ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়য়নে কাজ করার ঘোষণা করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। গত ১৬ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসির সভা কক্ষে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়।
চুক্তিটিতে সই করছে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।একই সময়ে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজরা কোটা চালুর ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। হঠাৎ করেই ট্রান্সজেন্ডার কোটার ঘোষণা দিল প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সময় ট্রান্সজেন্ডার কোটার ঘোষণা দিলো যখন দেশের শিক্ষামন্ত্রনালয় ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার নামে সম্পূর্ণ হিন্দুত্ববাদী এবং ট্রান্সজেন্ডার (রুপান্তরিত নারী-পুরুষ) প্রমোট করে প্রনয়ন করেছে শিক্ষাক্রম। যা নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
তবে গাদ্দার সরকার দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর অভিমত ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল্যায়ন না করে বরাবরের মতোই বিদেশী ও হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিচ্ছে।সরকার হিজরাদের ট্রান্সজেন্ডার বলে সূক্ষ্ম কৌশলের আশ্রয় নিতে চাচ্ছে। তারা হিজরাদের ট্রান্সজেন্ডার বলে উল্লেখ্য করছে। কিন্তু হিজরা আর ট্রান্সজেন্ডার এক বিষয় নয়।
ট্রান্সজেন্ডার হচ্ছে যেসব মানুষ, যারা স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে নিজেদেরকে ‘ছেলের চামড়ায় বন্দী মেয়ে’ বা ‘মেয়ের চামড়ায় বন্দী ছেলে’ ভেবে মুর্খতাবশত ডাক্তারি সার্জারির মাধ্যমে নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছে। এছাড়াও বিপরীত লিঙ্গের মত আচরণ ও বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরিধানকারীদেরকেও ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়।
ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক এর সবগুলোই অকাট্যভাবে হারাম।আর নাস্তিক্যবাদী সরকার এমন সময় একটি মুসলিম দেশে ট্রান্সজেন্ডারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, যখন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাদের ক্ষমতার বিরোধী, এবং তাদের জনসমর্থন একেবারে তলানিতে। কিন্তু ক্ষমতালোভী গাদ্দার সরকার যে করেই হোক দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এবং তারাই এখন একমাত্র বাধা।
ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারত ও বিদেশীরাই এখন সরকারের একমাত্র ভরসা। আর এ ক্ষেত্রে বিদেশীরা সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে নিজেদের স্বার্থ ও এজেন্ডাকে চাপিয়ে দিয়েছে সরকারের কাঁধে। আর গাদ্দার সরকারও ক্ষমতার লোভে ভারতের হিন্দুত্ববাদ আর পশ্চিমাদের ট্রান্সজেন্ডারের বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে দেশের শিক্ষাক্রমে।
এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, গণতান্ত্রিক সকল শাসকগোষ্ঠীই বিদেশীদের তাবেদারি করে ক্ষমতায় থাকার জন্য।কিন্তু কোন একটি বিষয় জনগনের ওপর চাপিয়ে দিলের এর শতভাগ সফলতা অর্জন হয় না। এর জন্য দিতে হয় কিছু সুযোগ-সুবিধা। যার ফলস্বরুপ মানুষ আকৃষ্ট হয় এর প্রতি। আর এভাবেই ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করতেই সরকার ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়য়নে সহযোগীতার ঘোষণা করছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জন্য চালু করেছে কোটা ব্যবস্থা।
নাস্তিক্যবাদী সরকার একদিকে ট্রান্সজেন্ডারকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করেছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সজেন্ডারদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে হলুদ মিডিয়াও ট্রান্সজেন্ডারকে ফলাও করে প্রচার করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে একটি নিকৃষ্ট বিষয়কে স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুসলিম শিশুদের ঈমান-আকিদাহ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে এ দেশকে পুরোপুরি একটি পশু সমাজে পরিবর্তন করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে নাস্তিক্যবাদী শাসকগোষ্ঠী।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রক্ষিতে দেশের সকল শ্রেণির মুসলিম দল-মত নির্বিশেষে এ শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। যদি দেশের আপামর মুসলিম জনতা নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয় বা ঢিলেঢালা পদক্ষেপ নেয়, তাহলে গাদ্দার সরকার এই শিক্ষাক্রম থেকে কখনোই সরে আসবে না।
লেখক : মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
তথ্যসূত্র:
১। ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়নে সহযোগিতা দেবে বিসিসি
– https://tinyurl.com/n33w2363
২। ঢাবিতে চালু হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার কোটা
– https://tinyurl.com/3y22s8md
৩। বিসিসি’র সঙ্গে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সমঝোতা স্মারক
– https://tinyurl.com/352255mv
১। ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়নে সহযোগিতা দেবে বিসিসি
– https://tinyurl.com/n33w2363
২। ঢাবিতে চালু হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার কোটা
– https://tinyurl.com/3y22s8md
৩। বিসিসি’র সঙ্গে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সমঝোতা স্মারক
– https://tinyurl.com/352255mv
Comment