Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলাদেশকে ‘পশু সমাজে পরিবর্তন’ ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার কোটা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলাদেশকে ‘পশু সমাজে পরিবর্তন’ ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার কোটা




    ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়য়নে কাজ করার ঘোষণা করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। গত ১৬ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসির সভা কক্ষে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়।

    চুক্তিটিতে সই করছে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।একই সময়ে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজরা কোটা চালুর ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। হঠাৎ করেই ট্রান্সজেন্ডার কোটার ঘোষণা দিল প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সময় ট্রান্সজেন্ডার কোটার ঘোষণা দিলো যখন দেশের শিক্ষামন্ত্রনালয় ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার নামে সম্পূর্ণ হিন্দুত্ববাদী এবং ট্রান্সজেন্ডার (রুপান্তরিত নারী-পুরুষ) প্রমোট করে প্রনয়ন করেছে শিক্ষাক্রম। যা নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

    তবে গাদ্দার সরকার দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর অভিমত ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল্যায়ন না করে বরাবরের মতোই বিদেশী ও হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিচ্ছে।সরকার হিজরাদের ট্রান্সজেন্ডার বলে সূক্ষ্ম কৌশলের আশ্রয় নিতে চাচ্ছে। তারা হিজরাদের ট্রান্সজেন্ডার বলে উল্লেখ্য করছে। কিন্তু হিজরা আর ট্রান্সজেন্ডার এক বিষয় নয়।

    ট্রান্সজেন্ডার হচ্ছে যেসব মানুষ, যারা স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে নিজেদেরকে ‘ছেলের চামড়ায় বন্দী মেয়ে’ বা ‘মেয়ের চামড়ায় বন্দী ছেলে’ ভেবে মুর্খতাবশত ডাক্তারি সার্জারির মাধ্যমে নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছে। এছাড়াও বিপরীত লিঙ্গের মত আচরণ ও বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরিধানকারীদেরকেও ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়।

    ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক এর সবগুলোই অকাট্যভাবে হারাম।আর নাস্তিক্যবাদী সরকার এমন সময় একটি মুসলিম দেশে ট্রান্সজেন্ডারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, যখন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাদের ক্ষমতার বিরোধী, এবং তাদের জনসমর্থন একেবারে তলানিতে। কিন্তু ক্ষমতালোভী গাদ্দার সরকার যে করেই হোক দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এবং তারাই এখন একমাত্র বাধা।

    ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারত ও বিদেশীরাই এখন সরকারের একমাত্র ভরসা। আর এ ক্ষেত্রে বিদেশীরা সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে নিজেদের স্বার্থ ও এজেন্ডাকে চাপিয়ে দিয়েছে সরকারের কাঁধে। আর গাদ্দার সরকারও ক্ষমতার লোভে ভারতের হিন্দুত্ববাদ আর পশ্চিমাদের ট্রান্সজেন্ডারের বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে দেশের শিক্ষাক্রমে।

    এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, গণতান্ত্রিক সকল শাসকগোষ্ঠীই বিদেশীদের তাবেদারি করে ক্ষমতায় থাকার জন্য।কিন্তু কোন একটি বিষয় জনগনের ওপর চাপিয়ে দিলের এর শতভাগ সফলতা অর্জন হয় না। এর জন্য দিতে হয় কিছু সুযোগ-সুবিধা। যার ফলস্বরুপ মানুষ আকৃষ্ট হয় এর প্রতি। আর এভাবেই ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করতেই সরকার ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়য়নে সহযোগীতার ঘোষণা করছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জন্য চালু করেছে কোটা ব্যবস্থা।

    নাস্তিক্যবাদী সরকার একদিকে ট্রান্সজেন্ডারকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করেছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সজেন্ডারদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে হলুদ মিডিয়াও ট্রান্সজেন্ডারকে ফলাও করে প্রচার করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে একটি নিকৃষ্ট বিষয়কে স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।

    অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুসলিম শিশুদের ঈমান-আকিদাহ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে এ দেশকে পুরোপুরি একটি পশু সমাজে পরিবর্তন করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে নাস্তিক্যবাদী শাসকগোষ্ঠী।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রক্ষিতে দেশের সকল শ্রেণির মুসলিম দল-মত নির্বিশেষে এ শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। যদি দেশের আপামর মুসলিম জনতা নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয় বা ঢিলেঢালা পদক্ষেপ নেয়, তাহলে গাদ্দার সরকার এই শিক্ষাক্রম থেকে কখনোই সরে আসবে না।


    লেখক : মুহাম্মাদ ইব্রাহীম


    তথ্যসূত্র:
    ১। ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়নে সহযোগিতা দেবে বিসিসি
    https://tinyurl.com/n33w2363
    ২। ঢাবিতে চালু হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার কোটা
    https://tinyurl.com/3y22s8md
    ৩। বিসিসি’র সঙ্গে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সমঝোতা স্মারক
    https://tinyurl.com/352255mv






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আল্লাহ আমদের কাফের ও মুনাফিক এবং নাস্তিকদের ষড়যন্ত্র থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন

    Comment


    • #3
      যদি দেশের আপামর মুসলিম জনতা নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয় বা ঢিলেঢালা পদক্ষেপ নেয়, তাহলে গাদ্দার সরকার এই শিক্ষাক্রম থেকে কখনোই সরে আসবে না।

      Comment


      • #4
        ট্রান্সজেন্ডার তথা লিঙ্গ পরিবর্তন: এক অভিশপ্ত সভ্যতা লালনের ইংগিত
        https://dawahilallah.com/forum/সংবাদ/উম্মাহ-সংবাদ/20293-উম্মাহ-নিউজ-২৬শে-রজব-১৪৪২-হিজরি-১১ই-মার্চ-২০২১-ঈসায়ী?p=158266#post158266

        মানব সম্প্রদায় আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিকুলের সম্মানিত জাতি। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:

        وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
        আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি। সুরা নাবা: ৮

        আল্লাহ তাআলা বলেন:

        وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَىٰ
        “এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।” (সূরা নজম: ৪৫)

        আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তিনি মানুষকে নারী ও পুরুষ এই দুই প্রজাতিতে সৃষ্টি করেছেন।
        কিন্তু কিছু মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আল্লহ তায়ালার সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন করে।

        এ প্রসঙ্গে কুরআনের আয়াতে শয়তানের বক্তব্যটি উদ্ধৃত করা আছে-

        وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الْأَنْعَامِ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ ۚ وَمَن يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّن دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِينًا
        ‘আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব, তাদের নির্দেশ দেব, যার ফলে তারা পশুর কর্ণ ছেদ করবে এবং তাদের নির্দেশ দেব ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১১৯)

        আর ট্রান্সজেন্ডার মানে সেই লিঙ্গ পরিবর্তন। বৈশাখী টিভিতে ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠিকা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। প্রগতিশীল নামের কুশীলরা এটাকে ব্যাপকভাবে হাইলাইট করছে। কিন্তু এটা অভিশপ্ত সভ্যতা লালনের ইংগিত। ট্রান্সজেন্ডার একটি শয়তানী প্রজেক্ট। স্বয়ং শয়তান এবং তার পরিচালিত সংঘগুলো এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে।

        উল্লেখ্য ইদানিং জেনেটিক মডিফিকেশনের মাধ্যমে মানবজাতির জেনেটিকস পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রও জোরেসোরে শুরু হয়েছে।

        আমেরিকার বাইডেন সরকারের চাপে এবং প্ররোচনায় বিশ্বব্যাপী এসব বদমাশী ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। যদিও বলা হয় ট্রান্সজেন্ডার। প্রকৃতপক্ষে জেন্ডারের পরিবর্তন হয়না। অপারেশন এবং হরমোন ইনজেকশন প্রয়োগে যৌনাঙ্গে এবং দেহে কতগুলো অংশে কিছু বিকৃতি ঘটানো হয়। তারপর তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডারগণ বিপরীত লিঙ্গের পোষাক পরিধান করে।

        পুরুষ হয়ে নারীর আর নারী হয়ে পুরুষের বেশ ধারণকারীর উপর আল্লাহ তায়ালার লানত।

        হাদিস শরীফে বর্ণিত,

        ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻲﻥَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻪ َﺍﺕِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝ
        অর্থাৎ, প্রসিদ্ধ সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ্ তা’আলা সেই সব মহিলাদের উপর অভিশাপ করেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং সে সকল পুরুষদের উপর অভিশাপ, যারা মহিলাদের বেশ ধারণ করে। (বুখারী, মিশকাত হাদিস নং ৪৪২৯)

        অন্য হাদিসে পাকে এসেছে,

        ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞَ ﻳَﻠْﺒَﺲُ ﻟُﺒْﺴَﺔَ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﺗَﻠْﺒَﺲُ ﻟُﺒْﺴَﺔَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ
        হজরত আবূ হুরায়রাহ রা. বলেন, ‘রাসূল সা. সেই পুরুষের ওপর অভিশাপ করেছেন, যে মহিলার পোষাক পরিধান করে এবং সে মহিলার উপর অভিশাপ করেছেন যে পুরুষের পোষাক পরিধান করে। (আবূদাঊদ, মিশকাত হাদিস নং ৪৪৬৯)।

        অপর এক বর্ণনায় এসেছে,

        ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟْﻤُﺨَﻨَّﺜِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺮَﺟِّﻞﺍَﺕِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ .
        হজরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘নবী করিম সা. হিজড়ার বেশ ধারণকারী পুরুষের উপর অভিশাপ করেছেন এবং পুরুষ বেশ ধারণকারী নারীর উপর অভিশাপ করেছেন ‘ (বুখারী, মিশকাত হাদিস নং ৪৪২৮)।

        সহিহ হাদিসে বর্ণিত,

        ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﻳَﺴَﺎﺭٍ ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑِﻦْ ﻋَﻤْﺮٍﻭﻋﻦِ ﺍﻟﻨَﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳَﺪْﺧُﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺍﻟْﻌَﺎﻕُّ ﻟِﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻪِ ﻭَﺍﻟﺪَّﻳُّﻮﺙُ ﻭَﺭَّﺟُﻠَﺔَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ .
        হজরত আবদুল্লাহ বিন ইয়াসার রা. বর্ণিত, ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূল সা. বলেন, ‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না-
        (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।
        (২) বাড়ীতে বেহায়াপনার সুযোগ প্রদানকারী।
        (৩) পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী’ (নাসাঈ শরীফ)।

        প্রিয় নবীজির অমীয় বাণী,

        ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻠَﻴْﻜَﺔَ ﻗَﺎﻝَ ﻗِﻴﻞَ ﻟِﻌَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺇِﻥَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﺗَﻠْﺒَﺲُ ﺍﻟﻨَّﻌْﻞَ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻠَﺔَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ
        হজরত আবূ মুলায়কা রা. বলেন, একদা আয়েশা রা. কে বলা হল, একটি মেয়ে পুরুষের জুতা পরে। তখন আয়েশা রা. বললেন, ‘রাসূল সা. পুরুষের বেশধারী নারীর প্রতি অভিশাপ করেছেন।’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হাদিস নং ৪৪৭০)

        আকেটি ব্যাপার হল, হিজড়ার বিষয়টি। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে নারী ও পুরুষ এই দুই প্রজাতিতে সৃষ্টি করেছেন। তৃতীয় কোন লিঙ্গে নয়। সুতরাং হিজড়া বলে যাদের ডাকা হয় তারা হুকুমের দিক দিয়ে হয়ত পুরুষ কিংবা নারী হবে।

        মৌলিকভাবে ইসলাম মানুষকে পুরুষ ও নারীকে হিসেবে গণ্য করে থাকে। যারা উভলিঙ্গ হয়ে থাকেন তারাও মূলতঃ হয় নারী কিংবা পুরুষ। তাই তাদের ব্যাপারে আলাদা কোনো বিধান আরোপ করা হয়নি। যে উভলিঙ্গের অধিকারী ব্যক্তির মাঝে যেটি বেশি থাকবে, তিনি সেই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হবেন।

        পৃথিবীতে মোট চার ধরনের হিজড়া দেখা যায়।
        ক. পুরুষ (তবে নারীর বেশে চলে) তাদের আকুয়া বলা হয়। এরা মেয়েদের বিয়ে করতে পারে।
        খ. নারী (বেশেও তাই, তবে দাড়ি-মোঁচ আছে)। তাদের জেনানা বলা হয়। তারা ইচ্ছা করলে পুরুষের কাছে বিয়ে বসতে পারে।
        গ. লিঙ্গহীন (বেশে যাই হোক)। আরবিতে তাদের ‘খুনসায়ে মুশকিলা’ বলা হয়। এই শ্রেণির হিজড়া আসলে কারা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বিজ্ঞ আদালত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
        ঘ. কৃত্তিমভাবে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে বানানো হিজড়া। তাদের খোঁজা বলা হয়। যৌন অক্ষমতার দরুণ তারা বিয়ে করতে পারে না বা বসতেও পারে না।

        উল্লেখিত চার ধরনের হিজড়ার মাঝে আকুয়া এবং জেনানাদের লিঙ্গ নির্ধারণ দৃশ্যতঃ সম্ভব হলেও এদের অনেকের লিঙ্গ কাজের বেলায় অক্ষম কিংবা প্রজননে ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য বিয়ে হারাম।

        হিজড়া কারা কিংবা কীভাবে নিধারিত হবে তাদের শ্রেণি এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আলী (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে প্রসূত বাচ্চা পুরুষ-নারী নির্ধারণ করতে না পারলে তার বিধান কি- জিজ্ঞাসা করলেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, সে মিরাস পাবে যেভাবে প্রস্রাব করে। -সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস: ১২৯৪, কানজুল উম্মাল, হাদিস: ৩০৪০৩, মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ১৯২০৪

        হিজড়াদের নারী-পুরুষের যে কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলতে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হলো- দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মতো হবে হুকুম তাদের মতোই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। আর যদি নারীর মতো হয়, তাহলে সে নারী। আর যদি কোনোটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে। সে হিসেবেই তার ওপর শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে। এ হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যার যৌনাঙ্গ যেমন সে তেমন মিরাস পাবে।

        এ বিষয়ে ফিকহের কিতাবাদিতে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


        Al-Firdaws News থেকে সংগৃহীত

        Comment


        • #5
          হিজড়াদের নারী-পুরুষের যে কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলতে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হলো- দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মতো হবে হুকুম তাদের মতোই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। আর যদি নারীর মতো হয়, তাহলে সে নারী। আর যদি কোনোটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে। সে হিসেবেই তার ওপর শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে। এ হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যার যৌনাঙ্গ যেমন সে তেমন মিরাস পাবে।
          সুবহানাল্লাহ !
          আল্লাহ্‌ তাআলার লাখো কোটি শুকরিয়া এই দ্বীন কে আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন।

          Comment

          Working...
          X