Announcement

Collapse
No announcement yet.

শবে বরাত ভিত্তিহীন নির্ভরযোগ্য কোন হাদিস দ্বারা প্রমানিত নয়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    কারিমুল ইসলাম ভাই! এ ব্যাপারে তো আর কথা না বলতেই ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আপনার উপরের কমেন্টটিতে একটি স্পষ্ট বিষয় ধরা পড়ল। তাই একটু দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলছি:
    আপনি বলেছেন: ইমাম যাহাবী রহঃ এটি যদিও দৃঢ়ভাবে না বলে থাকেন কমপক্ষেতো এ উক্তির মাধ্যমে ইনকিতার সম্ভবনা সৃষ্টি হলো ও সাক্ষাতের সম্ভবনা দুর হলো।

    আপনার কথার মধ্যে সমস্যা আছে, কারণ ইনকিতার সম্ভাবনার দ্বারা সাক্ষাতের সম্ভাবনা দূর হয়ে যায় না। বরং সাক্ষাতের নিশ্চয়তা দূর হয়ে যায়।
    আর আপনি বলেছেন: ইমাম মুসলিম রহ: এর মতে হাদিসে মুআনআনের কয়েকটি শর্তের মধ্যে একটি হল: সমযোগীয় হওয়া ও শ্রবনের সম্ভবনা থাকা।
    সে মতে এটার ইনকিতা নিশ্চিত করতে হলে আপনাকে মাকহুল ও ইয়ুখামিরের মৃত্যুকাল উল্লেখ করার মাধ্যমে তাদের সমযোগীয় না হওয়া ও শ্রবণের সম্ভাবনা না থাকা প্রমাণ করতে হবে।

    Comment


    • #17
      বাংলার উমর ভাই!যয়ীফ হাদিসের উপর আমল করার জন্য ৩ টি শর্ত রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হলো এটি রাসুলের
      পক্ষ থেকে প্রমানিত এরুপ মনে করা যাবেনা কিন্তু সতর্কতাস্বরুপ আমল করা হবে।
      এখানে আপনি একাকীভাবে শাবানের ১৫ তারিখ সতর্কতাস্বরুপ আমল করতে পারেন কিন্তু এটির আলাদা ফজিলত
      সাব্যস্ত না করা চাই।আর ইজতিমায়ী আমল যেটি বর্তমানে প্রচলিত এটির ব্যাপারে যয়ীফ হাদিস ও নাই
      আছে জাল হাদিস।

      Comment


      • #18
        Originally posted by topu ahmed View Post
        ফোরামে এই ধরনের আলোচোনার কোন খায়ের আছে কি? আপনি পালন করতে না চাইলে না করুন, যারা করছে করুক ভাই। এখনে ইখতেলাফের যথেষ্ট সুযোগ আছে
        -ভাই

        আপনার এই কথায় আমি শুধু এত টুকু বলবো ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত হচ্ছে তা অবশ্যই অবশ্যই রাসুল (সাঃ) সুন্নতের অনুযায়ী হতে হবে। সুন্নতের বাইরে দুনিয়া ভর্তি সর্বশ্রেষ্ঠ আমলের ও কোন মুল্য নাই! ইলম অর্জন ফরজ - কোন বিষয়ে? যে ইলম আমাদের ঈমান এবং আকিদাহ পরিষ্কার করে এবং যা আমাদের ইবাদতের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন কিভাবে ওজু করতে হবে - এটা সবার জানা প্রয়োজন।

        একটি উদাহরন দেই, একবার এক সাহাবী হাচি দিয়ে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু আস সালামু আলাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ - এটা শুনে অন্য সাহাবী ভুল ধরিয়ে দিয়ে বললেন আমি রাসুল (সাঃ) কে কখনো এমন বলতে শুনিনি। দরুদ পড়া কি খারাপ? এটা কি ভুল? অবশ্যই না - কথা হচ্ছে রাসুল (সাঃ) হাচির পর শুধু আলহামদুলিল্লাহই বলেছেন এখানে এরপরে ওয়াস সালাতু আস সালামু আলাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ যোগ করার কোন সুযোগ নাই।

        ইবাদাতের ব্যাপারে বিদয়াত হচ্ছে তাই যা রাসুল (সাঃ) করেন নি, অনুমোদন দেননি। আর বিদয়াতের ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) বলেছেন "তা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়"

        আমি এর দ্বারা শব এ বরাত এর পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথা বলছিনা - আমি বলতে চাচ্ছি এমন আলোচনা যদি না হয় তাহলে জানবো কিভাবে কোনটা সহিহ আর কোনটা সহিহ না?


        ইবাদতের প্রশ্নে ইলম এর জরুরত অনেক বেশি -

        সবশেষে আর একটি উদাহরন দেই, হাজরে আসওয়াদ এ চুমু দেয়ার ব্যাপারে উমার (রাঃ) বলেছিলেন, - আমি জানি তুমি ভালো করার ও ক্ষমতা রাখনা খারাপ করার ও না, আমি চুমু দেই কারন আমার রাসুল দিয়েছন তাই -

        আসলে এটাই হচ্ছে শেষ কথা - ইবাদতের প্রশ্নে রাসুল (সাঃ) যা করেছেন এবং যেভাবে করেছেন এর সাথে সূচের আগা পরিমান আপোষ করার সুযোগ নাই, কারন ইবাদত কবুলের শর্ত হচ্ছে তা সুন্নতের অনুযায়ী হতে হবে। আর এজন্য এধরনের ইলমী আলোচনা হওয়া জরুরী - আমার এমন মনে হয় -

        আর ইলমের ব্যাপারে আলোচনা হলেই তার মধ্যে কেন দ্বিধাবিভক্তির ভয় থাকবে? কিছু দিন আগেই ত আবু ফাতিমা ভাই একটি পোস্ট দিলেন কিভাবে আবু বকর (রাঃ) এবং উমার (রাঃ) একে অপরের সাথে দ্বিমত পোষণ করতেন - তাহলে ইলমের প্রশ্নে কেন আমরা আলোচনা করবোনা? আলোচনা করা মানেই কি দ্বিধাবিভক্তি?

        ইনশাআল্লাহ না

        ভাই - আশা করি আমি আমার কথা দ্বারা আপনাকে কষ্ট দিয়ে ফেলিনি -
        Last edited by s_forayeji; 05-13-2017, 04:55 PM.
        মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

        Comment


        • #19
          Originally posted by s_forayeji View Post
          -ভাই

          আপনার এই কথায় আমি শুধু এত টুকু বলবো ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত হচ্ছে তা অবশ্যই অবশ্যই রাসুল (সাঃ) সুন্নতের অনুযায়ী হতে হবে। সুন্নতের বাইরে দুনিয়া ভর্তি সর্বশ্রেষ্ঠ আমলের ও কোন মুল্য নাই! ইলম অর্জন ফরজ - কোন বিষয়ে? যে ইলম আমাদের ঈমান এবং আকিদাহ পরিষ্কার করে এবং যা আমাদের ইবাদতের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন কিভাবে ওজু করতে হবে - এটা সবার জানা প্রয়োজন।

          একটি উদাহরন দেই, একবার এক সাহাবী হাচি দিয়ে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু আস সালামু আলাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ - এটা শুনে অন্য সাহাবী ভুল ধরিয়ে দিয়ে বললেন আমি রাসুল (সাঃ) কে কখনো এমন বলতে শুনিনি। দরুদ পড়া কি খারাপ? এটা কি ভুল? অবশ্যই না - কথা হচ্ছে রাসুল (সাঃ) হাচির পর শুধু আলহামদুলিল্লাহই বলেছেন এখানে এরপরে ওয়াস সালাতু আস সালামু আলাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ যোগ করার কোন সুযোগ নাই।

          ইবাদাতের ব্যাপারে বিদয়াত হচ্ছে তাই যা রাসুল (সাঃ) করেন নি, অনুমোদন দেননি। আর বিদয়াতের ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) বলেছেন "তা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়"

          আমি এর দ্বারা শব এ বরাত এর পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথা বলছিনা - আমি বলতে চাচ্ছি এমন আলোচনা যদি না হয় তাহলে জানবো কিভাবে কোনটা সহিহ আর কোনটা সহিহ না?


          ইবাদতের প্রশ্নে ইলম এর জরুরত অনেক বেশি -

          সবশেষে আর একটি উদাহরন দেই, হাজরে আসওয়াদ এ চুমু দেয়ার ব্যাপারে উমার (রাঃ) বলেছিলেন, - আমি জানি তুমি ভালো করার ও ক্ষমতা রাখনা খারাপ করার ও না, আমি চুমু দেই কারন আমার রাসুল দিয়েছন তাই -

          আসলে এটাই হচ্ছে শেষ কথা - ইবাদতের প্রশ্নে রাসুল (সাঃ) যা করেছেন এবং যেভাবে করেছেন এর সাথে সূচের আগা পরিমান আপোষ করার সুযোগ নাই, কারন ইবাদত কবুলের শর্ত হচ্ছে তা সুন্নতের অনুযায়ী হতে হবে। আর এজন্য এধরনের ইলমী আলোচনা হওয়া জরুরী - আমার এমন মনে হয় -

          আর ইলমের ব্যাপারে আলোচনা হলেই তার মধ্যে কেন দ্বিধাবিভক্তির ভয় থাকবে? কিছু দিন আগেই ত আবু ফাতিমা ভাই একটি পোস্ট দিলেন কিভাবে আবু বকর (রাঃ) এবং উমার (রাঃ) একে অপরের সাথে দ্বিমত পোষণ করতেন - তাহলে ইলমের প্রশ্নে কেন আমরা আলোচনা করবোনা? আলোচনা করা মানেই কি দ্বিধাবিভক্তি?

          ইনশাআল্লাহ না

          ভাই - আশা করি আমি আমার কথা দ্বারা আপনাকে কষ্ট দিয়ে ফেলিনি -
          ভাই আমার এটা বলার কারন ছিল যেনো ইখতেলাফি বিষয় নিয়ে চাইনি ফোরামে ভাইদের মাঝে ভালোবাসা নস্ট হোক। যেহেতু দুই পক্ষের কাছেই শক্ত দলিল রয়েছে । যাজাকাল্লাহ খাইরান ।
          বিজয় তো এসেই গেছে

          Comment


          • #20
            আসলে ভাই আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে যে এই সব ছোট খাটো ব্যপারে ততদিন পর্যত স্হায়ী সমাধান হবে না যতদিন পর্যত খেলাফত প্রতিষ্ঠা হবে।চো এই সব বিষয় নিয়ে মাতামাতি না করায় বেটার।

            Comment


            • #21
              খালিদ বিন ওয়ালিদ ভাইযের কথাটা সত্যি খালিদ বিন ওয়ালিদ রা: এর মতই হয়েছে। আলাহামদু লিল্লাহ।
              ভাই সেই স্বপ্ন বুকে নিয়েই আছি-
              কোন একদিন এ দেশের আকাশে কালিমার পতাকা উড়বে।
              যেদিন আর রবে না হাহাকার!! অন্যায় জুলুম অবিচার!

              Comment


              • #22
                প্রিয় ভাইয়েরা! এটি দ্বন্দ নয় আমি আমার কোন এমন ভাই যিনি সম্পুর্ন ইসলাম মানেন শবে বরাতের
                কারনে নিন্দা করবোনা।এখানে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের উদ্দেশ্য একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যাওয়া
                নয়।বরং এ বিষয়ে মত ভিন্ন হতে পারে।আমরা পরস্পরে একটি আলোচনা করছি মাত্র।এ
                কথাগুলো ঐ ভাইদের জন্য যারা মনে করছেন আমরা সামান্য বিষয় নিয়ে পরস্পরে দ্বন্দ করছি কেন?
                এটি ভুল ভাই এটি দ্বন্দ নয় ভাই পারস্পারিক আলোচনা।
                অতঃপর,
                ইবনুল খাত্তাব ভাই!ইমাম মুসলিমের মতে এ হাদিসটি সহীহ নয়।কারন মুয়ানয়ান হাদিসের ক্ষেত্রে তার মতে
                ও ২ টি শর্ত আবশ্যক।১:রাবী মুদাল্লিস না হতে হবে।২:সাক্ষাতের সম্ভবনা থাকতে হবে।
                মাকহুল রহঃ এর হাদিসে উভয় শর্ত অনুপস্থিত। কারন তিনি মুদাল্লিস। التدليس والمدلسون নামক কিতাবের ১৩৪ নং রাবীহিসেবে তাকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে ইমাম যাহাবীবলেছেন তিনি তাদলীস করেন ইবনে হাব্বান রহঃ এর
                উদ্ধৃতি ও দেওয়া হয়েছে।আত তাদলিস ওয়াল মুদাল্লিসুন ৭ নং খন্ড ৯৭ নং পৃষ্ঠা এছাড়া শাজারাতুয যাহাব ও
                জামিউস সনদ ওয়াল মাসানিদেও আছে তার মুদাল্লিস হওয়ার ব্যাপারটি।
                ২য় শর্ত এ কারনে পাওয়া যায়নি যে,সিলসিলাতুল আহাদিসুস সাহিহায় এ হাদিসের আলোচনায় আলবানী
                রহঃ ابن المحبরহঃ এর কিতাব صفات رب العالمين এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন,قال الذهبي لم يلق مكحول مالك بن يخامرইমাম যাহাবী রহঃ বলেন,মালেক ইবনে ইয়ুখামীর রহঃ এর সাথে মাকহুল রহঃ এর সাক্ষাত হয়নি।
                এ ইবারত দ্বারা বুঝা যায় তিনি দৃঢ়ভাবেই বলেছেন।আর দৃঢ়ভাবে না বললেও এ কথার মাধ্যমে ইনকিতা সাব্যস্ত হয়ে
                যাবে।কারন ইমাম যাহাবীর কথার মাঝে সন্দেহ পোষনসুচক কোন বাক্য নেই।
                সুতরাং এখানে ২ শর্তের একটি ও পাওয়া যায়নি এটিকে কিভাবে সহীহ বলা যায়?।
                আমার আর আব্দুল মালেক দাঃ বাঃ ছাড়া কেউ এটিকে সুত্রগতভাবে সহীহ বলেছেন বলে জানিনা।স্বয়ং আলবানী রহঃ
                ও এটিকে সুত্রগতভাবে দুূর্বল বলেছেন।
                এ ব্যাপারে যেন আর কখা না বলি।আমিন।

                Comment

                Working...
                X