Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৪ || নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?|| -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ || পর্ব- ০৬

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৪ || নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?|| -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ || পর্ব- ০৬

    আন নাসর মিডিয়া
    কর্তৃক প্রকাশিত
    নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?
    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ||
    এর থেকে
    পর্ব- ০

    ==================================================
    ===============================
    নিরাপত্তা সম্পর্কিত কয়েকটি নীতিমালা।



    যিনি নিরাপত্তা মেনে চলেন না তার প্রতি...!

    আমাদের একটা বদস্বভাব হল: আমরা অনেকের প্রতি নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট হই এবং তার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করি। তাই আমি একটু পরে আলোচনা করব যে, নিরাপত্তা অবলম্বনকারীকে কি কি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে? আরও আলোচনা করবো যিনি নিরাপত্তা আবলম্বনকারীর প্রতি মনোকষ্ট পোষণ করেন এবং নিরাপত্তা অবলম্বন করতে নারাজ, তাকে কি কি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। (ইনশা আল্লাহ)

    নিরাপত্তা অবলম্বনকারীর প্রতি যিনি মনোকষ্ট পোষণ করেন, তাকে বলবো, আপনি এর মাধ্যমে অযথা নিজের নেকী নষ্ট করছেন। বিষয়টি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে সুধারণা নিয়ে কাজ করুন। সুধারণা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যদি কেউ আমাদের নিকট পাপী হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তার প্রতি বদধারণা রাখা বৈধ তাই তার প্রতি বদধারণা রাখা যাবে। কিন্তু আপনি যদি দেখতে পান, কেউ জিহাদ করছে অথবা সে মু’মিন বা মুহাজির, তথাপি সে আপনার সাথে নিরাপত্তা বজায় রেখে চলে। তাহলে ভাই! আমি আপনাকে বলবো, আপনি তার প্রতি সুধারণা রাখুন। অযথা নিজের জিহাদ নষ্ট করবেন না, বিষয়টি আল্লাহ্ তা‘আলার উপর ছেড়ে দিন। কারণ লোকটি জিহাদের প্রয়োজনেই নিরাপত্তা মেনে চলছে। মন খারাপ করে হয়তো আপনি তার সাথে তর্ক জুড়ে দিতে পারবেন কিন্তু তাকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। বিপরীতে তার মনই খারাপ হয়ে যাবে সুতরাং এসব ব্যাপারে মূল নীতিমালা হলো: মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। তবে কোন সুস্পষ্ট আলামত বা নিদর্শনের ভিত্তিতে যদি এর বিপরীত কোন বিষয় সুস্পষ্ট হয়, তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা যা করি তা হল, আমরা মু’মিন, মুজাহিদ এবং মুহাজির ভাইদের সাথে এমন আচরণ করি যে, সেখানে বদধারণা-ই হয়ে থাকে মূল বিষয়। তবে যদি এর বিপরীতে তার ভালো হওয়ার কোন দলিল-প্রমাণ আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়, তখন ভিন্ন কথা। এটা কত বড় আফসোসের বিষয়! এই নীতি তো কাফেরের জন্য। কোন মু’মিনের জন্য কখনোই এ নীতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না

    প্রিয় ভাইয়েরা! উপরোক্ত নীতিমালাটি তার জন্য, যিনি নিরাপত্তা অবলম্বনকারীর প্রতি মনকষ্ট পোষণ করেন। যিনি নিরাপত্তা মেনে চলার কারণে দু্ঃখিত হন, পেরেশান হন তার মনে শয়তান ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে এই বলে যে, অমুক আমাকে সম্মান দেয় না, ইজ্জত করে না। আমাকে তার চেয়ে ছোট মনে করে। আমার কথা হল, আমার কেন এমন মনে হয় যে, আমার মনে যা আসে, তার সবই আসে কল্যাণের ফেরেশতার পক্ষ থেকে। অথচ শয়তান আমার সাথে আছে, আমার নফস আমার সাথে আছে! শয়তান এবং নফসের কাজ-ই হলো পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করা। সে মহব্বত চায় না, সে একতা চায় না এমনিভাবে সে কখনোই এটা চায় না যে, আমরা সবাই এক কাতারবন্দী হয়ে লড়াই করি। সে আরো চায় না যে, মু’মিন একজন আরেকজনকে শক্তিশালী করবে বরং সে চায় যে, মু’মিন একজন আরেকজনকে ছুড়ে ফেলবে। সে আমাদের সবার অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে। ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করার পর শুরু হয়-

    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ ﴿الحجرات: ١٢﴾


    “মু’মিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।”(সূরা হুজুরাত : ১২)

    এ জাতীয় আয়াতগুলোর বিপরীতে বদগুমানী তারপর শুরু হয় তার পরবর্তী ধারাবাহিকতা- শুরু হয় একে অপরের দোষ খোঁজা অথচ আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন- وَلَا تَجَسَّسُوا “গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না।” আমি মনে করি, সে আমাকে তুচ্ছ ভাবে, সে আমাকে এমন মনে করে, তেমন মনে করে। তারপর তার দোষ খোঁজা শুরু করি, তারপর দেখি যে, সে আমার বিরুদ্ধে আর কি কি করছে? এমনিভাবে আল্লাহর বাণী শুনিয়ে সাথীদের বলছি- وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا “তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে গীবত না করে।” কিন্তু এদিকে আমরা গীবত শুরু করি। যখন গীবত শুরু হয়ে যায়, তখন মন ভেঙ্গে যায় যখন মন ভেঙ্গে যায় তখন (আল্লাহই ভালো জানেন) আরো কত কিছু হয়..! যেমন আল্লাহ তা‘আলার তাওফীক উঠে যায়, তার সাহায্য ও সহযোগিতা উঠে যায়। আর যখন আল্লাহ তা‘আলার তাওফীক ও সাহায্য উঠে যায়, তখন আমার ব্যক্তিগত কোন ক্ষতি হয় না বরং ক্ষতি হয় জিহাদের, ক্ষতি হয় উম্মাহর। যখন ক্ষতি হয় উম্মাহর, তখন তার দায় আমার ও আপনার উপরও বর্তায়। কারণ, এ ক্ষতির মূল কারণ আমার ও আপনার বদধারণা, কাজেই আল্লাহ তা‘আলাকে আমি কি জবাব দিব?! এ ভেবে ভাইদের প্রতি সুধারণা পোষণ করুন

    আরও পড়ুন
    ৫ম পর্ব ------------------------------------------------------------------------- ৭ম পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 08-23-2023, 10:02 PM.

  • #2
    আল্লাহ তাআলা আমাদের নিরাপত্তার আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন, আরও তাওফিক দিন গীবত পরিহার করে চলার, অপরাপর মুমিন ভাইদের প্রতি সুধারনা রাখার। আমীন

    Comment


    • #3
      মুজাহিদদের গোপন খবর জেনে আমাদের কি কাজ। যদি কোন প্রকার প্রয়োজনীয়তা থাকে তাহলে বলতে হবে। তখন সকল সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment

      Working...
      X