Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (caa) প্রয়োগ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদি মোদী প্রশাসন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (caa) প্রয়োগ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদি মোদী প্রশাসন

    কল্পনা করুন এক মুহূর্তের জন্য, কোন এক সমুদ্রে একটি জাহাজ ডুবি হয়েছে। বাকি সব কিছু ডুবে গেলেও আল্লাহ্‌র মেহেরবানীতে দুইজন ব্যক্তি সাঁতরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। এমন সময় একটি নৌকা এই দুই ব্যক্তির চিৎকার শুনে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। নৌকার মাঝি নৌকার দিকে তাকিয়ে ভাবছে যে, উভয়কে বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নৌকায় আছে কিনা। এবং সে বুঝতে পেরেছে যে, কমপক্ষে ৫ জনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে, উভয়কে অনায়াসেই বাঁচানো যাবে। ডুবতে যাওয়া এই দুই ব্যক্তির মনে বেঁচে থাকার আশার সঞ্চার হল। যেহেতু নৌকায় উভয়কে বাঁচানোর পর্যাপ্ত যায়গা রয়েছে, তাই মাঝিরও না বাঁচানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু কেমন হবে যদি এমন সঙ্গিন মুহূর্তে মাঝি এই দুই বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির ধর্ম পরিচয় জানতে চায়? এবং একজন হিন্দু হওয়ায় তাকে নৌকায় তুলে নেয়। কিন্তু শুধুমাত্র ধর্ম পরিচয়ে বা নামে মুসলমান জানার পর অপরজনকে নৌকায় না তুলে, কোন মুসলিম উদ্ধারকারী জাহাজের অপেক্ষা করতে বলে ঐ বিস্তীর্ণ সাগরে হাবুডুবু খাওয়া অবস্থায় রেখেই নৌকা নিয়ে চলে যায়?

    যে রূপকটির এখানে অবতারণা করা হল, তাহল বর্তমানে ভারতে প্রয়োগ করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (caa) এর সংক্ষিপ্তসার, যা আগেই ভারতের লোকসভায় পাস হয়েছে। এবার ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে মাহে রামাদান শুরুর আগেরদিন এই কালো আইন প্রয়োগ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদি মোদী সরকার।

    এই আইনটিতে বলা হয়েছে যে, যদি কোনও ব্যক্তি হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন বা পার্সি অথবা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হয়, যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে 31শে ডিসেম্বর, 2014 তারিখে বা তার আগে এবং এখন ভারতে বসবাস করছে, তারা আর অবৈধ অভিবাসী থাকবে না, তাদের এখন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    এই কালো আইন হিন্দুত্ববাদি মোদী সরকার মূলত কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োগ করছে -
    • নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে কট্টর হিন্দুদের সমর্থন আদায়ের জন্য
    • হিন্দু শরণার্থী ও অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটব্যাঙ্ক তৈরির জন্য
    • ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও দেশের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে বিজেপি / মোদী সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য
    • এই আইন দ্বারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা বাংলাদেশে অবস্থানরত হিন্দুদের এই বার্তা দেয়া যে, তোমরা ভারতের পক্ষ হয়ে কোমর বেঁধে নেমে যাও। কোন সমস্যা হয়ে গেলে ভারতে তোমাদের স্বাগতম। যা মূলত একপ্রকার যুদ্ধের উস্কানি। যার ফলও দেখা যাচ্ছে এই দেশগুলোর হিন্দুদের মাঝে।

    আপাতদৃষ্টিতে এই আইনকে মুসলিমদের জন্য সমস্যার মনে হচ্ছে না হয়তো। কিন্তু ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম হিন্দুত্ববাদি মোদী প্রশাসনের পূর্ববর্তী আচরণকে এবং হুমকিমূলক ভবিষ্যৎ বানী/বক্তব্যগুলোকে সামনে রাখলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু বিষয় মাথায় চলে আসে। আর তাহল,

    nrc এবং এই caa আইনের মাধ্যমে ভারতের অধিবাসী মুসলিমদের -
    • অবৈধ অনুপ্রবেশকারী / অভিবাসী আখ্যায় দিয়ে সকল নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হবে
    • পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মুসলিমদের সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হবে
    • দেশত্যাগে বাধ্য করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হবে
    • অথবা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে চীনের উইঘুর মুসলিমদের মতো বন্দী রেখে বেঁচে থাকার মতো যৎসামান্য উপকরণ দিয়ে গাধার খাটুনী খাটিয়ে নানা কাজ করানো হবে। যেমন ইউরোপীয়রা করিয়েছিল আফ্রিকান দাসদের দ্বারা।

    দীর্ঘদিন থেকেই যোগী আদিত্যনাথ আর অমিত শাহ এর মতো হাই-প্রোফাইল হিন্দুত্ববাদি নেতারা মুসলিমদের ঘুছপাটিয়া বা অনুপ্রবেশকারী আখ্যায় দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এবার তা রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে প্রয়োগ শুরু করলো।

    অন্যদিকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে সেখানে অ-কাশ্মীরিদের কাশ্মীরে জায়গা কেনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে দেখা যাবে একসময় ইসরাইলের ইহুদিরা যেভাবে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জমি কেনার নাম করে জোরপূর্বক দখল করে তাতে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আর সেখানের মুসলিমদের বানিয়েছিল নিজ দেশেই উদ্বাস্তু (শরণার্থী)। ঠিক তেমনিভাবে কাশ্মীরি মুসলিমদেরকেও নিজ ভূমিতে উদ্বাস্তু বানিয়ে ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

    সামনে অনেক কঠিন দিন দেখার অপেক্ষায় ভারতের মুসলিমরা। আল্লাহ্‌ তাআলা হিফাজত করুন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিন। আর জালিমদের উপর ধ্বংস চাপিয়ে দিন। ভারতের মুসলিমদের সশস্ত্র জিহাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার এবং তার জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই। আল্লাহ তাআলা ভারতীয় মুসলিমদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      যে রূপকটির এখানে অবতারণা করা হল, তাহল বর্তমানে ভারতে প্রয়োগ করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (caa) এর সংক্ষিপ্তসার
      রূপকটি বাস্তব, কিছুদিন আগেই ঘটেছে, অনেকেই অবগত আছে
      বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার পথে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান উড্ডয়নের পর এর একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণেই করাচিতে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় বিমানটি।
      জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের আগে ভারতের কাছে বিমান অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল বিমানটি। তবে ভারত অনুমতি না দিলে পরে পাকিস্তানে অবতরণ করতে বাধ্য হয় বিমানটি। যাত্রীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পাইলট বিমানটিকে মুম্বাইয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং জরুরি অবতরণের জন্য মুম্বাইয়ের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের (এটিসি) কাছে অনুমতি চান। মুম্বাই এটিসির পক্ষ থেকে অসুস্থ যাত্রীর জাতীয়তা এবং অন্যান্য তথ্য জানতে চাওয়া হয়। (পরবর্তীতে যাত্রী বাংলাদেশি ও মুসলিম জানার পর বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেয় নাই হিন্দুত্ববাদি ভারতের এটিসি)
      https://mzamin.com/news.php?news=98623
      https://www.somoynews.tv/news/2024-02-20/xwALuDQU

      এই ঘটনা ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ এর। এর পরপর এমন আরও দুইটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের আকাশে বাংলাদেশি বিমানের।

      একটায় যাত্রী অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো, ক্রুরা ভারতে জরুরী অবতরণের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নিজেরাই বিমানে শুশ্রূষা করে গেছে রোগীর। এই ঘটনা ৬ মার্চ, ২০২৪ এর।
      ঢাকা থেকে মাস্কাট যাওয়ার পথে ভারতের আকাশে অবস্থানকালীন এক যাত্রী হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পরেন। এসময় ঘোষণা করে ফ্লাইটে কোনো ডাক্তার অথবা প্যারামেডিক না পেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশিক্ষিত কেবিন ক্রুরা দক্ষতার সঙ্গে রোগীকে অসুস্থতা থেকে সুস্থ করে তোলেন।
      https://www.jagonews24.com/national/news/927651

      আরেকটা ঘটনায় ভারতের আকাশে পাইলট অসুস্থ হয়ে যাওয়ায়, ভারতে জরুরী অবতরণের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে, পাইলট অসুস্থ অবস্থায়ই পুনরায় ঢাকায় ফিরে আসে।
      বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি৩২৫ বোয়িং ৭৭৭ মডেলের বিমান নিয়ে ঢাকা থেকে কাতার যাচ্ছিল। এতে যাত্রী ছিলেন ৪১৯ জন। তবে কলকাতার আকাশসীমায় পৌঁছানোর পর বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন মাকসুদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ফ্লাইটটি ফিরিয়ে আনা হয় ঢাকায়।
      https://www.jugantor.com/national/785332
      https://samakal.com/capital/article/228017

      Comment


      • #4
        এর পরপর এমন আরও দুইটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের আকাশে বাংলাদেশি বিমানের।
        সাধারন আঁকলের মানুষের কাছে ভারতের জাতিগত নিচু মানুষিকতা এবং নিকৃষ্টতা প্রকাশ না করার জন্যে বিমানের এ স্বপ্রনোদিত তৎপরতা।

        Comment


        • #5
          ভারতের হিন্দুরা সময়ের সাথে সাথে আরো সংঘটিত হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়ানোর মত ঘটনা গুলো আরো দক্ষতার সাথে গোপন করার চেষ্ঠা করবে। মুলত ভারতীয় হিন্দুরা সম্মিলিত ভাবে ভারতে বসবাস রত মুসলমানদের কে বঞ্চনার শিকার বানাবে।

          তাঁর নিম্নক্ত প্রক্রিয়া গুলো বিচ্ছিন্ন ভাবে ভারত জুড়ে শুরু হয়ে গেছেঃ

          (১) মুসলমানের সন্তানদের স্কুলে যাবার জন্যে কঠিন ভাবে ডকুমেন্ট নিরীক্ষণ করন।
          (২) মুসলমান বাচ্চাদেরকে স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীদের সহায়তায় হিন্দু ছেলেদের দ্বারা উত্যক্ত করন। - চলমান
          (৩) মুসলমান এলাকার আশেপাশে ড্রাগস সহজলভ্য - চলমান
          (৪) মুসলমানদের ব্যাবসা-প্রতিষ্ঠান গুলো বর্জন। - বিজেপি ডাক দিয়েছে
          (৫) মুসলমানদের চাকরি এবং রাষ্ট্রিয় সেবা গুলো দেয়ায় বাহানা করা। - বর্তমানে চলমান

          ধাপে ধাপে তাঁরা মুসলমান জন গোষ্টি কে শ্রমজীবী একটা জাতিতে রিপান্তরিত করছে।
          মিশরে বনি ইজরাইল কে ফেরাউনের কউম (কিবতিরা) দাশ শ্রেণীতে রূপান্তরিত করেছিল।
          ভারতে শুদ্র শ্রেনির মানুষকে মানুষের চাইতে নিচু প্রানি রুপে গণ্য করা হয়। এখনো।

          এতটাই শক্তিহীন করা হয়েছিল যে রাজার আদেশের সামনে তাঁদের নিজেদের শিশু পুত্রদের না হক কতলে সহযোগিতা না করা - আনকালচারড হিসেবে গণ্য হত।

          কিবতিদের জুলুমের প্রতিবাদ বনি-ইস্রাইল সমাজে অসামাজিক আচরন হিসেবে গণ্য করা হোত।
          দশকের পর দশক সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে এ রকম মানুষিক দৈন্যতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।

          (২৯:৪১) যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সা; যে নিজের জন্য ঘর তৈরী করে। আর ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো সবচেয়ে দুর্বলতম;[1] যদি ওরা জানত।
          এ কাজে মানুষের লোভ-লালসা-সরলতা (দ্বীনি অজ্ঞতা), হিংসা কাজে লাগানো হয়। যখন সচেতন ভাবে চেষ্টা ছাড়া সমঝোতার মাধ্যমে কাফেরদের থেকে কিছু হাসিল হয় বুঝে নেয়া ভালো সামনে এর চাইতে বড় কিছু হাতছাড়া হতে যাচ্ছে ।


          হিন্দুত্ব বাদীদের এ সময়ের চেষ্ঠা মুসলমানদের অন্তর থেকে আল্লাহর ভয় বের করে দিয়ে দুনিয়াবি শক্তির ভয় প্রতিষ্ঠা করা।

          এ থেকে বেরিয়ে আসার একটাই রাস্তা - জিহাদ ফি সাবিনিল্লাহ।

          كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ*ۗ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ [٢:٢٤٩]
          ''কত ছোট ছোট দল কত বড় বড় দলকে পরাজিত করেছে আল্লাহ্*র হুকুমে, আর আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’’।

          Comment


          • #6
            হিন্দুরা ভারতকে ইজরায়েলের আদলে তৈরি করতে চাচ্ছে এবং সেখান থেকে মুসলমানের ছাঁটাই করতে চাচ্ছে এবং এটাকে মুসলমানের বিরুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করতে চাচ্ছে।
            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

            Comment


            • #7
              Originally posted by abu ahmad View Post
              জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই। আল্লাহ তাআলা ভারতীয় মুসলিমদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন
              ওয়া ইয়্যাক, আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

              Comment

              Working...
              X