কল্পনা করুন এক মুহূর্তের জন্য, কোন এক সমুদ্রে একটি জাহাজ ডুবি হয়েছে। বাকি সব কিছু ডুবে গেলেও আল্লাহ্র মেহেরবানীতে দুইজন ব্যক্তি সাঁতরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। এমন সময় একটি নৌকা এই দুই ব্যক্তির চিৎকার শুনে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। নৌকার মাঝি নৌকার দিকে তাকিয়ে ভাবছে যে, উভয়কে বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নৌকায় আছে কিনা। এবং সে বুঝতে পেরেছে যে, কমপক্ষে ৫ জনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে, উভয়কে অনায়াসেই বাঁচানো যাবে। ডুবতে যাওয়া এই দুই ব্যক্তির মনে বেঁচে থাকার আশার সঞ্চার হল। যেহেতু নৌকায় উভয়কে বাঁচানোর পর্যাপ্ত যায়গা রয়েছে, তাই মাঝিরও না বাঁচানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু কেমন হবে যদি এমন সঙ্গিন মুহূর্তে মাঝি এই দুই বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির ধর্ম পরিচয় জানতে চায়? এবং একজন হিন্দু হওয়ায় তাকে নৌকায় তুলে নেয়। কিন্তু শুধুমাত্র ধর্ম পরিচয়ে বা নামে মুসলমান জানার পর অপরজনকে নৌকায় না তুলে, কোন মুসলিম উদ্ধারকারী জাহাজের অপেক্ষা করতে বলে ঐ বিস্তীর্ণ সাগরে হাবুডুবু খাওয়া অবস্থায় রেখেই নৌকা নিয়ে চলে যায়?
যে রূপকটির এখানে অবতারণা করা হল, তাহল বর্তমানে ভারতে প্রয়োগ করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (caa) এর সংক্ষিপ্তসার, যা আগেই ভারতের লোকসভায় পাস হয়েছে। এবার ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে মাহে রামাদান শুরুর আগেরদিন এই কালো আইন প্রয়োগ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদি মোদী সরকার।
এই আইনটিতে বলা হয়েছে যে, যদি কোনও ব্যক্তি হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন বা পার্সি অথবা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হয়, যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে 31শে ডিসেম্বর, 2014 তারিখে বা তার আগে এবং এখন ভারতে বসবাস করছে, তারা আর অবৈধ অভিবাসী থাকবে না, তাদের এখন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এই কালো আইন হিন্দুত্ববাদি মোদী সরকার মূলত কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োগ করছে -
আপাতদৃষ্টিতে এই আইনকে মুসলিমদের জন্য সমস্যার মনে হচ্ছে না হয়তো। কিন্তু ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম হিন্দুত্ববাদি মোদী প্রশাসনের পূর্ববর্তী আচরণকে এবং হুমকিমূলক ভবিষ্যৎ বানী/বক্তব্যগুলোকে সামনে রাখলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু বিষয় মাথায় চলে আসে। আর তাহল,
nrc এবং এই caa আইনের মাধ্যমে ভারতের অধিবাসী মুসলিমদের -
দীর্ঘদিন থেকেই যোগী আদিত্যনাথ আর অমিত শাহ এর মতো হাই-প্রোফাইল হিন্দুত্ববাদি নেতারা মুসলিমদের ঘুছপাটিয়া বা অনুপ্রবেশকারী আখ্যায় দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এবার তা রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে প্রয়োগ শুরু করলো।
অন্যদিকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে সেখানে অ-কাশ্মীরিদের কাশ্মীরে জায়গা কেনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে দেখা যাবে একসময় ইসরাইলের ইহুদিরা যেভাবে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জমি কেনার নাম করে জোরপূর্বক দখল করে তাতে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আর সেখানের মুসলিমদের বানিয়েছিল নিজ দেশেই উদ্বাস্তু (শরণার্থী)। ঠিক তেমনিভাবে কাশ্মীরি মুসলিমদেরকেও নিজ ভূমিতে উদ্বাস্তু বানিয়ে ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
সামনে অনেক কঠিন দিন দেখার অপেক্ষায় ভারতের মুসলিমরা। আল্লাহ্ তাআলা হিফাজত করুন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিন। আর জালিমদের উপর ধ্বংস চাপিয়ে দিন। ভারতের মুসলিমদের সশস্ত্র জিহাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার এবং তার জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
যে রূপকটির এখানে অবতারণা করা হল, তাহল বর্তমানে ভারতে প্রয়োগ করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (caa) এর সংক্ষিপ্তসার, যা আগেই ভারতের লোকসভায় পাস হয়েছে। এবার ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে মাহে রামাদান শুরুর আগেরদিন এই কালো আইন প্রয়োগ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদি মোদী সরকার।
এই আইনটিতে বলা হয়েছে যে, যদি কোনও ব্যক্তি হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন বা পার্সি অথবা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হয়, যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে 31শে ডিসেম্বর, 2014 তারিখে বা তার আগে এবং এখন ভারতে বসবাস করছে, তারা আর অবৈধ অভিবাসী থাকবে না, তাদের এখন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এই কালো আইন হিন্দুত্ববাদি মোদী সরকার মূলত কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োগ করছে -
- নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে কট্টর হিন্দুদের সমর্থন আদায়ের জন্য
- হিন্দু শরণার্থী ও অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটব্যাঙ্ক তৈরির জন্য
- ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও দেশের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে বিজেপি / মোদী সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য
- এই আইন দ্বারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা বাংলাদেশে অবস্থানরত হিন্দুদের এই বার্তা দেয়া যে, তোমরা ভারতের পক্ষ হয়ে কোমর বেঁধে নেমে যাও। কোন সমস্যা হয়ে গেলে ভারতে তোমাদের স্বাগতম। যা মূলত একপ্রকার যুদ্ধের উস্কানি। যার ফলও দেখা যাচ্ছে এই দেশগুলোর হিন্দুদের মাঝে।
আপাতদৃষ্টিতে এই আইনকে মুসলিমদের জন্য সমস্যার মনে হচ্ছে না হয়তো। কিন্তু ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম হিন্দুত্ববাদি মোদী প্রশাসনের পূর্ববর্তী আচরণকে এবং হুমকিমূলক ভবিষ্যৎ বানী/বক্তব্যগুলোকে সামনে রাখলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু বিষয় মাথায় চলে আসে। আর তাহল,
nrc এবং এই caa আইনের মাধ্যমে ভারতের অধিবাসী মুসলিমদের -
- অবৈধ অনুপ্রবেশকারী / অভিবাসী আখ্যায় দিয়ে সকল নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হবে
- পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মুসলিমদের সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হবে
- দেশত্যাগে বাধ্য করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হবে
- অথবা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে চীনের উইঘুর মুসলিমদের মতো বন্দী রেখে বেঁচে থাকার মতো যৎসামান্য উপকরণ দিয়ে গাধার খাটুনী খাটিয়ে নানা কাজ করানো হবে। যেমন ইউরোপীয়রা করিয়েছিল আফ্রিকান দাসদের দ্বারা।
দীর্ঘদিন থেকেই যোগী আদিত্যনাথ আর অমিত শাহ এর মতো হাই-প্রোফাইল হিন্দুত্ববাদি নেতারা মুসলিমদের ঘুছপাটিয়া বা অনুপ্রবেশকারী আখ্যায় দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এবার তা রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে প্রয়োগ শুরু করলো।
অন্যদিকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে সেখানে অ-কাশ্মীরিদের কাশ্মীরে জায়গা কেনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে দেখা যাবে একসময় ইসরাইলের ইহুদিরা যেভাবে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জমি কেনার নাম করে জোরপূর্বক দখল করে তাতে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আর সেখানের মুসলিমদের বানিয়েছিল নিজ দেশেই উদ্বাস্তু (শরণার্থী)। ঠিক তেমনিভাবে কাশ্মীরি মুসলিমদেরকেও নিজ ভূমিতে উদ্বাস্তু বানিয়ে ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
সামনে অনেক কঠিন দিন দেখার অপেক্ষায় ভারতের মুসলিমরা। আল্লাহ্ তাআলা হিফাজত করুন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিন। আর জালিমদের উপর ধ্বংস চাপিয়ে দিন। ভারতের মুসলিমদের সশস্ত্র জিহাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার এবং তার জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
Comment