Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংশয়ঃ ফি সাবিলিল্লাহ’র সকল আয়াত-হাদিস তাবলীগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংশয়ঃ ফি সাবিলিল্লাহ’র সকল আয়াত-হাদিস তাবলীগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে

    সংশয়ঃ ফি সাবিলিল্লাহ’র সকল আয়াত-হাদিস তাবলীগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে

    প্রশ্ন  — আল্লাহর রাস্তার আম ও খাস কোন অর্থ আছে কি ?আল্লাহ রাস্তা বিষয়ক হাদিসগুলো কি শুধুই জিহাদের জন্য প্রযোজ্য এবং আল্লাহর রাস্তায় বের হলে যে ফজিলতগুলো বর্নিত হয়েছে এগুলো কি শুধুই জিহাদের জন্য প্রযোজ্য??

    আর এই ফজিলত কি তাবলিগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয় কি??? জাযাকাল্লাহ খায়ের। (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
    .
    #উত্তর —
    .
    জিহাদ সংক্রান্ত কিছু সংশয় নিরসন — মুফতী সাইদ আহমাদ পালনপুরী (হাফিযাহুল্লাহ)

    শাইখুল হাদীস ও মুফতী দারুল উলুম দেওবন্দ

    জিহাদ কুরআন ও হাদিসের একটি বিশেষ পরিভাষা। তাঁর অর্থ হল দ্বীন ইসলামের প্রতিরক্ষা ও সমুন্নত করার লক্ষ্যে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।

    শব্দ বিবেচনায় জিহাদ শব্দটির দু ধরনের ব্যবহার পাওয়া যায়,
    ১) جاهد العدو مجاهدة جهادا
    অর্থাৎ শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা

    ২) جاهد في الامر
    কোন কাজে পূর্ণ শক্তি ব্যয় করা ও প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালানো।
    এই অর্থেই বলা হয়ে থাকে মোজাহাদা।

    কুরআন ও হাদীসে জিহাদ শব্দের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার পাওয়া যায়, কোথাও শুধু جهاد و مجاهدة এসেছে। কোথাও তার পরে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ — অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায়) যুক্ত হয়েছে। কোথাও আবার الله في (ফি আল্লাহ) ও فينا যুক্ত হয়েছে।

    এমনকি سبيل الله (সাবিলিল্লাহ) শব্দটিও কখনো একাকী ব্যবহার করা হয়েছে কখনো جهاد এর সাথে মিলে ব্যবহৃত হয়েছে।
    .
    এক্ষেত্রে জিহাদের অর্থ বিভ্রাট থেকে বাঁচার জন্যে একটি একটি মূলনীতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যা মূলত নুসূসের আলোকে গৃহিত ও অধিক নিরাপদ। এতে ভয়াবহ বিভ্রান্তি ও অনর্থক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
    .
    যেখানে শুধু مجاهدة শব্দ এসেছে কিংবা তারপর الله في (ফি আল্লাহ) বা فينا এসেছে, সে আয়াতগুলো “আম” (ব্যাপক)। অর্থাৎ সেখানে জিহাদ শব্দটির আভিধানিক যে অর্থে ব্যাপকতা আছে তা উদ্দেশ্য হতে পারবে। যেমন আল্লাহর বাণী —
    .
    وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ
    অর্থঃ আর তোমরা আল্লাহর পথে সর্বশক্তি ব্যয় করো। (সূরা হজ্জ, আয়াত ৭৮)
    .
    অর্থাৎ ‘যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য পূর্ণশক্তি ব্যয় করে’। অনুরূপ আল্লাহর বাণী —
    .
    وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
    অর্থঃ যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালায় আমি তাদের বহু পথের সন্ধান দেই। (সূরা আনকাবূত, আয়াত ৬৯)
    .
    এই আয়াতদ্বয় এবং এ জাতীয় অন্যান্য আয়াত দ্বীনের সকল প্রচেষ্টাকে শামিল করে। যে কেউ যে কোনো পদ্ধতিতে দ্বীনের জন্য কোন প্রচেষ্টা করবে, সে এই আয়াতগুলোর উদ্দেশ্য হতে পারবে।
    .
    কিন্তু যেখানে জিহাদ শব্দ এসেছে কিংবা مجاهدة মূল ধাতুর সাথে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) যুক্ত হয়েছে, অথবা কোথাও শুধু في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ ) বলা হয়েছে (যেমনটা যাকাতের হক্বদার ও আল্লাহর রাস্তায় খরচের আলোচন্যা এসেছে) — এ সকল আয়াত দ্বারা جهاد (জিহাদ) এর খাস (বিশেষ) অর্থ (অর্থাৎ যুদ্ধ) উদ্দেশ্য করা হয়েছে।

    এ কারনেই সূরা তাওবাহর যেখানেই جهاد শব্দ এসেছে সেখানেই শাহ আব্দুল কাদের দেহলবী (রহঃ) এবং তার অনুসরণে শাইখুল হিন্দ (রহঃ) যুদ্ধ করা অর্থ লিখেছেন।
    .
    এমনিভাবে হাদিস গ্রন্থগুলোতে ابواب الحهاد ও فضائل الجهاد নামে যে শিরোনাম গুলো এসেছে সেখানেও এই বিশেষ অর্থ উদ্দেশ্য। আপনি চিন্তা শক্তিকে জাগ্রত রেখে অধ্যায়গুলো পাঠ করুন। দেখবেন في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) এর বর্ননাগুলো যেখানে উল্লেখ আছে, সেখানেই জিহাদ উদ্দেশ্য।
    .
    এতে বোঝা গেল في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) শব্দটিও ইসলামের একটি বিশেষ পরিভাষা। যার সুনির্দিষ্ট অর্থ হল আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করা। কিন্তু শত দুঃখের বিষয় আমাদের তাবলীগী ভায়েরা এই আয়াতগুলোকে “আম” (ব্যাপক) করে দিয়েছেন।

    এমনকি শুধু “আম”ই নয় বরং নিজেদের সাথে “খাস” (সীমাবদ্ধ) করে নিয়েছেন। কারন তারা দ্বীনের কাজগুলোর মধ্যে শুধু তাবলীগকেই জিহাদ বলেন। অন্যান্য দ্বীনি কাজ যেমন তা’লীম, তাদরীস, তাফসীর, তা’লিফ ইত্যাদি কিছুকেই জিহাদ বলেন না।
    .
    বরং তাবলীগের কিছু সাধারণ সাথী ভাই তো এমন আছে, যারা এগুলোকে দ্বীনের কাজই মনে করে না। আর যখন তারা নিজেদের কাজকেই জিহাদ নাম দিয়ে দিয়েছে তখন কুরআন ও হাদিসের জিহাদের যেসব ফজিলত বর্ণিত হয়েছে তা ঢালাওভাবে নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করা শুরু করেছে।

    আজ বাধ্য হয়ে শত আক্ষেপের সাথে বলতে হয় তাবলীগী ভাইদের এই কাজগুলো কোনভাবেই সহীহ হচ্ছে না।
    .
    জিহাদ ইসলামের একটি বিশেষ পরিভাষা। কুরআন ও হাদীসে যখন এই শব্দ উল্লেখ করা হয় তখন এর দ্বারা قتال في سبيل الله (ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ) উদ্দেশ্য হয়।

  • #2
    তবে হ্যাঁ কিছু কিছু কাজকে জিহাদের সাথে মিলানো হয়েছে। এ মিলানোটুকুই এ কাজগুলোর ফজিলতের জন্য যথেষ্ট। যেমন হাদীসে আছেঃ
    .
    .
    রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ইলমের খোঁজার জন্য বের হয় সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় আছে।‘
    .
    এখানে রাসূলুল্ললাহ সাঃ ইলম অন্বেষণের পথকে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) আখ্যা দিয়ে জিহাদের সাথে তুলনা করলেন। এই তুলনা করাটাই তালেবে ইলমের জন্য ফজিলত। এর থেকে আগে বাড়ার কোন অধিকার কারো নেই।

    এমনিভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজকেও في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) এর সাথে মিলানো যেতে পারে। আর মিলানোটাই তার ফজিলত হবে।

    কিন্তু তাই বলে জিহাদের সমস্ত ফজিলত তার সাথে প্রয়োগ করা في سبيل الله جهاد (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) কে তাবলীগের সাথে ‘খাস’ করা বা في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) কে ‘আম’ করে তাবলীগকেও এর উদ্দেশ্য বানানো সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন দাবি ছাড়া আর কিছুই নয়। এ কথাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা স্মরণ রাখা জরুরী।
    .
    মোট কথা এই في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) পরিভাষাটি কুরআন ও হাদীসে ‘আম’ (ব্যাপক) না ‘খাস’ (বিশেষ) এ ব্যাপারে মতানৈক্য আছে। তবে আলোচনা পর্যালোচনার পরে মাসরাফে যাকাতের (যাকাতের ব্যয়ের খাত) আলোচনায় এই কথাই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) একটি বিশেষ পরিভাষা অর্থাৎ ‘খাস’ এবং সকল মুহাদ্দিসীনের কর্ম পদ্ধতিও এটাই ছিল (অর্থাৎ সকল মুহাদ্দিসীন ফি সাবিলিল্লাহকে কে বিশেষ পরিভাষা হিসেবে ব্যবহার করেছেন)।

    তারা সকলেই في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) শব্দ সম্বলিত সকল হাদীসকে কিতাবুল জিহাদ অর্থাৎ জিহাদ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। তার মানে তাদের নিকটও এটা বিশেষ পরিভাষা এবং এর সাথে সম্পৃক্ত ফযিলতসমূহ একটি বিশেষ কাজের জন্য নির্ধারিত।

    কিন্তু তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) সংক্রান্ত হাদীসগুলোকে ‘আম’ করে ফেলেছেন। বরং তারা নিজেদের কাজকেই ঐ সকল হাদীসের مصداق বা প্রয়োগ ক্ষেত্র সাব্যস্ত করেছেন।

    তারা মেশকাতুল মাসাবীহ হাদীসের কিতাব থেকে তাবলীগী কাজের জণ্য যে মুস্তাখাব নির্বাচিত সংকলন রচনা করেছেন, তাতে জিহাদের অধ্যায় পুরোটাই শামিল করেছেন।

    এর দ্বারা স্পষ্ট উদ্দেশ্য এটাই যে , তাদের কাজও একটি জিহাদ। এ বিষয়ে মাওলানা ওমর পালনপুরী রহঃ এর সাথে অধমের আলোচনা ও চিঠি আদান প্রদান হয়েছে।
    .
    হযরতের মনোভাব এমন ছিল যে, আমাদের তাবলীগী কাজও জিহাদ।

    তিনি এক চিঠিতে দলিল হিসাবে এ কথা আমাকে লিখেছেন যে, তিরমিযি শরীফের একটি রেওয়ায়েতে তাবেঈ উবায়াহ্* রহঃ মসজিদে যাওয়াকে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) এর প্রয়োগ ক্ষেত্রে সাব্যস্ত করেছেন। তাহলে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে কেন তা প্রয়োগ করা যাবে না? আমি উত্তরে লিখেছি যে —
    .
    প্রথমতঃ
    উবায়াহ্* রহঃ কোন সাহাবী নন। হানফী আলেমদের নিকট সাহাবীদের কথা حخت বা দলিল। কিন্তু তাবেঈদের ব্যাপারে স্বয়ং ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর কথা হল هم رخال ونحن رخل — তারাও মানুষ আমরাও মানুষ।

    অর্থাৎ তাঁদের কথা আমাদের হানফী আলেমদের নিকট حخت বা স্বতন্ত্র দলিল নয়। যদি কোন সাহাবী এই পরিভাষাটি “আম” (ব্যাপক) করতেন তাহলে একটা কথা ছিল।
    .
    দ্বিতীয়তঃ
    একমাত্র দাওয়াত ও তাবলীগই কেন এর প্রয়োগ ক্ষেত্র হবে? যদিও কোন কোন ভাইকে বলতে শুনা যায় — তাবলীগই দ্বীনি কাজ। হযরত রহঃ এমন বলতেন না। যদিও তিনি বলতেন তাবলীগও দ্বীনি কাজ। কিন্তু তাবলীগ জামাতের ভায়েরা “ও” কে “ই” দ্বারা পাল্টে দিয়েছেন।

    মোটকথা, তারা নিজেদের কাজকেই জিহাদ বলেন। বরং তারা হয়তো হাকীকী জিহাদকেও জিহাদ মনে করেন না। তাঁদের মতে জিহাদের ফজিলতগুলোও দাওয়াত ও তাবলীগের মাঝে সীমাবদ্ধ।
    .
    তৃতীয়তঃ
    অন্য সকল দ্বীনি কাজ সম্পাদনকারীরা যেমন দ্বীনি শিক্ষাদান ও লেখালেখীতে ব্যস্ত আলেমরা নিজেদের কাজের জন্য في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) ও জিহাদের ফজিলত সাব্যস্ত করেন না। এরপরেও কেন তাবলীগের ভাইরা এসকল হাদীসগুলোকে তাদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন?
    .
    এই চিঠির পর মাওলানা ওমর পালনপুরী সাহেবের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আর কোন চিঠি আসেনি। কোন এক চিঠিতে শ্রদ্ধেয় মাওলানা সাহেব একটি যুক্তি পেশ করেছিলেন যে, জিহাদ হল حسن لغيره অর্থাৎ সত্ত্বাগতভাবে ভালো নয় অন্য কারনে ভালো।

    বাহ্যিক দৃষ্টিতে জিহাদ হল জমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা। আর দাওয়াত তাবলীগ স্বয়ং حسن لذاته حسن (সত্ত্বাগত ভালো) এটা হল আল্লাহ তা’আলা ও সৎকাজের প্রতি দাওয়াত। সুতরাং যে সব ফজিলত ও সওয়াব حسن لغيره এর জন্যে তা حسن لذاته حسن এর জন্যে কেন হবে না?
    .
    আমি উত্তরে আরজ করলাম এভাবে ক্বিয়াস (যুক্তি) দ্বারা সওয়াব সাব্যস্ত করা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা ক্বিয়াসটা শরঈ আহকামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সওয়াব বা ফাজায়েল এবং এ জাতীয় অন্যান্য توقيفي বিষয়ে ক্বিয়াস চলে না।

    Comment


    • #3
      (তাওক্বীফী বলা হয় এমন বিষয়কে যার বাস্তবতা বান্দার বিবেক দ্বারা নিরূপণ করা যায় না। যেমন কোন সূরা পাঠে কি সওয়াব, কোন আমলে কি সওয়াব ও কোন আমলে কত গুনাহ এক্ষেত্রে আকল ব্যবহার করে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছার অধিকার শরীয়ত কাউকে দেয়নি। বরং কুরআন ও হাদীসে যতটুকু বলা হয়েছে তা সেভাবেই বহাল রাখতে হবে )
      .
      অর্থাৎ এসকম স্পষ্ট বিষয়ে কুরআন হাদীসের প্রমান আবশ্যক। তাছাড়া সওয়াবের কম বেশী কষ্টের অনুপাতে হয়ে থাকে। (যেমন হাদীসে দূর থেকে মসজিদে আগমনকারীর সওয়াবের কথা বলা হয়েছে) আর আল্লাহই ভালো জানেন, কোন কাজে কি পরিমাণ কষ্ট ও এর সওয়াব কি হবে। দুনিয়ার মানুষ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
      স্পষ্ট কথা হল, কষ্টের বিবেচনায় পারিভাষিক في سبيل الله جهاد (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) এর ধারে কাছেও তাবলীগী কাজ পৌছাতে পারবে না।

      এরপরও কিভাবে জিহাদের সওয়াব ও ফজিলত ঐ কাজের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। আজ পর্যন্ত মুহাক্কিক আলেমদের কেউই এ সকল বর্ণনাকে অন্য কোন দ্বীনি কাজে ব্যবহার করেন নি।
      ফায়দাঃ

      উপরোক্ত আলোচনায় “ও” এবং “ই” এর কথা হয়েছে (“তাবলীগও দ্বীনি কাজ”/ “তাবলীগই দ্বীনি কাজ” )। এটা একটা উদাহরণ দ্বারা ভালোভাবে বোঝা যায়। হিন্দুস্তানের একটি বড় হীরক খন্ড, কোহিনুর। এটা অত্যন্ত মূল্যবান হীরা। যদি তা হাত থেকে পড়ে ছোট বড় পাঁচ টুকরা হয়ে যায় তাহলেও এ টুকরাগুলো মুল্যহীন হবে না। প্রতিটি টুকরার কিছু না কিছু মূল্য থাকবেই।
      .
      কিন্তু কোন টুকরার এ অধিকার নেই যে সে বলবে, “আমিই ঐ কোহিনুর”। হ্যাঁ, প্রতিটি টুকরা এই কথা বলতে পারবে যে, “আমিও কোহিনুর” মানে কোহিনুরের একটি অংশ।
      .
      উক্ত উদাহরণ দ্বারা একথা স্পষ্ট হয় যে, নবী সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযিঃ এর সকল কাজ একটি পূর্ণ কোহিনুর ছিল। তাঁরা একই সাথে দাঈ, মুবাল্লিগ, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুজাহিদ ছিলেন এবং তাঁরা রাজ্যও চালাতেন।

      কিন্তু পরবর্তীতে এই সব কাজ পৃথক পৃথক হয়ে গেছে। সুতরাং যে কোন দ্বীনি কাজকারীরা এ কথা বলতে পারেন যে, আমিও সাহাবী ওয়ালা কাজ করি। কিন্তু কারোরই একথ আবলার অধিকার নেই যে, সে বলবে, আমিই একমাত্র সাহাবী ওয়ালা কাজ করি।
      .
      আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে এ বিষয়টি বোঝার তাউফীক দান করুন এবং যে সব ভুল-ত্রুটি হচ্ছে তার সংশোধন করুন। আমীন।

      -সূত্রঃ তোহফাতুল আলমায়ী।

      দারুল ইলমের মুল পোস্ট- http://darulilm.org/2017/03/10/tabligpalonpuri/

      Comment


      • #4
        যেমন কোন ব্যক্তিকে জ্ঞানের গভীরতার কারনে সাগরের সাথে তূলনা করে বাহর আখ্যায়িত করা হলো/এখানে কেহ জাহাজ চালানোর চিন্তা করতে পাড়ে।
        কাউকে শক্তি ও সাহসিকতার কারনে টাইগার বা সিংহ বলে ডাকার অর্থ হলো তাকে যে টাইগার বলা যাচ্ছে এটাই তার মার্যাদা। এর অর্থ কক্ষনো এটা নয় যে তার লেজ, থাবা, চারপা আবিষ্কার করতে হবে।

        ৩ বার সুরায়ে ইখলাছ পড়লে ১ বার কোরান শরীফ পড়ার ছাও্য়াব পাও্য়া যায় ... এগুলোর অর্থ কি ইশা তারাবীহের মধ্যে প্রতি রাকাতে কুলহুয়াল্লাহু আহাদ দিয়ে নামাজ পড়ে ডেলি ৮/১০ খতম দিয়ে ফেলা বেশী বুদ্ধিমত্তা,দ্বীনদারি ও ছাওয়াবের কা্*জ? আর পুরা রমজানে ৩০ পাড়া পরে ১ খতমের ছাওয়াব লাভ নির্বুদ্ধিতা,কম ছাওয়াবের কাজ?
        ছাওয়াবের ক্ষেত্রে কিয়াছ ব্যবহার কারিদের বিভ্রান্তি হলো এই মার্কা ।
        এভাবে তারা দ্বীনের প্রকৃত রূপটি পালটে দিয়েছে।
        তাদের কিয়াছের আরো একটি নমুনা দেখুন, আকাশে যখন সুর্য্য উদিত থাকে তখন দিন (নাহার) বিদ্যমান থাকে , আর সুর্য্য একটি নক্ষত্র , অত এব বলা চলে আকাশে যখন নক্ষত্র থাকে তখন দিন (নাহার ) বিদ্যমান থাকবে।
        এবার রাতের আকাশে তাকিয়ে দেখুন লক্ষলক্ষ নক্ষত্র বিদ্যমান , সুতরাং প্রচন্ডভাবে দ্বীন বিদ্যমান থাকার কথা , বাস্তবে কি আছে?
        জিহাদের জন্য এই ফিজীলত , আর জিহাদ দ্বীন প্রিতিষ্ঠার মাধ্যম, আর এই কাজের দ্বারা দ্বীন প্রতিষ্ঠা হয়, সুত্রাং এই কাজের এই ফজীলত, ...। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের অনেকে শরিয়তের জিহাদের পরিবর্তে তাদের যুক্তির জিহাদকে বেশীদামি প্রকাশ করে , রাতের আকাশে যেহে্তো নক্ষত্র বেশী! অনেকে লক্ষ নক্ষত্রের মুকাবিলায় এক নক্ষত্রকে তারা ফিতনা মনে করে, সশস্ত্র জিহাদকে তাদের আখ্যায়িত জিহাদের জন্য বাধা মনে করে নাক ছটকানোর মধ্যেও আভিজাত্য আবিষ্কার করে। যেন তারা ভদ্র শান্তিকামি মুজাহিদ আর মুজাহিদীন উসৃংখল উগ্র মুজাহিদ । আল ইয়াযু বিল্লাহ।

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ - উত্তম পোস্ট - আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাঝা দান করুন। আমীন।
          মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

          Comment


          • #6
            যাজাকাল্লাহ।

            Comment


            • #7
              জাঝাকাল্লাহ আখিঁ ফিল্লাহ
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                jazakumullahu ahsanal zaja.
                সুন্দর নির্বাচন,চমৎকার অনুবাদ...
                আল্লাহ কবুল করুন।আমীন।

                Comment


                • #9
                  জিহাদ বিষয়ক সংশয় নিরশনের জন্য মাওলানা ইলিয়াস ঘুম্মান হাফি. পণ্যের সন্ধানে চমৎকার একটা বই
                  হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

                  Comment


                  • #10
                    :দাওয়াতে তাবলীগ আংশিকভাবে দ্বীনের কিছু খিদমত করে।কিন্তু এই জামাতের নীতি নির্ধারকগণ বা কর্মীগণ এই জামাতকে বা এই আংশিক খিদমতকেই পূর্ণাঙ্গ দ্বীন মানছেন বা শুধুমাত্র এখানেই মুক্তির পথ খুঁজছেন বা শুধু এই কাজ করেই জান্নাত পেয়ে যাচ্ছেন।তারা দ্বীনের একটি ছোট অংশকেই পূর্ণাঙ্গ দ্বীন বানিয়ে ফেলেছেন। পাতাকেই গাছ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন (এ বিষয়টা প্রচলিত দ্বীনি ফ্রন্টের সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য)।যে একবার চিল্লা দিয়েছে সে সারাজীবন চিল্লাই দিয়ে যাচ্ছে ।কোন প্রমোশন বা ডিমোশন নেই।একই ক্লাসে আজীবন থাকতেই যেন সকলে বদ্ধপরিকর।কিন্তু এই একই ব্যক্তি জীবনের বাকী সব ক্ষেত্রেই আবার তরক্কীর জন্য মরিয়া।সেটা শিক্ষার ক্ষেত্রেই হোক, চাকরীর ক্ষেত্রেই হোক,ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক বা রাজনীতি বা অন্য যেকোন ক্ষেত্রেই হোক।সব ক্ষেত্রেই সে শুধু উপরেই উঠতে চায়।কখনো সে এক জায়গায় স্থির থাকতে চায় না।শিক্ষা ক্ষেত্রে যেমন সে ১ম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স বা তারপরও এম ফিল, পিএইচডি আরো কত কিই না করছে ।আবার এই সব ডিগ্রী হাসিল করার পর চাকুরীতে বা পেশাগত অধিকতর তরক্কীর জন্য সে ইভনিং এমবিএ সহ আরও কত ডিপ্লোমা যে করছে তার হিসাব দেয়া মুশকিল।অন্যদিকে সে যখন ব্যবসা করছে তখন প্রতিদিনই ব্যবসায় তরক্কী করতে মরিয়া।এক ব্যবসা থেকে আর এক ব্যবসা, সেই ব্যবসা থেকে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট।এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট এর পর শিল্পপতি হওয়ার বাসনা । কোনটাই অপূর্ণ রাখছেনা সে ।অপূর্ণ থাকছে কেবল তার দ্বীন চর্চা ।এখানে এসেই তার মনে হচ্ছে বা তাকে মনে করানো হচ্ছে যে এই এককাজ করলেই চলবে।এটাই তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।তার মানে কি দাড়ালো ? মানে দাড়াল এই যে আমরা নিজের জন্য যা পছন্দ করি দ্বীনের জন্য তা পছন্দ করি না।অর্থাৎ আমরা চাকুরী বা ব্যবসা বা নিজ পেশার পূর্ণাঙ্গতা অনুধাবন করে নিজ প্রয়োজনে এসকল ক্ষেত্রে যেমন প্রতিটি স্তর সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করতে বদ্ধপরিকর। ঠিক উল্টোভাবে এই আমরাই সবচেয়ে কঠিন ময়দান তথা আখেরাতের জন্য দ্বীনের একটি প্রাক প্রাথমিক স্তরে আবদ্ধ থাকাকেই পূর্ণাঙ্গ দ্বীন সাব্যস্ত করে জান্নাত হাছিলের দিবা স্বপ্ন দেখছি।

                    এখানে আরও উল্লেখ্য যে, দাওয়াতে তাবলীগে একটি বিষয় বার বার মানুষের সামনে তুলে ধরা হ্য় তা হল – যেকোন একজন সাহাবীর জীবন অনুসরণ করলেই হেদায়েত পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র একদম উল্টো।কারণ বাস্তবে তাবলীগের ময়দানে কোন একজন সাহাবীর জীবনী পড়ানোরও কোন ব্যবস্থা নেই।যদি থাকত তাহলে প্রথমেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা এর জীবনী পড়ানো হত ।আর হযরতের জীবনী যদি পড়া থাকত তাহলে তাবলীগের সব সাথীই এ বিষয়টা জানতেন যে দ্বীনের একটি বিধান পালন বা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সামান্য একটু কম-বেশী হওয়াটাকে তিনি কিভাবে গ্রহন করেছিলেন।অর্থাৎ হুজুর পাক (সা এর ইন্তেকালের পর যাকাত আদায়ের সময় তিনি বলেছিলেন হুজুর পাক (সা জীবদ্দসায় যে বা যারা যাকাত প্রদানের সময় রশিসহ ছাগল দিত এখন যদি তারা ছাগল দিয়ে শুধু রশিটা দিতেও অস্বীকার করে তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করব।আর এবিষয়টা জানলে তাবলীগের একজন সাথী কখনই দ্বীনের অংশবিশেষকে দ্বীন বলে চালিয়ে দেওয়ার ঈমান বিধ্বংসী কাজ করার দুঃসাহস করতেন না বা রাসূল (সাঃ) কর্তৃক জিহাদের জন্য প্রেরিত সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর জামাতের সাথে তাবলীগে প্রেরিত জামাতকে এক করার মত গর্হিত অপরাধে লিপ্ত হত না।আবার ফাজায়েলে আ’মাল কিতাবের হেকায়েতে সাহাবা অধ্যায়ে সাহাবায়ে কিরাম (রা এর যে সকল ঈমানদীপ্ত ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেসব ঘটনাবলী থেকে উম্মতের যে শিক্ষা গ্রহন করা্র কথা সেখানেও তাবলীগের কান্ডারীরা সাথীদেরকে গোমরাহ করতে সক্ষম হয়েছেন।উদাহরণ হিসাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করলেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে – তাবুক অভিযানের সময় কাব বিন মালেক, হেলাল বিন উমাইয়া এবং মোরারাহ বিন রাবী (রা কিছুটা অলসতা, কিছুটা সম্পদের চিন্তা আর কিছুটা এই ভেবে পিছনে পড়ে গিয়েছিলেন যে “আমরা ত সকল যুদ্ধেই অংশগ্রহন করে থাকি।একটি যুদ্ধে না গেলে আর কি হবে ? ” তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহন না করার কারণে এই তিন জন সাহাবীর কি শাস্তি হয়েছিল তা ফাজায়েলে আ’মাল কিতাবের হেকায়েতে সাহাবা অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে।কিন্তু এই ঘটনার ফায়েদা তে যা লেখা হয়েছে তা পড়লেই আমরা সহযেই বুঝতে পারব যে কিভাবে তাবলীগের কান্ডারীরা সাথীদেরকে গোমরাহ করার মিশন বাস্তবায়ন করছেন । “ ফায়েদা : ইহা ছিল সাহাবায়ে কেরামদের আনুগত্য,দ্বীনদারি ও আল্লাহ ভীরুতার নিদর্শন। তাহারা সারাজীবন জিহাদে শরীক হইয়া ও একটিমাত্র জিহাদ অংশগ্রহণ না করার কারণে কতবড় কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হন এবং তা অবনত মস্তকে মানিয়ালন । তদুপরি যে সম্পত্তির কারণে এতবড় দুর্দশায় পতিত হন উহাকে ও আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করিয়া দেন এবং কাফের বাদশাহের চিঠি পাইয়া উহাতে উত্তেজিত না হওয়া বরং উহাকে আল্লাহ ও রাসূল (সা এর নারাজীর কারণ মনে করিয়া আরো বেশি কাতর হইয়া পড়েন। আজ আমরাও মুসলমান ! হুযুর (সা এর শত সহস্র আদেশ নিষেধ আমাদের সামনে। উহার মধ্যে সবচেয়ে বড় হুকুম নামাজের কথাই ধরা যাক। আমরা কয়জন উহা আদায় করিতেছি আর যাহারা আদায় করিতেছি তাহারাই বা কিভাবে আদায় করিতেছি ? হজ্ব এবং যাকাতের কথা না হয় পরেই আসলো। কারণ উহাতেতো টাকা পয়সা খরচ করিতে হয়।”

                    এখানে ফায়েদা বা শিক্ষাটা হওয়া উচিত ছিল বিগত দিনের কোন জিহাদ কাযা না হওয়া সত্তেও শুধুমাত্র একটি জিহাদ কাযার দরুণ হুজুর (সা এরজীবদ্দশায় সাহাবায়ে কেরাম (রা এর যদি এমন কঠিন শাস্তি হতে পারে তাহলে আমরা যে জীবনে একটি জিহাদেও অংশগ্রহন করিনি বা নিদেন পক্ষে জিহাদে যাওয়ার জন্য কোন প্রস্তুতিও নেইনি তাহলে আমাদের অবস্থা কি হবে ? কিন্তু এখানেও কৌশলে জিহাদের আলোচনায়ও নামাজের গুরুত্ব বুঝানো হচ্ছে। যদিও নামাজের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য ফাজায়েলে নামাজ নামে আলাদা অধ্যায়ই আছে।
                    এসো জিহাদ শিখি

                    Comment


                    • #11
                      ভাই আসুন আল্লাহর হুকুম মানি নবীর (সাঃ) তরিকায় চলি। দুনয়িাও শান্তি আখেরাতেও শান্তি।
                      ভাই আল্লাহ তা’আলা তো হুকুম করেছেন ‘‘কুতিবা আলাইকুমুল ক্বিতাল’’ ।

                      তো ভাই আল্লাহ তা’আলার এই মহান হুকুম কার তরিকায় মানব ? হুজুর আকরাম (সাঃ) এর তরিকায় না কোন মুরুব্বীর তরিকায় ?

                      ভাই হুজুর আকরাম (সাঃ) এর দান্দান মোবারক শহীদ হয়েছে কোথায় ? টঙ্গীতে না কাকরাইলে না নিজামউদ্দীনে ? নাকি ময়দানে ওহুদে ?

                      ভাই যেকোন সাহাবীকে (রাঃ) অনুসরন করলেই হেদায়েত পেয়ে যাব । তো ভাই সেই সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিহাদ বলতে ১ চিল্লা, ৩ চিল্লা, সাল বা টঙ্গী, কাকরাইল বা নিজামউদ্দীন বুঝতেন ? নাকি বদর, ওহুদ, খন্দক কুঝতেন ?

                      ভাই হানযালা (রাঃ) কোন ময়দানে শহীদ হয়েছিলেন ?
                      এসো জিহাদ শিখি

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Hamza Al Madani View Post
                        ভাই আসুন আল্লাহর হুকুম মানি নবীর (সাঃ) তরিকায় চলি। দুনয়িাও শান্তি আখেরাতেও শান্তি।
                        ভাই আল্লাহ তা’আলা তো হুকুম করেছেন ‘‘কুতিবা আলাইকুমুল ক্বিতাল’’ ।

                        তো ভাই আল্লাহ তা’আলার এই মহান হুকুম কার তরিকায় মানব ? হুজুর আকরাম (সাঃ) এর তরিকায় না কোন মুরুব্বীর তরিকায় ?

                        ভাই হুজুর আকরাম (সাঃ) এর দান্দান মোবারক শহীদ হয়েছে কোথায় ? টঙ্গীতে না কাকরাইলে না নিজামউদ্দীনে ? নাকি ময়দানে ওহুদে ?

                        ভাই যেকোন সাহাবীকে (রাঃ) অনুসরন করলেই হেদায়েত পেয়ে যাব । তো ভাই সেই সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিহাদ বলতে ১ চিল্লা, ৩ চিল্লা, সাল বা টঙ্গী, কাকরাইল বা নিজামউদ্দীন বুঝতেন ? নাকি বদর, ওহুদ, খন্দক কুঝতেন ?

                        ভাই হানযালা (রাঃ) কোন ময়দানে শহীদ হয়েছিলেন ?
                        ভাইদের কাজ আল্লাহ কবুল করুন।

                        যে সাহাবির রাঃ অনুসরণ করি উনি তো মুজাহিদ ছিলেন
                        فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                        Comment


                        • #13
                          জাযাকুমুল্লাহ প্রিয়, খুবই উত্তম ও মূল্যবান পোস্ট।
                          .
                          বর্তমান (দাওয়াত ও তাবলিগের) প্রেক্ষাপটের সমপর্যায়ের পোস্ট।

                          আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।
                          আমিন
                          "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

                          Comment


                          • #14
                            সৃষ্টির সেরা জীব তারা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি
                            তলোয়ারের শক্তি এদের দাওয়াতী কাজের সাথী।

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by tarek bin ziad View Post
                              তবে হ্যাঁ কিছু কিছু কাজকে জিহাদের সাথে মিলানো হয়েছে। এ মিলানোটুকুই এ কাজগুলোর ফজিলতের জন্য যথেষ্ট। যেমন হাদীসে আছেঃ
                              .
                              .
                              রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ইলমের খোঁজার জন্য বের হয় সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় আছে।‘
                              .
                              এখানে রাসূলুল্ললাহ সাঃ ইলম অন্বেষণের পথকে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) আখ্যা দিয়ে জিহাদের সাথে তুলনা করলেন। এই তুলনা করাটাই তালেবে ইলমের জন্য ফজিলত। এর থেকে আগে বাড়ার কোন অধিকার কারো নেই।

                              এমনিভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজকেও في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) এর সাথে মিলানো যেতে পারে। আর মিলানোটাই তার ফজিলত হবে।

                              কিন্তু তাই বলে জিহাদের সমস্ত ফজিলত তার সাথে প্রয়োগ করা في سبيل الله جهاد (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) কে তাবলীগের সাথে ‘খাস’ করা বা في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) কে ‘আম’ করে তাবলীগকেও এর উদ্দেশ্য বানানো সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন দাবি ছাড়া আর কিছুই নয়। এ কথাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা স্মরণ রাখা জরুরী।
                              .
                              মোট কথা এই في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) পরিভাষাটি কুরআন ও হাদীসে ‘আম’ (ব্যাপক) না ‘খাস’ (বিশেষ) এ ব্যাপারে মতানৈক্য আছে। তবে আলোচনা পর্যালোচনার পরে মাসরাফে যাকাতের (যাকাতের ব্যয়ের খাত) আলোচনায় এই কথাই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) একটি বিশেষ পরিভাষা অর্থাৎ ‘খাস’ এবং সকল মুহাদ্দিসীনের কর্ম পদ্ধতিও এটাই ছিল (অর্থাৎ সকল মুহাদ্দিসীন ফি সাবিলিল্লাহকে কে বিশেষ পরিভাষা হিসেবে ব্যবহার করেছেন)।

                              তারা সকলেই في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) শব্দ সম্বলিত সকল হাদীসকে কিতাবুল জিহাদ অর্থাৎ জিহাদ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। তার মানে তাদের নিকটও এটা বিশেষ পরিভাষা এবং এর সাথে সম্পৃক্ত ফযিলতসমূহ একটি বিশেষ কাজের জন্য নির্ধারিত।

                              কিন্তু তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) সংক্রান্ত হাদীসগুলোকে ‘আম’ করে ফেলেছেন। বরং তারা নিজেদের কাজকেই ঐ সকল হাদীসের مصداق বা প্রয়োগ ক্ষেত্র সাব্যস্ত করেছেন।

                              তারা মেশকাতুল মাসাবীহ হাদীসের কিতাব থেকে তাবলীগী কাজের জণ্য যে মুস্তাখাব নির্বাচিত সংকলন রচনা করেছেন, তাতে জিহাদের অধ্যায় পুরোটাই শামিল করেছেন।

                              এর দ্বারা স্পষ্ট উদ্দেশ্য এটাই যে , তাদের কাজও একটি জিহাদ। এ বিষয়ে মাওলানা ওমর পালনপুরী রহঃ এর সাথে অধমের আলোচনা ও চিঠি আদান প্রদান হয়েছে।
                              .
                              হযরতের মনোভাব এমন ছিল যে, আমাদের তাবলীগী কাজও জিহাদ।

                              তিনি এক চিঠিতে দলিল হিসাবে এ কথা আমাকে লিখেছেন যে, তিরমিযি শরীফের একটি রেওয়ায়েতে তাবেঈ উবায়াহ্* রহঃ মসজিদে যাওয়াকে في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) এর প্রয়োগ ক্ষেত্রে সাব্যস্ত করেছেন। তাহলে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে কেন তা প্রয়োগ করা যাবে না? আমি উত্তরে লিখেছি যে —
                              .
                              প্রথমতঃ
                              উবায়াহ্* রহঃ কোন সাহাবী নন। হানফী আলেমদের নিকট সাহাবীদের কথা حخت বা দলিল। কিন্তু তাবেঈদের ব্যাপারে স্বয়ং ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর কথা হল هم رخال ونحن رخل — তারাও মানুষ আমরাও মানুষ।

                              অর্থাৎ তাঁদের কথা আমাদের হানফী আলেমদের নিকট حخت বা স্বতন্ত্র দলিল নয়। যদি কোন সাহাবী এই পরিভাষাটি “আম” (ব্যাপক) করতেন তাহলে একটা কথা ছিল।
                              .
                              দ্বিতীয়তঃ
                              একমাত্র দাওয়াত ও তাবলীগই কেন এর প্রয়োগ ক্ষেত্র হবে? যদিও কোন কোন ভাইকে বলতে শুনা যায় — তাবলীগই দ্বীনি কাজ। হযরত রহঃ এমন বলতেন না। যদিও তিনি বলতেন তাবলীগও দ্বীনি কাজ। কিন্তু তাবলীগ জামাতের ভায়েরা “ও” কে “ই” দ্বারা পাল্টে দিয়েছেন।

                              মোটকথা, তারা নিজেদের কাজকেই জিহাদ বলেন। বরং তারা হয়তো হাকীকী জিহাদকেও জিহাদ মনে করেন না। তাঁদের মতে জিহাদের ফজিলতগুলোও দাওয়াত ও তাবলীগের মাঝে সীমাবদ্ধ।
                              .
                              তৃতীয়তঃ
                              অন্য সকল দ্বীনি কাজ সম্পাদনকারীরা যেমন দ্বীনি শিক্ষাদান ও লেখালেখীতে ব্যস্ত আলেমরা নিজেদের কাজের জন্য في سبيل الله (ফি সাবিলিল্লাহ) ও জিহাদের ফজিলত সাব্যস্ত করেন না। এরপরেও কেন তাবলীগের ভাইরা এসকল হাদীসগুলোকে তাদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন?
                              .
                              এই চিঠির পর মাওলানা ওমর পালনপুরী সাহেবের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আর কোন চিঠি আসেনি। কোন এক চিঠিতে শ্রদ্ধেয় মাওলানা সাহেব একটি যুক্তি পেশ করেছিলেন যে, জিহাদ হল حسن لغيره অর্থাৎ সত্ত্বাগতভাবে ভালো নয় অন্য কারনে ভালো।

                              বাহ্যিক দৃষ্টিতে জিহাদ হল জমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা। আর দাওয়াত তাবলীগ স্বয়ং حسن لذاته حسن (সত্ত্বাগত ভালো) এটা হল আল্লাহ তা’আলা ও সৎকাজের প্রতি দাওয়াত। সুতরাং যে সব ফজিলত ও সওয়াব حسن لغيره এর জন্যে তা حسن لذاته حسن এর জন্যে কেন হবে না?
                              .
                              আমি উত্তরে আরজ করলাম এভাবে ক্বিয়াস (যুক্তি) দ্বারা সওয়াব সাব্যস্ত করা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা ক্বিয়াসটা শরঈ আহকামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সওয়াব বা ফাজায়েল এবং এ জাতীয় অন্যান্য توقيفي বিষয়ে ক্বিয়াস চলে না।
                              الْمُغِيرَة بْن شُعْبَة قَالَ : سَمِعْت رَسُول اللَّه صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول :
                              " إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى غَيْرِي , فَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَده مِنْ النَّار " . متفق عليه قال الله تعالى فمن اظلم ممن افتري على الله
                              এكذبا او كذب باياته انه لا يفلح الظالمونএবং কোন ফরজে কিফায়া বা ফরজে আইন বা ইসলামী কোন বিধান আল্লাহর আদেশ হওয়া হিসাবে حسن لغيره হতে পারে না বরং حسن بذاتهকারন আল্লাহ কুরআনে বলেনصبغة الله ومن أحسن من الله صبغة
                              Last edited by khaled123; 05-15-2021, 11:30 PM.

                              Comment

                              Working...
                              X