বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আল্লাহ বলেছেন,"" আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে" (সুরাহ আনফাল)
আর প্রস্ততির মধ্যে এটাও রয়েছে যে আপনি যুদ্ধ সম্পর্কে জানবেন। আর যারা যত বড় দায়িত্বশীল তারা এই বিষয়টি তত উত্তমরুপে আত্তস্থ করবে।
আল্লাহ বলেছেন, ""যে বিষয় বোঝা আপনার আয়ত্তাধীন নয়, তা দেখে আপনি ধৈর্য্যধারণ করবেন কেমন করে?"" সুরাহ কাহফ।
হে সম্মানিত ভাইয়েরা যুদ্ধবিদ্যা আমাদের অনেকের নিকট অজানা বিষয়। আর এই অজানা বিষয়টি নিয়ে আমরা যত বেশী জানা ও আমলের চেস্টা করব আশা রাখি এই হিন্দের ভুমিতে যুদ্ধ করা ও এর সঠিক বুঝ সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কোন ইবাদাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও আবশ্যক হয়ে যায়। যেমন: সালাতের আগে পবিত্রতা আবশ্যক। যুদ্ধ করতে হলে এই সংক্রান্ত ইল্ম আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। এর কিছু আছে তাত্ত্বিক এবং কিছু আছে অনুশীলন বিষয়ক। যেহেতু আমাদের পক্ষে সব কিছু অনুশীলন করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের তত্ত্ব হলেও জেনে রাখা উচিত। যাতে অনুশীলনের সময় বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। আমরা এখানে খুবই প্রাথমিক বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। মুলত এটিকে আপনারা হাতে খড়ি হিসেবে বলতে পারেন। এই প্রাথমিক পাঠ বেশ কিছু পরবে চলবে ইনশা আল্লাহ। তবে মনে রাখবেন ভাইয়েরা প্রত্যেক শাস্ত্রের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চতর কিতাব আছে। যে আরও জানতে চায় সে যাতে অবশ্যই উচ্চতর কিতাব ও দাওরা করার চেস্টা করে। আল্লাহ তাওফিক দান করুক ভাইদের।
সাধারণভাবে যুদ্ধ কয়েক প্রকারের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২ প্রকার (বাকিগুলো এখন আমাদের আলোচ্য নয়)।
১. নিয়মতান্ত্রিক বা প্রচলিত যুদ্ধ
২. অনিয়মতান্ত্রিক বা গেরিলা যুদ্ধ
১. প্রচলিত যুদ্ধ: প্রচলিত যুদ্ধ নিয়মতান্ত্রিক সেনা দল দিয়ে হয়ে থাকে। সাধারণত জাতি রাস্ট্রগুলোতে এমন সেনাবাহিনী থেকে থাকে। আগের ইতিহাসে আমরা রোমান, গ্রীক, পারস্য ইত্যাদির এমন বাহিনী দেখতে পাই। আর কুরানে সুলায়মান আ: এর যে বাহিনীর কথা শুনেছি তাও নিয়মতান্ত্রিক দল। নিয়মতান্ত্রিক দল গুলোর বেশ কিছু বাহিনী থাকে সেনাবাহিনী, নেভি, বিমান, রেঞ্জার্স ইত্যাদি। সেনাদের মধ্যে প্রধান বলা যায় পদাতিক বা ইনফ্যান্ট্রি বাহিনীকে। এদের সাহায্যে ট্যাংক, কামান, মেডিক্যাল, লজিস্টিক ইত্যাদি রেজিমেন্ট থাকে। আবার সেনাদের সাহায্যকারী নেভি ও বিমানবাহিনী থাকে। এই ধরনের বাহিনী সাধারণ সাহায্য ছাড়া একপাও আগাতে সাহস পায়না। যেমন: তাকে যদি সব রসদ, অস্ত্র, বিমান ইত্যাদি সাহায্য না করা হয় তাহলে যুদ্ধ করা তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এসব ফলের প্রধান সমস্যা তাদের নিয়মতান্ত্রিকতাই। এদের বিভিন্ন র্যাংক রয়েছে (এগুলো জানার চেস্টা করবেন প্রিয় ভাইয়েরা)। আপনার অবশ্যই জানতে হবে কোন র্যাংকের অফিসারের আন্ডারে কত জন থাকে। কোন রেজিমেন্টের কি কাজ। (নাহলে প্রিয়ভাই কিভাবে যুদ্ধ করবেন শত্রুর বিরুদ্ধে) নিয়মিত বাহিনীর যুদ্ধএর উদাহরণ হল: ইউক্রেন রাশিয়া, ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ। এখানে ২ বা এর অধিক দলের/দেশের বাহিনী পোশাক পরে সরাসরি মুখোমুখি সংঘর্ষ করে অথবা কিছুটা দূরে থেকে। এ ধরনের যুদ্ধে সাধারণত ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক।
২. অনিয়মিত যুদ্ধ: এটিকে আরেক ভাষায় গেরিলা যুদ্ধ বলে। এটি অনিয়মিত যুদ্ধ কিন্তু এতে নিয়ম রয়েছে। কায়েদা কানুন রয়েছে। অনিয়মিত শুনে ভাইয়েরা এটা কখনো ভাববেন না এটার নিয়ম নেই। অবশ্যই এর নীতি রয়েছে। এটিকে দুরবলদের যুদ্ধ বলা হয়। গেরিলাদের প্রথমিক স্তরে পোশাক পরে যুদ্ধ করে না। বরং সমাজে সাধারণ মানুষদের সাথে লুকিয়ে থাকে। কখনো এক পরিচয়ে আবার কখনো আরেক পরিচয়ে। এ যুদ্ধ সাধারণত লম্বা যুদ্ধও বলা যেতে পারে। শত্রুর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ পরিহার আবশ্যক এর প্রাথমিক মারহালাতে। ইতিহাস ঘাটলে বড় শত্রুর বিরুদ্ধে ছোট শক্তির এই পন্থায় যুদ্ধের নজির দেখা যায়। বরতমান সময়ে এর উদাহরণ : আফগান তালিবান-আমেরিকা, টিটিপি-পাকিস্থান, ভিয়েতনাম-আমেরিকা ইত্যাদি।
১ম পাঠ শেষ আলহামদুলিল্লাহ।
(এই পাঠগুলো খুবি প্রাথমিক এই বিষয়ে যারা জানেন চাইলে পরিহার করতে পারেন)
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আল্লাহ বলেছেন,"" আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে" (সুরাহ আনফাল)
আর প্রস্ততির মধ্যে এটাও রয়েছে যে আপনি যুদ্ধ সম্পর্কে জানবেন। আর যারা যত বড় দায়িত্বশীল তারা এই বিষয়টি তত উত্তমরুপে আত্তস্থ করবে।
আল্লাহ বলেছেন, ""যে বিষয় বোঝা আপনার আয়ত্তাধীন নয়, তা দেখে আপনি ধৈর্য্যধারণ করবেন কেমন করে?"" সুরাহ কাহফ।
হে সম্মানিত ভাইয়েরা যুদ্ধবিদ্যা আমাদের অনেকের নিকট অজানা বিষয়। আর এই অজানা বিষয়টি নিয়ে আমরা যত বেশী জানা ও আমলের চেস্টা করব আশা রাখি এই হিন্দের ভুমিতে যুদ্ধ করা ও এর সঠিক বুঝ সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কোন ইবাদাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও আবশ্যক হয়ে যায়। যেমন: সালাতের আগে পবিত্রতা আবশ্যক। যুদ্ধ করতে হলে এই সংক্রান্ত ইল্ম আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। এর কিছু আছে তাত্ত্বিক এবং কিছু আছে অনুশীলন বিষয়ক। যেহেতু আমাদের পক্ষে সব কিছু অনুশীলন করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের তত্ত্ব হলেও জেনে রাখা উচিত। যাতে অনুশীলনের সময় বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। আমরা এখানে খুবই প্রাথমিক বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। মুলত এটিকে আপনারা হাতে খড়ি হিসেবে বলতে পারেন। এই প্রাথমিক পাঠ বেশ কিছু পরবে চলবে ইনশা আল্লাহ। তবে মনে রাখবেন ভাইয়েরা প্রত্যেক শাস্ত্রের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চতর কিতাব আছে। যে আরও জানতে চায় সে যাতে অবশ্যই উচ্চতর কিতাব ও দাওরা করার চেস্টা করে। আল্লাহ তাওফিক দান করুক ভাইদের।
সাধারণভাবে যুদ্ধ কয়েক প্রকারের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২ প্রকার (বাকিগুলো এখন আমাদের আলোচ্য নয়)।
১. নিয়মতান্ত্রিক বা প্রচলিত যুদ্ধ
২. অনিয়মতান্ত্রিক বা গেরিলা যুদ্ধ
১. প্রচলিত যুদ্ধ: প্রচলিত যুদ্ধ নিয়মতান্ত্রিক সেনা দল দিয়ে হয়ে থাকে। সাধারণত জাতি রাস্ট্রগুলোতে এমন সেনাবাহিনী থেকে থাকে। আগের ইতিহাসে আমরা রোমান, গ্রীক, পারস্য ইত্যাদির এমন বাহিনী দেখতে পাই। আর কুরানে সুলায়মান আ: এর যে বাহিনীর কথা শুনেছি তাও নিয়মতান্ত্রিক দল। নিয়মতান্ত্রিক দল গুলোর বেশ কিছু বাহিনী থাকে সেনাবাহিনী, নেভি, বিমান, রেঞ্জার্স ইত্যাদি। সেনাদের মধ্যে প্রধান বলা যায় পদাতিক বা ইনফ্যান্ট্রি বাহিনীকে। এদের সাহায্যে ট্যাংক, কামান, মেডিক্যাল, লজিস্টিক ইত্যাদি রেজিমেন্ট থাকে। আবার সেনাদের সাহায্যকারী নেভি ও বিমানবাহিনী থাকে। এই ধরনের বাহিনী সাধারণ সাহায্য ছাড়া একপাও আগাতে সাহস পায়না। যেমন: তাকে যদি সব রসদ, অস্ত্র, বিমান ইত্যাদি সাহায্য না করা হয় তাহলে যুদ্ধ করা তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এসব ফলের প্রধান সমস্যা তাদের নিয়মতান্ত্রিকতাই। এদের বিভিন্ন র্যাংক রয়েছে (এগুলো জানার চেস্টা করবেন প্রিয় ভাইয়েরা)। আপনার অবশ্যই জানতে হবে কোন র্যাংকের অফিসারের আন্ডারে কত জন থাকে। কোন রেজিমেন্টের কি কাজ। (নাহলে প্রিয়ভাই কিভাবে যুদ্ধ করবেন শত্রুর বিরুদ্ধে) নিয়মিত বাহিনীর যুদ্ধএর উদাহরণ হল: ইউক্রেন রাশিয়া, ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ। এখানে ২ বা এর অধিক দলের/দেশের বাহিনী পোশাক পরে সরাসরি মুখোমুখি সংঘর্ষ করে অথবা কিছুটা দূরে থেকে। এ ধরনের যুদ্ধে সাধারণত ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক।
২. অনিয়মিত যুদ্ধ: এটিকে আরেক ভাষায় গেরিলা যুদ্ধ বলে। এটি অনিয়মিত যুদ্ধ কিন্তু এতে নিয়ম রয়েছে। কায়েদা কানুন রয়েছে। অনিয়মিত শুনে ভাইয়েরা এটা কখনো ভাববেন না এটার নিয়ম নেই। অবশ্যই এর নীতি রয়েছে। এটিকে দুরবলদের যুদ্ধ বলা হয়। গেরিলাদের প্রথমিক স্তরে পোশাক পরে যুদ্ধ করে না। বরং সমাজে সাধারণ মানুষদের সাথে লুকিয়ে থাকে। কখনো এক পরিচয়ে আবার কখনো আরেক পরিচয়ে। এ যুদ্ধ সাধারণত লম্বা যুদ্ধও বলা যেতে পারে। শত্রুর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ পরিহার আবশ্যক এর প্রাথমিক মারহালাতে। ইতিহাস ঘাটলে বড় শত্রুর বিরুদ্ধে ছোট শক্তির এই পন্থায় যুদ্ধের নজির দেখা যায়। বরতমান সময়ে এর উদাহরণ : আফগান তালিবান-আমেরিকা, টিটিপি-পাকিস্থান, ভিয়েতনাম-আমেরিকা ইত্যাদি।
১ম পাঠ শেষ আলহামদুলিল্লাহ।
(এই পাঠগুলো খুবি প্রাথমিক এই বিষয়ে যারা জানেন চাইলে পরিহার করতে পারেন)
Comment