ান জেলার আরিব অঞ্চলে এসব খনি অবস্থিত।

    পাঞ্জশিরের খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য প্রদেশটির অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারি অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রিত উত্তোলনের মাধ্যমে পান্না শিল্পে আরও শৃঙ্খলা ও টেকসই উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Emerald extraction has started in the districts of Hisa-e-Awal and Paryan of Panjshir Province.
    https://tinyurl.com/2hvjy3vc
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    খোস্ত প্রদেশে ২.৩ লাখ ডলার ব্যয়ে বাঁধ ও খাল নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন



    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে প্রায় ২৩০,০০০ মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি বাঁধ, খাল এবং রিটেইনিং ওয়াল (মাটিধারণ দেয়াল) নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। খোস্ত প্রদেশের গভর্নর আবদুল্লাহ মুখতারের (হাফিযাহুল্লাহ) উপস্থিতিতে এই প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এই উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় ২২৯,৭৮৩ মার্কিন ডলার, যা খোস্ত প্রদেশের কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাবুল আঞ্চলিক ইনস্টিটিউটের জেনারেল ডিরেক্টর এহসানুল্লাহ হকিয়ার(হাফিযাহুল্লাহ), খোস্ত পানি ও জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মৌলভী আব্দুল কাইয়ুম সাবেত(হাফিযাহুল্লাহ), স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

    এই প্রকল্পে ২.২৫ মিটার উচ্চতা ও ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁধ, প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি খাল, এবং ৪১৬ মিটার লম্বা ও ৩.৭৫ মিটার উঁচু একটি মাটিধারণ দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। কাজটি এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।

    খোস্ত প্রদেশের পানি ও জ্বালানি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং এফ.ই.ও. সংস্থার আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে প্রায় ২,১২০ একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে, যা স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জীবিকা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।


    তথ্যসূত্র:
    1. کار پروژه یک سربند، کانال و دیوار استنادی در ولایت خوست با هزینه نزدیک به 230 هزار دالر آمریکایی آغاز گردید
    در منطقه پیران شمل در مربوطات مرکز ولایت خوست کار
    https://tinyurl.com/3bfbkxh8
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      রাশিয়ায় আফগান আনার ফলের বিশাল বাজার তৈরি হতে যাচ্ছে: জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ


      সম্প্রতি আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় আনার ফল রপ্তানি করেছে ইমারতে ইসলামিয়া। হেরাত প্রদেশের তুরগন্দি সীমান্ত রুট দিয়ে ২২টন আনার ফলের একটি চালান রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

      এই প্রসঙ্গে গত ২৭ অক্টোবর ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ তার এক্স পোস্টে জানান, রাশিয়ায় আনার ফল রপ্তানি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এর ফলে আফগান পণ্য বিশেষত আনার ফল রপ্তানির জন্য একটি বিশাল বাজার সৃষ্টি হতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

      কান্দাহারের একটি তাজা ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান এই রপ্তানি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। তুরগন্দি সীমান্ত হয়ে নতুন পথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ। তুরগন্দি রুট দিয়ে চলতি বছরের মধ্যে ২৫০টন পর্যন্ত আনার ফল রাশিয়ায় রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

      তথ্যসূত্র:
      1. https://tinyurl.com/3nja9b72
      2. https://tinyurl.com/38r962b8
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নাগরিকদের সমন্বিত অংশগ্রহণে স্কুল ও মাদ্রাসার জন্য ৬ মাসে ২৯১ একর জমি বরাদ্দ করল ইমারতে ইসলামিয়া


        চলতি ১৪০৪ হিজরি সৌরসালের (২১ মার্চ ২০২৫ থেকে ২০ মার্চ ২০২৬) প্রথম ৬ মাসে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার জন্য মোট ৫৮৯ জেরিব (২৯১ একর) জমি বরাদ্দ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। ইমারতে ইসলামিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্বারী মনসুর আহমাদ হামজা হাফিযাহুল্লাহ গত ২৫ অক্টোবর এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য প্রদান করেছেন। উল্লেখ্য যে, ১ জেরিব= ০.৪৯ একর ।

        এর মধ্যে ২৯০ জেরিব জমি ইমারতে ইসলামিয়ার কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২৯৯ জেরিব জমি শিক্ষা অনুরাগী ও স্থানীয় নাগরিকদের পক্ষ থেকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

        এছাড়া বিগত কয়েক বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ২২৬৫ জেরিব (প্রায় ১১২০ একর) ব্যক্তিগত জমি এবং ৩৭১ জেরিব জমি আমিরাতি সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে।

        জমি প্রদান এবং অন্যান্য সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের শিক্ষা খাতে অবদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ও শক্তিশালী করণে জনগণের এই সহযোগিতা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছে উক্ত মন্ত্রণালয়।


        তথ্যসূত্র:
        1. https://tinyurl.com/hy48fa25
        2. https://tinyurl.com/4bfhdhds
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          তুরস্কে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি জানাল পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রী


          তুরস্কে আফগান-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত চলমান আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিপক্ষের নিকট শর্ত উপস্থাপন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিনিধি দল। শর্তগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আফগান ভূখণ্ড লঙ্ঘন থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকতে হবে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের শোষণ রোধ করতে হবে। সূত্রমতে, আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন করা থেকে বিরত থাকতে পাকিস্তান পক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। একই সাথে আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা ব্যক্তিদের সমর্থন করবে না বলেও তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

          কিন্তু ইস্তাম্বুলে এই যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালীন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খোলা যুদ্ধের হুঁশিয়ারি জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। গত ২৫ অক্টোবর পাকিস্তানের শিয়ালকোট শহরে সাংবাদিকদের সাথে কথা প্রসঙ্গে সে বলেছে, যদি যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হয়, পাকিস্তানের কাছে বিকল্প কোনও পথ খোলা থাকবে না। তখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে পাকিস্তান।

          তার এই ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই ধরনের বক্তব্য উভয় পক্ষের শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করবে এবং পাকিস্তান-আফগান সম্পর্কে টানাপোড়নের কারণ হবে বলে সে জানায়।

          এছাড়া এই মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত বেপরোয়া’ এবং উভয় দেশের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনা বাড়ানোর ইন্ধন হিসেবে তুলে ধরেছে আফগানিস্তানে কাজ করা সাবেক মার্কিন কূটনৈতিক প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদ।


          তথ্যসূত্র:
          1. https://tinyurl.com/2bxptjep
          2. https://tinyurl.com/3a9azpbb
          3. Pakistan minister warns of ‘open war’ with Afghanistan if peace talks fail
          https://tinyurl.com/2prmbm36
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            পাকিস্তান কর্তৃক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রত্যাখ্যান, সমাধান ছাড়াই শেষ হল পাক-আফগান যুদ্ধবিরতি আলোচনা


            তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান-আফগানিস্তান যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা কোনও সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে।

            সূত্র মতে, পাকিস্তান প্রতিনিধি দল বৈঠকে বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করেছিল, যা আফগান প্রতিপক্ষ ও মধ্যস্থতাকারীগণ অযৌক্তিক বলে গণ্য করেছিল। পাকিস্তানের অন্যতম একটি দাবি ছিল, পাকিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রণে আফগানিস্তানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করা। জবাবে ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিনিধিগণ জানান, অন্য দেশের নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করা তাদের দায়িত্ব নয়। বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার হবে না বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইমারতে ইসলামিয়া।

            অপরদিকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের দাবি ছিল, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন করা থেকে মার্কিন ড্রোনকে বিরত রাখতে হবে এবং পাকিস্তান ভূখণ্ডে সক্রিয় আইএস বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দমন করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পাকিস্তান পক্ষ এই দাবিগুলোতে সম্মত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মার্কিন অভিযানে তারা হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে সংশ্লিষ্ট দাবিটি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করেই মার্কিন ড্রোন আফগানিস্তানে প্রবেশ করে।

            সূত্রমতে, উক্ত শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করার জন্য পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সমালোচনা করেছেন মধ্যস্থতাকারী দল।

            তথ্যসূত্র:
            1. https://tinyurl.com/4h6mynjd
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X